লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। ভোটের আগেই শহর কলকাতায় উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে ৫৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ২দিন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ টাকা। কী কারণে এত টাকা সে তার অফিসে রেখেছিল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি এই ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী ছাতু প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক। সে কেন এত টাকা মজুদ রেখেছিল তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ী। গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে আয়কর দফতর।
আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আগেই ছিল। সেই বিষয়ে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে অফিসের ২ জায়গা থেকে ৫৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ফের টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি(ED)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা-সহ সোনা এবং হিরের গয়নাও। যার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে এই টাকা ও গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, নাগপুরে সিতাবুলদি থানায় একটি এফআইআর-এর(FIR) ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছরের ২২শে জুলাই কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। কিন্তু এবার মুম্বাই থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
অভিযানে গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা এবং হিরের গয়নাও। তার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই পরিমাণ নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি তদন্তকারীরা জানায়, পঙ্কজ এবং তাঁর সহযোগীরা মিলে একটি ‘পন্জি স্কিম’ চালাতেন। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের তাঁরা ঠকাতেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, গত ৩ মার্চ মুম্বই এবং নাগপুরের ১৫টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পঙ্কজ মেহাদিয়া, লোকেশ জৈন, কার্তিক জৈন নামে ৩ ব্যক্তির বাড়ি এবং অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনায় ওই ৩ ব্যক্তিই অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। নগদ টাকা এবং গয়নার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি।
এবার হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে উদ্ধার ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার জিনিস। যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আরপিএফ (RPF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরপিএফের একটি দল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে তখনই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তল্লাশি চললে, তাঁর ব্যাগ খুলতেই বেড়িয়ে আসে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস। এরপরই ওই ব্যক্তিকে তাঁর যাবতীয় জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে সে কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই এই বিষয়ে কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বুধবার আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে এবং উদ্ধার হওয়া যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।