Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

rationcorruption

Ration Scam: রেশন দুর্নীতির তৃতীয় চার্জশিটে বিশ্বজিৎ দাসের নাম! আলোচনায় ৩৫০ কোটি টাকা

রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার তৃতীয় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তৃতীয় চার্জশিটে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকার সম্ভাবনা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগদ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অনুমান জ্যোতপ্রিয়র সেই অর্থ এজেন্ট মারফত নগদে বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছে যেত। এরপর তিনি সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দিতেন। চার্জশিটে এই বিষয়ে উল্লেখ থাকতে চলেছে। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাসের সোনার ব্যবসা ছাড়াও একাধিক ব্যবসার হদিশ মিলেছে নতুন করে, সেই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে চার্জশিটে।

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্যের নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের নামও দ্বিতীয় চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি। এবার তৃতীয় চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকবে বলেই খবর।

a month ago
CGO: রেশন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর

রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।

সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।

2 months ago
Jyotipriya Mallick: মেরুন ডায়েরির রহস্যভেদ! রেশন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি

প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মেরুন রঙের ডায়েরি থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডির কাছে। সূত্রের খবর, এই মেরুন ডায়েরিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পক্ষ থেকে অভিজিৎ দাসকে দেওয়া অর্থের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এছাড়াও, এই ডায়েরিতে হিতেশ চন্দক এবং অন্যান্য মিল মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া যাবতীয় অর্থের হিসাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, মেসার্স অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর হিতেশ চন্দক জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে অর্থ দিতেন। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক কাজের নাম করে মিল মালিকদের কাছ থেকে অর্থ চাওয়া হতো। অন্যদিকে, হিতেশ চন্দক সহ অন্যান্য মিল মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে তুলে দিতেন অভিজিৎ দাস।

 সম্প্রতি রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় মেরুন রংয়ের একটি ডায়েরি। এরপর সেই ডায়েরির রহস্য উন্মোচন করার জন্য একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিজিৎ দাসকে। তার বয়ানের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকেও। অবশেষে সেই মেরুন ডায়েরির রহস্যভেদে সমর্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী দিনে রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে আর কোন কোন তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।

2 months ago


Ed: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার শঙ্কর আঢ্য়ের ম্য়ানেজার বিশ্বজিৎ দাস

রেশ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকেরা। ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে ইডি। 

ইডি সূত্রে খবর, এই বিশ্বজিৎ দাসের ইম্পোর্ট ও এক্সপোর্ট এর ব্যবসা রয়েছে। সেখানে এই রেশন দুর্নীতির টাকা খাটানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বাড়ির সামনে রাখা বিলাস বহুল গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে প্লাস্টিক উদ্ধার করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, বেশ কিছু নথি থাকতে পারে। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে ইডি। 

ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন আরও ১০ হাজার কোটি টাকার এখনও রয়েছে অর্থাৎ কুড়ি হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আরও দশ হাজার কোটি টাকা কোথায় আছে তারই খোঁজে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।

3 months ago
ED Raid: সাতসকালে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, সল্টলেক সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি

রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। গত কয়েকদিনের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে ইডির হাতে। তারপরেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে টাকা পাচার করা হয়েছে, কোন কোন ফরেন এক্সচেঞ্জ সংস্থা যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ খবর করছে ইডি।

এদিন বিধাননগর আইবি ব্লকে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল সাতটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ইডি আধিকারিকের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় মেট্রোপলিটনে বিশ্বজিৎ দাসের ফ্ল্যাটে। বিশ্বজিৎ দাসের যে ফ্ল্যাটে প্রথমে সকালবেলা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটটি মূলত ভাড়া দেওয়া। মেট্রোপলিটনের সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পাশেই আরও একটি ফ্ল্যাটে এলেন আধিকারিকরা। সেই ফ্ল্যাটে বিশ্বজিৎ না থাকলেও তাঁর বাড়ির কর্মীরা রয়েছে, ফলে তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, যেহেতু শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, ফলে রেশন বন্টন দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বিশ্বজিৎ-এর ফরেক্স কোম্পানির।

এদিন ইডির আধিকারিকরা বিধাননগর ছাড়াও মেট্রোপলিটন, মধ্য কলকাতা, পোর্ট, বাগুইআটি এলাকায় তল্লাশি চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইডির আধিকারিকরা এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শঙ্কর আঢ্যকেও জেরা করেন এবং তাদের হাতে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন।

3 months ago


Shankar Adhya: রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শঙ্করকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

রেশন বন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পরই ইডির জালে ধরা পড়েছেন দুর্নীতির আরেক রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। আজ, শনিবার তাঁর জেল হেফাজত শেষে ফের আদালতে পেশ করা হয়। আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই দুর্নীতির শিরোমণি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শঙ্কর। সেই তথ্যের সন্ধান আগেই পেয়েছিল ইডি। এবার তদন্তের গতি বাড়াতেই শঙ্করের ফরেন এক্সচেঞ্জ মানি কোম্পানির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যে কোম্পানি থেকে ভারতীয় মু্দ্রা বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিময়ে করা হত RBI মারফত। ধৃত শঙ্কর আঢ্যের সেই মুদ্রা বিনিময়ের কারবার সংক্রান্ত নথি জোগাড় করতেই শুক্রবার RBI কে চিঠি দেয় ইডি।

তবে দুর্নীতির শিকড় যে আরও গভীরে তা বুঝতে বাকি নেই ইডিরও। তাই দুর্নীতির নয়া মোড়ের সন্ধানে শঙ্করের ভাই মলয় আঢ্যতে হাজিরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি ও শঙ্করের ব্যবসায়িক তথ্য নিয়ে মলয় আঢ্যকে সিজিওতে তলব ইডির।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের রেশনবন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে একে একে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এবং পরবর্তীতে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। দিন যতই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশিতে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ।

3 months ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে নয়া তথ্য, ভুয়ো রেশন দোকানের হদিশ

রেশন বণ্টন দুর্নীতির শেকড় খুঁজতে গিয়ে প্রায়শই নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে ইডির তদন্তে। ইতিমধ্যেই এই রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে একে একে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। এবার ইডি তদন্তে উঠে এলো নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রেশন দোকানেই  রেশন ডিলার এবং মালিকদের থেকে প্রায়শই  মাসে ৪ হাজার করে টাকা নেওয়া হতো। যে টাকা ঘুরপথে চলে যেত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ইডি তদন্তে পাওয়া গিয়েছে, বহু ভুয়ো রেশন দোকানের হদিশ। এই ভুয়ো রেশন দোকানগুলোকে ব্যবহার করেই  সেখান থেকে প্রায়  ৩০০ কোটির বেশি টাকা তোলা হয়েছে যা বর্তমানে ২০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এইসব তথ্য আদালতেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

রেশন দুর্নীতির জাল গোটাতে গিয়ে রীতিমত হাঁপিয়ে যাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা কিন্তু দুর্নীতির তল খুঁজে পাওয়া এখনও যায়নি। এতো কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি যে এক দুজন লোকের কম্ম নয় তা বলাই বাহুল্য।  তাহলে এই দুর্নীতির পেছনে শাসকদলের আর কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে? এই বিপুল দুর্নীতির শেষ কোথায়? রাজ্যের এই দুর্নীতির দায় আসলে কার? জবাব চাইছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।

4 months ago
ED: রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শঙ্করের সঙ্গে 'ফোনে' যোগাযোগ বালুর! ইডির তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য

রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ইডির জালে ধরা পড়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তারপর থেকেই ইডির তদন্তে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে শঙ্করের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠমহলের তালিকাতেও মেলে শঙ্কর আঢ্যের নাম। শঙ্করের নেপথ্য কাহিনী জানার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তদন্ত শুরু হয় ইডির। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও বারবার তলব করেন ইডি আধিকারিকরা। এবার শঙ্করে আঢ্যের ভাই মলয় আঢ্যকে চতুর্থবারের জন্য তলব করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কল ডিটেইলস থেকে প্রাপ্য তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রায়শই ফোনের মাধ্যমে শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। শঙ্কর আঢ্য এবং তাঁর ছেলে শুভ আঢ্য একটি বিদেশি কোম্পানির মালিক। কোম্পানির নাম এস.বি.আর.এম জেনারেল ট্রেডিং। সূত্রের খবর, এই কোম্পানিটি দুবাই-এ অন্তর্ভুক্ত। তবে এই কোম্পানির মাধ্যমে কতখানি দুর্নীতি হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মারকুইস স্ট্রিটের ফরেক্স কোম্পানিতে ইডির তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হওয়া প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা 'নিজের' বলে দাবি করেন বালু ঘনিষ্ঠ শঙ্কর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই শঙ্করের সাফ জবাব, ওই টাকা আমার কারেন্সি। তবে তদন্তের স্বার্থে পরিবারকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গ সুকৌশলে এড়ালেন শঙ্কর। ইডি তদন্তের স্বার্থে যাকে খুশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শঙ্কর আঢ্যের একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসেও হয়েছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থাও রয়েছে, যে সংস্থা গুলি থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা সহ একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। মূলত, ওই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থা মারফত রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার কারবার চালাত শঙ্কর, দাবি ইডির। বাজেয়াপ্ত যাবতীয় সেই নথি ও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করার পরবর্তী সময়ে রেশন বন্টন দুর্নীতির রহস্য কোন দিকে মোড় নেয়, জবাব দেবে সময়।

4 months ago


Ration Scam: রেশন দুর্নীতির তদন্তে 'রহস্যময় মেরুন ডাইরি', জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ব্যবসায়ীর

রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মূলত বাকিবুর রহমানকে জেরা করেই সামনে আসে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। জানা গিয়েছে, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে বাকিবুর রহমানের যোগ সামনে আসার পর একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর মধ্যে অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থাও রয়েছে। এবার সেই সংস্থারই অন্যতম ডিরেক্টর হিতেশ চন্দককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানেই এই মেরুন ডাইরি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে হিতেশ জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক টাকা নিয়েছেন। আর অর্থের লেনদেনের যাবতীয় হিসেব রয়েছে মেরুন ডাইরিতে।

অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসও জেরায় স্বীকার করেছেন যে, রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী অর্থের আদান প্রদানের হিসেব নিকেশের যাবতীয় দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।

রেশন বণ্টন দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। তদন্তে কি উঠে আসবে এই দুর্নীতির কোনও নতুন যোগসূত্র?   সামনে কি আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?

4 months ago
BJP: রেশন দুর্নীতি তদন্তে গিয়ে 'আক্রান্ত' ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাজির বিজেপি বিধায়কেরা

শুক্রবার সাতসকালে বেনজির নৈরাজ্য দেখেছে বাংলা। রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে রক্তাক্ত, আক্রান্ত ইডি। মারধর থেকে ভাঙচুর করা হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও। আহত হন সিএন-এর চিত্র সাংবাদিক নিখিল দাস। শেষে দুষ্কৃতীদের কবল থেকে কোনওরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। তাঁর ক্যামেরা এবং লাইভ সম্প্রচারের সরঞ্জাম কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে ফেলে দেওয়া হয় ভেড়ির জলে। অন্যদিকে গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। একজনের শরীরে সাতটি সেলাই। শুক্রবার হাসপাতালে গিয়ে আহত আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের দেখতে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে যান বেশ কয়েজন বিজেপি বিধায়ক। বিধায়কদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিমান ঘোষ, অম্বিকা রায় ও সুশান্ত ঘোষ। ইডি আধিকারিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। সন্দেশখালির ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে গেরুয়া শিবির।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অত্যন্ত চিন্তার বিষয় প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

দিনভর সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে শোরগোল চলার মধ্যেই প্রেস বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই ঘটনায় বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া জানানলেও এই ঘটনায় কার্যত মুখে কুলুপ মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

4 months ago


Jyotipriya: চালকল মালিকদের থেকে কমিশন নয়, সম্পত্তি নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়, দাবি ইডির

রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয় রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে। এরপর তদন্ত যত এগিয়ে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী ও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের নামে, বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। যার হদিস ইতিমধ্যেই পেয়েছে ইডি। তদন্ত এগোতেই পেঁয়াজের খোসার মত সামনে আসছে আরও ভয়ানক তথ্য। পাশাপাশি ইডির চাঞ্চল্যকর তথ্য যা রীতিমত অবাক করার মত।

ইডির দাবি, চালকলের মালিকের কাছ থেকে 'কমিশন' হিসেবে টাকা নয়, সম্পত্তি নিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যে সম্পত্তি নিজের নামে নয়, দানপত্র হিসেবে লিখিয়ে নিয়েছিলেন নিজের বাড়ির পরিচারকের নামে।

রেশন 'দুর্নীতি' কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  ইতিমধ্যেই, ওই চালকল মালিকের বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। শুধু তাই নয় ওই সম্পত্তি নেওয়ার যাবতীয় কাগজপত্র এমনকি বাড়ির পরিচারকের নামে 'দানপত্র' লিখিয়ে নেওয়ার নথিও ইডির হাতে এসেছে বলেই জানা গিয়েছে।

6 months ago
Raid: বহুতলে রেশনের ডাল প্যাকেজ! ২৩ ঘন্টা তল্লাশির পর অভিযোগ ইডির

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শনিবার সকাল থেকেই বেশ কয়েকটা জায়গায় ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালায় ইডি। শনিবারই আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের একটি বহুতলের ছ’তলায় অঙ্কিত চন্দ্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তল্লাশিতে যান তদন্তকারীরা। টানা ২৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রবিবার সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। এই তদন্তের পর রীতিমত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন ইডির আধিকারিকরা।

ইডি সূত্রেই খবর, বেশ কিছু নথিপত্র এবং বৈদ্যুনিত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয় ওই সংস্থার অফিস থেকে। এছাড়া এখানেই রেশনের চাল, ডাল প্যাকেজিং হত। এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার অঙ্কিত চন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও ছিল বলে অভিযোগ।

6 months ago
Corruption: বাকিবুরের দেড় হাজার কাঠা জমি ও ১০০ কোটিরও বেশি সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জেরা এবং তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে সামনে আসছে দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার বাকিবুর রহমানের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, মোট ৯৫ টি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বাকিবুর রহমানের, যার মিলিত মূল্য ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া বাকিবুর রহমানের নামে পার্ক স্ট্রিট, রাজারহাট, বারাসত এবং রঘুনাথপুরে ৯টি ফ্ল্যাট এবং ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমিরও হদিশ পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। তার নামে মিলেছে ১৬ টি কোম্পানির খোঁজ। তার নামে কি রয়েছে আরও বেনামী সম্পত্তি, তার খোঁজ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ৫৪ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গ্রেফতার হওয়ার আভাস পেয়ে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিলেন ওই ব্যবসায়ী। দুবাইয়ে তার ২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে এবং ২০১৯ সাল থেকে সেখানে যাতায়াত রয়েছে বাকিবুর রহমানের।   বাকিবুরের বাড়ি থেকে একাধিক নথিপত্রসহ ৬ টি মোবাইল ফোনও বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার হয়। তাতে ডিজিটাল এভিডেন্স, রেজিস্ট্রার বুকের পাশাপাশি মিলেছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ। নগদ ছাড়াও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে, তখনই অনুমান করেছিলেন গোয়েন্দারা।

আগেই জানা গিয়েছিল ধৃত ব্যবসায়ীর ৬টি শেল কোম্পানি আছে, যার মধ্য দিয়ে কালো টাকা সাদা করতেন তিনি। বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেলে ইডি স্কানারে খাদ্য দফতরের কয়েকজন ইন্সপেক্টর এবং একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের নাম। আর এবার মিলল খোদ বাকিবুর রহমানের নামেই বিপুল সম্পত্তির খোঁজ। রাজনৈতিক মদতেই কি এত বিপুল রমরমা একজন সাধারণ চালকল ব্যবসায়ীর? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হলেই কোটি কোটি টাকার রমরমা, কটাক্ষ সিপিএম শিবিরে।

এর আগেও অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে মিলেছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। তাছাড়াও শাসকদল বা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হলেই অনেকের ক্ষেত্রেই মিলেছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ। বাকিবুরের ক্ষেত্রেও কি দুর্নীতির কালো অর্থ এভাবেই হয়েছে পাচার, তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

7 months ago


Bakibur: বহু জাল নথি, জাল স্ট্যাম্প, বাকিবুরের চালকল যেন খাদ্য দফতরের অফিস

রাজ্যে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তদন্তে নেমে রেশন দুর্নীতির অন্যতম চাঁই ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই বাকিবুরের বিভিন্ন ব্যবসা এবং বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি। তাঁর অন্তত পাঁচটি চালকল এবং আটাকল আছে। এ ছাড়াও বাকিবুরের বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাড়ি, দামি গাড়ির সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁর চালকলে তল্লাশি চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। ইডি কর্তাদের মনে হয়েছে, বাকিবুরের এনকেজি রাইসমিলের অফিস যেন ছোট খাদ্য দফতর।

বাকিবুরের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। সেখানে একটি চালকল রয়েছে তাঁর। মামারবাড়ি সূত্রে তিনি যে চালকল পেয়েছিলেন, সেটাকেই নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকিবুরের দেগঙ্গার চালকলের অফিস থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের স্ট্যাম্প মিলেছে। এ ছাড়াও চিফ ইনস্পেক্টরের স্ট্যাম্প, পারচেস অফিসারের স্ট্যাম্প, জেলা ফুড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের স্ট্যাম্প (উত্তর ২৪ পরগনা), ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই উত্তর ২৪ পরগনার সাব ইন্সপেক্টরের স্ট্যাম্প, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কোঅপারেটিভ ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারের স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই সব উদ্ধারের পরই উঠছে প্রশ্ন- সরকারি অফিসের স্ট্যাম্প কী ভাবে বাকিবুরের অফিসে পৌঁছল? তাহলে এই সরকারি অফিসাররাও কি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে ইডি। সোমবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বাকিবুরকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে সাংবাদিকরা বাকিবুরকে প্রশ্ন করে, “আপনি কি দুর্নীতিতে যুক্ত?” জবাবে বাকিবুর বলেছেন, “না।” কিন্তু তাঁর দেগঙ্গার অফিসে এত স্ট্যাম্প এল কী করে? এই প্রশ্ন করা হলে নিরুক্তর ছিলেন বাকিবুর।

7 months ago
ED: ইডির স্ক্যানারে বাকিবুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, নজরে তাঁর ঘনিষ্ঠ ডিস্ট্রিবিউটাররাও

শনিবার ব্যঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছিল রেশন বণ্টনে দুর্নীতির  ধৃত বাকিবুর রহমানকে। আদালতে এইদিন তাঁকে সোমবার পর্যন্ত ইডি হেফাজত দেওয়া হয়। এই দুদিন বাকিবুর রহমানকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। সেই মত শনিবার আদালতে থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিওতে। তারপর থেকেই রেশন বণ্টনের দুর্নীতি জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তৎপর ইডি।

ইডির নজরে এবার বাকিবুর ঘনিষ্ঠ একাধিক চালকল ব্যবসায়ী ও ডিস্ট্রিবিউটাররা। ৫৪ ঘন্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বাকিবুরের বাড়ি থেকে একাধিক নথিপত্রসহ ৬ টি মোবাইল ফোনও বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা, সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তল্লাশি অভিযানে একাধিক ডিজিটাল এভিডেন্স, রেজিস্ট্রার বুকের সাথে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ইডি সূত্রে দাবি নগদ ছাড়াও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে । সরকার থেকে পাঠানে রেশনের খাদ্য সামগ্রী বণ্টন না করে , সেগুলিকে খোলা বাজারে বিক্রি করা হত।সেই বিক্রির টাকা শতাংশের হারে ভাগ পেতেন ডিস্ট্রিবিউটার ও মধ্যস্থতাকারী ব্যবসায়ীরা। যেই টাকা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই লেনদেন হয়েছে বলেই মনে করছেন ইডি কর্তারা।তল্লাশি অভিযানে বাকিবুরের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা ,  সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক বেশ কিছু ট্রানজেকশন খতিয়ে দেখেই এই তথ্য উঠে এসেছে।তাই ইডি নজরে এবার বাকিবুর রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ ডিস্ট্রিবিউটারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

প্রসঙ্গত  একাধিক চালমিলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডি হাতে উঠে এসেছে নয়া দুর্নীতি তথ্য রেশন বণ্টনে দুর্নীতি।যেখানে মন্ত্রী-ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের নাম উঠে এসেছিল।তার হদিশ পেতেই বাকিবুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। ৫৪ ঘন্টা তল্লাশির পর প্রথমে তাকে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত সোমবার পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রেখে ইডি আধিকারিকরা আরও কোন প্রভাবশালী এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে কিনা তা জানতে চেষ্টা করবেন ।এখন শুধু দেখার আরও কোন নতুন তথ্য উঠে আসে জিজ্ঞাসাবাদে। 

7 months ago