বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছ নিয়োগসহ একাধিক দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অব্যাহত আন্দোলন। জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ২৩ দিন ধরে চলছে তাদের লাগাতার অনশন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এলনা সুদিন। অনশনের ৫২৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও হুঁশ ফিরল না সরকারের। এই আবহে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণায় যেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আগুনে হয়েছে ঘৃতাহুতি। যেখানে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি, সেখানে সামান্য ৪ শতাংশ ডিএ প্রদান করা মাননীয়ার মহানুভবত নয়। রাজ্যসরকার মূলত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চাপে বাধ্য হয়ে এই ৪ শতাংশ ডিএ প্রদানের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। দাবি আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য মহার্ঘভাতা প্রদান করছে না। এমনকি অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করার দিকেও ভ্রুক্ষেপ নেই মাননীয়ার।সরকারের এই উদাসীনতার যোগ্য জবাব দিতেই আগামী দিনে একাধিক কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।আবারও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
মার্চের শুরুতেই আবার রাস্তায় নামবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ মার্চ (রবিবার) মহামিছিল এবং মহাসমাবেশ হবে। প্রথমে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনারে মিছিল আসবে। তারপর শহিদ মিনার চত্বরে জনসভা করা হবে। সেখানে কারা কারা আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে অতীতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভায় একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
এবারে দেশের গরিব মানুষদের জন্য দুঃখের খবর। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে রেশন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিলেন রেশন ডিলাররা। নানা দাবিতে ২০২৪ সালের প্রথম দিন থেকেই লাগাতার রেশন ধর্মঘটে যেতে চলেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন দোকান বন্ধ হবে। আর এই ধর্মঘটের জন্য রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার ২৭১ টি দোকান বন্ধ থাকবে। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়বেন দেশের ৮০ কোটি ৩৫ লক্ষ রেশন উপভোক্তা।
জানা গিয়েছে, কমিশন নিয়েই মূলত আপত্তি। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন রেশন সংক্রান্ত চুরির ঘটনায় রেশন ডিলারদের জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র সরকার আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও রেশন ডিলার সংগঠন তাতে রাজি হয়নি। রেশন ডিলাররা যে যে দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশন, সেগুলো হল- রেশন সঠিক পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রেশন ডিলারদের। রেশনকে দুর্নীতি মুক্ত করার দাবিতে সরব রেশন ডিলাররা।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা তাঁদের দাবি সরকারের নজরে আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনভাবেই তা সম্ভব হচ্ছে না অগতাই অবশেষে তাঁরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন। বিগত বহুদিন ধরেই একদিকে যেমন তারা ওজনে কম মাল পাচ্ছেন অন্যদিকে যে টাকা তাদের রোজগারের পথ দেখায় সেই টাকাও তারা পাচ্ছেন না ফলে রীতিমতো একদিকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে রেশনের দোকানটা চালাতেও তারা বিপাকে পড়ছেন প্রতি মুহূর্তে। পাশাপাশি তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বলার পরেও যখন সরকারের ঘুম ভাঙ্গেনি তাই পয়লা জানুয়ারি থেকেই আর রেশনের দোকান থেকে রেশন মিলবে না আপামর সাধারণ মানুষের।
গাজা ভূখণ্ডে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করেছে ইজরায়েল। শুক্রবার ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, এবার স্থলভাগে অভিযান চালাবে ইজরায়েল সেনা। শুক্রবার রাতে ইজরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় গাজার ইন্টারনেট ও ফোন সার্ভিস সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জানিয়েছে, প্যালেস্তাইনের টেলিকম ফার্ম।
এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে ইজরায়েল সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করবে। পাশাপাশি গাজা ভূখণ্ডে সুড়ঙ্গের ডেরা থেকে হামাস যোদ্ধাদের উৎখাত করতে নয়া পরিকল্পনা করেছে ইজরায়েল। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি ভূমধ্যসাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইজরায়েল সরকারের হিসেব অনুযায়ী, হামাসের সঙ্গে সংঘাতে তাঁদের ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামাসের দাবি, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলি বাহিনীর হামলা গাজা ভূখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৭,৩২৬ জনের। মৃতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করে হামাস দাবি করেছে, মৃতদের অধিকাংশ সাধারণ নাগরিক ও শিশু। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় সবথেকে ভয়ঙ্কর হামলা করল ইজরায়েল। সংবাদ সংস্থা এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজার উত্তর প্রান্তে এয়ারস্ট্রাইক করেছে ইজরায়েল সেনা। গাজা শহরের উত্তর প্রান্তে হামাস জঙ্গিদের ডেরায় সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্যালেস্তাইনের ওই এলাকায় আকাশে সারি সারি রকেট দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, হামলার সময় ওই এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যখন গাজায় হামলা চলছে, ইজরায়েলের শহরগুলিতে তখন রকেট ওয়ার্নিং সাইরেন বাজতে শোনা যায়। ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি টেলিভিশনে জানিয়েছেন, গাজা শহরের ওই এলাকায় তারা হামলা চালিয়ে যাবেন।
শুধু আকাশপথে নয়, স্থলপথেও সেনাবাহিনী গাজার দিকে রওনা দিয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, হামাস অধ্যুষিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন পর স্থলপথে আক্রমণ করতে প্রস্তুত ইজরায়েল সেনা।
ছ বছর পর ফের স্তুব্ধ হল পাহাড়। ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার পাহাড়ে বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা সেবা সেনা। তার জেরে শনিবার সকাল থেকে বনধ চলছে। ফলে বেড়াতে বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। কারণ, বন্ধ রয়েছে দোকান এবং যান চলাচল।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় দিন কয়েক আগে উদ্ধার হয়েছিল এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ। অভিযোগ ধর্ষণ করে খুনের। তার প্রতিবাদে গোর্খা সেবা সেনার এদিনের বনধকে সমর্থন করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি এবং বিজেপি। বনধের পাশাপাশি টানা বৃষ্টির জেরেও বিপর্যস্ত পাহাড়ের অবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তও স্কুল পড়ুয়া বলেই জানিয়েছে পুলিশ। থাপড়াইল এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা ওইদিন অভিযুক্তের সঙ্গেই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ইটের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার।
মিথ্যা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এই দাবি তুলে ফের অনশনে বসলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সোমবার সকাল থেকে সঙ্গীত ভবনের মূল মঞ্চে ধরনা শুরু করেন তিনি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভবনের মূল দরজা। সোমবার বিকাল পর্যন্ত তিনি অনশন চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভি বি কনফেশন নামে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা পড়ুয়া অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যার জন্য শিক্ষকদের একাংশ দায়ি। এই পোস্টের পরেই তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বভারতীর অন্দরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করতেই এই কাজ করা। আর তার প্রতিবাদেই ধরনা ও অনশন শুরু করেছেন তিনি।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ তাঁকে, শারিরীক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। এবং যত দিন যাচ্ছে ততই বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার বিশ্বভারতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তাতে নতুন করে জলঘোলা তৈরি হয়েছে।
স্বামীর সঙ্গে সংসার করার জন্য ধরনায় (Strike) বসলেন স্ত্রী। আদালতে বলেছিল স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবেন, সেই কারণে মামলা তুলে নেন স্ত্রী। অভিযোগ, বর্তমানে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সংসার করছেন তাঁর স্বামী। সেই প্রতিবাদে স্বামীর বাড়ীর সামনে ধরনায় বসেছেন স্ত্রী। শনিবার, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম এলাকার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম গ্রামের বাসিন্দা সেনা বিভাগে কর্মরত সোম মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয় কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওই মহিলার স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানার পরেই না কি তাঁর ওপর শুরু হয় অত্যাচার। গৃহবধূ সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করত বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ গ্রাম্য সালিশি সভায় অভিযোগ করলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর ওই গৃহবধূ আইনে দ্বারস্থ হন। গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় বালুরঘাট থানায়। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানিয়েছে, মামলা চলাকালীন তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে সংসার করবার কথা জানালে, তিনি এই মামলা তুলে নেন। অথচ তাঁর স্বামীর কর্মস্থলের আবাসনে অন্য মহিলার সঙ্গে সংসার করছে বলে জানা যায়। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনা জওয়ান কর্মরত ওই মহিলার স্ত্রী সোম মুর্মু। শেষ পর্যন্ত পুলিস ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে টানা ৩২ ঘণ্টা ধরনায় বসেছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই ধরনা। এই মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharjee)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায় এই ধরনা প্রত্যাহার করা হবে। অর্থাৎ দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা এই ধরনা কর্মসূচি চলবে।
এর আগেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও বকেয়া আদায়ের দাবিতে রেড রোডে দীর্ঘ দু'দিন ধরনা কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। ধরনা কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলে, বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দেখান এবং বকেয়ার দাবি করেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপিকে তাক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি সাংসদের দল দিল্লি যান, কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সঙ্গে দেখা না হলেও, ওই দফতরের সচিবের সঙ্গে দেখা করেন ওই দল এবং বৈঠক করে একটি লিখিত আবেদন জানান। যে আবেদনের মাধ্যমে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি করা হয়। তাতে অবশ্য কোন লাভ হয়নি এরপরে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এবং কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবি জানান।
স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের ফুলের তোড়া দিয়ে ক্ষমা (apologized) চাইলেন অভিভাবকরা। ডিএ (DA) ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার প্রতিবাদে গত ১১ মার্চ স্কুল তালাবন্ধ করেছিলেন স্থানীয় মানুষ। সেই জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইলেন অভিভাবকরা। বাঁকুড়ার(Bankura) সারেঙ্গা ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ ডিএ-সহ স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সরকারি দফতরে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। সেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক। ফলে স্কুল সেদিন বন্ধ ছিল। পরের দিন শিক্ষকরা স্কুলে যোগ দিতে গেলে দেখেন স্কুলগেট তালাবন্ধ। দীর্ঘক্ষণ শিক্ষকরা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে অভিভাবকদের একাংশের হস্তক্ষেপে স্কুল খুলে পঠনপাঠন স্বাভাবিক করা হয়।
এই ঘটনার চার দিন যেতে না যেতেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি, ১১ মার্চ স্কুলে তালা দেওয়ার সঙ্গে অভিভাবকদের কোনও যোগ ছিল না। এলাকার কিছু মানুষের প্ররোচনাতেই ওই কাজ করেছিলেন তাঁরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি এমন অসম্মানজনক ঘটনায় অভিভাবকরা মর্মাহত। যার ফলেই এই ক্ষমাপ্রার্থনা।
অভিভাবকদের এমন উদ্যোগে খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্কুলের এক শিক্ষক অজয় রাউত্ জানান,'সেদিনের ঘটনার সঙ্গে একজন অভিভাবকও যুক্ত ছিলেন না। হাতে গোনা কয়েকজন এসেই স্কুলে গেটে তালাবন্ধ করে দিয়েছিল। আজ গ্রামের অভিভাবকরা এসে নিজেদের ভুল স্বীকার করায় ভালো লাগছে। আমরা সবাই চায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অভিভাবকদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।'
ডিএ-র(DA Strike) দাবিতে ধর্মঘটে যোগ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার স্কুলের পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা যোগ দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে। যার জেরে শনিবার সকাল থেকে স্কুল তালাবন্দি করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। স্কুল তালাবন্দি থাকায় স্কুলের বাইরেই ঘন্টাখানেক ক্লাস করতে বাধ্য হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে স্থানীয়রাই স্কুল খুলে দিলে স্বাভাবিকভাবে হয়েছে পঠনপাঠন। বাঁকুড়ার বেলডাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া(Bankura) উত্তর চক্রের বেলডাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা পাঁচ জন। স্কুলের প্রি-প্রাইমারি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সবমিলিয়ে ১০৩ জন। শুক্রবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে যোগ দেন স্কুলের পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা। যার ফলে শুক্রবার স্কুলে পঠন-পাঠন থেকে মিড ডে মিল দুটোই বন্ধ ছিল।
শনিবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের মেইন গেট ভিতর থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখে। এরপরই গ্রামের পড়ুয়াদের পার্শ্ববর্তী একটি চাতালে বসিয়ে পড়ানো শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে অভিভাবকরাই এগিয়ে এসে স্কুলের তালা খুলে দেন। তারপর স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়।
স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষক শিক্ষিকারা ধর্মঘটে যোগ দেবেন তা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের আগে থেকে জানানো হয়নি। যার ফলে শুক্রবার স্কুলে এসেও ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। এমনকি মিড ডে মিলও জোটেনি তাঁদের। এই ক্ষোভেই স্কুলের গেটে তালা লাগানো ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি, 'স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তারপরও শনিবার স্কুলে তালা দেওয়া হয়েছে।'
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত বলেন, 'অভিভাবকরা অভিযোগ করেছে স্কুল বন্ধের কথা আগে থেকে জানানো হয়নি। যার ফলে শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়া স্কুলে এসে ফিরে যায়। এমনকি মিড ডে মিলও পায়নি তাঁরা। যার ফলে ক্ষোভেই স্কুলের গেটে তালা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।'
পাকিস্তানকে (Pakistan) শিক্ষা দিতে ফের একবার বালাকোটের (Balakot like Attack) মতো হামলা চালাতে পারে ভারত। মার্কিন গোয়েন্দাদের (US Report) সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামি দিনে সীমান্তে বা কাশ্মীরে (Kashmir) পড়শি দেশ প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা করলে আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। এমনটাই ওই রিপোর্টে উল্লেখ।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান যদি তাদের ভারত-বিরোধী কৌশলের অংশ হিসাবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজ চালায়, তবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সেনা দিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারত আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে আক্রমণকেই হাতিয়ার করবে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিতে পারেও দাবি করা ওই রিপোর্টে। রিপোর্টে আশঙ্কা দুই পরমাণু শক্তিধর পড়শি দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে!
তবে ওই রিপোর্টের শেষে বর্তমান দুই দেশের মধ্যে স্থিতাবস্থার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা, 'ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও দুই দেশ সদিচ্ছা দেখিয়েছে।'
৩০ এবং ৩১ তারিখের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট স্থগিত। মুম্বইয়ে লেবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠন। একাধিক দাবি পূরণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সোম এবং মঙ্গলবারের প্রস্তাবিত ধর্মঘট স্থগিত রাখা হয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছিল, একাধিক দাবিতে আগামী ৩০-৩১ জানুয়ারি ব্যাংক ধর্মঘট (Bank Strike) ডাকা হয়েছিল। একাধিক দাবি নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মচারী সংগঠন। ব্যাংক কর্মচারীদের একাধিক দাবি আদায়ে এর আগেও একাধিকবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলি (Bank Employee Federation)। কেন্দ্রের তরফে সব দাবি না মানা হলে, আগামী দিনে ফের ধর্মঘটের পথেই হাঁটছিল ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনগুলি।
Today another round of conciliation meeting was held in Mumbai. All our demands were discussed. Due to developments therein, it has been decided to defer the strike call. Circular follows.
— AIBOC official Media Cell (@officialAIBOC) January 27, 2023
Sanjeev K Bandlish, Convener, UFBU
জানা গিয়েছে, সরকারের উপর চাপ তৈরিতে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (ইউএফবিইউ) ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের দাবি গুলির মধ্যে অন্যতম: পাঁচ দিনের ব্যাঙ্কিং, পেনশন আপডেট, জাতীয় পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) বাতিল করা, মজুরি সংশোধন, সব ক্যাডারে পর্যাপ্ত নিয়োগ ইত্যাদি।
একাধিক দাবিতে আগামী ৩০-৩১ জানুয়ারি ব্যাংক ধর্মঘটের (Bank Strike) সম্ভাবনা। একাধিক দাবি নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসছেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মচারী সংগঠন। ব্যাংক কর্মচারীদের একাধিক দাবি আদায়ে এর আগেও একাধিকবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলি (Bank Employee Federation)। কেন্দ্রের তরফে সব দাবি না মানা হলে, আগামী দিনে ফের ধর্মঘটের পথেই হাটছে ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনগুলি।
জানা গিয়েছে, সরকারের উপর চাপ তৈরিতে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (ইউএফবিইউ) ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, দু'দিন ব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের কারণে তাদের শাখায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রভাবিত হতে পারে৷ জানা গিয়েছে, ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের দাবি গুলির মধ্যে অন্যতম: পাঁচ দিনের ব্যাঙ্কিং, পেনশন আপডেট, জাতীয় পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) বাতিল করা, মজুরি সংশোধন, সব ক্যাডারে পর্যাপ্ত নিয়োগ ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মাসের চতুর্থ শনিবার ২৮ তারিখ, ২৯ তারিখ রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ। ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি ব্যাঙ্ক ধর্মঘট কার্যকর হলে ফের সেই বুধবার অর্থাৎ পয়লা ফেব্রুয়ারি গ্রাহকরা ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবেন। ফলে টানা চার দিন বড়সড় আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার, ১৯ নভেম্বর রাজ্যজুড়ে ব্যাংক ধর্মঘট (Bank Strike) প্রত্যাহার। চিফ লেবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ব্যাংক কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন (AIBEA)। ধর্মঘট একটি সংগঠন ডাকলেও, তাতে সমর্থন ছিল বাকি ব্যাংক কর্মী সংগঠনগুলির (Bank Epmloyees Federation)। এর ফলে মাসের তৃতীয় শনিবার ব্যাংক পরিষেবা ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশঙ্কা। মূলত কর্মীদের সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার, বেসরকারি ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই। কর্মীদের প্রাপ্য না মেটানো-সহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।
রাজ্যজুড়ে ন'টি ব্যাংক কর্মী সংগঠন রয়েছে। একটি সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিল বাকি আটটি সংগঠন তাতে সমর্থন জানিয়েছিল। তাই শুক্রবার সপ্তাহের শেষ ব্যাঙ্কের কাজের দিন। ফের সোমবার থেকে পাওয়া যাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। এমন আশঙ্কার মধ্যেই ধর্মঘট প্রত্যাহারে স্বস্তিতে আম জনতা।
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর (husband) বাড়ির সামনে ধর্নায় এক গৃহবধূ। রবিবার সকালে এমনই এক দৃশ্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খয়রামারি অঞ্চলের বাগিচা পাড়া গ্রামে। আর সাত সকালেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধর্নায় বসে থাকেন ওই গৃহবধূ।
তিনি জানান, গত এক মাস আগে ভালোবেসে করে বিয়ে (marriage) করেন ওই গৃহবধূ ও হাসানুর মোল্লা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, ছেলের পরিবার সেই বিয়ে অস্বীকার করলে বাড়ির ছেলেকে অন্যথায় লুকিয়ে রাখা হয়। আর এই কারণেই রবিবার ধর্নায় বসেন গৃহবধূ। গৃহবধূর দাবি, তাঁর স্বামীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্যথায় লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়ার জন্য।
যদিও ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ছেলের বাবা হানিপ মোল্লা। তাঁর কথায়, কোনও বিয়ে হয়নি তাঁর ছেলের। মিথ্যা কথা বলে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন ওই গৃহবধূ।
এদিকে, সাত সকালেই এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা জানান, তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছেন না তাঁরা।