বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য। প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলা নিতেই হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বড় সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন।
বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে যে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে, সেগুলি শুনবে কমিশন। কমিশনের মাধ্যমে বিশেষ গাইডলাইনও প্রকাশ করা হবে। কমিশনের সদস্যদের নামও শীঘ্রই জানানো হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
এছাড়া, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করছে রাজ্য। উল্লেখ্য, প্রায়ই বেসরকারি স্কুলগুলিতে কখনও ফি বৃদ্ধি কখনও আবার সিলেবাস-পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার এদিকটা দেখবে শিক্ষা কমিশন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। তবে এই কমিশনে বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।