নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আর্জি জানিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করলেন এবিভিপির সদস্যরা।
অভিযোগ, মহম্মদ আলম নামে ওই স্কুল শিক্ষক টিউশনি পড়ানোর নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৩ রা জানুয়ারি। বেশ কিছুদিন বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসে। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোড এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার নার্সিংহোমের তরফে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হলে তৎক্ষনাৎ তাকে আদালতে পেশ করা হয়। এরপর এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবিভিপির তরফে। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ভোরের আলো থানা এলাকায়। অভিযোগ, খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্য়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই নাবালিকার পরিবার।
জানা গিয়েছে, ১২ বছরের ওই নাবালিকা তর ঠাকুরদার বাড়িতেই থাকত। অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধ কার্তিক রায় (৬৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা। নাবালিকা ওই অভিযুক্ত বৃদ্ধকে দাদু বলে ডাকত। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধ টাকা এবং খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জমিতে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানে একটি খড়ের গাদার আড়ালে নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহ শুরু করে।
তখন নাবালিকার আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার জেরে ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়েন নাবালিকার ঠাকুরদা। সোমবার স্থানীয় মিলনপল্লী ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার ঠাকুরদা। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত এবং বৃদ্ধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের (sexual harrasment) অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নকশালড়িরবা (Nakshalbari) শান্তিনগর এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে নকশালবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস। ধৃতকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে ইতিমধ্যেই হোমে রাখা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের নাম নরেণ রায় (৫৫)। অভিযুক্ত নকশালবাড়ির শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা।
এই ঘটনায় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনাটি সত্যিই খুব দুঃখজনক। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে নকশালবাড়ি থানাতে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।' তিনি আরও বলেন, 'ঘটনাটি যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চায়। পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো,' এমনটাই বলেন তিনি।
মেয়ের শ্লীলতাহানি (Sexual Harrasment) আটকাতে এসে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন (Murder) বাবা। উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর (Howrah Incident) গোবিন্দপুরের এই ঘটনায় দু'দিন পরেও চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, শ্যামপুর নস্করপুরের এক দশম শ্রেণির ছাত্রী রবিবার গৃহশিক্ষকের থেকে পড়ে রাত ন'টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বাড়ির কাছাকাছি তিন মদ্যপ যুবক ছাত্রীর সাইকেল আটকায়। তাঁকে শ্লীলতাহানির উদ্দেশে টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করে। সেই ছাত্রী 'বাবা-বাবা' বলে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়লে বাবা গণেশ মণ্ডল ছুটে যান। সেই সুযোগে বাড়ি পালিয়ে এসে মাকে সব জানায় ছাত্রী।
এদিকে বাবা গণেশ মণ্ডল মেয়ের শ্লীলতাহানি আটকাতে এলে তাঁকে বেদম প্রহার করে দুষ্কৃতীরা। মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় গণেশবাবুকে। পেটে-বুকে আঘাত দিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় তাঁকে মাঠে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে পরিবারের লোকজন গণেশবাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝুমঝুমি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর সোমবার বিকেলে মৃত্যু হয় গণেশ মণ্ডলের।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিসকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব শ্যামপুর। পরিবারের অভিযোগ, তিন দুষ্কৃতী স্থানীয় যুবক।
শেষমেশ স্কুলের শিক্ষক! যৌন হেনস্থার (Sexual abuse) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) করা হল এক স্কুলশিক্ষককে (Teacher)। একাধিক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) হেব্বল এলাকার একটি সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষক গত তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অঞ্জনাপ্পা। বছর ৫৪-এর ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকাদের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের টিফিনের বিরতির সময় ফাঁকা ঘরে একা পেয়ে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন। ৮ থেকে ৯ জন ছাত্রীর পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ জানায়। এমনকি, শারীরশিক্ষার ক্লাসের সময় প্রকাশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই শিক্ষক ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতেন বলেও অভিযোগ। ভয় এবং সংকোচ থেকে প্রথমে তারা বাড়িতে কিছু জানায়নি। পরে পরিবারের লোকেরা ছাত্রীদের আচার-ব্যবহারে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ করেন। এরপর এক ছাত্রীর বাবা-মা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব ঘটনা খুলে বলে।
এরপরই পুলিসের দারস্থ হন অভিভাবকেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শিক্ষককে।