করিনা কাপুর এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে ভরা সংসার সইফ আলী খানের। সেই সংসারে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় সারা এবং ইব্রাহিমকে। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে চার ছেলেমেয়ের সঙ্গে সময় কাটান সইফ। প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের (Amrita Singh) বিয়ের পর সারা (Sara Ali Khan) এবং ইব্রাহিমের জন্ম। যদিও পরবর্তীকালে অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সইফের (Saif Ali Khan)। কিন্তু ছেলে মেয়েকে বাবার অভাব তিনি বুঝতে দেননি কখনও।

তবে সকলে অবাক হন অন্য একটি বিষয় নিয়ে। সারা এবং ইব্রাহিম একেবারে যেন কম বয়সের অমৃতা ও সইফ। কার্বন কপি বললেও একেবারে ভুল হবে না। এইবার সারা নিজেও তা মেনে নিলেন। ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে ফটোশ্যুট করেছেন অভিনেত্রী। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার সময় বোধহয় সারার মা-বাবার সঙ্গে চেহারার মিলের কথা মনে পড়ে। এরপর অভিনেত্রী ছবির সঙ্গে যে ক্যাপশন দেন তা বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ।

সারা ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এক ছিল রাজা, এক ছিল রানী, দুজনের একইরকম দেখতে সন্তান। ব্যাস কাহানি শেষ।' প্রসঙ্গত ২০০১ সালে ইব্রাহিমের জন্ম। এবং ২০০৪ সালে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন অমৃতা ও সইফ।  যদিও মা-বাবার বিচ্ছেদ মন থেকে মেনে নিয়েছেন সারা। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'মা-বাবাকে প্রত্যেকদিন ঝগড়া করতে দেখার থেকে, তারা আলাদা হয়ে শান্তিতে আছেন, দেখা ভালো।'

নবাব পরিবারের বংশধর সইফ আলী খান (Saif Ali Khan)। তাঁকে বিয়ে করেন করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)। নবাবী এবং আভিজাত্য যেই বাড়িতে মিলেমিশে একাকার হয়, সেখানে কি সবার জন্য নিয়ম এক হয়! তারকাদের পরিবারে সাহায্য করার লোকের অভাব নেই। তাঁদের যে কুটোটি নেড়ে এক করতে হয় না, তা কে না জানে! খান পরিবারেও এমন সাহায্য করার মানুষেরা রয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে, সইফ ও করিনা পুত্রদের 'ন্যানি' (Nanny) অর্থাৎ আয়াকে।

তারকা পুত্র তৈমুর এবং ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরকে যতবার প্রকাশ্যে দেখা যায়, তাদের সঙ্গে আয়াদেরও দেখা যায়। মূলত করিনা পুত্ররা সারাদিন এই আয়াদের তত্ত্বাবধানেই থাকে। কিন্তু তাঁরা বাড়িতে সাহায্য করেন, তাই প্রথম থেকেই তৈমুর বা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে এক টেবিলে খেতেন তা তাঁরা। কিন্তু একটু জ্ঞান হলেই, সইফ করিনার বড় পুত্র তৈমুর একটি প্রশ্ন করে বসে। সে জিজ্ঞেস করে, কেন ন্যানিরা আলাদা খেতে বসেন? এই একটি প্রশ্নেই খান বাড়ির নিয়ম বদলে যায়।

সইফ ও করিনা নিয়ম করেন, ছেলেদের সঙ্গে এক টেবিলেই খাবেন ন্যানিরা।  তাঁদের মতে, তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে সন্তান স্নেহে লালন পালন করেন তাঁরা। সইফ ও করিনার অবর্তমানেও তাঁরাই বাচ্চাদের যত্ন নেন, ফলে তাঁদেরও একই সম্মান প্রাপ্য। ফলে ভিন্ন চোখে নয়, একেবারে নিজের মানুষের মতোই ব্যবহার করা হয় ন্যানিদের সঙ্গে।

২০১৬ সালে করিনা কাপুর (Kareena Kapoor) ও সইফ আলী খানের (Saif Ali Khan) কোলে এসেছিল তাঁদের প্রথম সন্তান 'তৈমুর' (Taimur)। তাকে নিয়ে আগ্রহের শেষ ছিল না নেটিজেনদের। তৈমুরের আদুরে মুখ দেখতে মুখিয়ে থাকতেন নেটিজেনরা। জন্মে থেকেই যেন হিরো হয়ে উঠেছিল ছোট্ট তৈমুর। তবে তার নাম নিয়ে জনসমাজে আপত্তি উঠেছিল। অনেকের মতে, রাজা তৈমুর ইতিহাসের পাতার একজন অত্যাচারী শাসক ছিলেন। তার নামেই কেন ছেলের নাম রাখলেন করিনা-সইফ। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

ছেলের নামের প্রসঙ্গে অতীতের কথা ভেবে করিনা বলেছেন, ' আমার মনে হয় না, কোনও মা এবং সন্তানের সেই পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিৎ। কেন সমালোচনা হয়েছিল আমি জানি না। কোনও কারণে কারও আঘাত দেওয়া উচিৎ নয়। আমার মনে হয় আমাদের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। যা খুশি করার স্বাধীনতা রয়েছে। অন্তত আমি এবং সইফ দৃঢ়ভাবে এতে বিশ্বাস করি।'

ছেলের নাম 'তৈমুর' রাখার ভাবনা কোথা থেকে এলো? এই প্রসঙ্গে করিনা বলেছেন, ' সইফ এক প্রতিবেশী বন্ধুর সঙ্গে বড় হয়েছিলেন। তাঁর নাম ছিল তৈমুর। সইফই একদিন বলেন, ছেলে হলে তার নাম রাখতে চান তৈমুর। এইভাবেই তৈমুর নামটি আসে।'

এই প্রথম একসঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এবং সারা আলি খান (Sara Ali Khan)। আপাতত খবর এতটুকুই, যে খুব সম্প্রতি তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে কোনও কাজে। ইতিমধ্যেই নাকি সেই শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও সইফের বহু ভক্ত, অন্যদিকে চুলবুলে সারার জন্যও ভক্তদের জান কবুল। বাবা মেয়ের জনপ্রিয়তার রসায়ন এবার দেখা যাবে পর্দায়। তবে তাঁদের কোন কাজে একসঙ্গে দেখা যাবে, সেই গল্প বালিশের নিচেই চাপা রয়েছে।

শোনা গিয়েছে, ফিল্ম সিটিতে নাকি শ্যুটিং সেরেছেন দুই তারকা। সেখানে নাকি উপস্থিত হয়েছিলেন ইব্রাহিম আলি খানও। সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা এবং সইফ শ্যুটিংয়ের ফ্লোরে নাকি আলাদা এনার্জি নিয়ে আসতেন। এই এনার্জিই নাকি পুরো শ্যুটিং ফ্লোরের জন্য চালিকা শক্তি হয়ে থাকত। দর্শকেরা এই খবর পেতেই অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু করেছেন।

সইফের প্রথম বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে। সেই বিয়েরই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও দুই সন্তানকে দূরে সরিয়ে রাখেননি সইফ। বরং তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই রেখেছেন সইফ।

আদিপুরুষ (Adipurush) সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকেরা সিনেমাটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন। সিনেমাটি হলে আসার আগেই কয়েক লক্ষ টাকার অগ্রিম বুকিং করেছিলেন দর্শকেরা। ১৬ জুন, শুক্রবার সারা ভারতের সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে আদিপুরুষ। এরপরেই দর্শকেরা নেট দুনিয়ায় তাঁদের ভালো লাগার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। বর্তমানে টুইটারে ট্রেন্ডিং টপিক 'সইফ আলি খান' (Saif Ali Khan)। প্রসঙ্গত অভিনেতা 'আদিপুরুষ' সিনেমায় রাবনের (Ravan) চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা সিনেমাহলে রেকর্ড করা নানা ভিডিও শেয়ার করছেন। এক দর্শক নেট দুনিয়ায় লিখেছেন, 'ধন্যবাদ সইফ আলি খান এমন রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য।' আরেক নেটিজেন লিখেছেন, সইফ আলি খান সেরা অভিনয় করেছেন। আমার মন জিতে নিয়েছেন।' অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, রাবনের চরিত্রাভিনেতা সইফ আলি খানকে হ্যাটস অফ।'

তানহাজি সিনেমায় খল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করার পর, আদিপুরুষ সিনেমাতে রাবনের চরিত্রেও যে সইফ দর্শকের মন জয় করেছেন, তা হলফ করে বলা যায়। তবে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও পেয়েছেন অভিনেতা। সামাজিক মাধ্যমে রাবনের একটি দৃশ্যের ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাবনের দশটি মাথা পাশাপাশি না থেকে পাঁচটি মাথার উপরে আরও পাঁচটি মাথা। সেই ছবি দিয়ে তৈরি মিম ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

'আদিপুরুষ' সিনেমা মুক্তির নির্ধারিত দিন চলতি বছরের ১৬ জুন। কিন্তু সিনেমা মুক্তির আগেই বিপাকে 'রাবন' অর্থাৎ সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। পুরোনো মামলায় আবারও তাঁকে দাঁড়াতে হবে আদালতের (Court) কাঠগড়ায়। তাও আবার ছবি মুক্তির ঠিক আগের দিন। সইফের বিরুদ্ধে দেশের অভিজাত হোটেলে, এক ব্যবসায়ী এবং তাঁর শ্বশুরকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। যদিও মামলাটি ২০১২ সালের, তবে সম্প্ৰতি আবারও সেই মামলার পাতা খুলেছে।

২৪ এপ্রিল এসপ্ল্যানেড আদালতে সইফের বিরুদ্ধে করা মামলাটি শুনেছেন বিচারক। ১৫ এপ্রিল শুরু হবে মামলার ট্রায়াল। ২০১২ সালে ইকবাল মির শর্মা নাম এক ব্যবসায়ীকে তাজ হোটেলের ভিতরে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সইফের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তিকে নাকে ঘুষি মারার এবং ধাক্কা মারার অভিযোগ করা হয়। এমনকি ব্যবসায়ীর শ্বশুরকে নিগৃহ করার অভিযোগ ওঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় সইফের সঙ্গে তাঁর আরও দুই বন্ধুর নাম জড়িয়েছিল। ২০১২ সালে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ, সইফ এবং আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন। যদিও পরবর্তীতে তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।

অপরদিকে সইফের বক্তব্য, ঘটনার দিন তাঁর স্ত্রী করিনা কাপুর, করিশ্মা কাপুর, মালাইকা অরোরা খান, অমৃতা অরোরা এবং আরও দুই পুরুষ বন্ধু সঙ্গে ছিলেন। অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি নাকি মহিলাদের দেখা কুমন্তব্য-গালিগালাজ করেন।

সইফের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারা, (স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত প্রদান) এবং ৩৪ (কমন ইনটেনশন) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে ১৫ জুন।

একাধিক বিতর্ক-সমালোচনার পর অবশেষে মুক্তি পেল 'আদিপুরুষ'-এর (Adipurush) ট্রেলার (Trailer)। রামায়ণের (Ramayana) প্রেক্ষাপটে তৈরি করা ছবি আদিপুরুষ। ওম রাউত পরিচালিত এই ছবির টিজার সামনে আসতেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। ফলে এই ছবি মুক্তির দিনও পিছিয়ে যায়। অবশেষে ছবি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করার পরেই এবারে ট্রেলারও মুক্তি পেল। ছবির ভিএফএক্স নিয়ে একাধিক সমালোচনা হলেও এবারে হয়তো এই ছবির ট্রেলার দেখে পছন্দ করবেন দর্শকরা। কারণ সইফের যে লুক নিয়ে বিতর্ক ছিল তুঙ্গে, এবার সেই লুকেই আনা হয়েছে বিশেষ চমক। টিজারের থেকে ট্রেলারে অনেক তফাৎ রয়েছে, এবারে তাই এই ট্রেলার নজর কেড়েছে দর্শকদের।

'আদিপুরুষ' ছবিতে রামের চরিত্রে প্রভাসকে, সীতার চরিত্রে কৃতি শ্যাননকে ও লক্ষণের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সানি সিং-কে। আর রাবণের চরিত্রে বিশেষ চমক, রাবণের চরিত্রে সইফ আলি খানকে দেখা যাবে। তবে রাবণের চরিত্রে সইফের লুকে তো পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু ট্রেলারে রাবণ কোথায়! নামমাত্র দর্শন লঙ্কেশের। তাঁর ঝলক সামনে এল মাত্র দু-বার। প্রথমে যখন সাধু বেশে সীতাকে অপহরণ করতে যান রাবণ এবং একদম শেষে শিবের উপাসনায় মত্ত লঙ্কেশের দর্শন মেলে। যা চিন্তার কারণ হতে পারে সইফ ভক্তদের জন্য। তবে কী তাঁর স্ক্রিনিংটাইমও ছাঁটা হল? এই নিয়ে সইফ অনুরাগীদের মনে জাগছে প্রশ্ন। তবে ভিএফএক্সে অনেকটাই বদল আনা হয়েছে।

ট্রেলারের শুরুতেই দেখা মিলল রাম ভক্ত হনুমানের, এরপর একে একে রাম-সীতা-লক্ষণ প্রত্যেককেই দেখা গেল। জানকি বা সীতার লুক মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের। টিজারে রাবণকে দেখে রব উঠেছিল, 'আলাউদ্দিন খিলজি লাগছে সইফকে'। কিন্তু এবারে তাঁকে কম সময়ের জন্য দেখা গেলেও তাঁর লুকও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে প্রত্যেকের। চলতি বছরের ১৬ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। ফলে এখন এটাই দেখার যে, এই ছবি কতটা দাগ কাটতে পারে দর্শকের মনে।

জুনিয়র এনটিআর-এর ৩০তম ছবি 'এনটিআর থার্টি'-তে (NTR 30) অফার পেয়েছেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan), এই খবর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে গুঞ্জন ছিল দক্ষিণী ছবিতে কাজ করবেন না সইফ। এই গুজব সংবাদ শিরোনামেও জায়গা করে নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল। এবার খবর, জুনিয়র এনটিআর-এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন অভিনেতা। ইতিমধ্যেই নাকি চুক্তি সই করে ফেলেছেন তিনি।

'আরআরআর' সিনেমা থেকে সর্বভারতীয় অভিনেতা হয়ে উঠেছেন জুনিয়র এনটিআর। তাঁর কেরিয়ারের ৩০তম ছবিকে সর্বভারতীয় করে তুলতে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও রাখতে চাইছেন স্টার কাস্টে। অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরকে দেখা যাবে সিনেমায়। খবর রয়েছে, সইফ আলি খান সিনেমায় খলনায়কের চরিত্র করবেন। ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে জুনিয়র এনটিআর-কে। তাঁর সঙ্গে নাকি পাল্লা দিয়ে অভিনয় করবেন খলনায়ক সইফ। এর আগে তানহাজি ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সইফ। 'আদিপুরুষ' ছবিতেও রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। এবার এনটিআর থার্টিতে তাঁকে দেখতে মুখিয়ে আছে দর্শক।

জানা গিয়েছে ব্লকবাস্টার ছবি হতে চলেছে 'এনটিআর থার্টি'। বিরাট বাজেটের সিনেমা হতে চলেছে এটি। সারা ভারতে একাধিক ভাষায় মুক্তি পাবে ছবিটি। পরিচালনা করবেন কোর্টালা শিবা। ইতিমধ্যে সিনেমার শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি শ্যুটিংয়ে যোগদান করতে চলেছেন সইফ আলি খান।

নিজের ছেলে নয় ইব্রাহিম, তবুও সইফ-পুত্রকে (Ibrahim Khan) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে একদম ভুললেন না বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)। সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংয়ের পুত্র ইব্রাহিম খান। অমৃতা এবং সইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই মায়ের কাছেই মানুষ সারা-ইব্রাহিম। অনেক ছোটো বয়স থেকেই বাবা সইফের থেকে আলাদা থাকেন ইব্রাহিম। অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সইফ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন করিনা কাপুরকে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, ‘সৎমা’ করিনার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সারা আর ইব্রাহিমের? কিন্তু করিনা অনেকটাই তাঁদের বন্ধুর মতো, তা বোঝা যায় তাঁদের কথায়। তাই ইব্রাহিমের জন্মদিনে বিশেষ বার্তা এল 'মা' করিনার থেকে। ছোট ভাই তৈমুর আলি খান, জাহাঙ্গির আলি খান আর বাবা সইফের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইব্রাহিম। ৫ মার্চ সইফ আলি খানের বড় ছেলে ইব্রাহিমের জন্মদিন।

বিদ্যা বালন বলিউডের (Bolywood) এখন প্রতিষ্ঠিত মুখ। ২০০৫ সালে ‘পরিণীতা’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক বিদ্যার (Vidya Balan)। সেই সময় সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) ছিলেন 'পরিণীতা' (Parineeta) ছবিতে ললিতার শেখর। একটি ছবির পরই দু’জনের রসায়ন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। তবে বিদ্যা তত দিনে অন্য চরিত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ততদিনে দা ডার্টি পিকচার ছবির জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিদ্যা বালন। সেই ছবি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল যথেষ্ট।

পরিণীতা প্রসঙ্গে করিনা জানান, সে ছবি একবারও দেখেননি সইফ। যতবার তাঁকে একসঙ্গে বসে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ দেখতে বলেছেন করিনা, কিছুতেই রাজি হননি সইফ। এতে করিনার দাবি, সইফ বোধ হয় ভয় পাচ্ছিলেন। পাছে তিনিও ও রকম একটা ছবি করতে চান!

‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এ রেশমার চরিত্রে আদতে সিল্ক স্মিতার জীবনী ফুটিয়ে তুলেছিল বিদ্যা। তেমন এক বলিষ্ঠ চরিত্রে করিনাও কি কাজ করতে আগ্রহী? তাঁকে জিজ্ঞাসা করাতে বলেন, 'বিদ্যা ২০১১ সালের হিরো। আমি সেই রকম ঝুঁকি নিতে পারব কিনা জানি না। হ্যাঁ, সেই ছবিতে সলমন খান বা শাহরুখ খানের মতো কেউ থাকলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। তা হলে হয়তো পুরোপুরি ছবি ফ্লপ হবে না।'

বলিউডের (Bollywood) অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। তাঁর চলন, বলন, তাঁর চুলের স্টাইল, চোখের মেক-আপে ফিদা ছিল গোটা দেশ। সে সময়ে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা আজকের দিনের তাবড় তাবড় অভিনেত্রীর থেকে নেহাতই কম ছিল না। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ (Indian Idol) ১৩তম সিজ়নের একটি পর্বে অতিথি আসনে দেখা যায় শর্মিলা ঠাকুরকে। আর তাঁর জন্য আয়োজন করা হয়েছিল সারপ্রাইজের।

ইন্ডিয়ান আইডলে এসেছেন বলে শর্মিলাকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন তাঁর তিন ছেলেমেয়ে। সইফ আলি খান, সোহা আলি খান এবং সাবা আলি খান মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সইফ বলেন, 'শর্মিলা যেভাবে নিজের অভিনয়ের কেরিয়ার সামলেছেন। ঠিক তেমনই দক্ষ গৃহিণীর মতো নিজের হাতেই পরিবারকে সামলেছেন। তিনি ভাই-বোনকে বড় করেছেন। সিনেমা জগতে শর্মিলার অবদান অনস্বীকার্য।'

কেবল তিন ছেলে মেয়েই নয়, শাশুড়িকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়েছেন পুত্রবধূ করিনাও। বলিউডের বেবো বলেন, 'শর্মিলা পরিবারকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছেন। পরিবারের ভিত তিনি।' করিনা আর শর্মিলার সম্পর্কের ইকুয়েশন যে খুব মজবুত তা আগেও বোঝা গিয়েছে। বহু জায়গায় করিনার প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে শর্মিলাকে।

যেন চোখের নিমেষেই কেটে গিয়েছে ১০ বছর। ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর পটৌডি প্যালেসে বেজেছিল বলিউডের (Bollywood) অন্যতম পাওয়ার কাপল করিনা-সইফের (Saif Ali Khan) বিয়ের সানাই। পুরো বলিপাড়া মেতে উঠেছিল তাঁদের বিয়ের আনন্দে। যেন উৎসব লেগেছিল।

সইফিনার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ভক্তদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গিয়েছে নেটপাড়া। কেবল ভক্তমহল নয়, বলি দুনিয়ার অনেকেই বেবো (Kareena Kapoor Khan) এবং সইফকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানান। সেই তালিকায় অবশ্যই রয়েছেন বেবোর ননদরাও অর্থাৎ সইফ আলি খানের বোন সোহা আলি খান ও সাবা আলি খান। পুরনো এলবাম ঘেঁটে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন দাদা-বৌদির ছবি।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নববিবাহিত দম্পতিকে ঘিরে রয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর, সোহা এবং সাবা। বিয়ের দিনের এই ছবিতে রয়েছেনা ছোট্ট সারা ও ইব্রাহিমও।

সাবাও বিয়ের দিনের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানান। ওই ছবিতে সইফ ও করিনাকে দেখা যায়, একে ওপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। দুজনের রূপ দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন অনুরাগীরা। সইফ বর্তমানে চার সন্তানের বাবা। আর করিনা দুই ছেলের মা। তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার অটুট বন্ধন এখনও সকলের নজর কাড়ে।

মা হওয়ার পর নাকি গ্ল‍্যামার কমে যায়, ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্ব কমে যায়। বলিউডে (Bollywood) এমন কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের মুখের উপর জবাব দিয়েছেন করিনা কাপুর খান (kareena kapoor khan)। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন প্রথমবার মাতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। গত বছর দ্বিতীয় সন্তানও এসেছে তাঁর কোলজুড়ে। সম্প্রতি শ্যুটিংয়ের জন্য লন্ডন (London) যেতে হচ্ছে তাঁকে। ফলে ছেলেদের নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন বেবো।

কী সেই সিদ্ধান্ত? বড় ছেলে তৈমুরকে রেখে যাচ্ছেন সইফ আলি খানের কাছে। আর ছোট ছেলে জেহ-কে তাঁর সঙ্গেই বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। বেবো জানান, তৈমুরকে রেখে যেতে কষ্ট হলেও তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য। তাঁর কাছে আর উপায় নেই।

করিনা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা স্বামী স্ত্রী দু'জন এভাবেই সামলে নেন সন্তানদের। তাঁকে যখন শ্যুটিং-এর জন্য দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকতে হয়, তখন সইফ যেখানেই থাকেন চলে আসেন। ছেলেদের উপর নজর রাখেন। তাদের সময় দেন। বাবা-মা হিসেবে দায়িত্ব পালনে যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, তা সবসময় তাঁরা খেয়াল রাখেন। কিন্তু মায়ের কাছে ছেলেকে রেখে কাজে যাওয়া অনেকটা কঠিন বিষয় বলে জানান করিনা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম সন্তান আসে করিনার কোলে। এরপর থেকেই একেবারে লাইমলাইটে রয়েছে তৈমুর। কখনও নাম নিয়ে তো কখনও আবার তৈমুরের নানা স্বভাবের জন্য। ২০২২ সালে পাঁচ বছরে পা রাখে এই খুদে। বর্তমানে একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত করিনা।