ফের অফিস টাইমে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সকাল ১১টার পর থেকে শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী মেট্রোতে বিভ্রাট ঘটে। সপ্তাহের শুরুতে মেট্রোর গোলযোগের জন্য দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আপাতত স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা।
আরও জানা গিয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী আপ ও ডাউন মেট্রো। দ্রুত শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের যান্ত্রিক ত্রুটি সারাইয়ের কাজ চলেছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।
এমনিতেই শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর কাছে একটি ঐতিহাসিক এবং স্মরণীয় দিন। এই দিনই প্রথম গঙ্গার তলা দিয়ে ভারতের বুকে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলল মেট্রো। আবার এই শুক্রবারই চালু হল বহু প্রতীক্ষিত অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো।
প্রাথমিক ভাবে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু হলো মেট্রোর তরফে। শুক্রবার সকাল ৯'টায় প্রথমবার এই রুটে যাত্রী নিয়ে কবি সুভাষ স্টেশন থেকে পাড়ি দিল মেট্রো। প্রথম যাত্রার সাক্ষী থাকতে এদিন মেট্রো ভ্রমণ করলেন বহু মানুষ। যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় খুশির আবহ যাত্রীদের মধ্যে।
অরেঞ্জ লাইনে কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত চলবে মেট্রো। কিন্তু আপাতত চারটি স্টেশন নিয়ে চালু এই পরিষেবা। ধীরে ধীরে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছুটবে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো। তবে মেট্রো সূত্রে খবর, সোমবার থেকে শনিবার ২০ মিনিটের ব্যবধানে চলবে এই মেট্রো। তবে শনি ও রবিবার কোনও পরিষেবা থাকবে না। তবে একই দিনে দুই স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দের আবহ শহরবাসীর মধ্যে।
এবার দমদম বিমানবন্দর থেকে ওড়িশার রাউরকেলা পর্যন্ত সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশা সরকারের সাহায্যে এই রুটে বিমান উড়তে চলেছে। এই নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের অফিস মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সূত্রের খবর, মাত্র ১,৯৯৯ টাকায় বিমানে চড়ে ওড়িশা পৌঁছে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে এই বিমান পরিষেবা।
উল্লেখ্য, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের একান্ত প্রচেষ্টায় শুরু হচ্ছে কলকাতা থেকে রাউরকেলা বিমান পরিষেবা। এই রুটে বিমান চালানোর জন্য ওড়িশা সরকার ৩৫ টি আসনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং প্রদান করবে। অ্যালায়েন্স এয়ার সপ্তাহে তিন দিন এই রুটে পরিষেবা প্রদান করবে। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার দমদম বিমানবন্দর থেকে রাউরকেলা পর্যন্ত বিমান উঠা নামা করবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত ওড়িশা সরকার তাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও উন্নতি করতে এই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এই রুট চালু হলে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে মত ওড়িশার পর্যটন দফতরের। তাই পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতেই এই রুটে বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাউরকেলা-কলকাতা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে কুয়াশার জেরে মঙ্গলবার এই রুটে বিমান উড়তে পারেনি। দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে অ্যালায়েন্স এয়ার রাউরকেলা থেকে কলকাতাগামী উড়ানটি বাতিল করে দেয়। এই আবহে আজকে থেকে প্রথমবার এই রুটে বিমান উড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে পরিষেবা বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কারণ মঙ্গলবার কলকাতা থেকে রাউরকেলা বিমান উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সঠিকভাবে যাত্রা না করতে পারায় সমস্যায় পড়েন অনেক মানুষ।
শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মদিন সোমবার। গুরু নানক জয়ন্তী মানেই ছুটির দিন। সেকারণে এদিন কলকাতা মেট্রোর তরফে মেট্রো পরিষেবা কম থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। সোমবার, সপ্তাহের শুরু দিন শহরের অন্যান্য দিনের থেকে মেট্রো পরিষেবা অনেকটাই কম থাকবে৷ বাড়ি থকে বেরনোর আগে দেখে নিন মেট্রোর সমসূচি৷
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (নীল লাইন) ২৮৮টি মেট্রোর পরিবর্তে ২৩৪টি মেট্রো চলবে। যার মধ্যে ১১৭টি আপ ও ১১৭টি ডাউন মেট্রো পরিষেবা। এই লাইনে প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময় অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রথম পরিষেবা শুরু হবে:
০৬:৫০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫৫ টায় দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৭.০০ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
শেষ পরিষেবা শুরু হবে:
৯:২৮ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৩০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দমদম। (পরিবর্তন নেই)
গ্রীন লাইন এবং পার্পল লাইনে পরিষেবা অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবার ইডেনে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এদিন বিশ্বকাপের ( মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে। ইডেনে বাইশ গজের মহারণ শেষে দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা চালানো হবে রাতে। ম্যাচ শেষে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দর্শকদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে মেট্রো। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে এক জোড়া স্পেশাল মেট্রো ছাড়বে।এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবাগুলি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডোরের (ব্লু লাইন) এসপ্ল্যানেড - দক্ষিণেশ্বর এবং এসপ্ল্যানেড - কবি সুভাষ রুটের মধ্যে চালানো হবে৷
রাত পৌনে ১১টায় (১০:৪৫) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা। এটি যাবে দক্ষিণেশ্বরের দিকে এবং অন্যটি যাবে কবি সুভাষের দিকে। দু’টি মেট্রোই রাত ১১টা ১৮ মিনিটে পৌঁছে যাবে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে না এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।
বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session) লোকসভা (LokSabha) ও রাজ্যসভা (RajyaSabha), সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল বা দিল্লি সার্ভিসেস বিল (Delhi Services Bill)। এবারে এই বিলে সই করলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। অর্থাৎ তিনি সই করেছেন জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিলে। ফলে দিল্লি সার্ভিসেস বিলটি এখন আইনে পরিণত হল। এবার থেকে দিল্লির আমলা নিয়োগ, বদল থেকে শুরু করে রাজধানীর সমস্ত প্রশাসনিক কাজ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।
চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে একাধিক বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যে বিলগুলি রাজ্যসভা ও লোকসভা থেকে পাশ হয়েছে সেগুলি হল 'গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল', 'ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল', 'দ্য রেজিস্ট্রেশন অব বার্থস অ্যান্ড ডেথস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল', 'জন বিশ্বাস (বিধান সংশোধন) বিল'। আজ, শনিবার এই চারটি বিলেই সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে এগুলো এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
গত ১ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় পেশ করেন 'গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্য়াপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল'। এরপর এটি ৭ অগাস্ট রাজ্যসভায় পাশ করা হয়। উচ্চকক্ষে ১৩১ ভোট পেয়ে পাশ করা হয় বিলটি। এই বিপক্ষে ভোট দেয় ১০২ জন। তবে এটি এখন আইন হয়ে যাওয়ায় দিল্লির প্রশাসিনক ক্ষমতা এখন থেকে কেন্দ্রের অধীনে।
যদিও এই বিলের প্রথম থেকেই বিরোধীতা করেছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে 'অসাংবিধানিক' বলে উল্লেখ করেছেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে এত বিতর্কের মাঝেও বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হল।
সৌমেন সুর: মানুষ জন্মালে সে মানুষ হয় না। মানুষ হতে গেলে চাই কিছু বাড়তি গুণ। যারা মানুষ নন তারা লোক। সেবা মানুষের এক পুণ্য ব্রত। সেবার মধ্যে দিয়েই মানুষ ফিরে পায় তার মনুষ্যত্বকে। খুঁজে পায় আত্ম বিকাশের পথ। মানুষের চিরকালের সাধনা হলো বৃহত্তের সাধনা। সেবা হল সেই বৃহৎ জীবনেরই আহ্বান।
সব ধর্মের মূল বিষয় মানুষের কল্যাণ। সব ধর্মের মধ্যেই বারবার ধ্বনিত হয়েছে মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব। মানুষের সেবায় ঈশ্বরের সেবা, নরই নারায়ন। দিন-দুঃখী, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, মানুষের মধ্যেই বাজে দেবতার চরণধ্বনি। তবু ভন্ড, স্বার্থপর মানুষের সংখ্যা বর্তমানে বেশি। তারা আচার অনুষ্ঠানকে বড় করে তোলে, আর ঈশ্বরের মহিমাকে বন্দী করে রাখে মন্দিরে। সেবা একটা সৎ বৃত্তি। সেবায় সবারই অধিকার। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। নিপীড়িত, দুঃখী, বিপন্ন মানুষকে সেবা করা একমাত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। আমাদের দেশের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বলতে রামকৃষ্ণ মিশন, রেড ক্রস, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটি প্রবৃত্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখ্য উদ্দেশ্য জনগণের সেবা। এটা এমনিই এক কর্ম, যেখানে রাজনৈতিক দলের মানুষকে হতে হবে ত্যাগী ও সচেতন। যেটা এখন কোন দলের আছে বলে তো মনে হয় না। সবার উদ্দেশ্য, যেমন করে হোক ক্ষমতা দখল। এই ক্ষমতা দখলের জন্য যা করতে হয় করব। তাতে মানুষ ধ্বংস হয় হোক। ক্ষমতা দখলের জন্য নৃশংস অত্যাচারের আবহাওয়া তৈরি হোক। আর নারীদের সম্মান ধুলোয় লুটিয়ে পড়ুক, তবে ক্ষমতা হাতে থাকে, এটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। কোন কিছুতেই মাথা নোয়াবনা।
তাহলে মানুষের সেবা দাঁড়ালো কোথায়! সেবা-ই এখন অভিধানে কোন এক পাতায় ছোট্ট খুদে অক্ষরে প্রকাশ মাত্র। দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে সব ভালো জিনিসগুলো অদৃশ্য ভাবে উবে যাচ্ছে। সাধারণ অ-জ্ঞান মানুষ কিছু টের পাচ্ছে না। ফায়দা লুটে যাচ্ছে রাজনৈতিক দল। এর শেষ কোথায়?
ফের ব্যাহত হতে চলেছে রেল পরিষেবা (Rail Service), এবার এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য। ব্যান্ডেল-শক্তিগড় শাখায় রোড ওভারব্রিজের কাজের জন্য ২০ জুলাই থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়ার ব্লক নেবে রেল কর্তৃপক্ষ।
এই সময় ধরে কিছু বর্ধমান, ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল থাকবে। বাতিল থাকবে হাওড়া-আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস। মোকামা এক্সপ্রেস কর্ড লাইনে চলবে। গৌড় এক্সপ্রেস নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া হয়ে চলবে। বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভন্ন স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হবে কাজের জন্য।
যাত্রীদের অভিযোগ, হঠাৎ ট্রেন বাতিল, শেষ মুহূর্তে অন্য লাইন দিয়ে ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়ায় চরম হয়রান হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। ট্রেনগুলি এতটাই বিলম্বে চলছে যে গভীর রাতে হাওড়া আসছে অনেক ট্রেন। মাঝপথে ফাঁকা মাঠেই নিরপত্তাহীনতার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রীদের দাবি প্রকৃত বিষয়টি জানিয়ে আগে থেকে সচেতন করা হোক যাত্রীদের।
এক নতুন ও অদ্বিতীয় প্রকল্পের সূচনা করেছে কর্নাটক (Karnataka) সরকার। শুরু হল মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা (Free Bus Services) দেওয়ার প্রকল্প ‘শক্তি’র। রবিবার কর্নাটকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেল বিনামূল্যের বাস পরিষেবা। বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ-র সামনে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারও। এমনকি এদিন বাসে উঠে মহিলা যাত্রীদের মধ্যে গোলাপি টিকিট বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকে নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের তরফ থেকে ৫ টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। তার মধ্যে একটি অর্থাৎ এই বিনামূল্যে মহিলাদের বাস পরিষেবার প্রতিশ্রুতিটি পূরণ করা হল। এই সফলতাকে কেন্দ্র করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আমি আশা করব, আগের তুলনায় মহিলারা আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি বাসে চড়বেন।”
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বেহালাবাসীদের জন্য ছুটলো জোকা-তারাতলা (Joka to Taratala Metro) রুটের প্রথম মেট্রো। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা ছিল। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। সকাল ১০টায় এই রুটের প্রথম মেট্রো সাধারণ যাত্রী নিয়ে ছোটে তারাতলার উদ্দেশে। জানা গিয়েছে, এই রুটের শেষ মেট্রো (Metro service) আজকের জন্য বিকেল সাড়ে ৫টায়।
এখন একটা লাইন ধরে একটি রেক চলছে। সেটাই আবার তারাতলা থেকে যাত্রী নিয়ে জোকা আসবে। সেই কারণে আধ ঘন্টার অন্তর মেট্রো চলবে। শনিবার এবং রবিবার এই রুটে কোনও মেট্রো চলবে না। বাকি ৫ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে পরিষেবা। এই রুটে মেট্রোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৫টাকা আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০টা। সাড়ে ৬ কিমি দীর্ঘ এই রুটে ছটি স্টেশন। জোকা এবং তারাতলার মাঝে রয়েছে ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার।
হাবড়া রেল কলোনির (Habra Fire) আগুনে বিপর্যস্ত শিয়ালদহ-বনগাঁ (Sealdah-Bongaon Section) শাখার রেল পরিষেবা। বুধবার বিকেলে লাগা এই আগুনে প্রায় ২০টির বেশি ঝুপড়ি ভস্মীভূত (Rail Slum) হয়ে গিয়েছে। দমকলের ছ'টি ইঞ্জিন আগুন (Fire Brigade) নেভানোর কাজ করছে। আগুন লাগার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আপ এবং ডাউন লাইনের একাধিক ট্রেন। এদিকে, আগুন লাগার খবর চাউর হতেই আশেপাশের ঘরগুলির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে কোনওমতে শীতের বিকেলে প্রাণ বাঁচাতে রেল লাইনে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয়রা জানান, পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দও কানে এসেছে। এতে আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে গিয়েছে।
এমনকি, রেল বস্তি এলাকার গলি সংকীর্ণ হওয়ায় দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। দমকল আসার আগেই নলকূপ থেকে স্থানীয়রা বালতি ভরে ভরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। যদিও ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে দমকলের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁরা সরকারি সহযোগিতার দাবি জানান। জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের তৎপরতায় ঝুপড়িবাসীদের নিরাপদে সরানো গিয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, তা নিয়ে ধন্ধে দমকল থেকে প্রশাসন। যদিও দমকলের ছয়টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সন্ধ্যার কিছু পর আগুন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়নি রেল পরিষেবা। (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা অবধি পাওয়া খবর)
চলতি মাসের ৮ তারিখ জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের (Joka-Tartala Metro) নিরাপত্তা পরিদর্শন করেন সিআরএস বা কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS)। সেই পরিদর্শনের ১০ দিনের মাথায় এই রুটে মেট্রো চলাচলে ছাড়পত্র মিলেছে। এবার কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) স্থির করবে কবে থেকে জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো চলবে। আগামি তিন মাসের মধ্যে মেট্রো চালাতে হবে এই রুটে।
ফলে চলতি বছরের শেষেই সুখবরের অপেক্ষায় জোকা, ঠাকুরপুকুর, বেহালা, তারাতলার বাসিন্দাদের। এতদিন জোকা, ঠাকুরপুকুর থেকে কলকাতা আসতে, বাস কিংবা মাঝেরহাট থেকে ট্রেন ছিল একমাত্র ভরসা। অনেকে আবার তারাতলা অবধি এসে অটোতে রাসবিহারী পৌঁছে মেট্রো ধরতেন। কেউ কেউ আবার বেহালা, হরিদেবপুর হয়ে টালিগঞ্জে গিয়ে মেট্রো ধরতেন। এবার এই রুটে মেট্রো চালু হলে জোকা-কলকাতার দুরত্ব এবং যাত্রার ধকল অনেকটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এবার ১০২ এর বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজের আওতাধীন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল (hospital)। অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রসূতি মায়েদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০২ এর অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) পরিষেবার জন্য। রবিবারও সেই ছবি দেখা গেল হাসপাতাল চত্বরে। সদ্যজাত সন্তান কোলে অসহায় অবস্থায় অপেক্ষা করতে দেখা গেল একাধিক প্রসূতি মাকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে।
রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ, রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের মাদার এণ্ড চাইল্ড হাব (মাতৃমা) থেকে বেলা ১২ টার পর থেকে বেশ কয়েকজন প্রসূতি মায়েদের ছুটি হয়। যাদের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরে বা শহর সংলগ্ন এলাকায়, এই সমস্ত রোগীদের সময় মত পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের বাড়ি রাজগঞ্জ, বানারহাট, ধূপগুড়ি এবং অন্যত্র তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে হাসপাতাল চত্বরেই। যার জেরে বেলা বাড়তেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ঘটনায় রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদ্যজাত সন্তান কোলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কয়েকজন প্রসূতি মা ও পরিবারের লোকজনকে। তাঁরা বারবার রোগী সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দূরে যেতে হবে বলেই ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে চান না। পাশাপাশি, অনেক সময় এই সমস্ত রোগীদের পরিজনদের থেকে টাকাও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ১০২ অ্যাম্বুলেন্স এর এক চালক বাসুদেব বর্মণ। তাঁর কথায়, এই হাসপাতালে ১০২ এর মোট ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স আছে। রোটেশন ভিত্তিতে তা যাওয়া-আসা করে। একজনকে পৌঁছে দিয়ে এসে অন্যজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেই তার জন্যই অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের।
জানা গিয়েছে, এই হয়রানির জেরে কেউ পকেটের টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছেন। কেউ আবার কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যেও বাড়ি পৌঁছেছেন। কিন্তু জেলা হাসপাতালের এমন দুর্দশায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন একাধিক রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। কবে মিলবে সুরাহা জানা নেই কারও।
অতিমারী (Corona India) গত দু'বছর ম্লান করেছিল পুজোর (Durga Puja) জাঁকজমক এবং আনন্দ। অনেক রাত পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ থাকলেও, সেভাবে পাওয়া যায়নি পরিবহণ (Transport)। কিন্তু এ বছর বাধ ভেঙে দেওয়া আনন্দ। নেই সেই নিষেধাজ্ঞা। ফলে কোথাও দ্বিতীয়া, কোথাও আবার প্রতিপদ থেকেই রাস্তায় মানুষ। আগেভাগে এই ভিড় আন্দাজ করে প্রস্তুত প্রশাসনও (Police)। পুজো যত এগোবে, তত রাজপথে বাড়বে মানুষের ঢল। তাই পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, পুজোর সময় সরকারি বাসের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে বেসরকারি বাস। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন নিজে উদ্যোগ নিয়েছে পুজোর রাতগুলোতে পরিবহণ স্বাভাবিক রাখার। ভোররাত পর্যন্ত পাতাল রেল এবং শহরের পথে পর্যাপ্ত বাস থাকলেও প্যান্ডেল হপিং শেষে বাড়ি ফেরা দুষ্কর হবে না আম জনতার।
জানা গিয়েছে, শহর ও শহরতলি মিলিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এগারশো বাস রাস্তায় নামবে।। শুধু দিনে নয়, রাতেও কলকাতার রাস্তায় চলবে সরকারি বাস। এদিকে, পুজোর মানুষের ভিড় সামাল দিতে এবং যানজট এড়াতে এবারও অটোর গতিরুদ্ধ করছে প্রশাসন। কলকাতা পুলিস নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সকালের দিকে অটো চললেও, কোথাও দুপুর আবার কোথাও বিকেলের পর মিলবে না এই তিন চাকা। যে সব জায়গায় যানজটের সম্ভাবনা বেশি, সে সব রুটে বিকেল ৩টের পর থেকেই বন্ধ অটো।
তবে মফস্বল এবং শহরতলির সব রুটে পুজোর দিনগুলিতে অটো চলবে। কলকাতা পুলিস নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় কোথাও বিকেল ৫টার পর মিলবে না অটো। ষষ্ঠী থেকে নবমী এই নিয়ম চালু। রাসবিহারী, চেতলা, উল্টোডাঙা, উত্তর- দক্ষিণ কলকাতার একাধিক রুটে স্তব্ধ তিন চাকা। দর্শনার্থীদের পথ নিরাপত্তা, সুষ্ঠু যান নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মহাষষ্ঠীর সকালেই নন্দীগ্রাম (Nandigram)-হলদিয়া (Haldia) ফেরির ভাড়াবৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেরি বন্ধ করে আন্দোলন শুরু যাত্রী কমিটির। পরিষেবা (service) বন্ধ হওয়ায় সকাল থেকেই উত্তেজনা এলাকায়। বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ফেরি পরিষেবায়। যাত্রী পিছু ২ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বেড়েছে মোটর সাইকেল-সহ নানা যান-পরিবহণের ভাড়াও। তার প্রতিবাদেই ফেরিঘাটের গেট বন্ধ করে আন্দোলন চলে। ষষ্ঠীর সকাল ৭টা থেকেই চলছে আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যান পীযুষ ভূঙ্যাও। সঙ্গেই ছিলেন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় দুইপাড়ের বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, হলদি নদীর উপর এই ফেরি পরিষেবার দায়িত্বে রয়েছে হলদিয়া পুরসভা (Haldia Municipality)। তারা একটি সংস্থাকে সেটি ইজারা দিয়েছে। ফেরিঘাটের ইজারাপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরসভার অনুমতি নিয়েই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কেন বিক্ষোভ?
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দেড় মাস আগে ভাড়া বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তখন পুরসভা বিষয়টি থেকে পিছু হঠে। বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, সে সময় বলা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই ভাড়া ঠিক করা হবে। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ। কথাবার্তা কিছু না বলে আজ সকাল থেকেই বর্ধিত ভাড়া নেওয়া শুরু হয়। ভাড়ার তালিকাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে নন্দীগ্রামের কেন্দামারী ফেরিঘাট থেকে আন্দোলন শুরু হয়।
শাসকদলের একাধিক নেতারও বক্তব্য, আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। এই মুহূর্তে প্রশাসনিক স্তরে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। বেলা বাড়তেই পুলিস (police) এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে। পরবর্তীকালে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটার দিকেই অপেক্ষা করে অনেকে। তবে পুলিসের হস্তক্ষেপে এই বিক্ষোভ উঠে যায়। চালু হয় ফেরি চলাচল।