
বহরমপুর হত্যাকাণ্ডে রায়ঘোষণা আদালতের। প্রধান অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত। সুতপা চৌধুরী খুনে বহরমপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক মঙ্গলবার সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে ছিলেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। এই মামলায় মোট ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বুধবারই আদালতে ফাঁসির আবেদন করেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বান্টি ইসলামের। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ঘটনার ৭৫ দিনের মাখায়া বহরমপুর আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত সুশান্ত-সহ ৩০২-সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ৩৮৩ পাতার চার্জশিট দেয় পুলিস।
গত বছর, ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শহিদ সূর্য সেন রোড থেকে মেসে ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, একজন তাঁকে অনুসরণ করছে। মেসের দরজার সামনে ওই ছাত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয় ছাত্রীকে। পরের দিনই গ্রেফতার হন সুশান্ত। জানা গিয়েছে, সম্পর্কের জটিলতা থেকেই প্রাক্তন প্রেমিকা সুতপাকে খুন করেন সুশান্ত।
এক চিকিৎসককে (Doctor) খুনের অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে নলহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের পাঁচজনের নাম গোড়া খাঁ, রাজেশ শেখ, অভিষেক সালুই, তারক কর্মকার ও সুখেন কর্মকার। ধৃত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বাড়ি নলহাটিতে এবং সুখেন কর্মকারের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়াতে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২৪ এপ্রিল বীরভূমের নলহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়ি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় মদনলাল চৌধুরী নামে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই খুনের তদন্তে নেমে রবিবার পাঁচজনকে আটক করে পুলিস।
এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাদের পুলিসি হেফাজতে নিয়ে ওই চিকিৎসকের খুনের তদন্ত করবে পুলিস। এমনকি এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তারও তদন্ত করা হবে। এমনকি গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ এবং খুনের অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। থানা এবং ওই চত্বরের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও। ঘটনার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষের জেরে জনাকয়েক পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন বলে কালিয়াগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে পুলিস কয়েক জনকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করেছে।
সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা ঘিরে একাধিকবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি। তেমন আবহ তৈরি হল আবার। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জে থানা অভিযান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিল রাজবংশী তপশিলি আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়। ওই কমিটির তরফে বহু মানুষ থানা অভিযান করেন। কর্মসূচির আগাম খবর রেয়ে থানার সামনে তিনটি জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিস। অভিযোগ, সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। এর পর, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোড়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল।
এরপর মারমুখী হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানার একটি অংশে। একই দাবিতে মঙ্গলবার রায়গঞ্জে পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযান করেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি ঘিরেও ছড়ায় উত্তেজনা। আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন।
প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের (Kill) অভিযোগ উঠল পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। লোপাট লক্ষাধিক টাকা। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ তার জেরেই এই খুন। অভিযোগ, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে। মৃত (Dead) দম্পতির নাম রাধেশ্যাম বর্মা বয়স ৭৫ বছর এবং তাঁর স্ত্রী বীণা বয়স ৭০ বছর।
দম্পতির পুত্র পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল। রবিবার দিল্লির (Delhi) গোকুলপুরি এলাকায় ওই বৃদ্ধ দম্পতির দেহ বেডরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বাড়ির একতলায় থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি এবং দোতলায় থাকতেন তাঁর পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতি। খুনের সময় দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন দম্পতির পুত্র এবং নাতি। ঠিক সেই সময় পুত্রবধূ তার প্রেমিক এবং এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে দম্পতিকে খুন করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে যে, দুজন সহযোগীর সাহায্যে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করেছেন তাঁদের পুত্রবধূ। বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বাড়িটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বাড়ি বিক্রির অগ্রিম হিসাবে কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ওই দম্পতি। এমনকি খুনের পর ওই টাকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ডিজের আওয়াজে বিরক্ত, আওয়াজ কমানোর প্রতিবাদে গুলিতে (Shooting) প্রাণ হারালেন এক সন্তানসম্ভবা মহিলা (Pregnant Woman)। বাঁচানো গেলো না তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকেও। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) সিরসপুরে। মৃত মহিলার নাম রঞ্জু, বয়স ৩০ বছর। অভিযোগ, জোরে জোরে ডিজে বাজানোয়, সেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সমস্যায় পড়েছিলেন। সোমবার, ৩ এপ্রিল হরিশ নামের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে তাঁর ছেলের মঙ্গল কামনা উপলক্ষে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছিল।
সেই পুজো উপলক্ষেই ডিজে বাজানো হচ্ছিল। অভিযোগ, ডিজের আওয়াজ এতটাই জোরে ছিল যে, অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলা সমস্যায় পড়েছিলেন। বারান্দায় বেড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন সন্তান সম্ভবা ওই মহিলা। অভিযোগ, ডিজের আওয়াজ কমানোর কথা শুনেই হরিশের মাথা গরম হয়ে যায়। তিনি রাগের মাথায় তার বন্ধুর কাছ থেকে একটি পিস্তল নিয়ে আসেন এবং অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। গুলি গিয়ে লেগেছিল মহিলার ঘাড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চিকিৎসকরা জানান, তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু মহিলাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ওই সন্তান সম্ভবা মহিলাকে। শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। গ্রেফতার এই ঘটনায় অভিযুক্তরা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝায়ের (Raju Jha Murder) খুনের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে। এই খুনের রহস্যভেদে সিট গঠন হলেও সেভাবে অগ্রগতি হয়নি তদন্তের। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। 'বেপরোয়া' এই খুন নিয়ে কিছু প্রশ্নও উঠে আসছে বারবার। সূত্রের খবর, ইডির (ED Summon) ডাকে সাড়া দিতে ঘটনার দিন দিল্লি যাচ্ছিলেন রাজু ঝা। নারকীয় খুন তার আগেই। দুটি বিষয় কী সম্পর্ক যুক্ত, এই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। আব্দুল লতিফ (Abdul Latif) নিজের গাড়ি খুনের কাজে ব্যবহার করানোর বোকামি কি করবেন? ঝালমুড়ির স্টল অবধি জুতোয় রক্তের ছাপ কার? গরু পাচার-কাণ্ডে সায়গল হোসেনও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন। এদিকে রাজু ঝা খুন হয়ে গেলেন! পাচার কাণ্ডে সাক্ষী নিকেশ পর্ব চলছে কি?
এদিকে, এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিট। আততায়ীদের খোঁজে ঝাড়খণ্ড, বিহার,উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে অভিযানে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। পাশাপাশি রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমেও তল্লাশি অফিযান পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ৩ জন আততায়ী ছিলো। ৭ এমএম বন্দুক থেকে রাজু ঝা-কে গুলি চালানো হয়েছে। গুলি চালানোর পর আততায়ীরা শক্তিগড় স্টেশন থেকে ট্রেন পথেই চম্পট দিয়েছে।
আব্দুল লতিফ সম্ভবত বর্ধমান হয়ে ট্রেন পথে চম্পট দেয়। এদিকে ফরেন্সিক আততায়ীদের গাড়ি থেকে যে পাচটি নম্বার প্লেট উদ্ধার করেছে। সবকটি নাম্বার প্লেটই বোলেনো গাড়ির। যদিও রঙ আলাদা। আততায়ীদের গাড়িকে বাঁশকোপা এলাকায় প্রায় ১০০ কিমি গতিবেগে কলকাতা অভিমুখে আসতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে রাজু ঝা খুনে পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের দাবি পরস্পর-বিরোধী। তাই দু'জনকেই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল পুলিস সুপারের অফিসে। শেখ নূর হোসেন বনাম ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের এসপি অফিসে জেরা রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম এই দুই সাক্ষীকে।
বাবা-মাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ১৬ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুলন্দশহরে। ঘটনার তদন্তে পুলিস (Police)। খুনে ব্যবহার করা অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিস। এমনকি মঙ্গলবার অভিযুক্ত কিশোরীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, গত ১৫ই মার্চ ঘটনাটি ঘটে। মৃত দম্পতির নাম শাব্বির(৪৫) ও স্ত্রী রিহানা(৪২)।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কিশোরী গত ১৫ মার্চ পরিচিত এক যুবকের কাছ থেকে ২০টি মাদকের বড়ি নিয়ে আসে। সেই বড়ি বাবা-মায়ের খাবারে মিশিয়ে দেয়। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবা-মা অজ্ঞান হয়ে যান। তখনই তাঁদের কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে কিশোরী বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত কিশোরীকে গ্রেফতারের পর মাদকের বড়ি জোগান দেওয়া ওই যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।
এই বিষয়ে এসএসপি শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, তদন্তের সময় মৃত দম্পতির মেয়ের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তাই পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরার মুখে সে স্বীকার করে যে, ছেলেদের সঙ্গে কথা বলত বলে তাঁর বাবা-মা তাকে মারধর করত। সেই নিয়েই অশান্তি চলত বাড়িতে। অশান্তির ফলেই সে তাঁর বাবা-মাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিলজলার (Tiljala) ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পার হলেও পরিস্থিতি এখনও থমথমে। তিলজলায় নাবালিকা (Minor) খুনের (Murder) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশন। সূত্রের খবর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিসের ডিজি ও রাজ্য সেক্রেটারিকে এ ঘটনার তথ্য চেয়ে তলব করা হতে পারে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্তে, জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
রবিবার রাতে স্থানীয় ৭ বছরের এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আটক করা হয় মূল অভিযুক্ত আলোক কুমার সাউকে, ওই রাতেই পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তিলজলা থানা ভাঙচুর হয়। আলাদা ওই ঘটনায় ২ স্থানীয়কে আটক করে পুলিস। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে, ওই ঘটনায় তান্ত্রিক যোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিস। সোমবার সকাল গড়াতেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বন্ডেল গেট অবরোধ শুরু হয়। হিংসা ছড়িয়ে পরে রেললাইনেও, ট্রেন আটকে চলে বিক্ষোভ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি সহ পথ চলতি বাইকও। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে, লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আলোক কুমার সাউকে ১৪ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া আরও খবর, যে হিংসা ছড়ানো ও ভাঙচুর-অবরোধের ঘটনায় এখনও অবধি ২০ জনকে আটক করেছে পুলিস।
১০০ টাকা না দিতে পারার অপরাধে খুন (Death) এক বৃদ্ধ অটোচালক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হায়দরাবাদের আফজলগঞ্জের। এক বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) সামনে ঘটা এই ঘটনায় পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অটোচালকের (Auto Driver) নাম সাইক আমজাদ, বয়স ৬২ বছর।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবারও বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন অটো চালক আমজাদ। সেই সময় এক মহিলা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠেন। সঠিক জায়গায় পৌঁছনোর পর, অটোর ভাড়া দাঁড়ায় ১৪০ টাকা। কিন্তু মহিলা যাত্রী অটো চালককে ২০০ টাকা দিয়েছিলেন। অটোচালক খুচরো হবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। অগত্যা ওই মহিলা যাত্রী তখন এক ফুটপাতবাসীর কাছে যান এবং তাঁর থেকে ভাড়ার টাকা খুচরো করে অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালের চলে যান।
এরপর ফুটপাতবাসী অটোচালকের কাছে ১০০ টাকা চান। সাইক টাকা দিতে আপত্তি জানালে, ওই ফুটপাতবাসী আমজাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। অটোচালককে বেধড়ক ঘুষি মারতে আরম্ভ করেন অভিযুক্ত। বারবার করে ঘুষি মারায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ায় ওই অটোচালককে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস তদন্তে নেমে গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
ডাইনি সন্দেহে এক প্রৌঢ় দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোড়লের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া থানার নোয়াপাড়া গ্রামে। ঘটনাস্থলে সাঁইথিয়া থানার (Sainthia Police) পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস গ্রেফতার (Arrest) করেছে স্থানীয় মোড়লকে। পুলিস দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম পাণ্ডু হেমব্রম ও পার্বতী হেমব্রম। নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। অভিযোগ, গ্রামের মোড়ল গ্রামে একটি বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ওই দম্পতি উপস্থিত ছিলেন না। যার ফলে গ্রামের মোড়ল তাঁর লোক দিয়ে ওই দম্পতিকে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করেন। যার ফলে তাঁরা গুরুতর আহত হয়।
এক আত্মীয় জানান, এই মারধরের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন। ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। শনিবার তাঁদের বোলপুর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, বাকি আত্মীয়দের দেখানোর জন্য একদিন বোলপুর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। তবে গ্রামের মোড়ল ও গ্রামের কয়েকজন লোক না জানিয়েই শনিবার সন্ধ্যাতেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে। এমনটাই অভিযোগ আত্মীয়দের।
তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে বেনেডাঙা শ্মশানে হাজির হয় আহমেদপুর ফাঁড়ি ও সাঁইথিয়া থানার পুলিস। এমনকি শনিবার রাতেই গ্রামের মোড়লকে গ্রেফতার করে সাঁইথিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিস। গ্রামবাসী এবং আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন (Murder) করে আত্মঘাতী (Suicide) স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া কুঠিরপাড়া এলাকায়। শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার (Krishnaganj Police) পুলিস। পুলিস ওই তরুণীর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এমনকি আত্মঘাতী ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় রানাঘাট জিআরপি। জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম দিপালী সর্দার (২৫) এবং স্বামীর নাম জয়ন্ত সর্দার (২৯)।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দিপালীর স্বামী জয়ন্ত তাঁর মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রত্যেক দিনই জয়ন্ত মেয়েকে ডেকে নিয়ে যেত এবং কিছুক্ষণ পর আবার তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যেত। সেরকমভাবে শুক্রবার রাতেও নিয়ে যায়। তবে সেদিন রাতে আর ফিরে আসেনি দীপিকা। তারপর শনিবার সকালে এই ভয়ংকর খুনের ঘটনার কথা জানা যায়।
তবে এই বিষয়ে এলাকাবাসীদের দাবি, ওই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা প্রায় লেগেই থাকত। এমনকি প্রায়ই দীপিকা তাঁর বাবার বাড়িতে এসেই থাকত। স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্বশুড়বাড়ির পিছনের জমিতে স্ত্রীকে মাঠে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জয়ন্ত। তারপরই জয়ন্ত রেল লাইনে আত্মঘাতী হয়েছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস।
এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের (Life Sentence) আদেশ কাকদ্বীপ (Kakdwip Court) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের। এক মহিলাকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সমর পাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক তপন কুমার মণ্ডল। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পাতি বুনিয়ার বাসিন্দা।
কাকদ্বীপ কোর্টের সরকারি আইনজীবী এই কেসের পিপি ইনচার্জ অমিতাভ রায় জানান, 'ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকায় ১২/০৪/২০১৮-তে একটি কেস রেজিস্টার্ড হয়। অভিযুক্তর নামে কেস নম্বর ৩০/২০১৮, আইপিসি-র আন্ডার সেকশন ৩০২ ধারায় একটি মামালা রুজু হয়। নামখানা থানার দারিদ্রনগরের এক গরীব পরিবারের মেয়ে দুর্গা মাঝিকে লোভ দেখিয়ে বকখালির মৌমিতা হোটেলে নিয়ে যায় সমর পাত্র। সেখানেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে আসামি।'
তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় সে। প্রায় দেড় মাস পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১৮ জন সাক্ষী ও ৬৩টি ডকুমেন্টস পেশ করা হয় আদালতে।
সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তপন কুমার মণ্ডল অভিযুক্ত সমর পাত্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। তবে এই রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর পাত্রর পরিবার। সমর পাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
১৮ দিন পর মঙ্গলবার কলকাতা (Kolkata police) লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ। নীল ড্রামে ভরা পচা-গলা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণের জন্য দেহটিকে নীলরতন সরকার (Nrs) মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এরপর দেহটির ময়না তদন্ত হলে পুলিস মারফত জানা যায়, ঝুন্নুর মাথায় বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে, ভারী কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে বলে খবর।
মার্চ মাসের ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানা, ঝুন্নুর পরিবারের তরফে তদন্ত করে জানতে পারে ঝুন্নুকে সিসিটিভি ফুটেজে শেষ মার্চ মাসের ৫ তারিখ তার নব্য বন্ধু তিলজলার গোলাম রব্বানীর সঙ্গে বাইকে দেখা গিয়েছে। এরপর পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। সেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিসের কাছে গোলামের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে ঝুন্নুর পরিবার। ঝুন্নুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোলামের খোঁজ শুরু করে পুলিস। পরে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গোলাম রব্বানী, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, ভাই-সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
অভিযুক্তদের জেরা করে জানা যায়, গোলামের পরিবারই ঝুন্নুকে খুন করেছে। এরপর থেকে লাগাতারভাবে ঝুন্নুর দেহ খুঁজতে থাকে পুলিস। মঙ্গলবার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ।
দু বছরের শিশুকন্যাকে খুনের (Child Murder) অভিযোগে ধৃত বাবা। সোমবার এন্টালি থানা (Entally PS) এলাকার ঘটনায় শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিস (Kolkata Police)। পুলিস জানিয়েছে, মায়ের অভিযোগ, এ মাসের ১৮ তারিখে তাঁর স্বামী শিশুকন্যাকে খুন করে। তারপরেই এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন শিশুকন্যার মা।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। এরপরেই ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস। সোমবার ওই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
মামা বাড়ির সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির যোগ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ (Whats App) মেসেজে সিবিআই তদন্তের দাবি। রাতারাতি সেই মেসেজ ঘনিষ্ঠদের পাঠিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) দুর্গাপুরের (Durgapur) এক যুবক ও তাঁর পরিবার। রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কুরুরিয়া ডাঙ্গা মিলনপল্লি এলাকার ঘটনা। পুলিস গিয়ে তাঁদের মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ওই বাড়ির কর্তা অর্থাৎ মৃত অমিত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী রুপা মণ্ডল সহ তাঁদের আট বছরের সন্তান নিমিত মণ্ডল ও চোদ্দ মাসের নিকিতা মণ্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। রবিবার পুলিস আরও জানায় যে, ওই দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন (Murder) করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে অমিতের মোবাইল অমিতের মামাবাড়ির অনেকের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগের কথা উল্লেখ আছে...থেকে রাতে স্থানীয় ও ঘনিষ্ঠদের কাছে ম্যাসেজ যায়। যেখানে অমিতের মামাবাড়ির অনেকের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগের কথা উল্লেখ আছে। রবিবার কুরুরিয়া ডাঙ্গাতে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। যদিও গোটা ঘটনায় অমিতের মামা বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে অমিতের শাশুড়ি। রবিবার তিনি বলেন, 'আমার জামাইকে ওঁর মামা বাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত, অপমান করত, ওঁরাই আমার জামাইকে খুন করেছে।'
রবিবার অমিতের পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বিশেষ ঝক্কি পোহাতে হয় পুলিসকে। অমিতের বাড়িতে স্থানীয়রা এসে ভিড় করে এবং পুলিসকে বাধা দেয়। এক স্থানীয়দের দাবি, 'অমিত ভালো ছেলে ছিল। কেন এমন ঘটনা ঘটাল সেটা পুলিস তদন্ত করুক।' দোষীদের উপযুক্ত সাজার দাবিতে এদিন স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয়দের দাবি, অমিতের পাঠানো মেসেজে লেখা ছিল অমিতের মামাবাড়িতে নাকি কোটি কোটি টাকা রয়েছে। এই দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্তের দাবি জানায় সে। অমিতের এমন হোয়াটস অ্যাপ ম্যাসেজ পাওয়া মাত্রই অমিতের আত্মীয়রা কুরুরিয়া ডাঙ্গার বাড়িতে এসে দেখেন অমিতের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রুপার দেহ বিছানায় পড়ে। আর মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে তাঁদের দুই সন্তান। এরপরই তাঁরা থানায় খবর দেন। দুর্গাপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয়রা অমিতের মামার বাড়ির বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিস সূত্রে দাবি, পূর্বেই মামা বাড়ির সঙ্গে অমিতের জমিজমা সংক্তান্ত বিষয়ে বিবাদ ছিল। সেখান থেকে কিছু ঘটলো নাকি, অমিতের পাঠানো মেসেজের আদতে কোনও ভিত্তি আছে কিনা সেটার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করছে পুলিস।