
মণি ভট্টাচার্য: দুটি লড়াই-ই সমগোত্রীয়, দুটিই অধিকারের দাবিতে। একটি, রাজ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে, অন্যটি বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে। আর এই দুই লড়াইকেই এখন একই দাঁড়িপাল্লায় মাপছে বাংলার জনসাধারণের একাংশ। একদিকে বাংলায় দিনের পর দিন অধিকারের দাবিতে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবারে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনের চিত্রটিও যেন কিছুটা একইরকম। কখনও খেলেন পুলিশের তাড়া, কিংবা কখনও অভিষেক সহ সমস্ত সাংসদদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঠিক যেমনটা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে করা হয় এ রাজ্যে। দিল্লির পুলিশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিলেন, 'প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'
হ্যাঁ, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি জর্জরিত রাজ্য, ঠিক তখনও রাস্তায় বসে কাতরাচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তখনও হুশ ফেরে না প্রশাসনের। চ্যাংদোলা করে, কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়ে, কখনও রাত বাড়লেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে লাঠিচার্জ, সে এক নির্মম অত্যাচার। এই ঘটনা লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায়, ক্যা-এনআরসি আন্দোলন চলাকালীন কবি আমির আজিজের লেখা কবিতার দুটি লাইন। 'রাত্রি হলে অধিকার দাবিতে গুলি আর লাঠির বাড়ি, যাদের গায়ে আঘাত তাদেরকেই বলা বদমাইশের ধারি,' আন্দোলন ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও লাইন দুটি আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক। এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কখনও তাঁদের কথা শোনেইনি। বরং রাজনীতির আঙিনা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতি জুটেছে তাঁদের। ঠিক তেমনই তৃণমূল দিল্লির রাজপথে ধরণা-প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কেউই শুনলো না তাঁদের কথা, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দেখা মিলল না কেন্দীয় মন্ত্রীর। বরং চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।
আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে বকেয়ার দাবি তুলে দিল্লির রাজপথে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের আন্দোলনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আবাস যোজনা খাতে। সেই টাকার হিসাব তৃণমূল দেখাতে পারছেনা। ফলে গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ সেখানেও টাকার নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি জবকার্ডের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ জবকার্ড ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।
কেন্দীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ধরনা দিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংদেরও জোরপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মোটের উপর প্রথম বারের জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। এরই প্রতিবাদের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, '৩রা অক্টোবর দেশের জন্য কালো দিন।' প্রশ্ন উঠছে, জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে, কামড়ে, লাঠির বাড়ি মেরে বাংলায় প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মারধর করা হয়। ওদের আন্দোলনও তো অধিকারের দাবিতে। ওদের ক্ষেত্রে তবে আপনাকে সরব হতে দেখা যায় না কেন? নাকি আপনি কেবল আপনার সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের যোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিংবা সমস্ত আপামর জন সাধারণের মুখ্যমন্ত্রী নয়?
এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।
কেন্দ্রীয় বিরুদ্ধে ১০০দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। আজ অর্থাৎ সোমবার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজঘাটে প্রায় ঘন্টা দেড়েক এই প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঠিক সে সময় দিল্লি পুলিসের তরফ থেকে এই ধরনা কর্মসূচি উঠিয়ে নিতে বলা হয়। এরপর হঠাৎই সাংসদ এবং তৃণমূল কর্মীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে শুরু করেন দিল্লির পুলিস এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। এরপরেই তৃণমূলের সঙ্গে অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় দিল্লি পুলিসের। এরপরই ফাঁকা হয়ে যায় তৃণমূলের ধরনা অঞ্চল অর্থাৎ রাজঘাট।
সূত্রের খবর, প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরনা চলার পর তৃণমূল সাংসদদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি পুুলিস। ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয় তাদের। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাজঘাট খালি না করলে, জোর করে বের করে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশ মেনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা রাজঘাট থেকে বেরিয়ে এলেও, অভিযোগ হঠাৎ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে শুরু করে সিয়ারপিএফ ও দিল্লি পুলিস।
'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা'র অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) ধরনা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। ধরনার জন্য লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের ধরনার জন্য অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেই জায়গাতেই ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আধ ঘণ্টা ধরনা করার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছে দিল্লি পুলিস। ফলে সোমবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে রাজঘাটে আন্দোলনে বসেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা যখন দিল্লির রাজঘাটে ধরনা-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে, সেসময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৪ বছরের বঞ্চনার কথা বলতে এসেছেন দিল্লিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা চাকরির দাবিতে এখানে ধরনায় বসেছেন। বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এবারে দিল্লি এসেছেন। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে ধরনায় বসবেন, সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস বা 'ইসলামিক স্টেট'-এর তিন জঙ্গি (ISIS Terrorists)। ফলে তাঁদের খুঁজে বের করতে দিল্লিতে চিরুনি তল্লাশি করছে সন্ত্রাসদমন শাখা। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে দিতে পারলেই দেওয়া হবে পুরষ্কার, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখার পক্ষ থেকে। আবার এনআইএ অর্থাৎ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তাদের তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, আইএস জঙ্গিদের খোঁজ দিলেই মাথাপিছু দেওয়া হবে তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যে তাদের খোঁজ দেবেন, তিনি পুরষ্কার হিসাবে পেয়ে যাবেন ৯ লক্ষ টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই তিন জঙ্গির নাম মহম্মদ শেহনওয়াজ সুফিউজ্জামা আলম ওরফে আবদুল্লা, রিজওয়ান আব্দুল হাজি আলি এবং আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ। জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের 'মোস্ট ওয়ান্টেড'। এই জঙ্গিদের দিল্লি কানেকশন প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলও তল্লাশি শুরু করেছে। পুনে পুলিস এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ মিলে নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
শখ করে সোনার ঠাকুর কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতারকের ফাঁদে পড়ে গুরুতর আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়৷ আক্রান্তের নাম অসীম হাওলাদার৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বানীপুর এলাকার বাসিন্দা৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুলতলি থানার পুলিস৷ উদ্ধার করে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হওযায় তাঁকে কলকাতাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুলতলি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সোনার ঠাকুর বিক্রির নামে একাধিক প্রতারণা চক্র সক্রিয় হচ্ছিল৷ অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন দিনের পর দিন৷ গত মাসেই একটি প্রতারণা চক্রকে হাতেনাতে ধরে কুলতলি থানার পুলিস৷ এদিন ফের একই ঘটনা ঘটায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ পুলিস ও প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাসিন্দা অসীম হাওলাদারের সঙ্গে কুলতলির জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা আরিফ শেখের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়৷ আরিফ শেখ সোনার ঠাকুর কেনার জন্য টোপ দেন। কয়েকদিন আগে কুলতলিতে এসে সোনার ঠাকুর দেখেও যান অসীম বাবু৷ শনিবার তা কেনার কথা ছিল৷ সেইমত শনিবার বিকেলে ব্যাগে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তিনি কুলতলিতে আসেন৷
জামতলায় এলে সেখানে তাঁর সঙ্গে আরিফের দেখা হয়৷ আরিফ কুলতলি জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ বাইকে করে অসীম বাবুকে নিয়ে জালাবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় আরিফ৷ তাঁকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলে সন্দেহ হয়৷ তখন পালানোর চেষ্টা করেন৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় তার উপর৷ তার ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা নিয়ে অভিযুক্ত চম্পট দেয় বলে দাবি আক্রান্তের৷
স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন৷ পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে৷
অপরাধীদের ধরতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কলকাতা পুলিশের। শহরজুড়ে প্রায় ৬০টি এমন সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ যেগুলির মধ্যে থাকছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ভিড়ের মধ্যে থেকেও অপরাধীদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে সেগুলি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলি ফেস রেকগনাইজেশন প্রযুক্তিতে তৈরি। যার মাধ্যমে, কোনও ব্যক্তির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশের ক্রাইম রেকর্ডে থাকা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবে। এবং অপরাধীরা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে সেগুলির নাম ফেস রেকগনাইজেশন ক্যামেরা। ওই ক্যামেরা অপরাধ কমাতে আরও সাহায্য করবে বলে ধারণা তাঁর। এমনকী, কেউ নিখোঁজ থাকলেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্ভয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সেগুলি কেনা হয়েছে। আপাতত ৬০টি ওই ধরনের ক্যামেরা বসানো হচ্ছে
মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) উজ্জয়িনীতে (Ujjain) যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিল এক ১২ বছরের নাবালিকা (Minor)। তার রক্তাক্ত-অর্ধনগ্ন অবস্থা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই শিউরে ওঠে মানুষ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এর পরই সেই নাবালিকাকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এক পুলিসকর্তা।
সূত্রের খবর, ১২ বছরের নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার পর তাকে প্রায় ৮ কিমি সাহায্যের জন্য হাঁটতে হয়। সেই নির্মম দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে উঠে আসে। কেউ সাহায্যের হাত না বাড়ালে অবশেষে এক পুরোহিত নাবালিকাকে সাহায্য করেন ও হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিসে খবর দিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতি দেখেই তাকে সব দিক থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মহাকাল পুলিস স্টেশনের ইনচার্জ অজয় বর্মা। এককথায় নাবালিকাকে তিনি দত্তক নিতে চান। তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবরকমের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অজয় বর্মা জানিয়েছেন, তিনি নাবালিকার পরিস্থিতি দেখে শিউরে উঠেছিলেন। তিনি তাকে দত্তক নিতে চান। তবে এর জন্য নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরই দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
হাতির সামনে পড়ে গিয়ে আহত হল দুই পুলিসকর্মী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে ৪০ টি হাতি। বুধবার ওই হাতির দলের একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয় বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই হাতির দল খুব আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাতির দল পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বিষ্ণুপুরোমুখী হয়। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। হাতির দল রাস্তা পারাপার করার সময় একটি হাতি কর্তব্যরত দুই পুলিসের ওপর আক্রমণ করে। ঘটনায় জখম হন ওই দুই পুলিসকর্মী। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে ওই দুই পুলিসকর্মী সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ওই হাতির দল বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়ার্ড টিম ও বনকর্মীদের তৎপরতায় পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর, জয়পুরের জঙ্গল পেরিয়ে গোসাইপুরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হিংজুড়ি, কুশদ্বীপ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাধে অবস্থান করছে। তবে এখনও হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
রাজ্য ও রাজভবনের শীতল লড়াই তো ছিলই। এই আবহেই রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রাজভবনের। অভিযোগ, কলকাতা পুলিস রাজভবনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। রাজ্য ও রাজ্যপালের লড়াই পৌঁছে দিল্লি অবধি। কখনও প্রকাশ্যে সেই লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কখনও শিক্ষা কিংবা কখনও নির্বাচনী হিংসা, বোসের কার্যকলাপে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। সেইমত শাসকদলের মাথা ব্যাথার কারণও তিনি। এরই মধ্যে রাজ্যপাল ও রাজভবনের উপর কলকাতা পুলিসের নজরদারি চালানোর অভিযোগে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবন কতৃর্ক কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে কলকাতা পুলিসের দুই আধিকারিককে রাজ্যপাল যেখানে বসেন, সেখানে ঘোরা-ফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি তাঁদের সেই মুহূর্তে রাজভবন কতৃর্ক চলে যেতে বলা হলেও, সেই মুহূর্তে চলে গিয়ে, ফের ফিরে আসেন তারা। এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর সিন্ধান্ত নেয় রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার রাজ ভবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মাদক মামলায় (Drug Case) গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA) সুখপাল সিং খইরা (Sukhpal Singh Khaira)। বৃহস্পতিবার সকালে চণ্ডিগড়ের সেক্টর ৫-এর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁকে আজ গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিস। জানা গিয়েছে, পুরনো এক মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই এ দিন সকালে জালালাবাদ পুলিস তাঁর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সুখপাল সিং খইরার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। সেই ভিডিও-তে দেখা যায়, তিনি পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন জালালাবাদের ডিএসপিকে বলতে শোনা যায়, মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সুখপাল দাবি করেন, এই মামলা অনেকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে গ্রেফতারি কীভাবে সম্ভব? এর পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি আরও জানান, তাঁর এই গ্রেফতারির পিছনে 'রাজনৈতিক স্বার্থ' জড়িয়ে রয়েছে।
দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ড। অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসখানেক আগে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারান। ঘটনার দিনই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেন, বাজি কারবারিদের আশ্রয় দিয়েছিল আইএসএফ নেতা রমজান। বারাসত পুলিশ সুপারও জানান, তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রমজানকে।
আদালতে রমজান আলির আইনজীবী সাইদুজ্জামান দাবি করেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
টাকা দিয়ে রোগী ভর্তির অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অভিষেক মল্লিক, দেব মল্লিক, অভয় বাল্মিকী এবং সুরিন্দর কুমার। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ভবানীপুর এলাকায়।
সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকী, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। সক্রিয় দালাল চক্র নিয়ে সম্প্রতি লালবাজারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছে।
পুলিস মনে করছে এই চক্রে আরও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে। সেকারণে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
কুস্তিগিরদের অভিযোগেই শিলমোহর। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিস্ফোরক চার্জশিট পেশ দিল্লি পুলিশের। অভিযোগ আনা হয়েছে, মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার কোনও সুযোগই ছাড়তেন না ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণও আছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
শুরুর দিকে দিল্লি পুলিশ কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত করতেই রাজি হয়নি। তবুও অভিযোগ থেকে সরে যাননি কুস্তিগিররা। আন্দোলন শুরু করে। ওই আন্দোলনে যোগ দেন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আশ্বাসে ধর্নাও তুলে নেন কুস্তিগিররা। অবশেষে চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশ।
করবস্থানের জায়গায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে বিবাদ। আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইছানগরী। বাঁশ কাটার এই ঘটনায় বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি করবস্থানের বাঁশ কাটতে যায় শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই ছেলে শেখ সাজু এবং শেখ সাদ্দাম। তাঁরা গ্রামের কাউকে না জানিয়ে ওই করবস্থানের বাঁশ কাটতে যায়। এবং ওই বাঁশ কাটায় বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। বাঁশ কাটতে বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীদের ওপর বাঁশ, লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হন শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই ছেলে শেখ সাজু ও শেখ সাদ্দাম। তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয় এবং মারামারিও হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। এরপর আহত গ্রামবাসীরা জগৎবল্লভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শেখ মুক্তার ও তাঁর দুই শেখ সাজু শেখ সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে।
যদিও শেখ সাজু ও শেখ সাদ্দাম উল্টে জানায় যে, ওই করবস্থানে তাঁদেরও জায়গা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস এই পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।