কালী পুজোর রাত কাটতে না কাটতেই দুর্ঘটনা। ডাউন শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক। আন্দুল স্টেশন পার করার পর সরস্বতী নদীর উপর ১৭ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে ধোঁয়া দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ট্রেনের তৃতীয় বগির নীচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।চাকার ব্রেকের ঘর্ষণের কারণেই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান রেল কর্তাদের। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রেনের যাত্রীরা। আপাতত তা ঠিক করে সেখান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেস।
শীতের আগেই সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক। বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে শোরগোল পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর উপকূল থানার এল-প্লট শ্রীধরনগর এলকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। নিমেষেই বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও পুলিসকে। ইতিমধ্যেই পুলিস ও বনকর্মীরা এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে। জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিকের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
লোকালয় লাগোয়া খালের পাড় ও ধনচির জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে যাতে বাঘ কোনভাবেই লোকালয়ে ঢুকতে না পারে। বাঘ ধরতে দুটি খাঁচাও পাতা হয়েছে। পাশাপাশি বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে ড্রোনের মাধ্যমেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বনদফতর জানিয়েছে, বাঘটি সম্ভবত ধূলাভাসানির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রথমে ঠাকুরান নদী পেরিয়ে ধনচির জঙ্গলে আসে। সেখান থেকে আবার খাল পেরিয়ে চলে আসে লোকালয়ে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনকর্মীদের অনুমান বাঘটি ফের ধনচির জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। ধনচির জঙ্গলের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বাঘ ধরতে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলনকান্তি মণ্ডল।
কোভিড-১৯ অতিমারীর পর ডেঙ্গির ভয়াবহ রূপ দেখছে বাংলা। তবে এরই মধ্যে বিশেষ একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে 'সিলিকোসিস'। কালীঘাটের বাসিন্দা সুরজ পালের মৃত্যুর পর 'সিলিকোসিস' এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং চিন্তার বিষয়।
কিন্তু কী এই সিলিকোসিস? কেনই বা এই রোগ বর্তমানে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি? চিকিৎসকদের মতে, সিলিকোসিস মূলত পেশাগত একটি রোগ। এটি এমন একটি রোগ, যার মূলে রয়েছে 'ক্রিস্টালাইজড সিলিকা' বা স্ফটিকাকৃতি বালি বা পাথরের কণা। যেখানে এমন কণা উড়ছে, দীর্ঘদিন সেই পরিবেশে কাজ করলে বালি, পাথরের কণা জমে ফুসফুসের উপরিভাগের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে সিলিকোসিস রোগ হতে পারে।
তৎক্ষণাৎ এই রোগের লক্ষণ বোঝা যায় না। যত দিন যায়, ফুসফুসের ওপর আঘাত পড়ে এবং ফুসফুসের টিস্যু-র মধ্যে দাগ পড়ে যায়। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে শুরু করে। এই রোগের উপসর্গ বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং শেষ দিকে শরীর নীলাভ হয়ে যাওয়া।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের শুকনো কাশি দীর্ঘদিন ধরে থাকে। এছাড়াও হাঁটাচলা করলে হাঁফিয়ে যাওয়ার লক্ষণও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এই রোগ চিহ্নিত করতে অনেকগুলো ধাপে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। সিলিকোসিস-এর কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধ না করতে পারলে এই রোগ একবার হয়ে গেলে ধীরে ধীরে তা প্রভাব বিস্তার করে ফেলে।
গভীর রাতে বাঘের (Tiger) আতঙ্ক। এবার বাঘের ভয়ে ঘুম উড়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের নাদাভাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় বাঘের মতো এক অজানা জন্তুর দেখা পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মিলেছে পায়ের ছাপ ও শোনা গিয়েছে গর্জন। যার ফলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে পুরো গ্রামকে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জন্তুর দেখা পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় বন দফতরের নামখানা বিট অফিসে।
শনিবার রাত থেকে বাঘের আতঙ্কে গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারা দিতে শুরু করেছেন। খবর পেয়ে রাতে গ্রামে বিট অফিসার সহ বন দফতরের কর্মীরা আসেন। নাদাভাঙা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী। অদূরে আছে বড় জঙ্গল। সুন্দরবনের এই এলাকায় বাঘের অস্তিত্ব না থাকলেও গ্রামবাসীরা ভয়ে কাঁটা। বিট অফিসার নিখিলরঞ্জন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, অতীতে সুন্দরবনের এই এলাকায় বাঘের দেখা মেলেনি। তবে বড় বাঘরোল হতে পারে কিংবা ভাম বিড়াল। এই পুরো বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
গ্রামের পুকুরের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি কুমির (crocodile)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো এলাকায়। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ থানার ফটিকপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় একজন গ্রামবাসী বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গ্রামের ঢালাই রাস্তাতে দেখতে পান একটি কুমির শুয়ে রয়েছে। লাইট মারার সঙ্গে সঙ্গে কুমিরটি রাস্তার পাশে থাকা গৌরহরি শাসমলের পুকুরে নেমে যায়। তারপর ওই ব্য়ক্তির চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও কাকদ্বীপ থানায়। শনিবার দিন রাতেই ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিস।
এরপর ওই পুকুরের পাশে থাকা একটি গাছে লাইট বেধে, তা জ্বালিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীরা ও পুলিস কর্মীরা রাতে পাহারা দেয়। রবিবার, সকালবেলায় বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই পুকুরটিতে তল্লাশি চালায়। পুকুরটিতে জাল ফেলা হয় এবং বোম ফাটানো হয়। কিন্তু কুমিরটিকে আর দেখা যায়নি।
গ্রামবাসীদের অনুমান, বজ্রপাত সহ প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে কুমিরটি অন্যত্র চলে গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
সাপের (Snake Panic) আতঙ্ক! যার ফলে বন্ধ (Closed) হয়ে গিয়েছে সিউড়ির (Birbhum) আম্বেদকর (Ambedkar Park) উদ্যান। কয়েক মাস আগেই সর্বসাধারণের জন্য খোলা হয়েছিল উদ্যানটি। আট থেকে আশি প্রায় সবাই এই উদ্যানে আসত। তবে বর্ষার কারণে এই উদ্যানে উত্পাত বেড়েছে সাপের। যার ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলো এই উদ্যানটি।
জানা গিয়েছে, বর্ষার মরশুমে উদ্যানে থাকা ঘাস সহ বিভিন্ন গাছপালা খুব দ্রুত বেড়েছে। তাই উদ্যানে একটু ঝোপঝাড় হওয়ায় যেখানে সেখানে সাপ বিচরণ করতে দেখা গিয়েছে। যেহেতু শিশুরাই বেশি আসে খেলতে, তাই সতর্কতা জারি রেখে সাময়িক এই উদ্যানটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর, তবে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এই উদ্যানটিকে পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি উদ্যানে সাপ আছে কিনা বা কোন বিষাক্ত সাপ আছে তা খোঁজাখঁজিও করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এই ঘটনায় উদ্যান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সর্প বিশেষজ্ঞ দীনবন্ধু বিশ্বাসকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি করেও সাপের দেখা পাননি। যদিও উদ্যানে যে বিষাক্ত সাপের বাসা তৈরী হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তিনি, এমনটাই খবর।
দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণ এখনও ১০ হাজারের নীচে নামেনি। করোনার এই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞেরাও। শুক্রবারের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে শনিবার। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৩ জন। গত ২ দিনের তুলনায় যা একটু কম। তবে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ৭২০ জন। দৈনিক সংক্রমণের হার ৬.৭৮ শতাংশ ছুঁয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Ministry) মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, দেশজুড়ে আগামী আট-দশ দিন সংক্রমণ বাড়লেও কিছুদিন পরে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদেরও দাবি, আগামী মাস থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। এমনকি চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, করোনা এখন আর অতিমারির পর্যায়ে নেই। তবে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনা পরীক্ষা করানোর মতো বিধি নিষেধের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন তাঁরা। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
এমনকি চিকিৎসকরা জানায়, সম্প্রতি করোনার যে প্রজাতি হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে, তার নাম এক্সবিবি.১.১৬। এটি ওমিক্রনেরই একটি উপরূপ।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ানাডের পুথুসেরি এলাকায় বাঘের আক্রমণে (Tiger attack) আক্রান্ত ৫২ বছর বয়সী এক কৃষক (Farmer)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা (Death) যান। জানা গিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম সালু। কেরলের (Kerala) ওয়েনাড জেলার থনদারনাডু গ্রামে তাঁর বাড়ির কাছেই সকাল ১১টার দিকে বাঘটি আক্রমণ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কালপেট্টা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন সালু। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা গ্রামে ছুটে যান। এদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাঘটি বেশ কিছুদিন ধরে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের আশেপাশে লুকিয়ে ছিল, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভেল্লারামকুন ও আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। নজরদারি ক্যামেরা ও খাঁচা বসানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। এখনও অবধি বাঘের সন্ধান পাননি তাঁরা।
এদিকে, আট কিলোমিটার দূরের একটি জঙ্গল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি বাঘ আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। যে বাঘ কৃষককে মেরেছে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বুধবার সকালেই উত্তপ্ত জয়নগর (Joynagar)। সকালেই বোমাবাজির (bomb) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক সূত্রে খবর, ঘটনায় জখম (injured) হয়েছেন গ্রামেরই বেশ কয়েকজন। আতঙ্কিত (panic) এলাকাবাসী। কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা তার তদন্তে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগর থানা এলাকার উত্তর দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর-গাজিপাড়ায় বল খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের মতে, গাজি পাড়ার মাঠে খেলার প্যান্ডেল করাকে ঘিরেই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
বুধবার সকালে হঠাৎ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে অনবরত বোমাবাজি করতে থাকে। সেই বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে আসে জয়নগর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে চিকিৎসার জন্য জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
এদিকে, পুলিস ঘটনাস্থল থেকে ১২টি ক্যাসেট বোমা উদ্ধার করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা। ঘটনাস্থল থেকে জয়নগর থানার পুলিস দু'জনকে আটকও করেছে, তদন্তে পুলিস।
বছরের শুরুতেও হাতির (elephant) হানা অব্যাহত। মাঝরাতে বাঁকুড়ায় (Bankura) পৃথক দুটি হাতির হানায় প্রাণ গেল এক মহিলা সহ দু'জনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত (death) দু'জনের নাম তুলসী বটব্যাল ও মঙ্গল বাউরী। ঘটনার পরই আতঙ্ক (panic) ছড়িয়েছে এলাকায়। কবে মুক্তি পাবেন এই হাতির হানা থেকে সেদিকেই তাঁকিয়ে গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃত মঙ্গল বাউরীর বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার সংগ্রামপুর গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে স্থানীয় বাঁধকানা বাজারে যান মঙ্গল বাউরী। সেখান থেকে ওষুধ কিনে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথেই বাঁধকানা জঙ্গলে দিঘির পাড়ে একটি হাতি তাঁকে আক্রমণ করে। পরে রাস্তার ধারে সরষের জমি থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে বড়জোড়া থানার খাঁড়ারি অঞ্চলের ঝরিয়া গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হয় তুলসী বটব্যাল নামে বছর পয়ষট্টির এক মহিলার। বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় থানার পুলিস মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। একই রাতে পৃথক দুটি হাতির হানার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
ঘটনার পরই বন দফতর জানিয়েছে, মৃত দুজনের পরিবারকে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি হাতিগুলিকে লোকালয় থেকে জঙ্গলের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ফের বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শম্ভুনগর (Shambhunagar) গ্রাম পঞ্চায়েতের মিত্রপুর গ্রামে উদ্ধার হয় বোমাগুলি (bomb)। এক-দুটি নয়, আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। উদ্ধার করে গোসাবা থানার পুলিস (police)। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কোথা থেকে আসল এতগুলি বোমা? কে বো কারা আছে এই ঘটনার নেপথ্যে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে সাত সকালেই এতগুলি বোমা উদ্ধার ঘিরে আতঙ্কে স্থানীয়-সহ গ্রামবাসী।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, মিত্রপুর গ্রামে একটি ধান ক্ষেতের পাশে জলা জায়গায় বোমা গুলি কে বা কারা রেখে গিয়েছিল, তবে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। ইতিমধ্যে পুলিস সেই জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে। বোমাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিস কর্তারা।
এদিকে, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। সেই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই বোমাগুলি উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন শাসক দলের অভিযোগের তীর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, এমন ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বরাও।
ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক ১০ টা। এমন সময় এক বিকট আওয়াজে আচমকাই কেঁপে ওঠে বরানগর (Baranagar)। প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ (bomb explosion) ভেবেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু ছুটে বেড়িয়ে আসতেই বোঝা যায় আসলে এই আওয়াজ বোমা বিস্ফোরণের নয়। বরং ভেঙে পড়েছে একতলা একটি বাড়ির একাংশ। বুধবার মাঝরাতেই এই খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় পুলিস আধিকারিকরা। বাড়ির অংশ চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু (death) হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। তবে মাঝরাতে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত (panic) বরানগরের টিএন চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দারা।
পুলিস (police) সূত্রে খবর, বাড়ির ছাদের নিচে চাপা পড়ে যান ওই মহিলা। ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই সময় ছাদ ভেঙে পড়ে তাঁর ওপর। তাতেই পিষ্ট হয়ে যান তিনি। মৃতা বছর ৫৫ এর সুমিত্রা মাইতি। এদিকে ঘটনা খবর পেয়েই রাতেই হাজির হন বরানগর পুরসভার উপপুরপ্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু। তিনি প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের তথ্য উড়িয়ে দিলেও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বরানগর থানার পুলিস বলে জানিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিস এবং দমকল ধ্বংসস্তূপ থেকে বাড়ির মালিক ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ডিসি জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ওই এলাকায় একটি বাড়ির একাংশ বিস্ফোরণে ভেঙে যায়। সেই বাড়ির একটা তীব্র আওয়াজ হয়, পুলিস গিয়ে দেখে ভিতরে এক মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তদন্তকারী অফিসাররা গ্যাসের তীব্র গন্ধ পেয়েছেন। তবে কোনও আগুনের চিহ্ন ছিল না। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্তে পুলিস।
তবে ঘটনার পরই মৃতার মেয়ে অভিযোগ তুলছেন, তাঁর মা যে বাড়িতে থাকতেন তার পাশেই থাকেন কাকা। প্রোমোটার লাগিয়ে তাঁদের বাড়ি ফ্ল্যাট করার চেষ্টা করছিলেন তাঁর ওই কাকা। কিন্তু তাঁর মা রাজি ছিলেন না। সেই কারণেই তাঁর মাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁর মেয়ের এই অভিযোগ লিখিতভাবে থানায় জানাতে বলা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়। তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমনকী এই ঘটনায় ভেঙেছে আশপাশের কাঁচের জানলাও। আতঙ্কে স্থানীয়রা।
ফের হাতির হামলায় মৃত্যু (death)। দাঁতালের পদপৃষ্টে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাদারিহাট ব্লকের পূর্ব খয়েরবাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে জলদাপাড়া (Jaldapara) জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি (elephant) পূর্ব খয়েরবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে। দাঁতালের তাণ্ডবে এলাকার বেশ কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গভীর রাতেই ওই এলাকার বাসিন্দা বাবলু মির্ধা ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন শৌচালয়ে (toilet) যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেই সময় দাঁতাল হাতিটি পিছন দিক থেকে এসে তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। দাঁতালের পদপৃষ্টে ঘটনাস্থলেই বাবলু মির্ধার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা ও মাদারিহাট থানার পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, মাদারিহাট এলাকায় জালদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবসময় এই এলাকার মানুষ হাতির হানার ভয়ে, আতঙ্কে থাকেন। কবে পাবেন মুক্তি জানেনা কেউ।
ফের ছিনতাইয়ের (snatching) ঘটনা! ভর সন্ধ্যা থেকেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা (safety) কোথায়? ফের কি বাড়বাড়ান্ত বাড়ল দুষ্কৃতীদের? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টণগঞ্জ পাঁচমোড় এলাকায়।
জানা গিয়েছ, হ্যামিল্টণগঞ্জ পাঁচমোড় এলাকায় এল আই সি প্রিমিয়ায় পয়েন্টের ম্যানেজার সৌরভ দত্ত অফিস থেকে তাঁর ব্যাগ নিয়ে বের হন। সেই সময় আচমকাই দুজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে সজোরে সৌরভ দত্তের মাথায় আঘাত করে। এই ঘটনায় সৌরভ দত্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা তাঁর ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। সৌরভ বাবুর দাবী, তাঁর ব্যাগে ল্যাপটপ ও নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ছিল। ভর সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ভাবতেও পারছেন না তিনি। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তবে হ্যামিল্টণগঞ্জের মত জনবহুল এলাকায় সন্ধ্যার সময় এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সঙ্গেই আতঙ্কও ছড়িয়েছে। শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সৌরভ দত্তকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। সেখানে প্রথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর।
ফের রাজ্যে বোমাবাজির (bomb) ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur)। অভিযোগ, আচমকাই গভীর রাতে দুজন দুষ্কৃতী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ফেলে। ঘটনার পরই আতঙ্কের (panic) রয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের ঘটনা আগে এলাকায় ঘটেনি। কিন্তু এখন কেন ঘটল সেই প্রশ্নই তাঁদের মনে। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত পুলিস (police) আটক করুক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ বারুইপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধপধপি রোডে বোমাবাজির ঘটনা। এই এলাকার বাসিন্দা নিকুঞ্জবিহারী দাসের বাড়িতে হঠাৎই দুটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। তিনি প্রাক্তন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনায় প্রাক্তন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকের গোটা পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানার পুলিসকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
নিকুঞ্জ বাবুর অভিযোগ, বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে দুটি বোমা মেরেছে। ভেঙেছে বাড়ির একাধিক কাঁচের জানলা সহ অন্যান্য। তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। তবুও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? জানেন না তিনি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।