সামনেই দুর্গা পুজো (durga puja), আর তার আগেই রাস্তা (road) সারাইয়ের কাজে গতি আনতে চাইছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ (Kolkata Municipal Authority)। রাস্তার খানাখন্দ খুঁজতে রাতে শহরে ঘুরবেন মেয়র পারিষদও।
জানা যায়, পুজোর আগেই রাস্তার সমস্ত খানাখন্দ ভরাট করা হবে। বুধবার থেকে সড়ক বিভাগের ডিজি রাস্তায় নেমেছেন। এদিন মেয়র পারিষদ (সড়ক) অভিজিৎ মুখোপাধযায় আশ্বাস দেন। তিনি জানান, পুজোর আগে সমস্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করে ফেলা হবে। তিনি আরও জানান, বোরো ভিত্তিক রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। পুজোর আগে শহরে সমস্ত খানাখন্দ মেরামতি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে শহরে বেশ কয়েকটি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে পুজোর আগে সিআর এভিনিউ এবং রবীন্দ্র সরণী রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করতে চলেছে পুরসভা। জোকা ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে চড়িয়ালখাল এমজি রোড থেকে জেমস লং সরণী রাস্তাও চওড়া করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ অগাস্ট মেয়র পারিষদ বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তবে পুজোর আগে যেখানে সামান্য রাস্তা খারাপ, সেই রাস্তায় প্যাচ ওয়ার্ক করা হবে। আর যেসব রাস্তা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে সেটা পুরোপুরিভাবে সংস্কার করা হবে বলে জানালেন মেয়র পারিষদ সড়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
বাঙালির প্রাণের উত্সব দুর্গাপুজো(Durgapuja)। ইউনেস্কোর(UNESCO) সম্মানে ১ সেপ্টেম্বর রঙিন মিছিল করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শুরু হবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউ ধরে ধর্মতলায় শেষ হবে। আর এই বিশাল মিছিলকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পৌর সংস্থার(Kolkata corporation) আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ। শুক্রবার মেয়র পারিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের সন্দীপ রঞ্জন বকশি জানিয়েছেন যে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যে সব রুটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে মিছিল করবেন, সেই সমস্ত অঞ্চলের রাস্তার বিদ্যুৎবাহী বা কেবলের তার ঝুলে থাকলে সেটা খুলে ফেলা হবে। তিনি জানান যে ইতিমধ্যে সমস্ত কেবল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৩০ আগস্টের মধ্যে এই রাস্তাগুলি পরিষ্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
শুধু তাই নয় আগামী ৩০ তারিখ মেয়র পরিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ সন্দীপ রঞ্জন বকশি নিজেই দোতলা বাস নিয়ে এই সমস্ত রুটে ঘুরে পরিদর্শন করবেন। সেসময় যদি কোথাও কোনও জায়গায় তার পাওয়া যায় সেটা সঙ্গে সঙ্গে কেটে ফেলা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া এখন থেকেই দুর্গা পুজোকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা। মেয়র পরিষদ আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ সন্দীপ রঞ্জন বকশি আরও জানিয়েছেন যে, সমস্ত ঘাটে এখন থেকে আলো লাগানোর ব্যাবস্থা শুরু করে দেওয়া হয়েছে । দহিঘাট থেকে প্রিন্সেপ ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট থেকে সর্বমঙ্গলা ঘাট। সব ঘাটেই আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে বিসর্জনের সময় যাতে কোনও রকমের অসুবিধা না হয় তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কলকাতা পৌর সংস্থার আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগ ।