Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

sudipbanerjee

Election: চ্যালেঞ্জের উত্তর কলকাতা লোকসভা

প্রসূন গুপ্তঃ পশ্চিমবঙ্গের আদি শহরের অংশ সুতানটি, যাকে এখন উত্তর কলকাতা বলা হয়। একদিকে বেলগাছিয়া/ কাশিপুর থেকে সেই চৌরঙ্গী। এখানে স্কুল, কলেজে, মেডিকেল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সব সুবিধাই আছে। স্বাধীনতা পূর্ব যুগে কত শত গল্প যে উত্তর কলকাতার বাবু সংস্কৃতি নিয়ে পাই তার বিবরণ বিখ্যাত সাহিত্যিকরা লিখে গিয়েছেন। উত্তর কলকাতায় চিরকাল কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল যা এখন দখল নিয়েছে তৃণমূল। শিক্ষিত কলকাতার মানুষ নিজের নিজের জীবন নিয়েই থাকতে ভালোবাসে। দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারি নিয়ে রকে সন্ধ্যার পর আসর গরম হলেও শেষ পর্যন্ত তারা ওই তৃণমূলকেই জিতিয়ে এসেছে। এবারে কি কঠিন লড়াই এই লোকসভায়?

আসুন দেখে নি করা বসবাস করে এই উত্তর কলকাতায়। প্রথমত এখানে বাঙালিদের ৮৫ শতাংশই 'ঘটি' বা এদেশীয়। মোহনবাগান সমর্থক। এছাড়া ২৫-৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের বাস। অবাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীদের ৬-৭% এখানেই বাস করে তথা চৌরঙ্গী অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষীর বাস। ২৫/৩০ বছর ধরে এখানে প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সময়ে উত্তর কলকাতা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। উত্তর পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম। উত্তর পূর্বে দাঁড়াতেন অজিত পাঁজা। অজিতবাবু আর ডিমিলিটেশন দেখে যেতে পারেন নি। এবারে একসময়ের ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং সদ্য তৃণমূলত্যাগী তাপস রায় এবারে এখানে বিজেপির প্রার্থী এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রদীপবাবু যথেষ্ট বৃদ্ধ, এখন তেমন দৌড়ঝাঁপ করতে পারেন না কাজেই বলা যেতে পারে লড়াই সুদীপ ও তাপসের।

তাপস একপ্রকার সুদীপের উপর ক্ষোভে দল ছেড়েছেন। ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় তিনি কমতি যান না। একরোখা সিপিএম বিরোধী লড়াকু নেতা। পক্ষান্তরে সুদীপবাবু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে থাকেন। তাঁর ইতিবাচক দিক দীর্ঘদিন সাংসদ থেকেছেন এবং অনেকেই বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রিয় বিরোধী নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের মুখ সুদীপবাবু কিন্তু লড়াই তো পছন্দের উপর চলবে না। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে সুদীপ পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫.৯৪ % ভোট এবং জিতেছিলেন। পরের বার কিন্তু তিনিই ৪৯.১৮ % পেয়ে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি করেছিলেন। এখন প্রশ্ন কে এগিয়ে? লড়াকু তাপস দাবি করেছেন তিনি সুদীপকে হারাবেন। কিন্তু আবেগ নির্ভর তাপসকে অনেক অঙ্ক পার করতে হবে যা যথার্থই কঠিন।

a month ago
Kunal Ghosh: ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল, কুণালকে সমর্থন তাপসের

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর  বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল। তিনি অভিযোগ করেছেন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বেশ কিছুটা সময় ছিলেন একটি ভুবনেশ্বরে বেসরকারি হাসপাতালে। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময় সুদীপের হাসপাতালের বিল কে দিয়েছে? তিনি দিয়েছেন না কেউ তার হয়ে দিয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা? এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কুণাল। 

অবাক হওয়ার মত ঘটনা, এতদিন ধরে যে কুণাল ঘোষ ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন। খড়্গহস্ত হয়েছেন, সেই কুণালই এবার সুদীপ প্রসঙ্গে ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কুণালের মতে সুদীপের হাসপাতালের বিল নিয়ে ইডি ও সিবিআই তদন্ত করে দেখে যদি কোনও গরমিল পায় তাহলে সুদীপের ফের গ্রেফতার হওয়া উচিত। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিজে থেকে না এগোয়, তাহলে তিনি নিজে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন করবেন, এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কুণাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়লেও তিনি যে দলের জন্য পথে নেমে লড়াই জারি রাখবেন তার বার্তাও শনিবার দিয়েছেন কুণাল।

শুধু কুণালই নন, এবার কুণালের সমর্থনে তৃণমূলের আর এক বিধায়ক, তাপস রায়। ঠিক কি বললেন তিনি। তিনিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে এলেন জনসমক্ষে। কুণাল ঘোষ একজন সাংবাদিক তার যুক্তি তো ফেলে দেওয়া যায়না। কয়লার টাকা নিয়ে খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন কুণাল।

কুণালের মতই তাপসের গলাতেও অভিমানের সুর। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই দুঁদে নেতার মন্তব্যেই হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘাসফুলের অন্দরের কোন্দলের যে গুঞ্জন ছিল রাজনীতির বাতাসে তাই এই দুই নেতার মন্তব্যে প্রতিধ্বনিত হল।  লোকসভা নির্বাচনের আগে যা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে নিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

2 months ago
Mahua Moitra: 'বস্ত্রহরণ শুরু করেছে, মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন,' সংসদে ঢোকার মুখে হুঙ্কার মহুয়ার

মেজাজই যেন আসল রাজা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির তৈরি করা রিপোর্ট শুক্রবারই পেশ হতে চলেছে সংসদে। এদিনই বাতিল হয়ে যেতে তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু লোকসভায় ঢোকার আগে একেবারে ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। একগাল হাসি, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শোনা গেল তাঁর মহুয়া মৈত্রের কণ্ঠে।

লোকসভায় ঢোকার মুখে কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেন, “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’’ তৃণমূল সাংসদের হুঙ্কার, “মা দুর্গা এসে গেছে, এবার দেখা যাক কী হয়!” এরপর বলেন,‘‘এঁরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে। এ বার আপনারা মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন।’’

লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়'। কমিটির মতে, 'স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'।  তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি আধ ঘণ্টার মধ্যে মহুয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। তবে তৃণমূলের দাবি, ওই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।

5 months ago


TMC: সাংসদ সুদীপের পাশে দাঁড়াবে কে? পুজো মণ্ডপে ধাক্কাধাক্কি দুই তৃণমূল নেতার, দেখুন সেই ভিডিও

পুজো (Durga Puja 2022) উদ্বোধনের মঞ্চ, লাইট, কাঁচি হাতে সাংসদ সকলে রেডি, শুধু অ্যাকশন বলার অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই তাল কাটলেন উত্তর কলকাতার দুই তৃণমূল নেতা (TMC Leaders)। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MP Sudip Banerjee) ঠিক পাশে কে দাঁড়াবেন এই নিয়ে তরজা এবং ধাক্কাধাকিতে জড়ালেন উত্তর কলকাতা তৃণমূলের দুই পরিচিত মুখ সঞ্জয় বক্সি এবং বিবেক গুপ্ত। উল্লেখ্য, বিবেক গুপ্ত জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক। দুই নেতাকে বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে, আর গোটা এই ঘটনা ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যম এবং মোবাইল ক্যামেরায়। চতুর্থীর সন্ধ্যায় দুই তৃণমূল নেতার এই তু-তু, মে-মে ভাইরাল করতেও পিছুপা হয়নি নেট দুনিয়া।

ঠিক কী হয়েছিল? ভাইরাল এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাথুরিয়াঘাটার পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একপাশে দাঁড়িয়ে স্মিতা বক্সি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা অন্য এক পাশে সঞ্জয় বক্সি এবং একটু পিছনে বিবেক গুপ্ত। কাঁচি দিয়ে যখনই ফিতে কাটতে যাবেন সুদীপবাবু, তখন বাঁধে বিপত্তি। কার্যত সাংসদের গায়ের উপর দিয়ে উঠে এসে সঞ্জয় বক্সিকে সরিয়ে দেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক। সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ সঞ্জয় বক্সিও! তিনি শুরু করেন ঠেলাঠেলি। আর উত্তর কলকাতা তৃণমূলের এই পরিচিত দুই মুখকে এভাবে বচসায় জড়াতে দেখে স্পষ্টতই বিব্রত দেখিয়েছে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

উপস্থিত পুজো কমিটির অন্য সদস্য এবং নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চতুর্থীর সন্ধ্যায় ফিতে কেটে পাথুরিয়াঘাটার এই পুজোর উদ্বোধন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা সিএন ডিজিটাল।

2 years ago