ব্রেনের (Brain) মধ্যে অ্যামিবা (Amoeba) ঢুকে গিয়ে কেরলে মৃত্যু হল এক ১৫ বছরের কিশোরের। জানা গিয়েছে, এই অ্যামিবা এমনই যে এটা ব্রেনের মধ্যে গিয়ে কুরে কুরে খেয়ে নেয় মস্তিষ্ক। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। প্রায় দেড় বছর করোনার জন্য সারা বিশ্বের মানুষকে আতঙ্কে থাকতে হয়েছে। আর এবারে ফের নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে এই 'মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা' (Brain Eating Amoeba)। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত কেরলে পাঁচ জনের শরীরে এই সংক্রমণ বাসা বেঁধেছে। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জল থেকে মস্তিষ্কের এই সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল।
সূত্রের খবর, কেরলের আলাপুঝা জেলার বাসিন্দা ওই কিশোর 'নেইগেলেরিয়া ফাউলেরি' (Naegleria Fowleri) বা সহজ কথায় 'মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা' সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিল বলেই জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। সপ্তাহখানেক ধুম জ্বর, সঙ্গে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূচক একেবারে এলোমেলো হয়ে যায় এই সংক্রমণে। তাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, দূষিত জল থেকে অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তার দেহে।
এককোষী এই প্রাণী সাধারণত, হ্রদ, উষ্ণ প্রস্রবণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে থাকা সুইমিং পুলে বৃদ্ধি পায়। মাইক্রোস্কোপ ছাড়া একে দেখা সম্ভব নয়। অ্যামিবাটির অনেকগুলি প্রজাতি রয়েছে। তবে শুধুমাত্র 'নেইগেলেরিয়া ফাউলেরি' -ই মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণ হলে সাধারণত বমি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, হ্যালুসিনেশন-এর মত উপসর্গ দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করে থাকারই নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ কি কাণ্ড! আদালতে চলছে খুনের মামলার শুনানি, আর তারই মধ্যে কোর্ট রুমে আগমন লক্ষ্মীর বাহনের (Owl)। শুনতে অবাক লাগছে! এটাই ঘটেছে একটি আদালতে। কিন্তু এই ঘটনা এই দেশের নয়, ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রাকপান নামক জায়গায়। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে কোর্ট রুমে ঢুকে পড়ল পেঁচা? আর কীভাবেই বা ঘটল এই ঘটনা?
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) ব্রাকপানের (Brakpan) একটি আদালতের কোর্ট রুমে সিলিং-এর গর্তে ঢুকে যায় একটি পেঁচা। এরপর তা ম্যাজিস্ট্রেটের দিকে উড়ে যায়, আর কোর্ট ভর্তি মানুষরা ছুটোছুটি করে চিৎকার করতে শুরু করেন। এ যেন এক্কেবারে সিনেমার দৃশ্য।
এই খবর এক পেঁচা উদ্ধারকারী সেন্টার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে। সঙ্গে পেঁচার একটি ছবিও পোস্ট করেছে। তারাই ক্যাপশনে জানান, তাদের কাছে একটি পেঁচার উদ্ধারের খবর এসেছিল, এরপর তারা সেই কোর্ট রুমে গিয়ে পেঁচাকে উদ্ধার করেছে। আর সেসময়েই তাঁরা শুনতে পান যে, সেখানে তখন এক খুনের মামলার শুনানি চলছিল।
সোশাল মিডিয়ায় এই খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নেটিজেনদের। নেটিজেনদের একাংশ অবাকই হয়েছেন যে, এমন কাণ্ডও ঘটতে পারে বলে। কেউ লিখেছেন, এই পেঁচার যদি নাম দিতে হয়, তবে এটার নাম হওয়া উচিত, 'OIC' অর্থাৎ 'Order in court'। কেউ লিখেছে, 'এটা দেখতে খুবই সুন্দর। কেন তাঁরা কোর্টে রুমের মধ্যে চিৎকার করছে ভগবানই জানে? কোনও ক্ষতি করবে না এটা।' পেঁচাটিকে উদ্ধার করার জন্য এই উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।