আবারও ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ত্রিশূল জেলার আধারপল্লী এলাকায়।জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সিনারুল ইসলাম (২২)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার ফকিরাবাদ এলাকায়।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার মাস আগে সিনারুল ইসলাম নামের ওই যুবক কেরলে কাজে যান। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও সিনারুলের কথা হয়েছিল তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তারপর হঠাৎ শুক্রবার ফোন করে সিনারুলের মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। ইলেকট্রিক শকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
মধ্য়বিত্ত সংসারের হাল ধরতে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হলো না। কীভাবে তাঁর মৃতদেহটি বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
আবারও ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কোম্পানিছাড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম সঞ্জয় মাইতি।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বাড়ি থেকে অসমের করিমগঞ্জে বোরিং-এর কাজে গিয়েছিলেন সঞ্জয় মাইতি। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করে তার পাশেই বিকেলে তাবু টাঙিয়ে রাতে ছিলেন তিনি। তারপর রাস্তার পাশ দিয়ে একটি সিমেন্টভর্তি ট্রাক যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তাবুর ওপরে গিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ওই শ্রমিক। এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মাস চারেক আগে বাড়ি থেকে দিল্লীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান সফিকুল নামের ওই শ্রমিক। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।
ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে মাঝ রাস্তায় নিখোঁজ রাজ্য়ের এক পরিযায়ী শ্রমিক। বীরভূমের পাড়ুই থানার সাত্তর অঞ্চলের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা রূপকুমার বাউরী গ্রামের এক প্রতিবেশির সঙ্গে মুম্বই যাচ্ছিলেন। নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার বীরভূমের পাড়ুই থানায় অভিযোগ করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি পরিবারের।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার রূপকুমার বাউরীর শ্বশুরবাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত পালিটা গ্রামের প্রতিবেশী কুমার সর্দারের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে ট্রেনে করে মুম্বই যাচ্ছিল। এরপর বম্বে ঢোকার আগে আচমকায় নিখোঁজ হয় রূপকুমার বাউরী। নিখোঁজের পর চার দিন কেটে গেলেও কোনও খবর পাওয়া যায়নি তাঁর। যার ফলে ওই নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার স্বাভাবিকভাবে চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
মুখ্য়মন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবলেও বীরভূমের পাড়ুই থানার পুলিস কোনো সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের। যদিও এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মনোহরপুর গ্রাম জুড়ে।
চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হল এক পরিযায়ী শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই স্টেশন সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাছে। রেল সূত্রে, নাম লাবড়া মণ্ডল। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলপাড়া গ্রামে। বর্তমানে আহত ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সহকর্মীদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে বনাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন লাবড়া মন্ডল। তাঁর বন্ধু সমর কুমার জানান, লাবড়া ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর মুরারই রেল স্টেশন পার হওয়ার পর আচমকাই সে ট্রেন থেকে পড়ে যান। বিষয়টি ট্রেনের চালকের নজরে পড়লে তিনি মুরারই রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন ম্যানেজারকে জানান। খবর পেয়ে মুরারই রেল ষ্টেশনের ম্যানেজার ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে যাওয়া ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থনান্তরিত করা হয়েছে।
আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) মৃত্যু (Death)। মৃত্যুর ঘটনাটি (Murshidabad) ঘটেছে কেরলের (Kerala) ত্রিশূল জেলায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রাজিবুল শেখ (৩১)। তিনি ডোমকল পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, গত তিনমাস আগে কেরলে কাজ করতে যান রাজিবুল শেখ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজিবুল শেখ কেরলে ঢালাই ভাঙ্গার কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে কেরলে থাকাকালীনই কাজ করতে যাওয়ার সময় রেলকলাইন পারাপার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। তখনই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রাজিবুলের।
দুর্ঘটনার খবর বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাড়ির লোকজন। এমনকি শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে। কেরল থেকে কবে ফিরবে রাজিবুলের নিথর দেহ, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে পরিবার সহ গোটা গ্রামবাসী।