সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
মালদহে ফের শুটআউট। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু হল এক ব্য়বসায়ীর। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোল থানার রশিদপুর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম চিন্ময়ী বারুই। অন্যদিকে ঘটনায় আহত আরও এক যুবকের নাম প্রসেনজিৎ মোদি। তাঁদের বাড়ি গাজোল থানার হরিদাস এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মদের দোকানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই দুই যুবক। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় ওই দুজন। চিন্ময়ী বারুই-এর পিঠে গিয়ে লাগে সেই গুলি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপর সেথানের কর্মারত চিকিৎসকারা তাঁকে মৃত বলে দাবি করেন।
পুলিসের অনুমান, মদের দোকানে আসা কোনও বচসার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে গাজোল থানার পুলিস। একের পর এক গুলি চলার ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কলকাতা পুলিসের কনস্টেবলের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ওই পুলিসকর্মী। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার পর্ণশ্রী থানা এলাকা। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিস কর্মীর নাম পুলক ব্যাপারী। কলকাতা পুলিসের ওয়ারলেস ব্রাঞ্চে কর্মরত। পর্ণশ্রী এলাকায় পুলক ব্যাপারী তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, গত তিন মাস আগে এই এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেশীর মতে পুলক ব্যপারীর পরিবারে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখেননি তাঁরা।
ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানার চেষ্টা করছে পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিস কনস্টেবল।
জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। ঘটনায় আহত দুই মহিলা সহ তিন জন। গুলি ও বোমা মারার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহাদিগজ গ্রাম। আহত তিনজনকে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে গোটা পরিস্থিতি।
সূত্রের খবর, ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চয়েতের রাহাদিগজ এলাকায় একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ হামিদূর রহমানের সঙ্গে তারই আত্মীয় শেখ মজিবুর রহমানের। রবিবার রাহাদিগজ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা হয়। যদিও পুলিসের উপস্থিতিতে এই সালিশি সভা হয়। সভাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরই দুই পক্ষ বাড়ি ফিরে যায়।
এরপর রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। বিবাদ চলাকালীন দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে গুলি, বোমাবাজি এবং মারধরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এরপর এলাকা ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধরপাকর শুরু করেছে।
ফের রাজ্য়ে শুটআউট। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের চালতিয়া এলাকায় নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ু তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সত্যেন চৌধুরীর। সূত্রের খবর, রবিবার বেলা দুটো নাগাদ ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় নিজের নির্মীয়মান ফ্ল্যাটের নিচে বসে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরী। সেই সময় আচমকা তিন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে পর পর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সত্যেন চৌধুরী। আততায়ীদের চিনতে পারার আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বুকে ও মাথয় তিনটি গুলি লাগে বলে সূত্রের খবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তবে কে বা কারা? গুলি চালিয়েছে তার এখনও পর্যন্ত কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
ভর দুপুরে কামারহাটিতে শ্যুট আউট। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভর দুপুরে কামারহাটি থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে তৃণমূল কর্মী সামসাদ আলি ওরফে কাল্লুকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ। সূত্রের খবর, তাঁর হাতে ও পায়ে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাল্লুকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এভাবে জনবহুল এলাকায় গুলি চলায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কামারহাটি থানার কাছেই তৃণমূল কর্মী সামসাদ আলি ওরফে কাল্লুকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। দুটি বাইক করে ছ'জন এসে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। যার মধ্যে দুটি গুলি তৃণমূল কর্মীর হাতে ও পায়ে লাগে। তাঁকে প্রথমে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর দাবি, হঠাৎই পটকা ফাটার মতো আওয়াজ শুনতে পান তিনি। প্রথমে তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরে তিনি দেখেন তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ। স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন দুটি বাইকে করে ছয় জন আসে। এরপরে একজন গুলি ছুড়তে থাকে। তারমধ্যে দুটি গুলি তৃণমূল কর্মী কাল্লুর হাতে ও পায়ে লাগে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর দাবি, আফসানা খাতুন তাঁর উপরে গুলি চালিয়েছে। ১ জানুয়ারি এক গন্ডগোলের কারণেই তাঁর এই পরিণতি বলে দাবি কাল্লুর।
ফের রাজ্য়ে শুটআউট। গত সপ্তাহে মালদহে এক ব্য়বসায়ীকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। তারপর আবার বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে গুলিবিদ্ধ হল এক যুবক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার শাহবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনটোলা এলাকায়। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ ওই যুবক মালদা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস সূত্রে খবর, আক্রান্ত ওই যুবকের নাম জাবেদ শেখ (২৭)। পেশায় একজন ফেরিওয়াল এবং কর্মসূত্রে বিহারে ফেরি করে। গত এক মাস আগে সে বাড়িতে আসে। প্রতিদিনের মতো গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির পাশে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ভুট্টার ক্ষেতে কয়েকজনকে দেখা মাত্রই জাবেদ শেখ চিৎকার করলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি গিয়ে লাগে জাবেদ শেখের কোমরে। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয়ে পড়ে ওই যুবক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্য়দিকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিস। তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ভরদুপুরে শুট আউট। জাতীয় সড়কে বাইক আরোহীকে লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। ঘটনার পর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মালদহের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার সুস্তানি মোড় এলাকার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম। বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকায়। পেশায় তিনি প্লাস্টিক ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীর ভাই জানিয়েছেন, এদিন সকালে বাড়ি থেকে মালদহের দিকে আসছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বাইক থেকে রাস্তার পড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও গোটা বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
ফের রাজ্যে শুটআউট। অতর্কিতে হামলা চলল ব্যবসায়ীর উপর। পর পর গুলি চলায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল ব্যবসায়ী। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুরে। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজা ভৌমিক। বাদকুল্লার ভাদুড়ি এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই বসেছিলেন রাজা ভৌমিক ও তাঁর স্ত্রী। এরপর হঠাৎ দরজায় কেউ ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা খুলতেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর ব্যবসায়ীর স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিকের দোতলার ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনার পর ওই গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে তাঁর পরিবারের পরিজনরা তড়িঘড়ি নিয়ে বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ব্যবসায়ীর আত্মীয়রা জানান, তিনি একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন প্রোডাক্ট মার্কেটিং ও মানি মার্কেটিং ব্যবসাও করতেন বলেও জানাচ্ছেন তাঁর আত্মীয়রা। এমনকি তিনি একটি সংস্থার শেয়ারও কিনে রেখেছিলেন। এছাড়াও তিনি রাখিমাল বা ভুসি মালের ব্যবসা করতেন। কোন মানুষ বিপদে পড়লে তাঁকে আর্থিক সহযোগিতাও করতেন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে আচমকা এই ঘটনার পর থেকেই শোকাহত গোটা পরিবার। রাজ্যে একের পর এক গুলির ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জখম এক বাংলাদেশি। আহত ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম জহিরুল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশর ঠাকুরগাঁও জেলার গেরওয়াডাঙ্গী এলাকায়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে গোয়ালপোখরের নরগাঁও বিওপির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কিছু বাংলাদেশি ফেনসিডিল পাচারের চেষ্টা করছিল। তখন বিএসএফ জওয়ানরা ওই বাংলাদেশি পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলে পাচারকারীরা উল্টে বিএসএফ জওয়ানদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। সেই সময় আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীদের মধ্যে এক বাংলাদেশি গুলিতে জখম হয়।
পাশাপাশি পাচারকারীদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ানও আহত হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। জখম অবস্থায় ওই বাংলাদেশি পাচারকারীকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তবে কোথা থেকে নিষিদ্ধ ফেনসিডাইলগুলি আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
ফের শিরোনামে উঠে এলো জগদ্দল। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। ঘটনার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতেই পথেই মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ভিকি যাদব (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকি যাদবের বাড়ির সামনে বাইকে করে তিনজন লোক এসে তাঁর খোঁজ করতে থাকে। এরপর ভিকি তাঁর নিজের পরিচয় দিতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয় তাঁর ওপর। মোট ১১ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তার মধ্যে ৯ টি গুলি গিয়ে লাগে ভিকির শরীরে। গুলির লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভিকি। তারপর স্থানীয়রা গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে ভিকি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
পুলিসের অনুমান, রাজনৈতিক কোনও কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে যারা গুলি করেছে তারা ভাড়া করা লোক বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এন আর এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকি যাদবের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে মৃতদেহ। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে গোটা এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, গতবছর ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় ভিকির আত্মীয় বিজেপি কর্মী আকাশ যাদবের। সেই কারণে অনেকবারই সিবিআই তদন্তের জন্য ডেকেছে ভিকি যাদবকে। আকাশ যাদব খুনের অন্যতম সাক্ষী এই ভিকি। এখন প্রশ্ন উঠছে আকাশ যাদবের খুনের সঙ্গে কি কোনও ভাবে ভিকির খুনের সংযোগ আছে। নাকি ভিকির খুন কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা! তা জানতেই তদন্তে নেমেছে পুলিস।
জয়নগরের পর এবার ডায়মন্ড হারবার। তৃণমূল নেতা খুনের তিনদিনের মাথায় ফের একই জেলায় শুট আউট। ভাইফোঁটার দিন দিদির বাড়িতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ এক যুবক। সূত্রের খবর, নিহত যুবকের নাম মিঠুন সরদার (২৮)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই শুটআউট। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজনও। অভিযগের তীর দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম পরেশ মণ্ডল, অজয় মণ্ডল। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক বলে পুলিস জানিয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
নিহত মিঠুন সরকারের স্ত্রী জানিয়েছেন, মিঠুন সরদারের দিদি আর জামাইবাবুর প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছায় বুধবার। মিঠুন সরকারের কাছে ফোন আসে। এরপর ঝামেলা মেটাতে দিদির বাড়িতে গেলে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এমনকি গুলিও চালায়।আর তা বুকে গিয়ে লাগে মিঠুনের।
দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তৃণমূল নেতা খুন এরপর আক্রোশে পাল্টা খুনে এখনও বুধবার সকাল থেকে থমথমে রয়েছে দলুয়াখাকি এলাকা। কেউ ঘর ছাড়া, কেউ আবার পুড়ে যাওয়া ভিটে আগলে পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছির দোলুয়াখাকি গ্রামে ঘর ছাড়া সকলে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ বারাসতের সিপিআইএমের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্ত সিপিআইএমের ২৫ টি পরিবারের মহিলা সদস্যরা। সেই সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু বাচ্চা।
সোমবার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথেই খুন হন জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। তারপর নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দলুয়াখাকি গ্রাম। সিপিএমদের অভিযোগ, একের পর এক সিপিএম সমর্থদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এবং গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধর পর্যন্ত করা হয়। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অভিযোগ, ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও দলুয়াখাকি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়নি প্রশাসন। ঘটনার পর দলুয়াখাকি গ্রামে দেখা যায় আগুনে পুড়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র। আর সেই পুড়ে যাওয়া ঘরে শীতের রাতে থাকতে হচ্ছে কিছু মহিলাদের। এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত দলুয়াখাকি গ্রামের মানুষ। যদিও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।
যদিও গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কান্তী গাঙ্গুলী ও সুজন চক্রবর্তীরা এই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের নিয়ে গ্রামে ফেরাতে গেলে পুলিস তাঁদেরকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জয়নগর থানায় গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানায়। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পোশাক ও খাবার নিয়ে গ্রামে আসছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁকেও আটকে দেয় পুলিস। গ্রামে প্রবেশ করতে না পেরে পুলিসের হাতে সেই খাবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দেয় নওশাদ। সেই খাবার এখনও পৌঁছায়নি গ্রামে।
জোড়া খুন জয়নগরে। উৎসবের মধ্যেই ফের রক্ত ঝড়ল রাজ্যে। এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে ওই ঘটনায় সইফুদ্দিন লস্কর নামের ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এরপরে ওই তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রাম।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মত এদিনও সকাল বেলা প্রার্থনার জন্য বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। অভিযোগ সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় স্থানীয় এই তৃণমূল নেতার। গুলির শব্দেই ছুটে আসেন গ্রামের মানুষ। সঙ্গেসঙ্গে আহত তৃণমূল নেতাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ এরপরেই সইফুদ্দিন লস্করের অনুগামী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মোরসালিম লস্করের নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। দুস্কৃতি সন্দেহে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগও ওঠে। এছাড়া আরও তৃণমূল নেতা খুনে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সইফুদ্দিনের স্ত্রী সেরিফা বিবি, স্থানীয় বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পাশাপাশি সইফুদ্দিন স্থানীয় বামনগাছি অঞ্চল সভাপতি ছিল। এ ঘটনার পিছনে কোনো রাজনৈতিক শত্রুতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুটিংয়ে ফের সোনা ভারতের। ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন পৃথ্বীরাজ তোন্ডাইমান, কাইনান চেনাই ও জোরাভার সিং। তাঁদের স্কোর ছিল ৩৬১। ছেলেদের টিম সোনা জয়ের পাশাপাশি মেয়েদের টিমও ট্র্যাপ ইভেন্টে রুপো জিতেছে। রাজেশ্বরী কুমারী, মণীশা কির ও প্রীতি রাজকের স্কোর ছিল ৩৩৭। এই ম্যাচেও সোনার পদকের জন্য প্রত্যাশা করেছিল ভারত।
রবিবার সকালে অল্পের জন্য সোনার পদক মিস করেছেন গলফার অদিতি অশোক। এবার ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা ও রুপো পুরুষ ও মহিলা টিমের। রবিবার ইতিমধ্যেই তিনটি পদক এল দেশে। দিনের শেষে কতগুলি পদক আসে, তার দিকে তাকিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীরা।
দলগত ইভেন্ট ছাড়াও ব্যক্তিগত ইভেন্টেও শুটিংয়ে পদক। কাইনান দারিউস চেনাই ছেলেদের ৫০ মিটার ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন।
এদিন ৫০ মিটার ট্র্যাপে ছেলেদের ফাইনালে প্রথম ৬ জনের মধ্যে ছিলেন দুই ভারতীয়। চেনাই ছাড়াও লড়াইয়ে ছিলেন জোরাভার সিং। প্রথম পাঁচ রাউন্ডের পরই তিনে উঠে আসেন চেনাই দারিউস। শীর্ষে ছিলেন কুয়েতের তালাই আল রশিদি। দুই নম্বরে ছিলেন চিনের কুই ইয়িং। এরপরই ব্রোঞ্জ জিতে নেন চেনাই।