পথের কাঁটা দূর করতে প্রথমে অপহরণ (Kidnapping)। তারপর ৮ বছরের শিশু (Girl) কন্যাকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লিবাসী (Delhi)। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম রিজওয়ান আলিয়াস বাদশা। পেশায় মাংসবিক্রেতা। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে দিল্লিতে এসে বসবাস করছেন। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্তের। মা এবং তাঁর প্রেমিককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল মেয়েটি। তাঁদের সম্পর্কের কথা যদি জানাজানি হয়ে যায়, সেকারণে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৪ অগাস্ট মধ্যরাতে শিশুটিকে যমুনা খাদারের জঙ্গল এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে যান রিজওয়ান। তারপর ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেন। কেবল তা নয়, নাবালিকার মুখে ছুরি দিয়ে কাটাকুটিও করেন। এককথায়, নৃশংসতার জ্বলন্ত উদাহরণ।
নির্যাতিতার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং বলেন, স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সকালবেলা উঠে তাঁর ৮ বছরের মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। কোথাও না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হন। পুলিসের ৫০ জনের একটি দল তদন্ত শুরু করে। অবশেষে ১৮ অগাস্ট ঝোপের মধ্যে থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ঘটনার কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার (Murder) অভিযোগ উঠল খোদ স্বামীর বিরুদ্ধেই। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে থানে পুলিস (Thane police)। ঘটনাটি মুম্বইয়ের শহরতলি (Maharashtra)পালঘর (Palghar) জেলার ভাসাই রোড রেলওয়ে স্টেশনের।
সোমবার ভোর ৪টের দিকে ঘটা এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের কিনারায় টেনে নিয়ে যায়। এবং তাঁকে রেললাইনের ট্র্যাকের ওপর ঠেলে দেয়। সেসময় ঢোকে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এবং বিকৃত ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তান ও একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ঘটনার পর প্ল্যাটফর্ম থেকে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে মুম্বইয়ের দাদর এবং সেখান থেকে থানের কল্যাণের ট্রেনে উঠতে দেখা যায়।
সোমবার গভীর রাতে থানের ভিওয়ান্দি শহর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এক পুলিস কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গে দুই দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। যাতে তিনি রেগে যান। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট, লোকটি তাঁর স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। যার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি অভিযুক্তের।
নৃশংসতার সীমা পার মালদহে (Maldaha)। ঘুমন্ত দুই বছরের শিশুকে মেঝেতে আছড়ে ফেলেছিলেন খোদ নিজের জেঠিমা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিত শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাস অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মালদহ থানার পুলিস (Police) গত শুক্রবার গ্রেফতার (arrest) করে অভিযুক্ত জেঠিমা শিবানী বিশ্বাসকে। শনিবার অভিযুক্ত ওই মহিলার বিরুদ্ধে ৩৭০ ধারা অর্থাৎ খুন (murder) করার পরিকল্পনার অভিযোগে কেস দায়ের করে মালদহ থানার পুলিস। এদিনই অভিযুক্ত মহিলাকে মালদহ জেলা আদালতে (court) পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত শিবানী বিশ্বাস ওই শিশুর উপরে সেদিন অত্যাচার করার কথা স্বীকার করে নেন। যদিও এর আগে কোনওদিন নির্যাতন করেনি তাকে এবং সেদিন যে তার কী হয়ে গিয়েছিল, তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না, এমনটাই জানালেন সাংবাদিকদের সামনে।
অন্যদিকে নির্যাতিত শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাসের অভিযোগ, দীর্ঘ এক বছর ধরে প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার করে তাঁর শিশুকে একা পেয়ে নির্যাতন করত জেঠিমা। পাশাপাশি সেদিন মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন, ছেলেকে কীভাবে নির্যাতন করছে। তাই অভিযুক্ত ওই মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ফের নৃশংসতা। নিজেরই ছেলের হাতে খুন (murder) মা। সমাজে এমনও ঘটনার সাক্ষী থাকছে বহু মানুষ। একই ঘটনা মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad)। বছর ৪০ এর মাকে খুন করে আটক গুণধর ছেলে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার জগভনপুর গ্রামের। আতঙ্কে গোটা গ্রামবাসী। এমন ঘটনা যা গ্রামবাসীরা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি।
মৃতের নাম গায়ত্রী মণ্ডল বয়স ৪০ বছর। ছেলের নাম সন্দীপ মণ্ডল বয়স ২৩ বছর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেল নাগাদ। স্থানীয় সূত্র বলছে, সন্দীপ মানসিক ভারসাম্যহী। ঘটনার দিন গায়ত্রী দেবী বিকেল বেলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড়ির মধ্যেই। এমন সময় আচমকা হাসুঁয়া দিয়ে গলায় এলোপাথাড়ি কোপ মারে ছেলে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গায়ত্রী দেবী। খবর পেয়ে রেজিনগর থানার পুলিস (police) এসে তাঁকে বেলডাঙা প্রাথমিক হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা গায়ত্রী দেবীকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করে। এরপরই সন্দীপকে আটক করে রেজিনগর থানার পুলিস।
এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রথম অভিযোগ, বিযের (Marriage) সময় স্ত্রী (Wife) বয়স (Age) অনেক কমিয়ে বলেছিল। এক-দু বছর নয়। অভিযোগ, একেবারে দশ বছর। ফলে আখেরে দেখা গেল, তাঁর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। সেই রাগ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে একদিন বিস্ফোরণ হল, যখন তাঁর স্ত্রী যৌন মিলনে (Physical Relation) অস্বীকার করেন। আর এর পরিণতি হল ভয়ানক। স্ত্রীকে খুনই (Murder) করে বসলেন। শুধু খুন করাই নয়, দেহ পুঁতে দিলেন স্থানীয় একটি ঘাটে। তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পরে অবশ্য তাঁর এই নাটক ধোপে টেকেনি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। এখন তাঁর ঠাঁই গরাদের পিছনে।
আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বসবাস করতেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রুথবিরাজ সিং। মাত্র ন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন জ্যোতি কুমারীকে। পুলিসকে তিনি এইটুকুই জানিয়েছেন, বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বয়স অনেক কমিয়ে বলেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে অসামাজিক বলে থাকে এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করে।
পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, বয়স ২৮ বছর। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল, আসল বয়স ৩৮ বছর। অর্থাত্, তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড়। একইসঙ্গে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অসামাজিক বলে কার্যত গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোতিকে সে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার বন্ধুকে বিহার থেকে ডাকে। তারপরই দুজন মিলে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন। পরদিনই তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
আর্থিক লেনদেনের কারণে এক ব্যক্তিকে মেরে (murder) ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার (Cooch Behar) দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি এলাকায়।
জানা যায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ মজুমদার, বয়স ৫৯ বছর। খবর পেয়ে ছুটে আসে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা পুলিস (police)। মৃতদেহটি (deadbody) উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী সমৃষ্ঠা গোস্বামীর কাছে টাকা পয়সা পেতেন প্রদীপ মজুমদার। সেই টাকা দিচ্ছিল না বহুদিন ধরেই সমৃষ্ঠা। এরপর মঙ্গলবার রাতে সমৃষ্ঠার বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় প্রদীপ মজুমদারের দেহ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন রহস্য ডানা বেঁধেছে।
মৃত প্রদীপ মজুমদারের দাদার অভিযোগ, সমৃষ্ঠা গোস্বামী নামে ঐ মহিলার কাছে টাকা পেতেন তাঁর ভাই। সেই টাকা চাইতে গেলে তা দিচ্ছিল না সমৃষ্ঠা। বিভিন্নভাবে হুমকি দিত উল্টো তাঁরা। এরপর মঙ্গলবার হঠাৎই ওই মহিলা তাঁকে ফোন করে বলে তাঁর বাড়িতে আসার জন্য। তিনি এই মহিলার বাড়িতে আসার পর দেখেন তাঁর ভাই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর ভাইকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
যদিও সমৃষ্ঠা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমৃষ্ঠা গোস্বামী। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
রাতের শহরে মায়ের (Mother) সামনে ছেলেকে (Son) খুন (Murder), এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার একবালপুর (Ekbalpur)। সোমবার রাতে একবালপুরে সন্দীপ পুন নামে ২২ বছর বয়সের এক যুবককে মায়ের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই এই সন্দীপের সঙ্গে পাড়ারই সাত থেকে আটজন যুবকের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কারণে গণ্ডগোল শুরু হয়। সন্দীপের মা বিনা পুনের বক্তব্য, তাঁর ছেলেকে ৭ থেকে ৮ জন এসে প্রথমে পিঠে ব্লেড মারে। তখন তিনি ছেলেকে কোনওভাবে বাঁচাতে সক্ষম হন। তারপর সন্দীপকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে যান।
তারপরেও ওই যুবকরা সন্দীপের বাড়ির সামনে একটি আবাসনে লুকিয়ে ছিল। সন্ধ্যাবেলা যখন আবার সন্দীপ আর তাঁর মা বেরোয়, তখন সন্দীপের ওপর চড়াও হয় ওই যুবকরা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মায়ের সামনেই তাকে খুন করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে তাকে জলে ফেলে দেয়। মা অসহায় অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে যান এবং তারপর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তরা ঘটনা ঘটিয়েই পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্নফিল্ড রো-এর পাঁচিলের পশ্চিমদিকের ভিতরে।
ইতিমধ্যে একবালপুর থানার পুলিস একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিস জানার চেষ্টা করছে, এই খুনের আসল কারণ কী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ঘাতক এবং নিহত, দুজনেই মাদকাসক্ত ছিল।
মদের দোকানের (liquor store) হিসাবরক্ষককে (cashier) কুপিয়ে হত্যা (brutal Murder) করল চার আততায়ী। কোয়েম্বাটুরের (Coimbatore) এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral)। ঘটনাটি ঘটেছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন, অর্থাৎ ১৫ই অগাস্ট সোমবার।
মৃত ওই হিসাব রক্ষক শিবগাঙ্গাইর কালাইয়াপ্পান, কোয়েম্বাটোর জেলার সিরুমুগাই শহরের বাসিন্দা। তিনি তামিলনাড়ু স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের (TASMAC) বারের ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করছিলেন।
সোমবার যখন কালাইয়াপ্পান বারে কাজ করছিলেন, তখন চারজনের একটি দল ঢুকে পড়ে। তিনি কোনও কিছু বলার আগেই, দুষ্কৃতীরা কাস্তে দিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করে তাঁকে। তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে তারা পালিয়ে যায়।
সিরুমুগাই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে কালাইয়াপ্পানের দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মেট্টুপালায়ম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিস আরও জানতে পেরেছে, এর আগে তাঁর উপর দু'বার খুনের চেষ্টা হয়েছিল।
বাবা (Father) এবং বড় দাদার (Elder Brother) ষড়যন্ত্রে খুন (Murder) হলেন মেজ ভাই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে সমীর বালা নামে এক যুবক নিখোঁজ (Missing) হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পাঁচদিন আগে ওই এলাকায় ওই পরিবারেরই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। জানানো হয় চোপড়া থানার পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, পোলট্রির প্রচুর মুরগি সেই স্থানে পোঁতা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবারের পোলট্রি ফার্মের ৬০০-৭০০ মুরগি মারা যায়। তাই তাঁরা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এরপরেও চলে পুলিসের তদন্ত।
প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিস বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা পুলিসের কাছে স্বীকার করেন, পরিবারের মেজ ছেলে সমীর বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করতেন। আর এই বিরক্তি থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে ষড়যন্ত্র করে মেজ ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেন। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক অববিবাহিত ছিলেন এবং তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন না বিয়ে দিচ্ছিলেন, না তাঁকে সম্পত্তির কোনও অংশ দিয়েছিলেন। তাই মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দাবি করতেন ওই যুবক। আর এর জেরেই বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেছেন পুলিসের কাছে।
পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার কথা জানামাত্রই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিস।
প্রদীপ সাউ নামে কুমোরটুলির এক শেয়ার ব্যবসায়ীর (Share Trader) রহস্যজনক মৃত্যু (Mysterious Death)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার আব্দুল হামিদ স্ট্রিটের একটি নাইট ক্লাবে (Night Club) আসেন তিনি। সেখানে তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান (Drinking) করছিলেন। এরপর যখন তিনি লিফটে (Lift) করে নিচের তলায় নামতে যান, তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি লিফট থেকে পড়ে যান। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। প্রবল রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে ছুটে আসে নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। পুলিসের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। প্রতিদিন যেমন ১২ টার সময় উনি কাজে বেরন, তেমনই বেরিয়েছিলেন। সাধারণত রাত সাড়ে ১০ টার সময় উনি ফিরে পড়েন। কিন্তু কাল সাড়ে ১০ টার পরেও ফেরেননি। ১১ টা বেজে যাওয়ার পরেও না ফেরায় উনাকে বারবার ফোন করা হয়। কিন্তু উনি ফোন রিসিভ করেননি। জানালেন মৃতের স্ত্রী। খুনের আশঙ্কা করছেন মৃতের ছেলে ও ভাই।
পারিবারিক অশান্তির(domestic violence) জেরে একই পরিবারের ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র (sharp weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুনের(murder) অভিযোগ হাওড়ায়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া থানা এলাকার এম সি ঘোষ লেনে। অভিযোগের তিরে এক ভাই দেবরাজ ঘোষ ও ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষের বিরুদ্ধে। পুলিস(police) সূত্রে জানানো হয়েছে মৃতরা সম্পর্কে অভিযুক্ত পল্লবী ঘোষের মেজো ভাসুর, ভাসুরের স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়ি। মৃতরা হলেন, শ্বাশুড়ি মাধবী ঘোষ (৬০), ভাসুর দেবাশিস ঘোষ ( ৩৬), ভাসুরের স্ত্রী রেখা ঘোষ (৩০), ভাসুরের নাবালিকা মেয়ে ( ১৩)। এই ঘটনার পর থেকে দেবরাজ ঘোষ পলাতক। হাওড়ার সিটি পুলিসের আধিকারিকরা পল্লবী ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারও বাঁ হাতে জখম রয়েছে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যান হাওড়া থানার পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং সিটি পুলিসের(city police) গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। তারা বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেঝের উপরে ছড়িয়ে চিত্ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেহগুলি। দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত (death)বলে ঘোষণা করেন।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু না জানা গেলেও প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি(property) নিয়ে অশান্তি চলছিল । মাঝে মধ্যে সেই বিবাদ চরমে উঠত। প্রতিবেশীরা তার মধ্যস্থতাও করেছেন একাধিকবার। দেবরাজের সঙ্গে দেবাশিসের বুধবার সকাল থেকেই অশান্তি হচ্ছিল। দুপুরের পর আবার তা ঠিকও হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর আবারও অশান্তি বাড়ে। প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন। সেই অশান্তির জেরে এই ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
পলাতক দেবরাজ ঘোষের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন হাওড়া সিটি পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।
গোবরা কবরস্থানের (Gobra Graveyard) ভিতরে থাকা ছোট্ট জলাশয় বা ডোবার মধ্যে থেকে উদ্ধার হল এক নাবালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ (Mutilated Body)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার থেকে ওই নাবালক (Minor) নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীকালে তপসিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও (Missing Diary) করা হয়। গতকাল রাতে ওই কবরস্থানের কর্মীরা ওই ডোবার মধ্যে নাবালককে দেখতে পান। তার শরীরে কোনও সাড় ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই নাবালকের দাদা বলেন, এই ঘটনাকে খুন বলেই আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। দুটি ছেলেকে তাঁরা সন্দেহ করছেন। লুল্লা এবং কাল্লু নামে দুজনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, খুনের ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাতেই, যখন থেকে তাঁর ভাই নিখোঁজ, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই। কবরস্থানের মধ্যেই একটি জায়গায় নৃশংসভাবে ভাইকে খুন করার পর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই ডোবায়। ডোবার পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত জলেই পড়ে ছিল দেহ।
যে অভিযোগ তপসিয়া থানায় করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা। পরিবারের লেকজনের অভিযোগ, ওই নাবালকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রীতিমতো ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে।
প্রেমের পথে কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ভয়ংকর ঘটনা (Murder) ঘটিয়ে বসেছে ১৫ বছরের নাবালিকা প্রেমিকা (Daughter) এবং ৩৭ বছরের প্রেমিক। মঙ্গলবার তাদের দুজনকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুর (Jamshedpur) শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক মিলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বয়সে অনেকটা বড় হওয়ায় এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল বাবা (৪৫) এবং মা (৩৫)। তাই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল নাবালিকা। সেই মতো রবিবার ভোরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বেরনোর সময় বাবা-মার চোখে পড়ে যায়। নাবালিকাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ংকর আকার নেয় পরিস্থিতি।
নাবালিকার বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত যুবকটি। হইচই শুনে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এবং নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিক মিলে নাবালিকার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুন করে বলে পুলিস জানায়। জানা গিয়েছে, হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বাইরে রাখা স্কুটারে করে পালিয়ে যায় তারা।
সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুরের থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মৃতদেহ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। এরপর পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং তদন্তে নেমে ওমনগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই অভিযুক্ত নাবালিকা মেয়ে এবং প্রেমিককে। খুনে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার উদ্ধার করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায মামলা রুজু করা হযেছে।