হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য। সাসপেন্ড হতে হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্রকে। সোমবার সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করেছেন রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্র। সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর জায়গায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে রেজিস্ট্রারের কাজ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে সুবীর কুমার মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিরুপায়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি সাসপেন্ড করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন চলছিল। গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বিটি রোড ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার পরিবেশ নেই বলে খোদ আচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন।
মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! জানেই না কর্তৃপক্ষ। ফলত, সমাবর্তনের পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের, এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছে নেই। এছাড়া সিএনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রারও একই উত্তর দেন।
এই রকম পরিস্থিতি এর আগে কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। তাই এই ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। উপাচার্য কে তা জানতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ আটকে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পার্থপ্রতিম রায়ের সাফ কথা, ভিসি যেই থাকুন না কেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বা বুদ্ধদেব সাউকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে।
রাজ্যের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থায় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্ববিদ্যালেয়ের পড়ুয়ারা। এমনকি সমাবর্তনের সার্টিফিকেট নিয়েও বাড়তে পারে অনিশ্চয়তা।