
মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নলপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর শাখায় ট্রেন দেরিতে চলায় নলপুর স্টেশনে যাত্রীবিক্ষোভ হয়। ভাঙচুর করা হয় স্টেশনের অফিসঘর। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিস।
জানা যায়, সকাল থেকেই আপ-ডাউন লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল। কোভিড পরিস্থিত কেটে গেলেও ভোরবেলার ৩ টি ডাউন ইএমইউ লোকাল রেল চালু করেনি এখনও। যার ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু নিত্যযাত্রীকে। আগে ভোর ৫ টা নাগাদ প্রথম ডাউন ট্রেন পাওয়া গেলেও এখন সকাল ৬ টার পরে আসে প্রথম ট্রেন। বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সময়মতো ট্রেন চালাতে হবে। ট্রেন অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশন, নলপুর স্টেশনে লোকাল ও দূরপাল্লার সব মালগাড়ি আটকে পড়ে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কে এস আনন্দ জানান, সকাল ৬ টা ২০ মিনিট থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা নলপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন। কথা বলতে চাইলে তাঁরা কিছুতেই বলতে চাননি। তবে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখা হয়েছে। যদিও কোনওরকম ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে ট্রেন চলাচলে দেরি হতে পারে।
তবে এরপর তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই ভোরের যে ট্রেনগুলি বাতিল ছিল, তা আবার চালু করা হবে। তাঁর আশ্বাসেই ৯ টা ৫ মিনিটে অবরোধ তুলে দেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, আগামীদিনে যেমন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে, পাশাপাশি ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক হবে।
যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসুন। রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict) সংঘাতে ফের আবেদন ভারতের (Modi Government)। সংঘাত মেটাতে দীর্ঘ এবং ইতিবাচক আলোচনাই একমাত্র বিকল্প। রাষ্ট্রসংঘে এই মন্তব্য করেছে দিল্লি। পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে ভারতের নিযুক্ত প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, 'সব ধরনের প্রচেষ্টা করেই ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা হচ্ছে। ইউক্রেনে বেড়ে চলা সঙ্কট নিয়ে ভারত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ডেকে আলোচনায় বসুক দুই পক্ষ।'
তাঁর মন্তব্য, 'ভারত সরকার মনে করে কূটনীতি ছাড়া এই সঙ্কট মোকাবিলার অন্য কোনও পথ নেই।' এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেনের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে টেলিফোন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘমেয়াদি, ইতিবাচক আলোচনার পক্ষেই পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, সোমবার ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে ভারত। সেই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পাশাপাশি সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, 'কেন্দ্রের সবপক্ষকে যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।'
বেলারুস সীমান্তে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশ। শান্তির লক্ষ্য়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও ফিরল না শান্তি। ইউক্রেনে হামলা জারি রাখল রাশিয়া। ফের আলোচনার প্রস্তুতি আজ । দীর্ঘ সময় ধরে একদিকে আলোচনা চলেছে, তার সঙ্গে চলেছে যুদ্ধও। তবে সমাধান এখনও অধরা। শান্তি ফেরাতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ফের বৈঠক বসবে। দুই দেশই তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
শান্তি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কির প্রতিনিধিদের দাবি ছিল অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করতে হবে। ইউক্রেন থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে নিতে হবে রুশ সেনাবাহিনীকে। ক্রাইমিয়া ও ডনবাস এলাকাকেও রুশ সেনা-মুক্ত করার দাবি তুলেছেন তারা। বৈঠক শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন,"কথা হোক আগে। সমঝোতায় পৌঁছতে আমরা কী ভাবছি, সে নিয়ে এখনই কিছু বলব না।" বৈঠক শেষেও রাশিয়া কী চায়, সে নিয়ে বাইরে কোনও মন্তব্য় করেনি ক্রেমলিন। দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের আগেই মস্কোয় ফিরে গিয়েছে রুশ প্রতিনিধিদল। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও ফিরেছেন কিভে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে তাঁরা ফের বেলারুস সীমান্তের বৈঠক-স্থলে ফিরবেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।
অন্য়দিকে খারকিভে রাশিয়ার শেলিংয়ে ১১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের শ’খানেক বাসিন্দার প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি শিশু। ইউক্রেন প্রশাসনের দাবি, কিভের বাইরে মাইল খানেক দীর্ঘ রুশ কনভয় জড়ো হয়েছে আজ। তবে রুশ বাহিনীকে আটকে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও। এবং সর্বশেষ, রণক্ষেত্রে এসে না দাঁড়ালেও বর্তমানে ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপানের মতো শক্তিরা।
শুধু বাইরে নয়, নিজের দেশেও সমালোচনার শিকার পুতিন। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ-বিরোধী বিক্ষোভে নেমেছেন লক্ষাধিক মানুষ। যুদ্ধ থামানোর দাবিতে চলে সই সংগ্রহ । সূত্রের খবর, ১০ লক্ষের বেশি সই-সহ পিটিশন জমা পড়েছে প্রেসিডেন্টের দফতরে।
সূত্র মারফত আরও জানা গেছে, মস্কোও নাকি চায় সমঝোতায় পৌঁছতে। এ যুদ্ধে তাদেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের । ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী, রাশিয়ার ১৪৬টি ট্যাঙ্ক, ২৭টি যুদ্ধবিমান, ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে তারা। কিন্তু প্রবল আগ্রাসনেও গত চার দিনে ইউক্রেনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করতে পারেনি রাশিয়া। তারা শুধু দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দু’টো ছোট শহর কব্জা করেছে। বাকি সর্বত্র প্রবল বাধার মুখে পড়েছে রুশরা।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। আটকে পড়া ভারতীয়দের(indian) উদ্ধারের প্রয়াস জারি। বিশেষ বিমানে তাদের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে(prime minister) ফোন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয়দের ফেরাতে সাহায্য করার জন্য দুই দেশের প্রধানকে ধন্যবাদ জানান মোদী। আপাতত রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাক রিপাবলিক ও পোল্যান্ড থেকে বিশেষ বিমানে করে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) থেকে সোমবার একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে এদিনই নরেন্দ্র মোদী রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলে লনেলকে ফোন করেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে ক্ষোভপ্রকাশও করেন তিনি। সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেওয়ার উপর জোর দেন মোদী।
PM Modi today spoke on phone with Eduard Heger, PM of Slovak Republic & thanked him for the assistance provided by Slovak Republic in the evacuation of Indian citizens from Ukraine; PM requested for Slovak Republic’s continued assistance in the next few days as well: PMO
— ANI (@ANI) February 28, 2022
কেন্দ্রের তরফে ভারতীয়দের উদ্ধারে প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রাক্তন উড়ানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং রয়েছেন এই তালিকায়।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক বৈঠকও করেছেন তিনি। পড়ুয়া সহ বহু ভারতীয় এই মুহূর্তে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। সমস্ত পরিবারের তরফেই ভারত সরকারের কাছে আর্জি, যেভাবেই হোক নিরাপদে তাদের পরিবারের সদস্যকে দেশে ফেরানো হোক। খুব স্বাভাবিকভাবেই সরকারও এ নিয়ে যথেষ্ট তৎপর।
উল্লেখ্য়, ভারতীয়দের উদ্ধারে গত বৃহস্পতিবারই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ার লাগাতার বোমাবর্ষণ এবং ইউক্রেনের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ওই বিমানটিও ফিরে আসে। পরে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জরুরি বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে উদ্ধারকার্য চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাক রিপাবলিক ও পোল্যান্ড থেকে বিশেষ বিমানে করে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অব্যাহত। ইউক্রেনে বিভিন্ন দিক থেকে রাশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করেছে রুশ সেনাবাহিনী। রবিবার খারকিভে প্রবেশ করে রুশ সেনা। এছাড়াও দফায় দফায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চলে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতবর্ষ একটা বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। ইউক্রেনের বিষয়ে কেন্দ্রের পাশে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পাশাপাশি ইউক্রেনে ছাত্রছাত্রী ছাড়াও যে সব ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতি নিয়ে চিঠিতে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই দুপক্ষ বেলারুস সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বৈঠকে বসার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তবে হামলা জারি রেখেছে রাশিয়া। রবিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটায় রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী।
ইউক্রেনের বহু বাসিন্দাই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনে আটকে থাকা বহু ভারতীয়। শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত ৬ টি বিমানে কয়েক হাজার ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় বহু পড়ুয়া তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আর্জি জানিয়ে বাঙ্কারের মধ্যেই ভিডিও তুলে পোস্ট করছেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় রাশিয়া-ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরাজ্যের আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যর জন্য নবান্নে খোলা হয় জরুরিকালীন কন্ট্রোল রুম। এরপরই নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রায় পাঁচদিন ধরে চলা রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার নাম নেই। ন্যাটো ও মস্কোর হুঙ্কারে পরিস্থিতি ক্রমে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার রাশিয়ান ভদকা নিষিদ্ধ করল আমেরিকা ও কানাডা। ইউক্রেনের উপর হামলার মাশুল গুণতে হবে বিখ্যাত রাশিয়ান ভদকাকে। পুতিনের ভদকার পরিবর্তে ইউক্রেনের সুরার উপর জোর দিচ্ছে পশ্চিমী দেশগুলি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বেশ কয়েকটি রাজ্য রাশিয়ান ব্র্যান্ডের মদ বয়কট করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে শনিবার গভর্নর ক্রিস সুনুনু ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ার তৈরি এবং রাশিয়ান ব্র্যান্ডের মদ, ওয়াইন আউটলেট থেকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, নিউফাউল্যান্ড এবং ম্যানিতোবার মদের দোকানগুলি রাশিয়ান মদ বিক্রি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছেন। কেবল তাই নয়, কানাডার অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা অন্টাতিও-তে লিকার কন্ট্রোল বোর্ড অব অন্টারিওকে রাশিয়ান সমস্ত মদ বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানকার ৬৭৯টি মদের দোকান থেকে রাশিয়ান ভদকার বোতল সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভারমন্টের এক বারকর্মী রাশিয়ার জনপ্রিয় ভদকা স্টোলিচানায়ার বোতল খুলে তা নর্দমায় ফেলে দিতে দিতে বলছেন, “দুঃখিত, আমরা রাশিয়ার জিনিস বিক্রি করি না।”
Bars and liquor store owners in the west are throwing away their entire stock of Russian vodka because they’re racist.
— 🅹🅾🅴🆈աrecκ ☭ (@joeywreck) February 26, 2022
A reminder when France refused to side with the U.S. lies against Iraq in 2003, American restaurants changed the name of “French fries” to “freedom fries”. pic.twitter.com/hZbxeYncFg
উল্লেখ্য, রাশিয়ার এই যুদ্ধংদেহি মনোভাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমের দেশগুলি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কথা বারবার বলা সত্ত্বেও এখনও অব্যাহত যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি। ইউক্রেনের ওপর ত্রিমুখী আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এই আবহে নিরাপত্তা পরিষদে ফের বিশেষ বৈঠক, ভেটো দিয়েও রুখতে ব্যর্থ রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে আমেরিকার প্রস্তাবের পক্ষে ১১টি ভোট পড়লেও রাশিয়ার ভেটোর ফলে তা পাস হয়নি। আগে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার খসড়া প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে ভারত, চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেই আলোচনার পর ফের জরুরি বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্যদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই অধিবেশনের সপক্ষে ভোট দেওয়ায় জরুরি অধিবেশনের আয়োজন করা হবে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই এই জরুরি অধিবেশন শুরু হতে পারে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার লাগাতার আক্রমণ বন্ধ এবং সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছিল। কিন্তু নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাশিয়া। গত শুক্রবার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় রাশিয়া। এই প্রেক্ষিতে রবিবার আবারও জরুরি বৈঠক ডাকে রাষ্ট্রপুঞ্জ। জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ এই অধিবেশনে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ১৯৩ সদস্যকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়। সেখানেই ঠিক হয়, ফের বৈঠক হবে সোমবার।
তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে ভারত এবং চিন। কিন্তু ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত যে উদ্বিগ্ন, তা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি। পাশাপাশি ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়, বিশেষত পড়ুয়াদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, তাও ব্যক্ত করেছেন টিএস তিরুমূর্তি।
রাশিয়ার প্রস্তাব প্রথমে কার্যত বিফলেই গিয়েছিল। কারণ, আলোচনার জায়গা হিসেবে বেলারুসকে মেনে নেননি জেলেনস্কি। অবশেষে রবিবার রাতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আলোচনায় সম্মতি দিলেন। অবশ্য যে বেলারুসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসা নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল, সেখানেই বৈঠকে বসতে তিনি রাজি হন। উল্লেখ্য, বেলারুস নিয়ে তাঁর আপত্তির মূল কারণ ছিল, এখানেই লঞ্চ প্যাড বানিয়ে রাশিয়া তাঁদের দেশের ওপর আক্রমণ শানিয়েছে। এমনকী তিনি ইস্তানবুল, বুদাপেস্ট, বাকু সহ চার-পাঁচটি জায়গায় আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শেষমেশ বেলারুসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর আশ্বস্ত হয়েই তিনি বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মতি দেন। সোমবার বিকেলে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তিনি জানান, এই বৈঠক আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, তা তাঁর জানা নেই। তবুও তিনি চান, একজনও ইউক্রেনীয়র যাতে সংশয় না থাকে যে তিনি যুদ্ধ থামাতে কোনও চেষ্টাই করেননি।
তাই ইউক্রেন আগাগোড়া দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার যে মানসিকতা দেখিয়ে এসেছে, তা থেকে তারা একচুলও সরেনি। সেখানকার বিদেশমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আগাম কোনও শর্ত নিয়ে তাঁরা আলোচনার টেবিলে বসছেন না। আর সহজে সূচাগ্র মেদিনীও হাতছাড়া করবেন না।
পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁর নিউক্লিয়ার প্রতিরোধ বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমী দেশগুলি যেভাবে পুতিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর এই অাগাম রণসজ্জা বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।
গতকাল রবিবার ছুটির দিনে আচমকাই বৃষ্টি নেমেছিল কমবেশি রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। বৃষ্টিতে বাতাসও অনেকটা শীতল হয়ে বেশ কিছুটা আরামদায়ক পরিস্থিতি এনে দিয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস, তাতে নতুন করে কোনও নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সৃষ্টি না হলে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কারই থাকবে। তবে শুধু আজ নয়, ফেব্রুয়ারি-মার্চের এই সন্ধিক্ষণে অাবহাওয়ার এই পরিবর্তন স্থায়ী হবে অন্তত ৪-৫ দিন। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের জন্যও একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও আগামী ৪-৫ দিনে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না। উল্লেখ্য, গত কদিনে বাতাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এমনিতেই অনেকটা বেড়ে গেছে। যেমন কলকাতার কথাই ধরা যাক। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়ে যায়, ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সল্টলেকের তাপমাত্রা ছিল ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে তো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘর ছুঁয়ে নিয়েছিল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ১৮.৩ এবং ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিং শৈলশহরের তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৫ ডিগ্রির ঘর ছুঁতে চলেছে।
উত্তরের হাওয়া আসা কার্যত বন্ধ। বসন্তের কোকিলের সঙ্গেই শুরু হয়ে গেছে দক্ষিণের মৃদুমন্দ হাওয়া। বায়ুমণ্ডলের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে পরিষ্কার, শীত কেটে গিয়ে বঙ্গে ঘটে গিয়েছে বসন্তের আগমন।
শীতের বিদায় শুধু আবহাওয়া অফিসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। কারণ, আবহাওয়াবিদরা বরাবরই বেশ কয়েকটি সূচকের ওপর নির্ভর করে শীত বিদায়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করে থাকেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে শীতের প্রকোপ উধাও হলেও তার জেরে সরকারিভাবে শীতের বিদায় বলা যায় না। তবে আবহাওয়া অফিস যবেই ঘোষণা করুক না কেন, বাড়ি বাড়ি লেপ-তোষক তুলে রাখার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ মোটামুটি শীতকে বিদায় জানিয়েই দিয়েছে।
অবশেষে কি আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘটতে চলেছে? প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কিন্তু এবার রুশ প্রেসিডেন্ট নিজেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব রাখলেন জেলেনস্কির কাছে। আর তাতে রাজিও জেলেনস্কি। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুস। রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর দু'টো নাগাদ রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়, বেলারুসে আলোচনা করা যেতে পারে।
Kremlin says ready for talks with Ukraine in Belarus: AFP News Agency #RussiaUkraineConflict
— ANI (@ANI) February 27, 2022
এই প্রস্তাবের কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের তরফ থেকেও উত্তর দেওয়া হয়। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি জানান, তিনিও আলোচনায় বসতে রাজি, কিন্তু তাঁর একটি শর্ত আছে। জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তিনি বেলারুসে আলোচনায় বসতে রাজি নন। বেলারুসের পরিবর্তে যে কোনও জায়গা হতে পারে। ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তানবুল, বাকু— এই কয়েকটি জায়গার প্রস্তাবও জেলেনস্কি রাখেন আলোচনার জন্য।
President Volodymyr Zelensky said Ukraine is willing to hold talks with Russia - but not in neighbouring Belarus as it's being used as a launchpad for invasion. "Warsaw, Bratislava, Budapest, Istanbul, Baku. We proposed all of them," he said in an online address: AFP News Agency
— ANI (@ANI) February 27, 2022
তবে কি তীরে এসে তরী ডুবতে চলেছে? বেলারুসেই কেন আপত্তি? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সে উত্তরও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আলোচনাস্থল বেলারুস ব্যবহার করেই ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রাশিয়া। তাই ওই স্থানে কোনও আলোচনা করতে চান না তিনি।
যদিও জেলেন্সকির এই প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক কোনও জবাব আসেনি রাশিয়ার তরফ থেকে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের আকাশপথ। রবিবার সকালে অবশেষে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হল বলে খবর।
রবিবার পূর্ব ইউরোপের একটি টিভি চ্যানেল তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে খবরটি প্রকাশ করে। শনিবার রাতভর ইউক্রেনের একাধিক শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। প্রথম থেকেই রুশ বাহিনীর নজরে ছিল ইউক্রেনের গ্যাসের পাইপলাইন এবং তেল ভাণ্ডার। রবিবার সকালে খারকভ শহরের গ্যাস পাইপলাইন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে রাশিয়া। বিস্ফোরণও ঘটেছে গোটা এলাকায়, এমনটাই খবর। কিয়েভের তেলভাণ্ডারেও আঘাত হেনেছে তারা। রবিবার বেলার দিকে খারকভ শহরও মস্কো বাহিনী দখল করেছে বলে দাবি করেছে রুশ মিডিয়া। যদিও সে কথা মানতে নারাজ ইউক্রেন।
রাজ্যে জুড়ে একাধিক জায়গা থেকেই বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর সকাল থেকেই উঠে আসছে। তারই মধ্যে মুশির্দাবাদেও ধুন্ধুমার। মুশির্দাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে সকালে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। কিন্তু পুলিস যেতেই পুলিসকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটবৃষ্টির আঘাতে জখম বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরাক্কার এসডিপিও আসিম খান। তবে অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই এসডিপিও-র উপর হামলা করা হয়। জখম হয়েছেন এসডিপিও।
সমস্ত ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগ, নির্দল প্রার্থী এই হামলা ও বোমাবাজি করেছে। যদিও পাল্টা নির্দল প্রার্থী তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
অন্যদিকে ধুলিয়ান পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা উত্তমকুমার ঘোষকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। এমনকি বন্দুকের বাঁট দিয়েও মারা হয় তাঁকে। অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সামসেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
একই ঘটনা ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। বুথের ভিতর থেকে ধাক্কা মেরে বিজেপি এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এজেন্টদের মোবাইলও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত মণ্ডলের অভিযোগ, সমস্ত ঘটনায় পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
ধুলিয়ান পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে বোমের আঘাতে গুরুতর চোখের আহত পান একজন কনস্টেবল। তড়িঘড়ি পুলিস প্রশাসন তাঁকে প্রথমে সামশেরগঞ্জ অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাশাপাশি সকাল থেকে ঠিকমতো ভোট গ্রহণ না হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছিল। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ সেখানে গন্ডগোল শুরু হয়। বুথ দখল করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে থাকে বিশাল পুলিস বাহিনী।
একইসঙ্গে ধুলিয়ান পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬০, ৬১, ৬২ এবং ৬২ এ- এই চারটি বুথে তৃণমূলের ঝাণ্ডা লাগিয়ে টোটোতে করে ভোটারদের নিয়ে আসার অভিযোগ। বুথের ভিতরে বুকে তৃণমূলের প্রতীক পরে ঘোরাফেরা করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠে আসে। ঘটনার পর পুলিস তড়িঘড়ি আটক করে টোটো চালকদের।
পাশাপাশি ভোট দিতে যাবার পথে আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মী। ধুলিয়ান পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন এক কংগ্রেস কর্মী জামিরুল ইসলাম। সেইসময় তাঁকে তৃণমূলে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, সমস্ত মহিলা ও পুরুষদেরও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময় প্রতিবাদ করলে ওই কংগ্রেস কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিসের সামনে মারধর করা হলেও কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীর।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রবির সকালেই দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে থাকল মুম্বইয়ের একাংশ। ব্যাহত ট্রেন পরিষেবাও। যার ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় চলমান মুম্বইয়ের গতি।
সেন্ট্রাল রেলওয়ে জানিয়েছে, মেইন লাইনে ক্ষণিকের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সকাল ৯.৪৯ থেকে ট্রেন পরিষেবায় প্রভাব পড়ে। তবে ১০.৫৩ -এর মধ্যে পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি সমস্ত ট্রেন পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এহেন পরিস্থিতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, মুলুন্দ-ট্রম্বের টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমএসইবি ২২০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসে যাওয়ায় মুম্বইয়ের বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট জানিয়েছে, “টাটা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার গ্রিডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সিওন, মাটুঙ্গা, পারেল, দাদর, সিএসএমটি, বাইকুল্লা, চার্চগেট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অক্টোবরের পর ফের রবিবার মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
রবিবার সকালে হ্যাকড হয়ে গিয়েছিল জেপি নাড্ডার (Nadda Twitter Account Hacked) ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। ইউক্রেন সঙ্কটে পাশে দাঁড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহের আবেদন করা হয়েছিল। নাড্ডার (JP Nadda) ট্যুইটে সেই পোস্ট দেখেই সন্দেহ হয়। এমনটাই সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
সেই ট্যুইটে উল্লেখ, ইউক্রেনের মানুষের সঙ্গে সহমর্মী। এখন বিটকয়েন এবং এথেরামের সাহায্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুদান সংগ্রহ চলছে।' সেই পোস্ট ঘিরে হইচই হতেই ডিলিট করা হয়ে বিতর্কিত পোস্ট। এবং পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাড্ডার ট্যুইটার হ্যান্ডেল।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে টার্গেট করেছিল হ্যাকাররা। নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েনকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এমন ট্যুইট করা হয়েছিল। যার জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রক।
কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। মাইনাস সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে কেউ বাসে, আবার কেউ গাড়িতে অথবা হেঁটে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিচ্ছেন বহু ভারতীয় পড়ুয়ারা। দেশে ফেরাই তাঁদের এখন একমাত্র উদ্দেশ্য।
সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সর্বত্র ইউক্রেনে আটকে থাকা পড়ুয়া এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফেরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাকুতি-মিনতি করতে দেখা যায়। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছেন তাঁরা। একদল সীমান্তের প্রায় কাছেই পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে পড়তে হচ্ছে আরেক সমস্যার মুখে।
ভারতের তরফ থেকে পড়ুয়াদের বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পোল্যান্ড কিংবা হাঙ্গেরির সীমান্তে যেন কোনওভাবে চলে আসেন। এরপরই অনেকে উদ্যোগ নিয়ে ভয়ে ভয়ে রাস্তা বের করে সীমান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সীমান্ত পার হতে গেলেই ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে চাওয়া হচ্ছে টাকা। ২০০ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা না দিলে সীমান্ত পেরনো যাবে না। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে। এমনকি রাশিয়া, পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের বাসিন্দারাই নাকি কেবল সীমান্ত পার হতে পারছেন।
এরপরই আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। ভারত সরকারের কাছে করজোড়ে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ভারত এখনও কোন পক্ষে রয়েছে, তা জানায়নি। এর ফলে ভারতীয় পড়ুয়াদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন থেকে শনিবার ভারতীয় পড়ুয়ারা জাহনি ক্রসিং হয়ে ইউক্রেনের দিক থেকে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে তাঁদের ইন্ডিয়ান বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বুদাপেস্ট। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ২১৯ জন ভারতীয়কে নিয়ে সকাল ১১টা নাগাদ মুম্বই পৌঁছয় ওই বিমান। আর দ্বিতীয় বিমানটি রবিবার ভোরে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি পৌঁছেছে বলেই খবর।
ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছিল সৌরভ সিংকে। সম্পর্কে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিং। কিন্তু নির্বাচনের আগেই শেষ মুহূর্তে বিজেপি সাংসদের ভাইপো সৌরভ সিং দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে দলীয় প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে পারলেন না ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং।
কিন্তু ভাটপাড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর কানে আসতেই তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। তারপরই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ ও ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিসের লাঠিচার্জ। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে বুথ দখলের চেষ্টা করছে শাসকদল। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন তিনি।
ব্যাপক উত্তেজনা ভাটপাড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জগদ্দল ৯ নম্বর গলির গণেশ প্রাইমারি স্কুলে। রবিবার ভোটের দিন সকাল ১০ টা নাগাদ তৃণমূল প্রার্থীর ছেলে ভুয়ো ভোটারদের লাইনে দাঁড় করায়। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী সাধনা সিংয়ের ছেলে অঞ্জন সিং ভুয়ো ভোটারদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। জগদ্দল থানার আইসি প্রদীপ কুমার ডানের নেতৃত্বে পুলিশ এসে বহিরাগতদের তাড়া করে বুথের কাছ থেকে হটিয়ে দেয়। তবে অর্জুন সিং এদিন বলেন, মানুষ উত্তর দিয়ে দেবে।