Breaking News
Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

special

Chat: পাড়ার আড্ডাটা আর নেই

বছর কুড়ি আগেও পাড়াগুলোতে পাড়া কালচার ছিল। আর ছিল রোয়াক। পাড়ার উঠতি থেকে পড়ন্ত যুবকরা সেখানে আড্ডা মারত। সাথী ছিল চা, কাউন্টার করে খাওয়া সিগারেট আর মাঝে মধ্যে  টুকটাক তেলেভাজা কি ঝালমুড়ি। ওয়াও মোমো বা মনজিনিস তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। রেস্তোরাঁ কালচার তখনও বাঙালীর জীবনযাত্রায় প্রবেশ করে নি।

পাড়ার যুবকদের একটা করে ভালো নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু সেগুলো কেবল স্কুল কলেজে ব্যবহার হওয়ার জন্য। পাড়ার মধ্যে তারা হাবুল, পটলা, বাপি নামেই পরিচিত ছিল। কখনও কখনও চেহারার বৈশিষ্ট্য অনুসারের নাম দেওয়া হত। ঢ্যাঙা, ন্যাড়া, কালু ইত্যাদি নামগুলি ছিল তারই প্রতিফলন। বডি শেমিং নিয়ে আমজনতা তখনও সচেতন হয় নি৷ তাই এমন সব নাম নিয়ে আপত্তির কিছু ছিল না কারো কাছে। ঢ্যাঙা বা কালুরাও তাদের নাম শুনে স্বাভাবিক ভাবেই সাড়া দিত।

পাড়ায় বিয়ে বাড়ি হোক বা শ্রাদ্ধ বাড়ি, আগুন লাগা হোক বা মাঝ রাতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, সব ব্যাপারে রোয়াকের যুবকরাই ছিলেন অগ্রণী। পাড়ায় কারো বিয়ে লাগলে যেমন কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করতে লাগত আবার তেমনই কেউ মারা গেলে শবদেহে কাঁধ দেবার লোকেরও অভাব হত না। মাঝরাতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলেও কোনো সমস্যা ছিল না৷ রোগীর বাড়ির লোকের এক ডাকেই পটলা হাবুলরা সাইকেল ভ্যানে রোগীকে চাপিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেত। সারারাত জেগেও থাকত হাসপাতালে। দরকারে নিজেদের মধ্যে টাকা তুলে ওষুধও কিনতো রোগীর।

উপদ্রবও যে একেবারে ছিল না তা নয়। পুজোয় চাঁদার জন্য হুজ্জোতি করা, সরস্বতী পুজোর আগের দিন এর ওর বাড়ির পাঁচিল ডিঙিয়ে বাগান থেকে ফল ফুল পেড়ে আনা, কারো পোষা মুরগী চুরি করে পয়লা জানুয়ারী বা মহালয়ার রাতে 'ফিস্টি' এসব লেগেই থাকত৷ পাড়ার খিটকেলে বুড়ো বুড়িদের নানা আপত্তিকর সৃজনশীল নামে ডেকে তাদের রাগিয়ে দিয়ে গালাগাল খেয়ে মজা পাবার বদভ্যাসও অনেকেরই ছিল। কিন্তু সব মিলিয়ে পটলা হাবুল বাপিরা ছিল পাড়ার এক একটা স্তম্ভ। পাড়াগুলো তাদের ছাড়া অচল ছিল।

তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। অনেক বদল ঘটেছে মফঃস্বল থেকে বড় শহর সর্বত্র। পাড়া কালচার আজ বিলুপ্তপ্রায়। পাড়ায় রোয়াকের দেখা পাওয়া এখন ডোডো পাখির দেখা পাওয়ার চেয়েও বেশী কঠিন৷ আর হাবুল পটলা বাপিরা? তারাও হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। সর্বনাশা কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়ের যুগে এ যুগের হাবুল পটলারা কেউ এখন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির সুট বুট পরা চাকুরে, কেউ সরকারী কেরানি, কেউ বা আবার জোম্যাটো বা সুইগির ডেলিভারি বয়। কাজের চাপে আড্ডা তো পরের কথা, মুখ দেখাদেখিই হয় না মাসের পর মাস। কেউ কেউ আবার কাজের সন্ধানে চলে গেছে দূর দেশে। ন'মাসে ছ'মাসে দেশে ফেরে। আড্ডা মারা দূরে থাক, পাড়ার সবার নামই জানে না ভালো করে কেউ। বাড়িই বা আর কোথায় পাড়ায়৷ সব ভেঙে গড়ে উঠছে একের পর এক ফ্ল্যাট। সুসজ্জিত সেসব ফ্ল্যাটে আস্তানা গাড়ছে বহিরাগত বিভিন্ন মানুষরা। তাদের টান নেই পাড়ার প্রতি। অনেকের ভাষা সংস্কৃতিও ভিন্ন।

পটলা হাবুল বাপিরা আর ফিরবে না কোনোদিন। রাতের আকাশের তারার মতই তারা মিলিয়ে গেছে কালের গহীন গর্ভে।   

চিত্রদীপ সোমের কলমে 

3 weeks ago
Kali Puja: ছন্নছাড়া পুজো

প্রসূন গুপ্ত: পুজো উৎসব বলতে নানান পুজোর ছবি আমাদের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসে। পুজো পরিক্রমাতে তার তথ্য পাওয়া যায়।কিন্তু শুরুর ইতিহাস শুভ নাকি অশুভ তার হদিস কেউ রাখে কি? ফাটাকেষ্টর পুজো উদ্বোধন করতে একবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় এসেছিলেন, জানে কজন? তখন এই রীতি ছিলই না। কালীপুজো মানে দাদাভাইদের পুজো নাকি এলাকার মাস্তানদের তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে সেই রঘুডাকাতের কালীপুজো থেকেই এই এক অদ্ভুত ধারণা জনমানসে আছে। ছন্নছাড়া ক্লাব তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও মাস্তানদের পুজো বিষয়টি পুজোকর্তারা তীব্র বিরোধিতার মধ্যে রেখেছে।

ছন্নছাড়া নামক অদ্ভুত নামের ক্লাবের জন্ম জরুরি অবস্থার সময়ে দমদম পার্কে। এলাকার বেকার নাকি বাউন্ডুলে কিছু তরুণ এই পুজোর জন্ম দেয়। ৪৫ বছর হয়ে গেলো প্রায়।ওই এলাকার সিপিএম কর্মীরা তখন অনেকেই এলাকার বাইরে, আবার যারা রয়েছে তারা কংগ্রেসি ছেলেদের মধ্যে মিশে রয়েছে। ওই বামদের কারুর কারুর মগজ থেকে এই পুজোর জন্ম। পুজোতে কিন্তু দলবাজি প্রাথমিক ভাবে ছিল না। নিজেদের পকেট থেকে যে যা পারে তাই দিয়ে প্রথম দু'বছর পুজো হয়েছিল। এরপর আসে ১৯৭৭। শুরু বাম জমানা। এবারেই খোলস থেকে বেরিয়ে রমরমা পুজো শুরু করে সিপিএমের যুব মহল। রাতারাতি ক্ষুদ্র পুজো বিশাল হয়ে যায়। ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফুর্তি সহযোগে চলতে থাকে পুজো। নেতৃত্ব দেয় অজু, আর বুচু ( অসম্পূর্ণ নাম)। পুজোকে কেন্দ্র করে চাঁদার নাম কংগ্রেসি ছেলেদের বেধড়ক পেটানো হয়। এলাকায় ত্রাস হয় ওঠে অজু। মদ খেয়ে পেটানোটাই ছিল তার প্রধান কাজ এবং তার সঙ্গে তোলাবাজি। পরে অবিশ্যি অনেকেই এই পুজোতে যোগ দেয় এবং ত্রাস কমে হটাৎই অজু উধাও হয় যাওয়াতে। ২০০৯-এ অজুর মৃতদেহ পাওয়া যায় রাজ্যের বাইরে কোনও এক হিন্দিভাষী স্থানে।

এরপর দিন পাল্টায়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আপাতত তাদের হাতেই পুজো। এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা নেই। চাঁদা তোলা হয় না। তবে স্মৃতিচারণে আশীষ দাস জানালেন, "আমাদের এই পুজো একেবারেই অরাজনৈতিক। ক্লাবঘর তৈরি করেছি আমাদের পয়সাতে।'  ছন্নছাড়া আজ আর ছন্নছাড়া নেই বরং সাহিত্যিক অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতা হয় গিয়েছে।

5 months ago
Metro: কালীপুজোতে বিশেষ মেট্রো পরিষেবা, শেষ ট্রেনই বা কখন? দেখে নিন সময়সূচি

কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ মেট্রো পরিষেবার ঘোষণা কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১২ অক্টবর বুধবার মেট্রোর প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময়সূচি জানানো হয়েছে।

মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত সময়সারণিতে জানানো হয়েছে, ১২ অক্টোবর, কালীপুজোর দিন স্বাভাবিক মেট্রো সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রো চলবে। কেবল  কালীপুজোর রাতে ভক্তদের দক্ষিণেশ্বর এবং কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার সুবিধার্থে উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে দুটি বিশেষ পরিষেবা পরিষেবা চালাবে মেট্রো। রাত ১০ টায় কবি সুভাষ ও দক্ষিনেশ্বর থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা।একটি যাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। এই পরিষেবা দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে পৌঁছাবে ১১:০৩-এ। আরেকটি যাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত। আর মেট্রো কবি সুভাষে পৌঁছবে রাত ১১:০১ মিনিটে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে পুজোর দিন রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার।

6 months ago


Special: অমর সৃষ্টি পাণ্ডব গোয়েন্দা

সৌমেন সুর: ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে এককথায় কোনো বিশেষণ দিয়ে ভূষিত করা যাবে না। সাহিত্যের কোন বিভাগে তিনি অনুপস্থিত? সব বিভাগই তিনি বীরবিক্রমে জাজ্বল্যমান। তবে সব শিল্পী সাহিত্যিকদের চেনা যায় তার কোনো একটি সৃষ্টি বা লেখা তাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। তার সৃষ্টি মানুষকে আনন্দ দেয়। লেখক ষষ্ঠীপদকে আমরা চিনেছি- তার অমস সৃষ্টি পান্ডব গোয়েন্দা কাহিনী থেকে। এই কিশোর গল্পটি,  যা ছোট বড় সবার কাছে খুব আদরনীয়। লেখকের জীবনে একটা মাইলস্টোন। তিনি কি না লিখেছেন, গল্প উপন্যাস,  ভ্রমণ কাহিনী, এমন কি ছড়া পর্যন্ত। তার লেখা একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায় না। সব বিভাগে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র। একটা ছড়া উপহার দিই আপনাদের। লেখার মধ্যে শব্দের ব্যবহার কত প্রাঞ্জল, কত আধুনিক। ' ব্রাবোন রোডে উড়ালপুল/ ভূগর্ভেতে রেল/ আজব শহর কলকাতাতে/ নিত্য নতুন খেল/ এই খেলারই পাশে পাশে আদিম খেলা চলে/ ঝমঝমাঝম  বৃষ্টি হলেই/ শহর ভাসে জলে।'

সরকারি চাকরির পাশাপাশি সাহিত্যকে তিনি জীবনের একমাত্র সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। ষাট বছরের সাহিত্য জীবনে অসংখ্য গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। শুধু ছোটদের জন্য নয়, বড়দের জন্য তাঁর গল্প প্রথম সারির পত্রিকায় পাই। ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষের কাছে তিনি পেয়েছেন অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি যেসব গল্প লিখেছেন, তাতে অহেতুক জটিল মনস্তত্বের বর্ণনা একদম নেই। অত্যন্ত সহজ সরল ভাবে আমাদের কাছে প্রেজেন্ট করেছেন।

ষষ্ঠীপদবাবু জীবনপথে দিন অতিবাহিত করেছেন- নিপাট একজন ভালো মানুষ হয়ে। সাধারণ জীবনযাপন করে। এত ভদ্র মানুষ ও স্বল্পভাষী ছিলেন সে সম্পর্কে কয়েকটা কথা তুলে ধরছি। কোন একটি জায়গায় প্রধান অতিথি হয়ে নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি। কোন সাম্মানিক তো নেননি, এমনকি গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত নেননি।  এমনই মানুষ ছিলেন তিনি।  ২০২৩ সালের ৩রা মার্চ তিনি পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নেন। রেখে যান অগণিত গ্রন্থ- যা মানুষকে ভাবাবে, আনন্দ দেবে। তবে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় মানুষের কাছে বেঁচে থাকবেন অনেকদিন, কারণ তিনি যে চিরসবুজ, চির নবীন।

6 months ago
Special: দেশের যুব সম্প্রদায় হল শক্তির উৎস

সৌমেন সুর: দেশের যুব (Youth) সম্প্রদায় হল শক্তির উৎস। দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। তারা যদি দেশের মানুষদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে কতটা সচেতন, তা একমাত্র তরুণ সমাজে অনুধাবন করতে পারে। এখন তরুণ সমাজকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে। দেশের সমাজ সংস্কৃতিকে ভালো করে বুঝতে হবে। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ভারতবর্ষের সংহতি বিনষ্ট করছে। তাই দেশের নাগরিক হিসেবে দেশ সেবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

দেশের জন্য আমরা, দেশ না থাকলে, আমাদের অস্তিত্ব যে বিপর্যস্ত, একথা উপলব্ধি করলে দেশ গঠনের উপযোগিতা চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তাই দেশকে গঠন করার লক্ষ্যে দেশের সেবার প্রয়োজনীয়তা আছে এই ব্যাপারে সর্বাগ্রে তরুণ সমাজেই একমাত্র উপযুক্ত- একথা বলাই বাহুল্য। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে রাতের গভীরে ফুটে আছে সকাল, তাকেই নিয়ে আসতে হবে এই জীবনে । যা কিছু অসত্য, যা কিছু মিথ্যা, তাকে অতিক্রম করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা মানব জীবনের সার্থকতা। একথা তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে, বুঝতে হবে।

আমাদের জীবনের সংগ্রামই হলো- অন্ধকার থেকে আলোই আসা। রাত্রির অন্ধকার চিরস্থায়ী নয় একসময় অন্ধকার ভেদ করে ফুটে উঠবে সকাল। তখন সব কিছু দৃশ্যমান হয়ে যাবে অতএব তরুণ সমাজকে জাগ্রত থাকতে হবে তাদের মাথায় নৈতিকতার আকাশ। সেখানে আলো তাদের ফোটাতেই হবে। মানুষের কাছে তরুণ সমাজ ঝড়ের বার্তা, আগাম জানিয়ে সেটা রোধ করার জন্য তাদের এগিয়ে এসে সমাজকে কলুষ মুক্ত করার জন্য সতর্ক হয়ে কর্মে প্রবেশ করতে হবে। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে জীবনের নানান অন্ধকারকে দূর করতে পারলে জীবনে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হবেই।

6 months ago


Smile: হাসিটুকু ছাড়া আর আছে কী!

সৌমেন সুরঃ সঙ্গীত শিল্পী তালাত মামুদের কন্ঠে 'যে আঁখিতে এত হাসি লুকানো'- এই গানেই বলে দেয় হাসতে গেলে দাঁতের সাহায্য না পেলেও চলে। চোখও হাসতে জানে। চোখও কথা বলতে জানে। বর্তমানে মানুষের মন থেকে হাসি একেবারে উধাও হয়ে গেছে। চারিদিকে এত সমস্যা এত টেনশন, মানুষ হাসবে কখন? হাসি এখন অস্তাচলে।

একটা গল্প দিয়ে বিষয়বস্তুর ভিতরে যাওয়া যাক। এক মহতী সাধুবাবুর কাছে একদিন একটা লোক দেখা করতে আসে। লোকটি সাধুকে বলে, দেখুন সাধুবাবা, আমি ইদানীং হাসতে ভুলে গেছি। সবসময় আমার মনের মধ্যে রাগ। কাউকে আমার সহ্য হয় না। এই রাগের কারণেই আমার জীবন থেকে সমস্ত সুখ অন্তর্ধান করেছে। আমি যেন সবার কাছে রামগরুরের ছানা। আমার জীবনে হাসিকে কিছুতেই আহ্বান জানাতে পারছি না। কেন? কেন আমার এই দুর্দশা? এর থেকে কি কোনও পরিত্রাণ নেই!

সাধুবাবা সব শুনে বললেন, দেখো বাবা, আমার হাসি আনন্দের রহস্য আমার জানা নেই। তবে আমি তোমার ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি। লোকটি একটা ভালো কিছু শোনার  আশায়, সাধুবাবার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। সাধুবাবা বলে ওঠেন, তোমার ব্যাপারে আমি যা ভেবে দেখলাম, তাতে দেখতে পাচ্ছি, তোমার আয়ু মাত্র সাতদিন আছে। এই কথা শুনে লোকটি থম মেরে যায়, তারপর একরাশ চিন্তা নিয়ে ওই স্থান ছেড়ে চলে যায়। এরপর দিন যায় একটার পর একটা। সাতদিনের দিন লোকটি সাধুবাবার কাছে এসে প্রণাম করে বলে, বাবা- আমি আপনার কাছে মৃত্যুর আগে শেষ দেখা করতে এলাম। সাধুবাবা ওর প্রফুল্ল মুখ দেখে প্রশ্ন করেন, এখন কেমন আছো? লোকটি বলে, ভালো আছি। বাবা, আমি ভেবে দেখলাম, আয়ু যখন আমার সামান্য, তখন আর রাগারাগি করে কি লাভ! হাসি আনন্দ নিয়ে বাকি কটা দিন কাটিয়ে দিই। সাধুবাবা মনে মনে হাসলেন।

আসলে সাধুবাবার কৌশলে লোকটির জীবনে হাসি ফিরে এসেছিল। কিন্তু কজনেরই বা এমনই হয়! সবক্ষেত্রে হয় না। সংসারের যাঁতাকলে পড়ে আর অর্থ সংগ্রহের নেশায় আমাদের জীবনে কখনও কখনও হাসি অজ্ঞাতবাসে চলে যায়। জীবনে আমাদের হাসিটুকু ছাড়া কীই বা আছে! জন্মের পর ভাষাহীন মুখে যে নিষ্পাপ হাসিটুকু বর্ষিত হয়েছিল, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি- সেই হাসি যেন সারাটা জীবন বর্ষিত হয়েছিল, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি- সেই হাসি যেন সারাটা জীবন বর্ষিত হয় মানব জীবনে, আর জীবনটা হাসিতেই যেন পূর্ন থাকে। তথ্যঋণ- চন্ডিচরন দাস

7 months ago
DurgaPuja: পুজোর বাজার (পর্ব ১)

প্রসূন গুপ্তঃ বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তা হলেও দুর্গাপুজো মানেই শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরে এই সময়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে বা কখনও কার্তিক মাসেও বাঙালি হিন্দুরা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে থাকে। বলতে দ্বিধা নেই এমন অসাম্প্রদিক উৎসব বোধহয় আর কোথাও দেখা যায় না। পুজো তার নিজের মণ্ডপে কিন্তু বাকি সময়ে হৈচৈ, খাওয়া দাওয়া। বাংলার এমার্জেন্সি কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল কলেজে ছুটি। একই সাথে কলকারখানাতেও থাকে ছুটির মেজাজ। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলিতে পুজোর ৪ দিন অবশ্যই ছুটির মেজাজ। অনেকেই হয়তো মণ্ডপে মণ্ডপে না ঘুরে পরিবারকে সময় দেয় এই চারটি দিন। বাড়িতে রোজগার মতো খাবার তৈরি হয়। আজকাল অনেকেই চার দিনই হয়তো বাইরে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখে অবশ্যই ফের বলতেই হয় পকেটের হাল বুঝেই। অনেকেই পূজোর বোনাস পায়। অবিশ্যি তার অনেকটাই বাড়ির জামাকাপড় ইত্যাদি কেনাকাটাতে খরচ হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী অবাঙালিরাও এই উৎসবে ওই একই মেজাজে হাজির হয়।

আজকাল জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে করে যা ইচ্ছা কেনা হয়তো সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু কেনাকাটাতো করতেই হয়। বাড়ির গিন্নীবান্নিরা কিন্তু অনেকেই সারা বছরের খরচের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখে পূজোতে কেনাকাটার জন্য এবং এটাও বাস্তব আজকের দুর্মূল্যের বাজারে সস্তায় এই শহরগুলিতে নিশ্চিত কেনাকাটা করা যায়।

এক সময়ে পূজোর আগে খবরের কাগজগুলিতে কাপড়ের দোকান থেকে জুতোর দোকানের বিজ্ঞাপন থাকতো প্রায় রোজই কিন্তু আজকে অনেকটাই কমেছে। রেডিও থেকে টিভিতেও বিজ্ঞাপন যা আগে থাকতো তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দর যে অনেক। কলকাতার বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিজ্ঞাপন আজকে খুব একটা দেখা না। তবুও বাঙালির দুর্গা পূজো কিছু না থাকলেও কিছু তো থাকবেই। (চলবে)

7 months ago
Cinema: সিনেমার আবির্ভাব কলকাতায় কিভাবে!

সৌমেন সুর: ১৮৯৬ সাল। কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে বাঙালি বাবুদের ভিড়। কি নেই হাতিবাগানে! নাটক, কবিগান, তরজা আরো কত কি! সেই সময় গিরিশচন্দ্র ঘোষ স্টার, তাঁর নাটকের জন্য। শুধু গিরিশচন্দ্র নয়, পাশাপাশি রসরাজ অমৃতলালের নাটক। চারদিকে গুঞ্জন। কোন নাটক কেমন, কাদের অভিনয় ভালো হচ্ছে, এমনি সব আলোচনায় মুখর উত্তর কলকাতা। একদিন স্টার থিয়েটারে স্টিফেন সাহেব এসে হাজির। তার কাঁধে ঢাউস একটা ব্যাগ দেখে কৌতুহল সবার। ওই মত্ত ব্যাগে কি এমন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে সেটা দেখতে চাই উৎসুক সবাই। জানা গেল ওই ব্যাগের যন্ত্রে জীবন্ত ছবি ধরা আছে। যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যাবে।

শুরু হলো বায়োস্কোপ উত্তরের কলকাতায়। স্টার থিয়েটারে নাটকের ফাঁকে ফাঁকে অনেকদিন ধরে বায়োস্কোপ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্রচারে যত চমকেই থাকুক না কেন, স্টিফেন সাহেব যে বায়োস্কোপের প্রথম প্রদর্শক, এই প্রমাণ মেলেনি। তবে টিফিনের আগে কলকাতায় ফাদার লাঁফো প্রথম বায়োস্কোপ প্রদর্শন করেন। তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াতেন। কয়েকজন ছাত্রকে তিনি দেখিয়েছিলেন প্রথম জীবন্ত ছবি। তার প্রচারের তেমন কিছুই ছিল না। তাই তাঁর আয়োজন প্রসার লাভ করতে পারেনি। তবে জীবন্ত ছবি দেখানোর ব্যাপারে দাবিদার প্রথম তিনিই। অর্থাৎ স্টিফেনের আগে। একদিন স্টিফেন সব সরঞ্জাম নিয়ে ফিরে যান নিজের দেশে। একটা ভরা শূন্যস্থানে হঠাৎ চমক দেখা দিলো। হীরালাল সেন জীবন্ত ছবি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরীর কথা ভাবছেন। কিন্তু ক্যামেরা তেমন কোথায়! একদিন একটা বিজ্ঞাপন হীরালালকে উচ্ছ্বসিত করলো। একটা বিদেশি কোম্পানি বায়োস্কোপ ক্যামেরা বিক্রি করবে। অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা জোগাড় করে, বিদেশ থেকে সেই ক্যামেরা নিয়ে এলেন। হীরালালের মনের এই খিদে তৈরি হয়েছিল স্টিফেনের কর্মকান্ড দেখে।

চললো সাধনা। ১৮৯৮ সাল। দেশের সামনে একটা তাৎপর্যময় সময়। হীরালাল ও তার দাদা মতিলাল সেনের উদ্যোগে তৈরি হলো রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি। ১৯০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত ব্যানারে ছবি দেখালেন। ১৯০১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রদর্শিত হয় হীরালাল সেনের ক্যামেরায় বঙ্কিমচন্দ্রের 'সীতারাম' উপন্যাস, এরপর গিরিশচন্দ্রের ' মনের মতন', ক্ষীরোদ প্রসাদের 'আলিবাবা'। সবটাই নির্বাচিত অংশ। ১৯০৪ সালে অনেক মেহনত করার পর হীরালাল সেন দু ঘন্টার একটি কাহিনী চিত্র তৈরি করেন। এরপর ১৯১৭ সালে হীরালাল সেন মারা যান। এর কয়েক মাস আগে দাদা সাহেব ফালকে তৈরি করেন ' সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র। এটিই প্রথম ভারতীয় কাহিনীচিত্র। এর পরিবেশক ছিল ম্যাডান কোমকোম্পানি তবে ১৯১৯ সালে তৈরি হয় প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাহিনী চিত্র বাংলায় - ' বিল্বমঙ্গল'। এটি নির্বাক কাহিনীচিত্র ছিল। এভাবেই অনেক সাধনার মধ্যে দিয়ে কলকাতায় সিনেমার আবির্ভাবে সূচনা হয়।

7 months ago


Parliament: ঠিকানা বদলাচ্ছে পার্লামেন্টের, গ্রুপ ফটো তুলে বিদায় পুরোনো ভবনকে

ঠিকানা বদলাচ্ছে পার্লামেন্টের। আজই নতুন পার্লামেন্ট ভবনে অধিবেশন। তার আগে পুরোনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানাতে সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদরা। লোকসভা রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৭৫০ জনের বেশি সংসদ পুরোনো পার্লামেন্ট হাউজে তুললেন গ্ৰুপ ফটো।

এদিকে আজ থেকেই নতুন সংসদ ভবনে শুরু হবে অধিবেশন। পুরোনো সংসদ ভবনে আর চলবে না তর্ক বিতর্ক। এদিন অধিবেশনে আসা প্রত্যেক সাংসদদের জন্য থাকবে একটি বিশেষ উপহারের ব্যাগ।

উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবন থেকে ৭৫ টাকার কয়েন আর স্মারক ডাকটিকিটের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

7 months ago
Kalpana Dutta: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরকন্যা কল্পনা দত্ত (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: জেল থেকে মুক্তির পর কল্পনা দত্ত রবীন্দ্রনাথ ও দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। উত্তরের রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার চিঠি পেয়ে আমি খুশি হয়েছি। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর তুমি মুক্ত হয়েছ। তুমি এখন দিনে দিনে শান্তি ও শক্তি লাভ করো। আমাদের দেশে অনেক কাজ করার আছে। তার জন্য দৃঢ়তা ও সুনিয়ন্ত্রিত মন থাকা চাই। দুঃখ ও নির্যাতনের অভিজ্ঞতাই তোমার জীবন পূর্ণতা লাভ করুক। এই আমার আশীর্বাদ তোমার শুভার্থী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।' জেলে থাকাকালীন তিনি সংকল্প করেন দেশের জন্য মাস্টারদা তারকেশ্বর দস্তিদার এবং বহু কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন করবেন তিনি।

ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর পুলিশের নির্দেশ জারি হল, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে কলকাতা ছাড়তে হবে। তিনি চট্টগ্রাম ফিরে যেতে বাধ্য হন। চট্টগ্রামে তখন জাপানি বোমা পড়ছে। বার্মা থেকে দলে দলে কেউ হেঁটে, কেউ নৌকায় চেপে ভারতের চলে আসছে। অন্য জেলার লোকও চলে আসছে। এদিকে জীবনযাত্রার মানও গেছে পাল্টে। চট্টগ্রামে যুদ্ধের জন্য ব্রিটিশ-আমেরিকান, আফ্রিকান ও ভারতীয় সৈন্য ছেয়ে গেছে। দিনকে দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। মিলিটারি রাস্তা বাধার জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে। এদিকে খাদ্যের সন্ধানে দলে দলে মানুষ শহরের পথে ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। কত মানুষ না খেতে পেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে আছে। দুটো ভাত দাও ফ্যান দাও-এর কান্না ভেজা গলা। বিচলিত মানুষ। এই সবকিছু সাক্ষী কল্পনা দত্ত। পুরোপুরি সেবায় নিয়োজিত করলেন নিজেকে। খাওয়া, চিকিৎসা এমনকি নৈশ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা সমস্ত কাজ করতে লাগলেন।

এরপর দেশভাগের পর ভারতে চলে আসতে বাধ্য হলেও এবং চাকরি গ্রহণ ছাড়া বাঁচার পথ না থাকলেও, তিনি শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রুশ ভাষা শিক্ষায়তনের দায়িত্বে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কল্পনা দত্ত পড়াশোনা করতেন বিস্তর। দেশ বিদেশের প্রচুর নামিদামি লেখক এর বই পড়তেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে 'বীরকন্যা' রূপেই চিহ্নিত হয়ে আছেন কল্পনা দত্ত। তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত

7 months ago


Kalpana Dutta: স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরকন্যা কল্পনা দত্ত (১ম পর্ব)

সৌমেন সুর: ১৯৩২ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবের কাছে পুরুষের বেশে কয়েকজন সঙ্গীসহ আটক করা হয়। পুলিশ তাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহ না করে প্রেমঘটিত ব্যাপার মনে করে। যখন সনাক্ত হন যে তিনি রায়বাহাদুরের নাতনি, তখন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী পুলিশ দ্বিধায় পড়ে যায়। কিন্তু ছেড়ে দেয় না, অপরাধীর মতন ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে জামিন দেয়। এর সাত দিন পর ২৪শে সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ হয় প্রীতিলতা ওয়েদেদারের নেতৃত্বে। এই প্রথম একজন মহিলার নেতৃত্বে বৈপ্লবিক আক্রমণ হলো। এই ঘটনায় সারাদেশের ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ বিরোধী অকুতোভয় যোদ্ধা এবং চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম সদস্যা কল্পনা দত্ত ছিলেন বীর কন্যা। মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রিয়পাত্রী ও রবীন্দ্রনাথের কন্যাসম ছিলেন তিনি। ১০৯ ধারায় মামলা চলাকালীন ডিসেম্বর মাসে মাস্টারদা নির্দেশ পাঠালেন কল্পনা দত্তকে আত্মগোপন করতে হবে। যদি না করে তাহলে তাকে বিনা বিচারে জেলে আটক করবে। এই কথা শোনা মাত্র তার নতুন জীবন শুরু হয়। আজ এ গ্রাম, কাল অন্য গ্রাম করতে থাকে। সুখে থাকা মেয়ে কৃষকের বাড়িতে মোট চালের ভাত খাচ্ছে। ছেঁড়া কাঁথায় ঘুমোচ্ছে। তাঁর জীবনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ১৯৩৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি। গৈরলা গ্রামে ক্ষিরোধ প্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন মাস্টারদার সঙ্গে। রাত ৯টা নাগাদ বুঝতে পারলেন মিলিটারি চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। সবাই বেষ্টনী ভেদ করে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। গুলি বিনিময় শুরু হয়। অবশেষে মাস্টারদা ধরা পড়েন। আর কল্পনা দত্ত পাশের গ্রামে এক কৃষকের ধানের গোলায় আশ্রয় নেন। এদিকে কল্পনা দত্তের বিরক্ত কাহিনী গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৩৩ সালে জুন মাসে শুরু হয় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি ট্রাইবুনলি। ১৪ই অগাস্ট রায় হয় সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি। কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দ্বীপান্তর। মৃত্যুদণ্ড না দেবার কারণ তিনি নারী এবং বয়স কম।  তথ্যঋণ- কল্পতরু সেনগুপ্ত

7 months ago
Expired: মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রোগীকে! কাঠগড়ায় চন্দননগর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ (Expired medicine)! এমনই অভিযোগ  চন্দননগর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Chandannagar Super Specialty Hospital) বিরুদ্ধে। যে ওষুধে রোগমুক্তি হয়, প্রাণ বাঁচে মানুষের সেই ওষুধেই মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া? জানা গিয়েছে, দু-তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা মালতি মল্লিক। গত ১১ সেপ্টেম্বর  চন্দননগর  হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান তিনি। আউটডোর থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে ওষুধ খেতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। তিন মাস আগে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়া হয়েছে রোগীকে।

রোগীর পরিবারের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিছক ভুল বলেই দায় ঝেড়ে ফেলেন কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রোগীদের জীবনের কোনও মূল্য নেই? রোগী জীবন নিয়েও ছিনিমিনি? অভিযোগ, বাক্স ভর্তি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছিল। হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েও বিস্তর ক্ষোভ রোগী পরিবারের।

এ নিয়ে শুরুতে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল সুপার ধ্যানব্রত মণ্ডল। পরে তিনি জানান,  বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ, অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে।

রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের অসাধু কারবার চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার মিলল সর্ষের মধ্যেই ভূত! সরকারি হাসপাতাল থেকেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ? এরাজ্যে কি জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনও দায় নেই? মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে প্রাণসংশয়ও হলে দায় কার?

7 months ago
Vishwakarma: সৃষ্টির দেবতা বিশ্বকর্মা

সৌমেন সুরঃ আর মাত্র সাতদিন পরে অর্থাৎ ১৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে বলেই তথ্যটা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। বিশ্বকর্মা হলেন সবকিছুর স্রষ্টা। এই বিশ্বের সমস্ত কারিগর শিল্পীর প্রধান প্রতিনিধি তিনি। একসময় এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ছিল অন্ধকারে পূর্ণ। তখন জল, পৃথিবী, বায়ু, তেজ, স্পন্দন, ধ্বনি ছিল না। জীব পদার্থের অস্তিত্ব ছিল না। সবকিছুই অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। একদিন হঠাৎ ধ্বনি জেগে ওঠে। সংকেত হয়- সৃষ্টির সূচনা আরম্ভ হলো। এক উজ্জ্বল আলোকময় দীপ্তির মধ্যে প্রকাশিত হলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। জন্ম হলো জল,মাটি,বায়ু,গ্রহ,নক্ষত্র, দেবতা, দানব, মানব। জগৎকে যিনি সৃষ্টি করলেন তিনি মহাস্রষ্টা বিশ্বকর্মা।

বেদ বেদান্ত, রামায়ণ, মহাভারত বিভিন্ন পুরাণে বিশ্বকর্মার যে ভাবনা জন্ম নিলো উত্তরকালে তার প্রতিফলন দেখা দিলো। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে যখন আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠলো স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন এলো জীবনযাত্রার। সমস্ত শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কাছে তাদের কর্মের দেবতা হয়ে উঠলেন বিশ্বকর্মা। বৈদিক যুগে যা ছিল অরূপে, একালে তারই প্রকাশ হলো রূপে। বর্তমানে মানুষের জীবনে যন্ত্রের ব্যবহার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আর যন্ত্র অর্থে বিশ্বকর্মা। তাই অনেক বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর মতো বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দেবমূর্তি এনে পুজোর আয়োজন করা হয়। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে যন্ত্রসংক্রান্ত বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয় সেখানে বিশ্বকর্মা পুজো হয়।

বিশেকর্মা শুধু যন্ত্র সৃষ্টি করেন না, তিনি জ্ঞানের প্রসারও করেন। কোথাও কোথাও দীপাবলির দিন বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোয় আর এক বৈশিষ্ট্য হলো ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ির মধ্যে দিয়ে মানুষ মেলে ধরে নিজেকে অসীম অনন্তে, যা বিশ্বকর্মার মূল ভাবের প্রতীক। এই বিশ্বকর্মা পুজো শুধু বাংলায় নয়, অসম, ত্রিপুরা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের নানা অঞ্চলে প্রচলন আছে, এমন কি দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু আঞ্চলে এই পুজোর প্রচলন আছে।

8 months ago


Teachers' Day: শিক্ষকতা শুধু জীবিকা নয়, এক মহাব্রত

সৌমেন সুর: আমাদের জীবনে এমন কতকগুলো দিন আসে যেগুলো নতুন ভাবে আমাদের উজ্জীবিত করে। অনুপ্রাণিত করে। সেদিন মনে হয় আমাদের অন্তরের শুদ্ধিকরণ হল। জাগরণ হল শ্রদ্ধাবোধের। মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি সেদিন আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন। ৫ই সেপ্টেম্বর এমনই একটা মহান দিন। মহান সাধক ও মহান শিক্ষক সর্বোপরি ড. রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিবস উপলক্ষে ৫ই সেপ্টেম্বর 'শিক্ষক দিবস' রূপে দেশ ও জাতির কাছে চিহ্নিত হয়। শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। তারা সমাজের প্রণম্য। একমাত্র তারাই শিক্ষার্থীর মনের অন্ধকার দূর করে জ্বালিয়ে দেন জ্ঞানের প্রদীপ। শিক্ষকরাই দেশ ও জাতির অগ্রগতির উৎস। সমস্ত বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছে ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখটি উজ্জ্বলতার অনন্য নির্যাস।

১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন অনন্য প্রতি ভাই প্রদীপ্ত সাধক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। ১৯০৫ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে এম. এ। এরপর মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু। তারপর মহীশূর কলেজে অধ্যাপনা। এই মহিশুর এই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৮ সালে। সাক্ষাতের আগেই তার লেখা 'দ্য ফিলোজফি অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর' গ্রন্থের প্রকাশ। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। টানা কুড়ি বছর এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হন।

কথা হলো শিক্ষক হলেন দেশের অন্যতম প্রধান কর্ণধার। রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ শিক্ষক, বিদ্যান, বাগ্মীও জ্ঞান তপস্বী। তার ওপর রাষ্ট্রপ্রধান। তাই ৫ই সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে 'শিক্ষক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। এই পবিত্র দিনের শিক্ষকরাই যে জাতির মেরুদন্ড তা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শিক্ষক শুধু শিক্ষাই দেন না। তিনি শিক্ষার্থীর কোমল মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। চিত্তের প্রসার ঘটান। সাধারণ মানুষ শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবান হোক। এটাই শিক্ষক দিবসের প্রাণের কথা। আবার এই দিনের শিক্ষক সমাজ তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করুক, এটাই শিক্ষক দিবসের মহৎ বার্তা।

8 months ago
Durgapuja: দুর্গাপুজোকে কেন 'কলির অশ্বমেধ যজ্ঞ' বলা হয় জানেন?

সৌমেন সুরঃ দুর্গাপুজোকে বলা হয় কলির অশ্বমেধ যজ্ঞ। এই যজ্ঞের সূচনা লগ্ন মহালয়ার ক্ষণ থেকে। তত্ত্বগতভাবে মহালয়ার সঙ্গে দেবীপুজার প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক না থাকলেও সাধারণভাবে এই দুটি উৎসবকে আমরা একই উৎসব রূপে চিহ্নিত করে থাকি। বিশেষ করে বাঙালির কাছে এই শুভ তিথিটি কাব্যিকভাবে স্থান পেয়েছে। দেবী পার্বতী তাঁর সন্তানদের নিয়ে কৈলাস থেকে আসছেন বাপের বাড়ি। পিতা হিমালয় আর মা মেনকার সঙ্গে মানব মনও অপেক্ষা করে থাকে কন্যা উমার উপস্থিতির জন্য। দেবী আসেন বাংলার কন্যা হয়ে। মানুষ কল্পনা করে এই মহালয়ার পুণ্য তিথিতে দেবী কৈলাস থেকে বাপের বাড়ি যাত্রা করেন। মহালয়ার অর্থ দেবী আগমনের সাত দিনের অপেক্ষা। আর ধর্মের ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তাদের মতে অর্থাৎ পন্ডিতের মতে 'পিতৃপুরুষ' উপাসনা ধর্মভাবনা সৃষ্টির কারণ। মহালয়ার দিনটি সেই পিতৃউপাসনার দিন। পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে চলে জলদান। সমস্ত অনুষ্ঠানটির মধ্যে আমাদের ভারতবর্ষের সংস্কৃতির মূল ভাবনাটি ফুটে ওঠে। মহালয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ। এক অমাবস্যা থেকে পরের পূর্ণিমা পর্যন্ত আমাদের আরাধনার কাল। সেই আরাধনার সূচনা হয় মহালয়ার পিতৃঅর্চনার মধ্যে দিয়ে। এরপরই দেবীপক্ষের মূল অংশে চলে যায়।

কাঠক সংহিতায় দেবী অম্বিকাকে শতরূপে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে ' শরদ্বৈ অম্বিকা।' শরৎরূপী অম্বিকার পুজো বলেই তো শারদীয়া। পন্ডিতগন বলেন, এ হলো অকালবোধন। অকালবোধন বলা হয়েছে এইজন্য যে,  আমাদের ছ' মাসে দেবতাদের একদিন, অন্য ছ'মাসে একরাত। মাঘ থেকে আষাঢ় এই ছয় মাস উত্তরায়ন। দেবতারা জাগ্রত থাকেন। শ্রাবণ থেকে পৌষ এই ছয় মাস দক্ষিণায়ন। দেবতারা নিদ্রিত থাকেন। ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য দেবী দুর্গার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। নিদ্রিত দেবতাকে জাগ্রত করেছিলেন বলে এই পুজোকে অকালবোধন বলে।

শস্যের সঙ্গে দেবীর নিগুঢ় সম্পর্ক। বেবির আর একটি রূপ হল শস্যবধূ। এই শস্যবধূকে বলা হয় নবপত্রিকা। নবপত্রিকায় কলা গাছের সঙ্গে থাকে কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, মানকচু, অশোক এবং ধান। এইভাবে বিভিন্ন শস্যের সঙ্গে দেবীকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেবীর শাকম্ভরী রূপটি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। শস্যদায়িনী রূপে দেবীর দশটি অস্ত্রের সঙ্গে দশ রকমের শাককেও যুক্ত করা হয়েছে। যেমন,  পাতা, অগ্র, মূল, কবীর, ফল, কাণ্ড, ত্বক, ফুল, অস্থিরূঢ়ক, কবুক। যাইহোক, আমাদের জীবনের নানা অংশ পিতৃপুরুষ বন্দনা থেকে শাকান্ন পর্যন্ত দেবীপুজোর সঙ্গে জড়িত।

এই পূজো আজ বিশ্ববন্দিত। প্রচুর মানুষের মনে ফুটে ওঠে আনন্দের ফোয়ারা। কারণ সারা পুজো জুড়ে চলে অভাবনীয় অর্থনীতি। গরীব, দিনমজুর, অন্য শ্রেণীর মানুষ দুটো পয়সা হাতে পায়। সুখের বিলাসে দিন কাটায়। তাই এই মহাজাগ্রত সর্ব মানব মিলন পুজোকে কখনোই রাজনৈতিক কলুষতায় কলুষিত হতে দেওয়া উচিত নয়। আসুন এই পুজোকে কেন্দ্র করে মাকে প্রার্থনা জানাই- সবাই সুখে থাক, আনন্দে থাক, শান্তিতে বিরাজ করুক। জয় মা দুর্গা। তথ্যঋণ- পূর্বা সেনগুপ্ত

8 months ago