সঞ্চালিকা এবং অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) ভরা জীবন। স্বামী পুত্র নিয়ে সংসার যাপন ভালোই চলছে তাঁর। অন্যদিকে ব্যবসাতেও পসার করেছেন। একদিকে বুটিক খুলেছেন নিজের, অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতায় চলছে তাঁর রেস্তোরাঁ 'সুদীপার রান্নাঘর'। অনেক মানুষই বেশ কিছু বছর ধরে সেই রেস্তোরাঁয় খাচ্ছেন, তৃপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু সেই রেস্তোরাঁর নাম ভাঙিয়েই অসাধু ব্যবসা করছেন কেউ বা কারা। সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন সুদীপা।
পুরীতে সুদীপার রেস্তোরাঁর নাম এবং লোগো হুবুহু ব্যবহার করে খুলেছে এক রেস্তোরাঁ। তাঁকে সবাই চেনেন, তাই পুরী গিয়ে অনেকেই সেখানে খাবার চেখে দেখেছেন। অনেক পরিচিত সুদীপাকে সেই কথাও জানিয়েছেন। প্রথমটাই তিনি ভেবেছিলেন, এই বিষয়ে চুপ থাকবেন। তবে সম্প্রতি তাঁর ভাবনা, রেস্তোরাঁয় খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী হবে। এসব কথা ভেবে সুদীপা সামাজিক মাধ্যমে বেশ কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিককে।
সুদীপা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'পুরীর এই রেস্তোরাঁটির সাথে আমার ও আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এরা বেআইনিভাবে- আমার নাম, ও আমার পুরোনো রেস্তোরাঁর লোগোও ব্যাবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে করছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম-কিছু বলবো না, কেউ যদি আমার নামকে সন্মান দিয়ে দু-পয়সা রোজগার করে-তা তো ঈশ্বর ওনার জন্য স্হির করে রেখেছেন। আমি আটকাবো কেন?'
এইখানেই না থেমে সুদীপা আরও লিখেছেন, 'বেশ কিছুদিন ধরে- অনেকের অনেক অভিযোগ আসতে থাকার পর,এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে,এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। কারণ, আগামীদিনে কেউ ওঁদের খাবার খেয়ে অসুস্হ হলে- সে দায় তো আমার ওপরও,খানিকটা বর্তায়?'
তবে সুদীপা সেই পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন, রেস্তোরাঁর মালিক যদি এই রেস্তোরাঁর নাম পরিবর্তন না করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। তবে সুদীপা একেবারে চান না তাঁদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হোক। সঞ্চালিকা পুরীতে থাকা বন্ধুদের আবেদন করেছেন, তাঁরা যেন রেস্তোরাঁর মালিকের কাছে এই খবর পৌঁছে দেন।
ভারতীয় স্বাদকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেলেন ক্রিকেট তারকা সুরেশ রায়না (Suresh Raina)। রেস্তোরাঁর মালিক হিসেবে শুরু হল তাঁর নতুন যাত্রা। এর আগে অভিনেতাকে মাঝেমধ্যেই আমস্টারডামে (Amsterdam) ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তিনি কেন মাঝেমধ্যেই আমস্টারডামে যান? এবার তার উত্তর মিলল। আমস্টারডামেই নিজের প্রথম রেস্তোরাঁ খুললেন তিনি। রেস্তোরাঁর নাম দিলেন 'রায়না'।
ক্রিকেটারের রেস্তোরাঁর অবস্থান বিদেশ হলেও, স্বাদ নিয়ে ষোল আনা ভারতীয় সুরেশ। তাই ঠিক করেছেন 'রায়না'তে ভারতীয় খাবারই পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে তাঁর রেস্তোরাঁর। সারা ভারত থেকে বাছাই করা শেফরা থাকবেন খাবার তৈরী করার জন্য। তবে কিচেনে মাঝেমধ্যে দেখা মিলতেই পারে সুরেশের। তাঁর আপলোড করা ছবিতে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
I am absolutely ecstatic to introduce Raina Indian Restaurant in Amsterdam, where my passion for food and cooking takes center stage! 🍽️ Over the years, you've seen my love for food and witnessed my culinary adventures, and now, I am on a mission to bring the most authentic and… pic.twitter.com/u5lGdZfcT4
— Suresh Raina🇮🇳 (@ImRaina) June 23, 2023
সামাজিক মাধ্যমে নিজের রেস্তোরাঁর বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন সুরেশ। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে আমস্টারডামে রায়না ভারতীয় রেস্তোরাঁ এনেছি। আমস্টারডাম, যেখানে আমার খাবার ও রান্নার জন্য প্যাশন একটি মঞ্চ পেয়েছে। বছরের পর বছর পেরিয়ে তোমরা খাবারের জন্য ভালোবাসা দেখেছ। বর্তমানে ইউরোপের হৃদয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গার ভালোবাসা এক জায়গায় আনার মিশনে রয়েছি।'
প্রায় দেড় দিন অতিক্রান্ত এখনও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) রেস্তোরাঁয় আয়কর অভিযান (IT Raid) অব্যাহত। বুধবার সকাল থেকে ১৭৯ নম্বর এজেসি বোস রোডের একটি ব্যাঙ্কোয়েট কাম রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই রেস্তোরাঁয় কলকাতা পুরসভার (KMC) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববির অংশিদারিত্ব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের একটি গাড়িও রয়েছে রেস্তোরাঁর পার্কিং লটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দিয়ে ঘিরে গোটা বিল্ডিংয়ের তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। যারা ভিতর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।
এদিকে বুধবার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হুসেনের বাড়ি-অফিসে সিবিআই তল্লাশি চলেছে। সূত্রের খবর, উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। যে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার চায়না টাউনের বেজিং রেস্তোরাঁর চিনে খাবারের খ্যাতি সারা ভারতব্যাপী। বেজিং ভারতবর্ষের বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলির অন্যতম। বেজিংয়ের কর্ণধার কাম শেফ মণিকা লিউয়ের হাতের তৈরি চাইনিজ খাবারগুলি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। মণিকা লিউ পাঠকদের জন্য বেজিংয়ের বিখ্যাত দুটি পদের রেসিপি জানিয়েছেন।
চিলি গারলিক চিকেন তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস চিকেন (লেগ ও ব্রেস্ট মিলিয়ে) খণ্ড-খণ্ড করে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। একটি পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রেখে ওর মধ্যে এক চা চামচ সোয়া সস, এক টেবিল চামচ অ্যারারুট, হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন, এক চা চামচ ময়দা ও একটা ডিমের গোলা দিয়ে হাতের সাহায্যে নেড়ে খুব ভাল করে মেশান। সব উপকরণের মিশ্রণটা চিকেনের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখুন। মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো পনেরো মিনিট আলাদা করে রাখুন।
পনেরো মিনিট বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিয়ে আলাদা করুন। অন্য একটি কড়াতে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দেড় টেবিল চামচ রসুন কিমা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে ভাজুন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন।
এক চা চামচ সোয়া সস ও হাফ কাপ জল দিয়ে নেড়ে মেশান। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে ভাল করে মেশান। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মিক্সড চাউমিন তৈরির পদ্ধতি--- দেড়শো গ্রাম চাউমিন সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রেখে ঠাণ্ডা করুন। কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে একটা ডিম ফাটিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে ভেজে তুলে আলাদা করে রাখুন। ডিম ভেজে তুলে নেওয়ার পরে খোসা ও শিরা বাদ দেওয়া একশো গ্রাম চিংড়ি মাছ কড়াতে দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
ভাজা হয়ে গেলে একশো গ্রাম বোনলেস চিকেন কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে এক মুঠো পিঁয়াজের স্লাইস দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এবার সরু লম্বা লম্বা করে কাটা এক মুঠো গাজর দিয়ে নেড়ে ভাজুন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বড় বড় করে কাটা এক মুঠো রসুন গাছের পাতা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন। এবার দেড়শো গ্রাম সিদ্ধ করা নুডলস দিয়ে ও এক চা চামচ সোয়া সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
সব শেষে ভেজে রাখা ডিমটা দিয়ে খুন্তির সাহায্যে কেটে খণ্ড-খণ্ড কাটেন। এবার নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামান। প্লেটে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।