মোবাইল ফোন হ্য়াক করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। হোয়াটসঅ্য়াপের ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্রের পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ-র টিম। ধৃতের নাম গৌরব শর্মা। মঙ্গলবার তাকে এসটিএফ গ্রেফতার করে রাজ্য়ে নিয়ে এসেছে। পাকিস্তান এবং চিনেও এই বেআইনিভাবে হোয়াটসঅ্য়াপ ওটিপি বিক্রির যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসটিএফ সূত্রে খবর, দু'সপ্তাহ আগেই পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে মোট নয়জনকে হোয়াটসঅ্য়াপ ওটিপি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওটিপি কেনাবেচার চক্র সামনে আসে বেঙ্গল এসটিএফ কর্তাদের কাছে। এরপর তদন্তে উঠে আসে ওটিপি বিক্রির মূল চক্রান্তকারীর নাম গৌরব শর্মা। তারপর পুলিসের সাহায্য়ে হিমাচল প্রদেশে গিয়ে ওই অভিযুক্ত ব্য়ক্তিকে ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। আর কারা কারা এবং কোথায় কোথায় এই বিক্রির জাল রয়েছে তা নিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেঙ্গল এসটিএফ কর্তারা।
কিউআর স্ক্যান করে টাকা পেমেন্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লক্ষাধিক টাকা। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে কিউআর হ্যাকিং-এর অভিযোগ। এবার নতুন প্রতারণার শিকার হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার এক ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, কোনও ওটিপি, কোনও ফোন বা ম্যাসেজ, কোনও লেনদেন ছাড়াই দশ মিনিটে দুটো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল হ্যাকাররা। শশাঙ্ক সামন্ত কলকাতার ফুলবাগানের বেসরকারি হাসপাতালে নিজের চেকআপ করার জন্য অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পেমেন্ট করেন। তার পরেই দশ মিনিটের মধ্যেই মেছেদা স্টেট ব্যাঙ্ক ও কোলাঘাটের ইউকো ব্যাঙ্ক-এর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক লক্ষ ছয় হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। তবে টাকা লেনদেনের কোনও ওটিপি ফোনে আসেনি। শুধু তাঁর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস আসে ফোনে।
ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট গুলি দিল্লি, মুম্বই রাজস্থানের। এই নিয়ে ব্যবসায়ী শশাঙ্ক সামন্ত সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার কেও লিখিত জানিয়েছেন। এই নিয়ে ব্যাবসায়ী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
প্রশ্ন উঠছে, বেসরকারি হাসাতালের নিজস্ব কিউআর স্ক্যানারে টাকা পেমেন্ট করার পরে কিভাবে হ্যাকাররা সেই কিউআর হ্যাক করে টাকা গায়েব করছে। অনলাইন পেমেন্ট কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সম্পত্তি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারের পর থেকেই আদালত থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই নিজেকে অসুস্থ প্রমান করার চেষ্টা করছেন তিনি। এবার আদালত তাঁকে জেল হেফাজত দেন। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তাঁর নতুন আবদার তিনি অসুস্থ তাই তিনি জেলে নয় এসএসকেএম হাসপাতালে থাকতে চান।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'আমি হয়ত মরে যাবো। আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।' অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তিনি আদালতে জামিনের চেষ্টাও করেন। কিন্তু আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলে গিয়ে মন্ত্রী নতুন আবদার শুরু হয়। সূত্রের খবর, জেলে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নতুন আবদার আমি রাজ্যের মন্ত্রী তাই রাজ্যের জেলে থাকবো না। আমাকে এসএসকেএম-এ পাঠানো হোক। আমি অসুস্থ আমার বাঁ দিক প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। যদিও এর পরেই তাকে জেল আধিকারিকরা নিয়ে যান জেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে সুস্থ বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া জেল কতৃপক্ষ মন্ত্রীকে আরও জানায়, আপনি সুস্থ আপনার আর অন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই তাই আপনাকে সেলেই থাকতে হবে।
সম্প্রতি ইলেকট্রিক বিল বকেয়া সংক্রান্ত প্রতারণা চক্রে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। এবার একইভাবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বলিউড অভিনেতা অনু কাপুর। ব্যাঙ্কের কাজে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড শেয়ার করে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা খুইয়েছেন তিনি। তবে পুলিসি তৎপরতায় টাকার বেশিরভাগ অংশ ফেরত পেয়েছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, অনলাইনে এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করতে গিয়ে প্রতারিত অনু কাপুর। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী হিসাবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। অভিনেতার কেওয়াইসি ফর্মটি আপ়ডেট করা প্রয়োজন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য ওই অচেনা ব্যক্তিকে জানিয়ে দেন তিনি। এরপর তাঁর নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপি এলে তা-ও ফোনে জানিয়ে দেন অভিনেতা। তাতেই কার্যসিদ্ধি।
পুলিস জানিয়েছে, অভিনেতা ফোন রেখে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর দু’টি অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। যা জানতেই পারেননি অনু। মোট ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়।
ঘুমন্ত অবস্থায় ফুটপাথবাসীদের পিষে দিল বেপোরোয়া ট্রাক (truck)। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪ জনের। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন ফুটপাথের উপর শুয়েছিলেন। তখনই একটি ট্রাক চলে যায় তাঁদের উপর দিয়ে। ২ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয়। আর একজন চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। বাকি ৩ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে রাজধানী দিল্লির (Delhi) সীমাপুরী এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দু'টো নাগাদ রাস্তার ডিভাইডারে লাইন দিয়ে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ফুটপাথবাসী। তখনই প্রচণ্ড গতিতে আসা একটি ট্রাক পিষে দেয় তাঁদের। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঠিক রাত ১টা ৫১ মিনিটে সীমাপুরীর ডিটিসি ডিপো রেডলাইটের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
ট্রাকটি না দাঁড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এখনও অবধি হদিশ মেলেনি ট্রাক ও ট্রাক চালকের। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।