লুঠ হয়ে গেল টোম্যাটো (Tomato)। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এমনটাই হয়েছে কর্নাটকের (Karnataka) হাসান-এ (Hassan)। জানা গিয়েছে, বুধবার প্রায় লক্ষাধিক টাকার টোম্যাটো চুরি করা হয়েছে চাষের ক্ষেত থেকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাজারে যখন প্রায় সব ধরনের শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া, সেই সময়েই ঘটেছে এমন ঘটনা। উল্লেখ্য, কর্নাটকে প্রতি কেজি টোম্যাটোর দাম ১২০ টাকা ছুঁয়েছে।
সূত্রের খবর, হাসানের গোনি সোমানাহালি নামক গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনাটি। সেখানকার এক মহিলা কৃষক ধারণি এই টোম্যাটো চুরির অভিযোগ এনেছেন ও হালিবিদু পুলিস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষেত থেকে প্রায় ৫০-৬০ টি টোম্যাটোর ব্যাগ চুরি করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য বর্তমানে ১.৫ লক্ষ টাকা। পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, হালিবিদু থানার পুলিস এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হালিবিদু থানার পুলিস আধিকারিক জানান, টোম্যাটো চুরির অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন ধারণি। হালিবিদু থানায় টোম্যাটো লুঠের অভিযোগ এটাই প্রথম। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্নাটকে অতিরিক্ত হারে টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বর্তমানে টোম্যাটোর দাম হয়েছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
ইন্ডিয়ান অয়েলের (Indian oil) অপরিশোধিত তেল ভালভের মাধ্যমে চুরি (Stolen) করার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে কারখানার মালিক সহ আরও এক অভিযুক্তকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসি থানার অন্তর্গত বেলগ্রাম মৌজায়। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কারখানার মালিক সোমনাথ তিওয়ারি ও আরেকজন অভিযুক্ত সুভাষ চন্দ্র যশ।
সূত্রের খবর, কয়েকমাস ধরেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেছে পারাদ্বীপ-হলদিয়া বারাউনি অয়েল পাইপলাইনের হলদিয়া-বোলপুর বিভাগে চাপ কমে যাচ্ছে। তাই চাপ কমে যাওয়ার কারণ শনাক্ত করতে অনুসন্ধানে নামেন তারা। তারপরই আসল রহস্য জানতে পারে তারা।
পুলিস সূত্রে খবর, ইণ্ডিয়ান ওয়েল তেলের পাইপলাইন থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার দূরে একটি রাসায়নিক কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার প্রাচীর থেকে পাইপলাইনের দিকে একটি পরিখা খোঁড়া হয়েছিল। সেই পরিখা ধরেই জেসিবি দিয়ে খনন শুরু করা হয়। আর খননের পরই দেখা যায় মেনলাইন থেকে একটি অবৈধ ভালভ ট্যাপ করা হয়েছে। যা সরাসরি রাসায়নিক কারখানায় গিয়ে মিশেছে।
এরপরে গলসি থানার সহায়তায় আইওসিএল-এর পরিদর্শক দল ওই রাসায়নিক কারখানায় তল্লাশি চালায়। মোট ১৫০টি খালি ৪০ লিটার জার উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি ৬ টি অপরিশোধিত তেলে ভরা জার উদ্ধার করা হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিস।
ফের দুঃসাহসিক চুরির (Stolen) ঘটনা। তবে এবার তা ঘটল এক তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) বাড়িতে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার হাবড়া থানার অন্তর্গত মছলন্দপুর দু'নম্বর গ্রামঞ্চায়েতের সলুয়া এলাকায়। শনিবার সকালে এই ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে আসে হাবড়া থানার পুলিস (Police)। খোদ তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে চুরি হওয়ায় যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী। তবে এই চুরির পিছনে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই বলেই মনে করছেন ওই তৃণমূল প্রার্থীর পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা বিশ্বাসের পরিবারের তরফে পুলিসের কাছে এই এলাকায় টহলদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
ওই তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা বিশ্বাস জানান, বাড়িতে গ্রিলের একাংশ কেটে ঘরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতিরা। তিনটি ঘর থেকে চুরি হয়েছে কিছু নগদ টাকা, রুপোর লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি, সোনার কানের দুল সহ সোনার চেন। সব মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার চুরি গিয়েছে, বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে সবাই বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার সকালে উঠে দেখতে পায় গ্রিলের একাংশ কাটা রয়েছে। এইসব দেখেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
একেবারেই অভিনব ঘটনা। ধরা পড়ার ভয়ে চুরি (Theft) করা টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছে চোর। প্রায় এক লক্ষ টাকা চুরি করেছিল এক দল চোর। এমনই এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)। জানা গিয়েছে, গত ২৭ মার্চ শোভারাম খোসালে নামে এক ব্যক্তি রোহিত যাদবের কাছে জমি বিক্রি করেছিলেন। সেই ব্যক্তি খোসালেকে নগদে দিয়েছিলেন ৯৫ হাজার টাকা ও চেকেও কিছু টাকা দিয়েছিলেন।
তবে ৩১ মার্চ খোসালের ঘর থেকে চুরি হয়ে যায় ওই নগদ ৯৫ হাজার টাকা। এমনকি চুরি করার পর খোসালের উপর নজরও রাখছিল চোরেরা। তাই চুরির ঘটনায় খোসালে ১ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেনেই ২ এপ্রিল বাড়ির উঠোনে টাকা ফেরত দিয়ে যায় চোরেরা। তবে এই ঘটনা নিয়ে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, টাকা চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের শীঘ্রই খুঁজে বার করা হবে।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা, খোসালের পরিচিত কেউই এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তাই ধরা পড়ার ভয়ে তড়িঘড়ি সেই টাকাটা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
দুটি দোকানে চুরির (Stolen) ঘটনা। দোকানের পিছনের টিন কেটে চুরি দুষ্কৃতীদের। তবে ঘটনায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার (Hugli Chuchura) খাদিনা মোড়ে। ঘটনাস্থলে চুঁচুড়া থানার পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, একটি মুদিখানার দোকানের পিছনের টিন কেটে ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা। এমনকি মুদির দোকানের পাশেই থাকা একটি চায়ের দোকানের জানলার শিক ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকে চোর।
মুদিখানার দোকানদার প্রশান্ত ঘোষ বলেন, রবিবার সকালে দোকান খুলতে এসে দোকানের পিছনের টিনটি কাটা অবস্থায় দেখেন। পরে দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন চারিদিকে জিনিসপত্র ছড়িয়ে রয়েছে। তিনি জানান, দোকানের তেমন কিছু চুরি যায়নি। তবে সকালে দোকান চালানোর জন্য খুচরো কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছে চোর।
এই ঘটনায় চায়ের দোকানদার সৌরভ দে জানান, তিনি সকালে দোকান খুলে দেখেন জানলার শিক ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আলমারির ভিতরে বিস্কুটের জারগুলিও নিচে নামানো রয়েছে। তবে তাঁর দোকানে তেমন কিছুই ছিলনা তাই কিছু নিয়ে যেতে পারেনি চোর।