অনলাইনে পরিচারিকা ভাড়া করে বিপত্তি। গৃহকর্ত্রীর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট পূজা সাহু নামে পরিচারিকার। চুরির ঘটনার তদন্তে লেক টাউন থানার পুলিস। ভাটপাড়া থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত পূজা সাহু। উদ্ধার জাল আধার কার্ড-সহ একাধিক নথি। অভিযোগকারী সুধা জানান, বাড়িতে পরিচারিকা নেওয়ার জন্যে তিনি অনলাইনে এক আয়া সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে সুলতা চক্রবর্তী নামের এক মহিলাকে পরিচারিকা হিসাবে ২৭ তারিখ পাঠানো হয় তাঁর বাড়িতে। সেই পরিচারিকা এসে আধার কার্ড জমা করে। তবে ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় পরিচারিকা কাজ করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে অভিযোগকারী দেখতে পান তার শিশুর গলার সোনার চেনের পরিবর্তে সেখানে রয়েছে অন্য চেন। এমনকি ঘরের অন্য সোনার গয়নাও উধাও। এরপরই লেক টাউন থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, লেক টাউন বি ব্লকের বাসিন্দা সুধা সঞ্চিতি। সুধা ২৯ জানুয়ারি লেক টাউন থানায় পরিচারিকা পূজা সাহুর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস আরও জানায়, পরিচারিকার আধার কার্ড জাল। পূজা আদতে সুলতা নামে সুধা দেবীর বাড়িতে কাজে ঢোকেন। এমনকি ওই অনলাইন আয়া সেন্টারের কাছেও পরিচারিকার যে তথ্য দেওয়া ছিল তাও জাল। এরপরই শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় হানা দেয় লেক টাউন থানার পুলিস। সেখান থেকে মূল অভিযুক্ত পূজা সাহুকে গ্রেফতার করে পুলিস। অভিযুক্তের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিস।
শনিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস। এমনকি এই চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধান, অভিনব কায়দাতে দুষ্কৃতী হানা শহর দুর্গাপুরের (Durgapur) দুটি বাড়িতে। সোনার অলংকার (Gold ornaments)-সহ আরও বেশ প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতী দল। দুষ্কৃতী তাণ্ডবে এখন আতঙ্কিত শহরবাসী। তদন্তের আশ্বাস দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের। রাতের ঘুম উড়েছে শহরবাসীর।
প্রসঙ্গত, অভিনব কায়দাতে চুরির (theft) কৌশলের ছক শহর দুর্গাপুরে। আর এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদল শহরের পরপর দুটি বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় লাখ চারেক টাকার সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের প্রথম টার্গেট ইস্পাত নগরীর এজোনের সেকেন্ডারী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মীর বাড়ি। সেখানে দুষ্কৃতীরা প্রথমে সোনার অলংকার, বাসনপত্র পালিশের নাম করে গৃহকর্তাকে বলেন। দুষ্কৃতীদের কৌশলগত এই পাতা ফাঁদে পা দেন পরিবারের মহিলারা। প্রথমে বাসনপত্র পরিষ্কারের কথা বলা হয়, পড়ে বলা হয় বিশেষ এই পাউডার সোনা রুপোর অলংকারও সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয়। পরীক্ষা করার নাম করে গৃহস্থকে বলা হয় সোনা বা রুপোর অলংকার নিয়ে আসতে। এরপরই পুরনো নকল সোনাকে চোখের নিমেষে সামনে নিয়ে এসে গৃহস্থ্যের আসল সোনা রুপোর অলংকার নিয়ে নেয় নিজেদের হেফাজতে। পুরনো নকল সোনা গৃহস্থ্যের হাতে ধরিয়ে দিয়েই নিমেষে এই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। আর যতক্ষণে প্রতারিতরা আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারেন, ততক্ষণে পগার পার এই দুষ্কৃতীরা।
দিন দুয়েক আগে ইস্পাত নগরীর সেকেন্ডারী এলাকার বাসিন্দা অরূপ চৌধুরীর বাড়িতে যায় এই দুষ্কৃতীদের দল। অভিযোগ, দুটি সোনার চেন ও দুটি সোনার আংটি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিকের ওপর। ঘটনার তদন্তে যখন দুর্গাপুর থানার পুলিস, ঠিক তখনই ফের নেক্সট টার্গেট হয় দুষ্কৃতীদের দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত বেনাচিতি সংলগ্ন গোয়েল গলির একটি বাড়িতে। এখানেও একই ছকে গণেশ চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে একই কৌশল অবলম্বন করে তারা। সোনার অলংকার সহ প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। একটি পাউডারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরপর দুটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এখন দিশেহারা শহরের মানুষ। দুষ্কৃতীদের পরবর্তী টার্গেট কোথায়? এই আতঙ্কে এখন দিন কাটছে শহরের মানুষের। পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি যে প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে সেটা স্বীকার করে নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুলিসকে বলা হয়েছে, তদন্তে যাতে আরও গতি আসে। গোটা ঘটনায় এখন টানটান উত্তেজনা শহর দুর্গাপুরে।
ভর দুপুরেই দুঃসাহসিক ডাকাতি! এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর গাড়ি থামিয়ে পুলিস (police) পরিচয় দিয়ে ছিনতাই লক্ষাধিক টাকা অলংকার (ornaments)। ঘটনাটি নিউ ব্যারাকপুর (New Barrackpore) থানার অন্তর্গত এপিসি কলেজের সামনে ঘটে। দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ঘোলা থানার অন্তর্গত নাটাগড় (Natagarh) মহেন্দ্র নগরের বাসিন্দা এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন রায় বিশেষ কাজে মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram) এসেছিলেন। রবিবার কাজ সেরে ফেরার পথে আনুমানিক ১২ টা ২০ নাগাদ এপিসি কলেজের সামনে দুজন ব্যক্তি পুলিস পরিচয় দিয়ে নাকা চেকিংয়ের নাম করে স্বপন বাবুর গাড়িটি আটকায়। প্রথমে কাগজপত্র দেখতে চায়, পরবর্তীকালে স্বপন বাবুর কাছ থেকে একটি হীরের আংটি, গলায় সোনার চেন, হাতের ব্রেসলেট সব খুলে একটি কাগজের মুড়ে তা সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। এরপর নিজের হাতেই ওই দুই ব্যক্তি সোনার গহনাগুলি কাগজে মুড়ে গাড়ির মধ্যে রেখে ওনাকে চলে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে স্বপন বাবু যখন গাড়িতে খোঁজ করেন তাঁর অলংকারের, তখন শুধুমাত্র সাদা কাগজটি ছাড়া কোনও গহনার চিহ্ন ছিল না। এরপরই স্বপন বাবু বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
পরবর্তীকালে তিনি নিউ ব্যারাকপুর থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্তে নিউ বারাকপুর থানার পুলিস।