বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান (Sara Ali Khan) এমনি মিষ্টি স্বভাবের। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে, বাইরে তাঁর সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক। এমনকি তাঁকে ঘিরে থাকা পাপারাৎজিদের কাছেও তিনি ভালো ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়। তবে তিনিও তো রক্ত মাংসের মানুষ, তাই মাঝেমধ্যে একটু মেজাজে পরিবর্তন আসে। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিওতে অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে একটু রাগী মেজাজে।
সম্প্রতি সারা একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। নবাব কন্যা পরেছিলেন সাধারণ লাল রঙের চুড়িদার। চেহারায় হালকা মেকআপ, কপালে দেখা গিয়েছে ছোট্ট টিপ। যেখানে সারা গিয়েছেন, সেখানে পাপারাৎজিরা যাবেন না, তা তো আর হয় না। তাই গাড়ি থেকে নেমেই সারা দেখতে পান পাপারাৎজিদের। অভিনেত্রীকে পোজ দিতে বলে তখন চিত্রগ্রাহীদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে।
চিৎকারের মাত্রা যখন বেড়ে গিয়েছে, তখন সারা পাপারাৎজিদের হেসে ইশারায় চুপ করতে বলেন। তাতেও তাঁরা শান্ত না হলে সারা একটু কড়া স্বরে তাঁদের চুপ করতে বলেন। সঙ্গে বলেন, রেস্তোরাঁর মালিক তাঁদের দেখছেন। যদিও সারা রেগে গিয়েও বজায় দেখেছিলেন তাঁর নমনীয়তা। হাত জোর করে সকলের কাছে আবেদন করেছিলেন নিচু স্বরে কথা বলতে।
বলিউডের নতুন তারকাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর (Janhvi Kapoor)। হাসিমুখে সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। ক্যামেরার সামনে এলেই বেশ খোশমেজাজে দেখা যায় তাঁকে। পাপারাৎজিরা বেশ মন ভরে ক্যামেরাবন্দি করেন তাঁকে। কিন্তু এমন রামধনু-সোম আকাশে বৃষ্টি থাকবে না, তা কি হয়! সম্প্রতি জাহ্নবীকে দেখা গেল একেবারে অন্য মুডে।
একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা গিয়েছে লাল শর্ট প্যান্ট এবং সাদা টিশার্ট পরিহিতা জাহ্নবীকে। তাঁর চেহারার চেনা হাসি উধাও। পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখে এতদিন হাসিমুখে এগিয়ে যেতেন তিনি, সেই হাসি গায়েব জাহ্নবীর চেহারা থেকে। হাত দিয়ে মুখ ঢেকেছেন তিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ক্যামেরায় ধরা না দিতে।
কী হয়েছে জাহ্নবীর? এই প্রশ্নে ছয়লাপ হয়েছে নেট মাধ্যম। কিছুদিন আগেই জাহ্নবী তাঁর চর্চিত প্ৰেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফায়ার এসে যোগ দিয়েছেন চেনা রুটিনে। বেশ বড় বাজেটে কাজ করতে চলেছেন জাহ্নবী কাপুর। জুনিয়ার এনটিআরের সঙ্গে 'এনটিআর ৩০' সিনেমায় দেখা যাবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শ্যুটিংয়ের কাজ। কিন্তু কেন জাহ্নবীর মন খারাপ? সেই নিয়ে দর্শকমনে অনেক প্রশ্নের উত্থান হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সিনেমার শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। শাহরুখ খানের 'পাঠান' যতই রেকর্ড করুক না কেন, 'বিগ বি'র আসন থেকে তাঁকে কেউ টলাতে পারেনি। মনে রাখতে হবে অমিতাভের বয়স এখন ৮০ এবং আজকেও তাঁকে ভেবেই চিত্রনাট্য তৈরি হয়। কিন্তু তাঁর সিনেমা জগতে প্রবেশ মোটেই সুখকর ছিল না। হৃষিকেশ মুখার্জির 'আনন্দ' সুপার হিট হওয়ার পরেও সহ অভিনেতা অমিতকে কেউই পাত্তা দেয়নি। অবশেষে প্রখ্যাত প্রয়াত অভিনেতা ও প্রযোজক মেহমুদের ছবি 'বোম্বে টু গোয়া'তে একটি সুযোগ আসে এবং তাও নায়ক চরিত্রে। সুযোগ এমনি আসেনি, তখন ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পুত্র রাজীব ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের পাইলট।
অমিতাভ এবং মেহমুদের ভাই আনোয়ার আলি (যিনি বোম্বে টু গোয়াতে ড্রাইভারের চরিত্রে ছিলেন) ছিলেন রাজীবের প্রিয় বন্ধু। বলিউডে সুযোগ না পেয়ে অমিতাভ, রাজীবকে দুঃখ করে সেকথা জানিয়েছিলেন। রাজীব সটান আনোয়ারকে বলেন যে মেহমুদের প্রোডাকশনে অমিতকে একটি সুযোগ দিতে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্রর অনুরোধ মেহমুদ অগ্রাহ্য করতে পারেননি। সুযোগ মেলে বোম্বে টু গোয়াতে।
একেবারেই লক্কর মার্কা চরিত্র ছিল বচ্চনের। কয়েকদিন শুটিং হয়ে যাওয়ার পর ওই বিখ্যাত গান 'দেখা না হায় রে, সোচা না হায় রে' গানটির শুট। অমিতাভকে ডেকে মেহমুদ বললেন, তোমাকে নাচতে হবে। শুনেই অমিত মেকআপ ঘরে চলে যান। অনেক্ষণ তাঁর দেখা না পেয়ে মেহমুদ মেকআপ ঘরে গিয়ে দেখেন অমিতাভ কাঁদছেন। তখন হিন্দি ছবির নায়কদের মধ্যে শাম্মি কাপুর ও জিতেন্দ্র ছাড়া কেউই নাচতে পারতেন না। অমিত মেহমুদকে জানান, 'নাচতে তিনি অপারগ'।
মেহমুদ বলেন যে, আরে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এই গানে বাঁধা ধরা কোনও নাচ নাচতে হবে না, তোমার যা খুশি নাচো। তারপর ভয়ে ভয়ে শুট শুরু হলো। এরপর ইতিহাস! আজ এই বয়সেও শাহেনশা প্রচুর ছবিতে নেচেছেন এবং বিভিন্ন মহল্লায় যুবকরা যে নাচ নাচেন তা কিন্তু অমিতাভের অনুকরণেই তৈরি।
মেহমুদ আজ আর নেই, অমিতাভ কি ভাবেন তাঁর কেরিয়ার তৈরি করতে রাজীব গান্ধী ও মেহমুদের অবদান?