
বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ট্রেনের (Train) সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা (Deganga) থানার বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস (Police)। শুক্রবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বারাসত নিয়ে যাওয়া হয় রেল পুলিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম ডেভিড দেবনাথ(৩২)। তিনি দেগঙ্গা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বারাসত-হাসনাবাদ শাখার ভাসিলা-হাড়োয়া রোড ষ্টেশনের মাঝে বনবিবি তলায় শেষ ডাউন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বার হন ডেভিড। রাতে বাড়ি ফিরছে না দেখে তাঁর স্ত্রী ফোন করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি ডেভিডের ফোনটি ধরে আত্মহত্যার কথা জানান। তারপরেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
তীব্র দাবদাহে (Heatwave) পুড়ছে বঙ্গবাসী। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। দক্ষিণবঙ্গে এখনও কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মাসের 8 জুন কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে বাংলায় বর্ষা আসার সময় চলে এলেও এখনও অবধি বর্ষা প্রবেশ করে নি। বাঁকুড়া জেলায় গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। সঙ্গে রয়েছে বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। আর এই দুটি কারণে কার্যত হাঁসফাঁস করছে বাঁকুড়া জেলার মানুষ। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া বজায় থাকবে। আপাতত এই অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই নেই বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
ফের এক বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল এক যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। এবারে দুর্ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুনিন্নাভুর। রেল ট্র্যাকের উপর গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot)। আর এর ফলেই ফের এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন শতাধিক যাত্রী।
রেলসূত্রে খবর, রেললাইনের উপরে নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলা ছিল। আর সেটিই দূর থেকে দেখতে পান লোকো পাইলট। এতে ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এই ঘটনার পরই রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিসকে খবর দেন তিনি। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এরপর রেললাইনের উপর থেকে গুঁড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে কোথা থেকে গাছের গুঁড়ি এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর এক স্থানীয়ের নাম সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, তিরুনিন্নাভুরের সেন্থিল নামে এক ব্যক্তি নারকেল গাছ কেটে তার একটা গুঁড়ি রেললাইনের উপর রেখে চলে যায়। তবে এর পিছনে কী উদ্দেশ্য, কেন এমনটা তিনি করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডের রেশ কাটেনি। আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এই প্রথম নয়, করমণ্ডলের পর একাধিক মালগাড়ির লাইনচ্য়ুত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন একমাত্র লোকো পাইলটের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছে বলে দাবি পুলিসের।
তাপমাত্রার পারদ (Mercury) চড়ছে। এরফলে গরমের তীব্র (Heatwave) দহনে পুড়ছে বঙ্গবাসী। বর্ষা আসার সময় চলে এলেও এখনও পর্যন্ত কিন্তু বর্ষার দেখা মেলেনি। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। সেকারণে হাঁসফাঁস করা গরম সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেই স্বস্তির খবর শোনাল মৌসম ভবন।
হাওয় অফিস তরফে খবর, কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ দুই মেদীনিপুর ও দুই পরগনা জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। সেক্ষেত্রে বেলা যতই বাড়বে সঙ্গে তাপমাত্রা ঠিক ততটাই বাড়বে। ফলে তাপমাত্রা ৪০ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে এই সপ্তাহেই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) ঘটনার পর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবারে দুর্ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) জবলপুর (Jabalpur)। মঙ্গলবার রাতে একটি রান্নার গ্য়াসবোঝাই ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে মেন লাইনের কোনও ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে।
রেলসূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে লাইনচ্যুত হয় দু'টি ওয়াগন। জবলপুরের শাহপুরা ভিটোনি স্টেশনে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের এলপিজি রেকের দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এর প্রভাবে মেন লাইনে ট্রেন চলাচলে কোন প্রভাব পড়েনি। এই আবহে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা। তবে মেন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাতের দুর্ঘটনার পর বুধবার সকালে সেই লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে মালগাড়ী পুনরুদ্ধারের কাজ। তবে এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মালগাড়ির ওয়াগন কীভাবে লাইনচ্যুত হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ফের বিপাকে ট্রেনযাত্রী! বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল তাঁরা। জানা গিয়েছে, কেরলে (Kerala) যাত্রীবাহী ট্রেনে (Train) আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ঘটনায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি দেশবাসীর। তার মধ্যেই ফের ট্রেনের এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে।
রেলসূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিট নাগাদ কান্নুর-এর্নাকুলাম ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের (Kannur-Ernakulam Intercity Express) ১টি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তার আগেই অন্য যাত্রীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তার পর তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে রেলের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, 'এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন মানসিক ভারসাম্য়হীন ও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, গত ২ মাসে এমন ধরণের ঘটনা অর্থাৎ ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ২টি ঘটেছে কেরলে। গত এপ্রিলে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল কোঝিকোড় জেলায়। এরপর গত ১ জুন ট্রেনের একটি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। প্রথম ঘটনায় ১ শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যু ও ৯ জন আহত হলেও দ্বিতীয় ঘটনায় সবাই নিরাপদ ছিলেন।
ফের (Odisha) ট্রেনে বিপত্তি। মঙ্গলবার সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেস (Secunderabad-Agartala Express) ট্রেনের একটি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এরপর ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামাতে বাধ্য় হন রেলকর্মীরা। ধোঁয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। কোনও বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় তাঁরা কামরা বদলের দাবি জানাতে থাকেন। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পরে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। তবে কোনও হতাহতের খবর আসনি বলে সূত্রের খবর।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে একের পর এক ট্রেনে বিপত্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। এবারে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের বি-৫ অর্থাৎ এসি কোচ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে থাকলে যাত্রীরা ভয়ে-আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এরপর ট্রেনটিকে ব্রক্ষ্মপুরে থামিয়ে দেওয়া হয়। কেবলমাত্র বি-৫ কোচই নয়, পাশাপাশি অনেকগুলি কোচ থেকেই যাত্রীরা নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলওয়ে কর্মীরা।
রেলসূত্রে খবর, সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসটির এই কামরাতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছিল। তবে সেই আগুন সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ট্রেন থামানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত হয় রেলে কর্মরত কর্মীরা। কিছুক্ষণ ধরে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি।
সকাল থেকেই প্রখর রোদের তাপ। বেলা বাড়তেই সূর্যের তাপও বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিন ধরে এমনই গরমে হাঁসফাঁস করছে কলকাতা (Kolkata) সহ গোটা রাজ্য়। আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে আপাতত বৃষ্টির (Rain) কোনও পূর্বাভাস না থাকায় অস্বস্তিকর গরম থেকে এখনই রেহাই পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহে সূর্যের তীব্র দাবদাহে পুড়বে বঙ্গবাসী। বেশ কয়েকটি জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া মুর্শিদাবাদের দু’একটি জায়গায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, ও মুর্শিদাবেদের দু’একটি জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও বইবে মারাত্মক গরম হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিতেও চলবে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বাড়বে দার্জিলিং ও কালিম্পং। তবে কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও গরম বৃদ্ধি পাবে। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
যে হারে গরম পড়েছে, তাতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন রাজ্য়বাসী। দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। তবে এই বছরে একটু দেরি করে বর্ষা আসবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কবে বাংলায় প্রবেশ করবে বর্ষা, তা এখনও জানায়নি মৌসম ভবন।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondeal Express) দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রিয়জনকে হারিয়েছেন অনেকে। সেই ক্ষত সারতে এখনও সময় লাগবে অনেকটা। আর এধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ট্রেনে ওঠার আগে বিমা করে রাখতে ভুলবেন না। খুব কম খরচেই বিমা করার সুযোগ দিচ্ছে রেল। টিকিট কাটার সময় মাত্র ৩৫ পয়সা খরচ করতে হবে। তাহলেই মিলবে বিমার সুবিধা। রেল দুর্ঘটনায় কোনও বিমা (Insurance) করা যাত্রীর মৃত্যু হলে, তিনি পেয়ে যেতে পারেন ১০ লক্ষ টাকা।
কোনও যাত্রী দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেও পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েন, তবেও তিনি ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। যদি আংশিক অক্ষম হন, পাবেন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য ২ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়। রেল দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার খরচ হিসাবেও আইআরসিটিসি ১০ হাজার টাকা দেবে বলেই বিমার নিয়ম বলছে।
বিমার সুবিধা পাওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে। কনফার্ম টিকিটের সঙ্গে আর এসি টিকিটেও মেলে বিমার সুবিধা। টিকিট কাটার পরে মোবাইলে বিমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেয় আইআরসিটিসি। তবে বিমা বাধ্যতামূলক নয়।
২ জুন, শুক্রবারের ওই অভিশপ্ত রাত এখনও কেউ ভুলতে পারেননি। এবার আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে। ঘটনাস্থল সেই ওড়িশা (Odisha)। জানা গিয়েছে, ওড়িশার বারগড় জেলার মেধাপালির কাছে মালগাড়ির (Freight Car) পাঁচটি কামরা বেলাইন হয়েছে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।
জানা গিয়েছে, চুনাপাথর ভর্তি ওই মালগাড়ি ন্যারোগেজ লাইন দিয়ে খনি এলাকা থেকে সিমেন্ট কারখানা পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয়। ভারতীয় রেলের অন্তর্গত নয়। এমনই জানিয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। কী কারণে বেলাইন হল মালগাড়ি, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধেবেলায় ৭ টা নাগাদ বেলাইন হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয় মালগাড়ি ও বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের প্রাণ গিয়েছে।
তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি রাজ্যের আট জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সাত জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর মৌসম ভবন সূত্রে।
সোমবার সকালে দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই দুদিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে আবহাওয়া দফতরের তরফে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী দিন কয়েকে দিনের তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
সোমবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রপাত-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৮ ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।
বালেশ্বরের (Balasore) ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের প্রাথমিক দাবি, সিগন্যালের (Signal) সমস্যার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় আহত যশবন্তপুরের চালকের (Driver) বয়ানে কিন্তু অন্য তথ্যই উঠে এসেছে। হাসপাতালে আহত যশবন্তপুরের চালক সিআর রথের দাবি, পাশাপাশি দুটি ট্র্যাক দিয়েই ছুটছিল দুটি ট্রেন। তাঁর ট্রেনের পিছনের চারটে বগি কীভাবে খুলে গেল, তা তিনি বুঝতে পারেননি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চালকের এই বয়ানের সঙ্গে অবশ্য মিলছে না রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় সুস্থ আছেন তিনটি ট্রেনের চালক, সহকারি চালক এবং গার্ডেরা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই বালেশ্বরের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এনেছিল রেল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, সিগন্যাল বুঝতে না পেরে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দাবি করেন, লুপ লাইনে যদি দ্রুত গতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে যায়, তাহলে মালগাড়ি অক্ষত রইল কী ভাবে। কী ভাবে পাশের ট্র্যাকে ছিটকে এল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া যশবন্তপুরের চারটি বগি? রেল জানায়, বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট পরে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে রবিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাহানাগায় কাজ প্রায় শেষের পথে। লাইন থেকে সরানো হয়েছে দুমড়ে যাওয়া বগি। রেলের দাবি এই ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কমবেশি ২১টি বগি হয় লাইচ্যুত না হলে আটকে গিয়েছিল।
মণি ভট্টাচার্য: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) এখনও অবধি মৃত ২৮৮। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০০-এর বেশি। এ অবস্থায় একদিকে এখনও যেমন চলছে উদ্ধারকার্য, তেমনই চলছে বিভাগীয় তদন্ত। এ অবস্থায় আনরিজার্ভড বা জেনারেল কামরায় থাকা যাত্রীদের অধিকাংশ মৃতদেহ সনাক্ত করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রিজার্ভড কামরার যাত্রীদের তথ্য ঘেঁটে তাঁদের মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে রেল। কিন্তু কিছু মৃতদেহ বা আহতের পরিচয়ের খোঁজ এখনও পায়নি রেল কর্তৃপক্ষ।
এই সমস্যার সমাধান করতে রেলের ওয়েবসাইটে বা বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের ছবি দিয়ে খোঁজ চালানো হবে, এমনটা আগেই সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছিল ওড়িশার মুখ্য সচিব। এবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের ওয়েবসাইটে এই দুর্ঘটনায় আহত ও মৃতের ছবি সহ তথ্য আপলোড করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, 'আপাতত যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেছে তাদের ছবি আপলোড করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পরিবারকে মৃতদেহ বা আহত ব্যক্তিদের তুলে দেওয়া হবে।'
নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট গুলির মাধ্যমেই খোঁজ চালানো হচ্ছে।
নিহতদের খোঁজের জন্য
আহতদের খোঁজের জন্য
ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সিগন্যালিং বিভ্রাটের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।' সাম্প্রতিক কালে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি রেলের। এর পিছনে আদতে কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে উচ্চবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশি। তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার আসল কারণ তদন্তের রিপোর্টেই পাওয়া যাবে। যদিও এই ঘটনায় রেলের গাফিলতি বলেই দাবি সাধারণের। পাশাপাশি রেল আধিকারিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দীপিকা দাস: প্রাথমিক তদন্তে (Preliminary Probe) উঠে এল, ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনের কারণ। সিগন্যাল (Signal) ত্রুটির জন্যই ওড়িশার বালেশ্বরে প্রাণ গেল ২৮৮ জনের, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। শনিবার সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, একটি যৌথ পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিগন্যালের ত্রুটির কথাই জানিয়েছেন। লুপ লাইনে ঢোকার ফলেই নাকি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। তবে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে ও বিস্তারিত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে আসবে যে, ঠিক কী কারণে এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত ভাবে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের পর জানা গিয়েছে, যে এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা হার মানিয়েছে গাইসলের দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকেও।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। আবার আহত হয়েছেন ১০০০-এর বেশি। এরপরই সিএন ডিজিটালের তরফে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, আপ মেন লাইনে সিগন্যাল দেওয়া ছিল কিন্তু পয়েন্ট ছিল লুপ লাইনে। ফলে সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।' তিনি আরও জানিয়েছেন, 'এই তথ্য একেবারেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনা চূড়ান্ত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে জারি করা হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি।'
এছাড়া এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তাপমাত্রা আরও তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে চলেছে। পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এমনকি তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছাড়াতে পারে। তীব্র গরমে নাজেহাল (Weather) অবস্থা রাজ্যবাসীর। বৃষ্টির অপেক্ষায় শহর কলকাতা (Kokata)। যদিও আপাতত ভারী বৃষ্টির (Rain) কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিস।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার তাপপ্রবাহজনিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায়।এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। শনি ও রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকাতে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। যদিও এতে আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বাকি পাঁচ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এর পরে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে।