একের পর এক নৃশংসতার ছবি উঠে আসছে বাংলায়। এ রাজ্যে যেন নারী পুরুষ কেউউ নিরাপদ নয়। কখনও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, তো কখনও মূক ও বধির যুবতীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার যৌন লালসার শিকার ১১ বছরের এক নাবালক। হ্যাঁ নাবালক। শিরোনামে মালদহের মানিকচকের নুরপুর অঞ্চলের পাঠানপাড়া এলাকা।
অভিযোগ, ১১ বছরের এক নাবালক নিজের বাড়ির পিছনে খেলা করার সময় এলাকারই এক বাসিন্দা তাকে ডেকে শারীরিক নির্যাতন করে। নাবালকের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাবালক মালদহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অভিযুক্ত পৌঢ়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মানিকচক থানায়। ঘটনার তদন্তে মানিকচক থানার পুলিস। এ রাজ্যে কি নারী-পুরুষ, বাচ্চা, বৃদ্ধ কেউউ নিরাপদ নয়? এই প্রশ্নটা যেন থেকেই যাচ্ছে।
মর্মান্তিক ঘটনা! মঙ্গলবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) কাছে একটি স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যেই গলায় দড়ি (hanging) দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হল ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্র। একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র নিকটবর্তী শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। তার সহপাঠীরা ক্লাসে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর।
বাকি ছাত্রদের অভিযোগ, একটি নাইলনের দড়ির সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। যদিও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্র। স্কুলের হস্টেলেই থাকত। রাত ১০টায় পড়া শেষ হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্কুলের সব কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর একটি ক্লাসরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
হস্টেলের অন্যান্য ছাত্ররা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হস্টেলের ওয়ার্ডেন কেন গাড়ির ব্যবস্থা করেননি তা স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রের এক বন্ধুর অভিযোগ, পরীক্ষায় ভালো করার চাপ তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। এদিকে বিচারের দাবিতে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্রের আত্মহত্যার জন্য আচার্য নামে এক স্কুলকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ছাত্ররাও তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছে। স্কুল দুদিনের জন্য বেসরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে এবং শিক্ষার্থীদের সকলকে বাড়ি পাঠিয়েছে।
প্রায় চার দিন ধরে নিখোঁজ সোদপুরের এক কিশোর (Student Missing)। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর (Sodepur Incident) শেঠ কলোনির বাসিন্দা বছর ১৩-র সৌমদ্বীপ পাল সোমবার বিকেলে পাশের পাড়ায় শিক্ষকের বাড়ি নোটস নিতে যাবে বলে বেরোয়। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নিখোঁজ কিশোরের মায়ের দাবি, 'তাঁর ছেলের সঙ্গে কোচিং সেন্টারে শুভ্রাংশু নামে এক বন্ধু পড়ে। তার থেকে নিখোঁজ পড়ুয়া ৬০০ টাকা ধার নিয়েছিল। বন্ধু শুভ্রাংশু সেই টাকা ফেরতের জন্য সৌমদ্বীপকে বারবার চাপ দিচ্ছিল। দু'জনের মধ্যে একটা ঝামেলাও হয়েছিল।'
বাড়ির লোকের অভিযোগ, 'ওই বন্ধুর কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।' এদিকে, নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের থেকে খড়দহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানা। সোদপুরের স্টেশন রোডের রাস্তার এক সিসি ক্যামেরায় ওই কিশোরকে শেষ দেখা গিয়েছে।
এদিকে, নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের নিখোঁজের ঘটনা। নিখোঁজ ছাত্রের নাম বলরাম রাজবংশী। বাড়ি কুমোরপাড়া সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের কাছে। বুধবার থেকে নিখোঁজ ওই ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, 'বলরাম বাগুইআটির প্রতিবেশীপাড়ার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। ওই ছাত্রী আবার মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বলরামের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ওই মেয়েটির হাত আছে কিনা সন্দেহ।' দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলরামের মা আরতী রাজবংশী।
নিখোঁজ ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে ছিল ওই ছাত্র। ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে মেয়েটিকে দামি উপহার দিয়েছিল বলরাম। কিন্তু উপহার নেওয়ার দু'দিনের মাথায় সে জানিয়ে দেয় এই সম্পর্কে আর চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
এরপরই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই কিশোর। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে পরিবার। এরই মাঝে বুধবার রাতে পাশের এক মুদির দোকানে যায় বলরাম।। তারপর থেকেই খোঁজ নেই কিশোরের।
মিনাখাঁয় নয় বছরের শিশুকন্যার মৃত্যুর পর এবার কুলপি। বোমা বিস্ফোরণে আহত এবার (injured) দুই নাবালক। ঘটনাটি কুলপি (Kulpi) থানার ছামনামনি এলাকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই একের পর এক বোমা (bomb) বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, ক্ষোভ জমছে স্থানীয়দের মনেও।
ছামনামনি এলাকার একটা পোল দিয়ে রায়দিঘি, কোম্পানিরঠেক, ঘোড়াদল এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানেই বসেছিল চার নাবালক। এরপর হঠাত্ই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয়রা বিকট শব্দের উৎস খুঁজে ছুটে এসে দেখেন দু'জন নাবালক জখম হয়েছে। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital)। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয় তাদের। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই কুলপি থানার পুলিস (police) মোতায়েন রয়েছে। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবসী। নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকা।
জানা যায়, ওই পোলের তলায় প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় গোলাকার কিছু পড়ে থাকতে দেখে ৩ নাবালক। পরে প্লাস্টিকের মোড়া সেই বোমাকে তুলে এনে বল ভেবে ছুড়ে ফেলতেই বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত ওই দু'জন। অন্যদিকে, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কুলপি থানার পুলিস। পাশাপাশি এলাকা থেকে ৫টি তাজা বোমা ও একটি লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিস।
চোরের উপর বাটপারি। তবে এই বাটপারি আর কেউ নয়, যে দরজা দিয়ে পালানোর কথা ভেবেছিল চোর, সেই দরজা করেছে। শুনে একটি হাসি পেলেও, এমনটাই হয়েছে এক চোরের সঙ্গে। একটি ব্যাগের শোরুমে ঢুকেছিল এক কিশোর। সেখানে গিয়ে অনেক্ষণ ধরে ঘাঁটাঘাঁটি করতে থাকে। এরপর সবচেয়ে দামি ব্যাগটি খুঁজে বের করে সেটা নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে। সেই মতো পালানোর রাস্তায় দেখে রাখে। কিন্তু সেটাই যে তার জন্য ফাঁদ ছিল, তা হয়তো ভ্রূণাক্ষরেও টের পায়নি। ব্যাগ নিয়ে ছুটে পালতে গিয়ে কাচের দরজায় ধাক্কা খায় কিশোর চোরটি। ছিটকে পড়ে দূরে। তখনই শোরুমের নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ধরে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনের বেলভিউয়ের একটি শোরুমে।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিশোর ১৫ লাখের একটি ব্যাগ চুরি করে নিয়ে পালাতে গিয়েছিল। কিন্তু দরজা ভেবে যে দিক দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেছিল, সে দিকটা পুরোটাই কাচে ঘেরা ছিল। দরজা ছিল তার ঠিক পাশেই। কিন্তু চোখের ভুলে দেওয়ালকে দরজা ভেবে দৌড়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে আছড়ে পড়ে। তারপরই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। এই ঘটনায় রীতিমত হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
কাকিনাড়ার পর এবার নরেন্দ্রপুর (Naredrapur Inicdent)। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে বোমাবাজিতে (Bomb Hurled) আহত পাঁচ নাবালক। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার দাসপাড়ায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে আহত ৫ নাবালক (Minor Injured)। তাঁদের বয়স ১০-১২ বছর। ওই পাঁচ নাবালক এলাকারই একটি মাঠে খেলতে গিয়েছিল। সেই সময় ওই মাঠে উপস্থিত দুষ্কৃতীরা তাদের মাঠ ছাড়তে বলে। কথা না শুনলে ওদের লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়া হয়। একটি বোমা না ফাটলেও, আরও একটি বোমার আঘাতে পায়ে চোট পান ওই পাঁচ জন।
রক্তাক্ত অবস্থায় তারা পালিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং পরিবারকে সব জানায়। বাড়িতেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় পরে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে, এই খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌছয় নরেন্দ্রপুর থানা পুলিস। যদিও তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস একটি ড্রাম এবং বাইক উদ্ধার করেছে। যেহেতু এই বোমাবাজির ঘটনায় আক্রান্ত নাবালক, তাই স্পষ্টতই এলাকায় উত্তেজনা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এই বোমাবাজির ঘটনায় আহত এক নাবালকের বাবা জানান, আমি ছেলের উপর হওয়া অত্যাচারের ন্যায়বিচার ছাই। বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের কী শত্রুতা জানি না। তিনি জানান, বাচ্চাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, মাঠে আবার দেখা গেলে লাশ ফেলে দেবে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার পিছনে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি।