Breaking News
Mahua Moitra: লোকসভায় খারিজ মহুয়ার সাংসদ পদ, পাশে মমতা, তোপ বিজেপিকে      ED: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়িতে ইডি হানা!      Ragging: যাদবপুরে ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ! প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ফোন করে দেওয়া হত হুমকি...      Film Festival: শুরু ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, উদ্বোধনে 'বাদশা' নয় ভাইজান      SSKM: বেড নেই এসএসকেএম-এ! দেড় বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে      BJP: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা' মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের! বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতারে 'না' হাইকোর্টের      Recruitment Scam: ফের তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও অ্যাডমিট কার্ড!      Congress: স্বাধীনতার পর প্রথম তেলেঙ্গানায় সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস      Deganga: গুরুতর অভিযোগ! মিড ডে মিলের চাল লুকিয়ে রাখা হচ্ছে স্কুলের শৌচালয়ে      Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন     

rajyasabha

Raghav: 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল?', সাসপেনশনের পরই নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন রাঘব চাড্ডা

বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) শেষ দিনে রাজ্যসভা (RajyaSabha) থেকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হল আপ নেতা রাঘব চাড্ডাকে (Raghav Chadha)। তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, চারজন সাংসদের সই নকল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাংসদদের বিনা অনুমতিতে, প্যানেলের সদস্যদের জন্য তাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন। ফলে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ নেতা রাঘব চাড্ডাকে। তাঁর এই সাসপেনশনের পরই তিনি এবারে সমাজমাধ্যমে এসে নিজের বক্তব্য রাখলেন। প্রথমেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল?'

শুক্রবার সাসপেনশনের পর নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন রাঘব চাড্ডা। তিনি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছেন, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল? কী অপরাধ আমার? আমার কী এটাই অপরাধ যে, আমি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পার্টি বিজেপির নেতাদের প্রশ্ন করেছি?' তাঁর বিরুদ্ধে সই নকল করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তিনি যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, কোনও সিলেক্ট কমিটির সদস্যের জন্য কিছু সাংসদের নাম প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এমনটা অধিকার রয়েছে একজন সাংসদের। এই ক্ষেত্রে কোনও সাংসদের অনুমতি বা সইয়ের দরকার পড়ে না। কোনও সাংসদের আপত্তি থাকলে তাহলে তাঁর নাম তুলে নিতে পারেন। এসব বলেই তিনি নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেন। এখন এটাই দেখার অবশেষে প্রিভিলেজ কমিটির রিপোর্টে কী আসে। উল্লেখ্য, এই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রাজ্যসভার সমস্ত কাজ থেকে নির্বাসিত থাকবেন চাড্ডা, এমনটাই জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

4 months ago
RajyaSabha: ডেরেক ও'ব্রায়েনের সাসপেনশন নিয়ে বিভ্রান্তি, অবশেষে কী হল?

মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে (Derek O'Brien) 'অসংসদীয় আচরণ' ও 'চেয়ারের অবমাননা'র কারণে রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ডেরেক বারবার আলোচনা করতে বললে তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এরপর তাঁর সাসপেনশন নিয়েই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অবশেষে কী হল, তিনি কি বাকি বাদল অধিবেশনে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে এবারে জগদীশ ধনখড় নিজেই পুরো বিষয় খোলসা করে বলেন, 'সুদূরপ্রসারী' চিন্তাভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ডেরেককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে না। অর্থাৎ বাকি অধিবেশনে তিনি অংশ নিতে পারবেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে জগদীপের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ডেরেক। এরপরই বিজেপি সাংসদ পীযুষ গোয়াল ডেরেককে সাসপেন্ড করার প্রস্তান আনেন। এরপর তাঁকে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও চেয়ারম্যানের নির্দেশ অবমাননা করার কারণে সাসপেন্ডও করা হয়। এরপর এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদরা বিক্ষোভ দেখালে বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। কিন্তু পরে ডেরেকের সাসপেনশন নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হয় নি। সূত্রের খবর, জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, ডেরেক ও'ব্রায়েনের সাসপেনশন নিয়ে তিনি সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করে আর এই ব্যাপারটিতে এগোননি। ফলে আর ভোটাভুটিও হয় নি। ফলে বাকি অধিবেশনে থাকবেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।

4 months ago
Rajyasabha: বিজেপির ডামি প্রার্থী প্রত্যাহার, পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে না রাজ্যসভার ভোট

পশ্চিমবঙ্গে আর রাজ্যসভার ভোট হচ্ছে না। শনিবার বিধানসভায় এসে বিজেপির ডামি প্রার্থী তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেই তৃণমূল এবং বিজেপির সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী সোমবার নির্বাচনে ছয় জন এবং উপনির্বাচনে এক জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে। ফলে এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম এবং আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ বড়াইক। বিজেপির হয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন অনন্ত মহারাজ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে পরে রাজ্যসভার ভোটে চমক দিতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই কারণে রথীন্দ্র বসুকে এই নির্বাচনে সামিল করেছিলেন নেতারা। ফলে একটি আসনে নির্বাচন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শনিবার ছিল রাজ্যসভার ভোটে নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন বিধানসভায় এসে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন রাজ্য বিজেপির এই নেতা। রথীন্দ্রকে প্রার্থী করা তাদের কৌশলগত দিক ছিল বলেই দাবি করেছে বিজেপি।
এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন। সেই আসনে জয়ী হয়ে রাজ্যসভায় যাবেন অনন্ত। আর যে একটি আসনে উপনির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই আসনেও বিনা প্রতিন্দ্বিতায় জয়ী হবেন দিল্লির বাসিন্দা তথা সমাজকর্মী সাকেত গোখলে।

5 months ago


Ananta Maharaj: সপ্তম রাজ্যসভা সদস্য অনন্ত রায় রাজবংশী

প্রসূন গুপ্ত:  পশ্চিমবঙ্গের ৭টি রাজ্যসভার আসনে পদে থাকা সদস্যদের পালা শেষ হচ্ছে এ মাসের শেষে। কাজেই দ্রুত নতুন সদস্যদের পাঠাবার পালা তৃণমূল ও বিজেপির। এই প্রথম এই রাজ্য থেকে কেউ একজন বিজেপির সদস্যপদ পাবে উচ্চকক্ষে। তৃণমূল ইতিমধ্যেই ৫ সদস্য এবং গোয়ার ফেলেইরো পদত্যাগ করায় ১ টি আসন অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৬ জনকে সদস্য করতে পারবে। তাদের বিধানসভার জোর যথেষ্ট। এই মুহূর্তে প্রায় ২২০ জন। এছাড়া একজন আইএসএফ এবং এক পাহাড়ের প্রতিনিধি আছে। বিজেপির সংখ্যা ৬৯-এর মতো। বিজেপি বড়োজোর ১ জন প্রার্থী পাঠাবার মতো শক্তি বিধানসভায় আছে। নিয়ম হচ্ছে বিধানসভার প্রত্যেক সদস্য ভোট দিতে পারেন। প্রতিটি ভোটের প্রাথমিক মূল্য ১, কিন্তু তারা তাদের দ্বিতীয় পছন্দকেও ভোট দিতে পারেন। কিন্তু প্রথম ভোট গণনা হয়ে যাওয়ার পর প্রার্থী নির্বাচনে সমস্যা হলে দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থীকে গণনায় নেওয়া যেতে পারে।

বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবার। অবিশ্যি দ্বিতীয় ড্যামি প্রার্থীর নামও দিয়েছিলে বিজেপি, কিন্তু শুক্রবার তাঁর নাম তুলে নেওয়া হয়।  অতএব প্রথম পছন্দের অনন্ত মহারাজ রায় নির্বাচিত হলেন। আর ভোটের প্রয়োজন নেই, যেহেতু ৬টি আসন এবং একটি উপনির্বাচনের প্রার্থী, সে ক্ষেত্রে ৭ জন প্রার্থীই নমিনেশন দিয়েছেন এবং প্রত্যেকেই নির্বাচিত। এবারে প্রশ্ন কে এই অনন্ত মহারাজ। প্রথমত, তিনি রাজবংশী প্রতিনিধি। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে রাজবংশীরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন কাজেই রাজবংশী ভোটকে টার্গেট করেই কিন্তু অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করা। এই অনন্ত মহারাজকে নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের অন্যতম দাবিদার তিনি। এক্ষেত্রে এ রাজ্যে থাকা বাঙালিদের কাছে এই নব বঙ্গভঙ্গ মোটেই কাম্য নয়। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাও বিভেদের রাজনীতি করেছিলেন। মানুষ ভালো ভাবে নেয়নি, ফলে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ফলাফল পঞ্চায়েতে খুবই খারাপ হয়েছে। এবারে দেখার বিষয় অনন্ত মহারাজ সাংসদ হওয়াটাকে কি ভাবে নেয় উত্তরবঙ্গ।

5 months ago
Modi:যত কাদা ছুড়বেন, ততই পদ্ম ফুটবে! কংগ্রেসকে মানুষ প্রত্যাখান করেছে: নরেন্দ্র মোদী

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী (PM Modi)।  এদিনও আদানি-কাণ্ডে  (Adani Row) সরব হওয়া বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করতে পাল্টা আক্রমণের পথ নিয়েছিলেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'বিরোধীদের হাতে কাদা রয়েছে বলেই ছুড়ছেন। যত কাদা ছুড়বেন, ততই পদ্ম ফুটবে।' লোকসভার ভঙ্গিতেই রাজ্যসভায় এদিন সরব ছিলেন মোদী।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'নেহরুকে নিয়ে অবহেলা হলে কয়েকজন অভিযোগ করেন। গান্ধী-নেহরু পরিবারের কেউ নেহরু পদবি ব্যবহার করেন না কেন? রাজ্যের সরকার ফেলতে ৫০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।'

বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধীদের হল্লাকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, 'আপনারা এখানে চেঁচামেচি করছেন। মানুষ আপনাদের কথা শুনছে না। আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। কংগ্রেসকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওদের দুর্দশা বুঝতে পারছি। ভারতে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি। উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস।'

10 months ago


Nabanna: নবান্নের ১৪ তলায় দিদি-দাদার আকস্মিক সাক্ষাৎ, উপলক্ষ্য কি রাজ্যসভা ভোট?

প্রসূন গুপ্ত: এক সপ্তাহ আগে এই পোর্টালে এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল সৌরভের সঙ্গে তৃণমূল কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিত। ফের সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হাজির হলেন নবান্নে, একান্ত সাক্ষৎকার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রশ্ন এবং জল্পনা ফের শুরু রাজ্য রাজনীতিতে! ফের একবার পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত, আগামী দিনে কি নতুন পরিকল্পনা? সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন মহারাজ, এমন গুঞ্জন আছে। তবে এটাও বাস্তব, ভাগ্য বিড়ম্বনা তাঁর জীবনে এসেছে অনেকবার। আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। ১৯৯২-এ প্রথম ভারতীয় দলে নাম ওঠে তাঁর। কিন্তু মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিসের সঙ্গে, তারপর ৪ বছরের অপেক্ষা।১৯৯৬-এ ভারতীয় বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। জগুবাবুর স্নেহাশিসে, দাদা তাঁর নিজের দাদা স্নেহাশিসকে টপকে ফের সুযোগ পান ভারতীয় দলে। তারপর থেকে অন্তত ১০ বছর ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলার মহারাজকে।

সৌরভের সঙ্গে একসময় বাম মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। মমতা ক্ষমতায় আসার পর সৌরভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগ নিয়মিত হয়। মমতার কল্যাণে সৌরভ বাংলা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। এই সময়ে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রের সরকার বা বিজেপির সঙ্গে বিশেষ করে অমিত শাহর সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয় 'দাদা'র।

অনেককে পিছনে ফেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও হন তিনি। জোর গুঞ্জন ছিল একুশের ভোটে সৌরভ হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন। কিন্তু সৌরভ সূক্ষ্ম বুদ্ধি খাটিয়ে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে যান। এবার হয়তো সে কারণেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এমন গুঞ্জনও চলছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। বিসিসিআই থেকে তাঁর বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়। 

এরপর দ্রুত নানা ঘটনা ঘটতে থাকে। দুর্গাপুজোর প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে মমতার মঞ্চে সৌরভকে হাজির থাকতে দেখা যায়। তাঁকে দেখা যায় ফিল্ম ফেস্টিভেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সৌরভের খবরও নিয়মিত রাখতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শিক্ষাবিদ সত্যম রায়চৌধুরীর ডাকে তাঁর সাহিত্য অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বাংলা সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন দাদা। এতেই জল্পনা আরও বাড়ে।

সোমবার ঠিক বিকেল ৪টের সময় হঠাৎই সৌরভ হাজির হন নবান্নের ১৪ তলায়। সূত্র জানাচ্ছে, দিদির ডাকেই দাদা নাকি গিয়েছিলেন রাজ্য সচিবালয়ে। কিন্তু কেন? নিজের বাণিজ্যের কাজে? সে তো ফোনেই সেরে ফেলা যায়, তবে? শোনা যাচ্ছে ২০২৩-র অগাস্টে বাংলা থেকে রাজ্যসভার একাধিক আসনে নির্বাচনের সম্ভাবনা। তবে কি দেওয়াল লিখন এখন থেকেই পড়া শুরু দাদা অনুরাগীদের?


11 months ago