প্রসূন গুপ্ত: এই পৃথিবীর একমাত্র ভবিতব্য জন্ম হলেই মৃত্যু হবে। এই ভবিষ্যৎ বাণীর জন্য বিজ্ঞান বা জ্যোতিষী হওয়ার দরকার হয় না। একটু বয়স বাড়লে মানুষ জানতে পারে তাঁকে একদিন চলে যেতে হবেই। কোনও শক্তি এর ব্যতিক্রম হতে দেবে না। তবুও মানুষ আনন্দ করে। যতদিন বেঁচে থাকা যায় ততদিন ইচ্ছাশক্তি নিজের চলনকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। তবে এটাও বাস্তব অসময়েও চলে যায় অনেকেই।
AKD গ্রুপের অন্যতম পরিচালক মানসী দাস চলে গেলেন মাত্র ৫৮ বছরেই। ঠিক ৬ মাস আগেও দিব্বি দায়িত্ব নিয়ে চলেছিলেন। হঠাৎ পেটের যন্ত্রণা, পরীক্ষা এবং কর্কট রোগ ধরা পরলো। একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে। তারপর কয়েক মাসের লড়াই। হেরে গেলেন। এ যেন জীবনে একটাই ইনিংস। কত রান করতে পারো?
কিন্তু এই মানসীকে চিনত ক'জনা? খুব বেশি কেউ নয়তো। টেলিভিশন কোম্পানির ফার্স্ট লেডি অথচ অজানা অচেনা কেন? আসলে পাবলিসিটি পছন্দই করতেন না। খুব সাধারণ শিক্ষিত সাংস্কৃতিক পরিবারে একটা শিক্ষাই পেয়েছিলেন বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে, মানুষের জন্য কাজ করো।
বিরাট ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে হয়েছিল। প্রাচুর্য ছিল বিস্তর। সে পরিবারে মেজবৌদি হওয়া সত্ত্বেও সংসারের অনেকটা দায়িত্ব এসে গেল তাঁর কাছে। শ্বশুর/শাশুড়ির রান্না অনেক কাজের লোক থাকার পরেও নিজের হাতে করতেন। স্বামী, পুত্র বা বাড়ির বাকি সদস্য, এমনকি বাইরের মানুষের পাতও পড়ত তাঁদের বাড়িতে। সেটা পারতেন কারণ সেভাবেই মানুষ হয়েছিলেন বাপের বাড়িতে। টিউশন করে রোজগার করেছিলেন যে।
এরপর এলো টেলিভিশন কোম্পানি। AKD গ্রুপের সিটিভিএন, পরে সিএন ইত্যাদি। এই বাণিজ্যে এলে ঝঞ্ঝাট অনেক। পেশায় শত্রুবৃদ্ধি তো অবশ্যম্ভাবী। ভয়ঙ্কর কঠিন রাজনৈতিক চাপ এসেছিল বারবার, কর্তা শুভাশীষের পাশে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন চিরকাল।
এরপর ব্যবসা বাড়লো। হলো ডক্টর প্লাস, আবরণ। চিকিৎসা কেন্দ্র এবং জামা কাপড়ের দোকান। দায়িত্ব নিলেন তার। কর্মীরা ভারী খুশি। কাজ তো আছেই তার সাথে খাওয়া দাওয়া পিকনিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। একটা যেন ইনস্টিটিউট। কারোর সমস্যা হলেই 'ম্যাডাম', একদম লুকিয়ে টাকা গুঁজে দিতেন হাতে। এছাড়া সুখেদুখে তো সাথে থাকা বটেই। অসুস্থ হলেন, শুভাশীষ তো ২৪ ঘন্টা তাঁর পাশে। কতগুলো সংসার চলতো অতি গোপনে তাঁর সাহায্যে। দীর্ঘদিনের কর্মচারীরা যেন পরিবারের অঙ্গ। কে লিকার চা খাবে বা দুধ চা কার পছন্দ সবদিকে নজর।
এই মানসী দাসকে কেউ চেনে না। তিনি বিখ্যাত তো নন। সারা জীবন নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলেছেন। ভাল যেমন বুঝতেন তেমন বিপদের গন্ধও পেতেন। চিকিৎসা কেন্দ্র চালানোর কারণে রোগের বিষয়টি বুঝতেন চমৎকার। কিন্তু নিজের কর্কট রোগ বুঝতেই পারলেন না? সোমবারের সন্ধ্যায় যখন হাজার ডিগ্রির চুল্লিতে তাঁর নিথর দেহটি প্রবেশ করলো, তখন শতাধিক কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। কিন্তু তিনি তো ইনিংস শেষ করে ফেলেছেন। চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। শীতের ঝাপসা কুয়াশা গ্রাস করেছে নিমতলা। অজানা অচেনা কি অধরাই থাকবেন? বলুন আপনারা?
বলিপাড়ায় (Bollywood) ফের দুঃসংবাদ। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভৈরবী বৈদ্য (Bhairavi Vaidya)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত ৪৫ বছর ধরে তিনি অভিনয়ের জন্য যুক্ত। তাঁকে একাধিক হিন্দি সিনেমা, ধারাবাহিক এবং নাটকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি গুজরাটি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। তাঁকে সলমান খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গেও সিনেমা করতে দেখা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ৮ অক্টোবর প্রয়াণ হয়েছে বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী ভৈরবী বৈদ্যর। জানা গিয়েছে ভৈরবী বৈদ্য ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৬ মাস ধরে তিনি এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। অবশেষে তিনি ৮ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল 'নিমা ডেঞ্জংপা' নামক একটি ধারাবাহিকে। ভৈরবীর উল্লেখযোগ্য বলিউড ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অভিনীত 'তাল'। এই ছবিতে 'জানকি'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভৈরবী। এই চরিত্রের জন্য প্রশংসিতও হয়েছিলেন তিনি। এর পর সলমান খানের 'চোরি চোরি চুপকে চুপকে'তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন এই প্রয়াত অভিনেত্রী।
ফের শোকের ছায়া বলিপাড়ায় (Bollywood)। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা হরিশ মেগন (Harish Magon)। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'গোল মাল' (Gol Maal) ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, গত ১ জুলাই, শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে আজ, সোমবার তাঁর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও 'সিন্টা' নামের টুইটার পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল।
সিনে ও টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গত শনিবার টুইটারে তাঁর প্রয়াণের খবর শেয়ার করে দুঃখপ্রকাশ করেছে। ক্যাপশনে লিখেছে, 'হরিশের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করছি। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে সিন্টা-র সদস্য ছিলেন।' তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ফিল্ম ক্রিটিক পবন ঝা। তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'হরিশ মেগন সবর্দা স্মৃতিতে থাকবেন। হিন্দি সিনেমায় তাঁর ক্যামিও চরিত্র সবসময় স্মৃতিতে থাকবে।'
বর্ষীয়ান অভিনেতাকে গোল মাল ছাড়াও একাধিক ছবি যেমন- 'নামাক হালাল', 'শাহেনশা', 'আজুবা', 'সত্তে পে সত্তা'-তে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও চুপকে চুপকে ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জিতেছিল।
Yet one of the most memorable outing for Harish Magon was Hrishi da's Golmaal for small Interview scene, as Sunila Gavaskar's classmate & Black pearl's fan. Thats how a small appearance on Silver Screen can make you live beyond your life time. #HarishMagon #RIP @PragyanM… pic.twitter.com/SO2RcTFJAJ
— Pavan Jha (@p1j) July 2, 2023
বলিউড (Bollywood) জগতে ফের শোকের ছায়া। গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত (Passed Away) হলেন 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' খ্যাত অভিনেত্রী বৈভবী উপাধ্যায় (Vaibhavi Upadhyay)। মাত্র ৩২ বছরেই চলে গেলেন তিনি। সোমবারই বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা আদিত্য সিং রাজপুতের নিথর দেহ। এর আগে টলিউডে ছোট পর্দার অভিনেত্রী সুচন্দ্রা দাশগুপ্তর মৃত্যুর খবর শোনা যায়। আর এবারে ফের এক ছোট পর্দার অভিনেত্রীর খবর সামনে এল। গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
প্রযোজক জেডি মাজেঠিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'জীবন যে ভীষণ অনিশ্চিত। প্রয়াত হলেন 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই'-এর জ্যাসমিন অর্থাৎ আমার বন্ধু বৈভবী উপাধ্যায়। উত্তর ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁর শেষকৃত্যের জন্য তাঁর পরিবার তাঁকে মুম্বই নিয়ে আসবেন।' সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেওয়ার সময় খাদে পড়ে যায় বৈভবীদের গাড়ি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অভিনেত্রী। গাড়িতে তাঁর হবু স্বামী বা বাগদত্তও ছিলেন। তাঁর চোট তেমন গুরুতর নয়, ফলে প্রাণে বাঁচেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। অভিনেত্রীর দেহ মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ শেষকৃত্য। 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' সিরিয়াল খ্যাত এই অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে টেলি দুনিয়ায়।
জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই'-এর মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। জ্যাসমিনের চরিত্র দর্শকদের মনে দাগ কেটেছিল। এছাড়াও 'আদালত', সিআইডি', 'ক্যায় কসুর হ্যায় আমলা কা' ইত্যাদি বহু সিরিয়ালে কাজ করেছেন তিনি। আবার অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের ছবি 'ছাপাক' ছবিতেও কাজ করেছেন বৈভবী। আবার গুজরাটে থিয়েটার জগতের জন্য বেশ জনপ্রিয় তিনি। ফলে বৈভবী উপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন অন্যান্য কলাকুশলীরা।
ফের সাহিত্য জগতে নক্ষত্রপতন। কালপুরুষ-এর জগতেই পাড়ি দিলেন 'কালবেলা'-এর স্রষ্টা। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস (passed away) ত্যাগ করেন তিনি। উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ-এর মতো একাধিক কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডিতে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সমরেশ মজুমদার৷ জানা গিয়েছে, গত ২৫ শে এপ্রিল ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল৷ সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে জীবনাবসান হয় তাঁর। ১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকের। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার পান। ১৯৭৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস 'দৌড়'। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হবে সাহিত্যিকের শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে। এরপর নিমতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রসূন গুপ্ত: নাহ এবারে আর তাঁকে ফিরিয়ে আনা গেল না হাসপাতাল থেকে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছিল মুলায়মের তাঁর আরাধ্য নেতা বাপুর জন্মদিবস থেকে। হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ২ অক্টোবর। এর আগেও অসুস্থতার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তাঁর প্রিয় গুরুগ্রামের বেদান্ত হাসপাতালে। সেবারও শরীর খারাপ ছিল কিন্তু চিরকালের চনমনে মুলায়েম অসুস্থতাকে কোনও দিনও পাত্তা দেননি। এবারে ভর্তি হওয়ার পর ক্রমশই অক্সিজেন কমে যেতে শুরু করে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। কয়েকদিন বিশেষ করে দশেরার দিন কিছুটা সুস্থ হলেও রবিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আজ, সোমবার সকালেই সেখানে প্রয়াত হন।
সমাজবাদী পার্টির সভাপতি তথা তাঁর পুত্র অখিলেশ যাদব মিডিয়াকে জানান যে তাঁর পিতা 'নেতাজি' প্রয়াত। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী এক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব চলমান পথ থেমে গেল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোনিয়া গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সব বড় বড় নেতা।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২। মুলায়েম পুরোদস্তুর রাজনীতিতে আসেন রামমনোহর লোহিয়া এবং জায়প্রকাশের আদর্শে। জরুরি অবস্থার সময়ে তাঁর আন্দোলন ছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের সঙ্গেই। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে কংগ্রেস বিরোধী জনতা পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮০-তে জনতা পার্টি ভেঙে যায় ফের ১৯৮৮-তে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া জনতা দলে যোগ দেন। ১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ভেঙে যাওয়ার আগেই তিনি নিজেই সমাজবাদী পার্টি তৈরি করেন। ১৯৯৬-এ প্রথম লোকসভায় নির্বাচিত হয় দেবেগৌড়ার মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্ব পান। এছাড়াও তিনি তিনবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ , ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭। রঙিন চরিত্রের মানুষ ছিলেন মুলায়ম। রাজনীতির রং বদলের খেলায় কখন যে কী করবেন কেউ বুঝতে পারেনি। তবে শেষ জীবনটি মোটেই ভালো কাটেনি। পুত্র একপ্রকার তাঁকে বাণপ্রস্থে পাঠিয়ে সমাজবাদী পার্টির দখল নিয়েছিলেন। তবুও ভারতীয় রাজনীতিতে মুলায়েম সিং এক চির আলোচিত নাম হয়ে থাকবে।