Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

meeting

CEO: লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে দুই ২৪ পরগনাকে নিয়ে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন

লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারও শুরু করে দিচ্ছে। ভোটের দিনক্ষণ কবে, তা স্পষ্ট না হলেও হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তার আগে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে ফের বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বুধবার CEO দফতরে এই বৈঠক হওয়ার কথা আছে। দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে থাকবেন উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার দুই জেলা নির্বাচন অফিসাররাও। থাকতে পারেন পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও।

এই বৈঠকের আগে আয়কর, ইডি-সহ একাধিক এজেন্সির সঙ্গেও ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যের নির্বাচন মুখ্য আধিকারিক ও কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। এজেন্সির বৈঠকের পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার কথা। সেই বৈঠকে সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গও উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলির বৈঠকের অন্য তাৎপর্য আছে বলে মত নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের। এদিকে ১ মার্চ রাজ্যে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে। ৭ মার্চ আরও ৫০ কম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। রাজ্যে এসেই এরিয়া ডমিনেশ শুরু করে দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

2 months ago
Student: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক, আজই জরুরি বৈঠকের ডাক কর্তৃপক্ষের

ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।

অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।

এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।

যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।

3 months ago
TMC Meet: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন! পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক মমতার

২০২৪-এর লোকসভাকে পাখির চোখ করেই একেবারে জেলা ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর নেতৃত্বের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন নিজের বাড়ি কালীঘাট থেকেই। বৈঠকে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটালের সাংসদ দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতারা রয়েছেন এই বৈঠকে। এছাড়াও আছেন সুব্রত বক্সি, জুন মালিয়া, মানস ভুঁইয়্যা, শিউলি সাহারা। ভোটের আগে দলের রণকৌশল ও মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিতে আজ, বুধবার জেলাস্তরের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক।

এদিন কালীঘাটের বৈঠকে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে।

১) যুবদের প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে হবে।

২) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার বাড়াতে হবে।

৩) সুজয় হাজরাকে বলা হয়েছে জুন মালিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে।

৪) পঞ্চায়েতের আগে যেভাবে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন, সেটা কম মনে হচ্ছে, বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫) অনেক সাংগঠনিক নির্দেশ মানা হয়নি। চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত সমিতি উদাহরণ। নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৬) কেশিয়ারি ব্লকের সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭) শ্রীকান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রামে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৮) পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুইয়াকে বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৯) ঘরে বসে রাজনীতি নয়। মাঠে নামুন। স্পষ্ট বার্তা মমতা-অভিষেকের।

১০) সব ইস্যু নিয়ে বই ছাপানো হবে। সেই বই যাবে কর্মীদের কাছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১১) জুন মালিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মেটাও। জেলা সভাপতি সুজর হাজরাকে নির্দেশ।

১২) সংবাদমাধ্যমে যে কেউ মুখ খুলবে না। কথা বলার জন্য দলের মুখপাত্ররা আছেন।

১৩) মেদিনীপুর পুরসভা দ্বন্দ্ব মেটাতে দায়িত্ব মানস ভুইয়া ও জেলা সভাপতিকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ।

১৪) বিজেপি চোর বললে ওদের ডাকাত বলে প্রচার করো বৈঠকে বার্তা দলনেত্রীর। স্লোগান দিতে হবে " গলী গলি মে শোর হায় বিজেপি চোর হায়।"

এছাড়াও জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের কয়েকজন মুখপাত্রর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কয়েকজন মুখপাত্র বদল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারও কোনও ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। সেখানে বলতে হবে। যদি কেউ এর পরেও নির্দেশ না মানে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশ না মানলে কার্যত ছেটে ফেলা হবে। রাজ্য সভাপতিকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরে কেন দলীয় কার্যালয় এখনও তৈরি হলো না।বিধায়ককে প্রশ্নও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি এদিন বলেন,  'আমরা INDIA জোটে আছি থাকব। তবে বাংলায় আমরা একা লড়ার জন্য যথেষ্ট।'

এদিন বৈঠকে প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চুপচাপ থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কিছু বলতে বলেন। অভিষেক প্রথমে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু পরে মমতা বলেন, 'তুই যখন এসেছিস, তুই বল।' তারপর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রার অভিজ্ঞতা বলেন। এছাড়া বলেন, 'দল যা নির্দেশ দেবে তাই করব। সেই দায়িত্ব পালন করব।'

4 months ago


ED: 'ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করুন', সন্দেশখালি নিয়ে সিজিওতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ বার্তা ইডি

সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে সিজিওতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। গত শুক্রবারের এই ঘটনাকে অনেকেই নজির বিহীন বলেও মতামত জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইডির অ্যাক্টিং ডিরেক্টর রাহুল নবীন। তাঁর সঙ্গে সোমবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন সকলেই।

প্রথম দফর বৈঠক শেষে ইডি অধিকর্তা বলেন, "ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করুন।" কোথাও অভিযানে গেলে ব্যাকআপ টিম যাতে রাখা হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে সিআইএসএফ-কে। পাশাপাশি বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, এনআইএ ও আয়কর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হয়। শাহজাহানের সীমান্তপারের যোগ খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ, সীমান্ত এলাকায় অভিযানে গেলে বিএসএফের সহযোগিতা কীভাবে নেওয়া হবে, অভিযানের সময় বাড়তি বাহিনী ইত্যাদি নিয়ে বৈঠকে আলোচনায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সিজিও কমপ্লেক্সে এই তৎপরতা দেখেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ফের কি তবে রাজ্যের স্কুল নিয়োগ, পুর নিয়োগ, রেশন দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে  বিভিন্ন জায়গায় ইডি হানা দেবে?

4 months ago
Meeting: মমতা মোদী বৈঠকে সৌহার্দের বার্তা

প্রসূন গুপ্ত: 'ইন্ডিয়া' জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ আজ ২০ ডিসেম্বর সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হলো। তবে অন্যবারের মতো দীর্ঘ আলোচনা ছিল না। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতেই পারেন। অঙ্গ রাজ্য হিসাবে মমতা যেমন পারেন বলতে তেমনই দেশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শুনতেই পারেন। যদিও এই বৈঠকের আগে সিপিএমের মুখপাত্রে নানান ব্যঙ্গ করে ছবি এবং বক্তব্য রাখা হয়েছিল। এমন বলা হয়েছিল যে , আগের দিনের বিরোধী জোটের সমস্ত কথা মমতা, মোদীর কাছে জানিয়ে দেবেন। সিপিএমের নেতারা ক্রমাগত চূড়ান্ত সমালোচনা করেছিলেন দুই প্রধানের। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে , তাঁরা নাকি বারম্বার বলেছেন, মমতা আসলে মোদীর এজেন্ট। অবিশ্যি শুধু সিপিএমের মুখপাত্ররাই নন। তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কোথাও বলা হয়েছে , অভিষেককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচাতেই নাকি এই বৈঠক। আবার কোথাও বলা হয়েছে রাজ্যে ক্রমাগত ইডি / সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই এই বৈঠক। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে বিরোধী দলগুলির সকলেই অবগত ছিলেন এবং বৈঠক একান্তই প্রশাসনিক তাও রাহুল গান্ধীরা জানতেন কাজেই এই নিয়ে দিল্লিতে অন্তত কোনও বিতর্ক হয় নি।  তবে এটাও বাস্তব যে , কোনও বিশেষ আলোচনা যদি মুখ্যমন্ত্রীর থাকতো তবে বিগত দিনের মতো একান্ত সাক্ষাৎকার করতেন তিনি।

সিপিএমের ধারণাকে এক প্রকার নস্যাৎ করে ১১ জন দলীয় সাংসদকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রীর দরবারে যান। এই ১১ জনের মধ্যে লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা ছিলেন। মহুয়া বা সংসদে 'ধোঁয়া' বিষয়ে কোনও আলোচনা হয় নি। ১০০ দিনের কাজ এবং আনুসাঙ্গিক পাওনা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সকলকে কুশল বিনিময় করেন। শোনা গিয়েছে আলাদা করে অভিষেকের চোখের সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে যে , কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গড়ে এই টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাদের চা পানে আহ্ববান করেন। তবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। যদিও এই সময়টুকুই এই বিষয়ের পক্ষে যথেষ্ট।

4 months ago


INDIA: লোকসভার প্রাক্কালে আজ 'ইন্ডিয়া' জোটের চতুর্থ বৈঠক ঘিরে জল্পনা, হাজির মমতা, অভিষেক

আর মাত্র কয়েক মাস। এরপর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই ফের একবার একজোট বিরোধীরা। ইতিমধ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট তৈরি করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী শক্তিগুলি। রণকৌশল ঠিক করতেই আজ, মঙ্গলবার ফের একবার বৈঠকে 'ইন্ডিয়া' জোটের সদস্যরা। দিল্লিতে এই বৈঠক হবে। অন্যদিকে, নজিরবিহীন ভাবে একের পর এক প্রায় ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

রাজ্যসভা এবং লোকসভার বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই বিরোধী সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে। যেখানে একাধিক বিরোধী সাংসদ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিনের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই জোটে মোট ২৮ টি বিজেপি বিরোধী দল যোগ দিয়েছে।

ইতিমধ্যে এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন বলেই খবর। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকতে পারেন।

4 months ago
INDIA: বুধবারের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে কে কে?

প্রসূন গুপ্ত: ৬ ডিসেম্বর পূর্বনির্ধারিত ছিল 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক। স্থান, দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি মালিকার্জুন খার্গের সরকারি ভবন। সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ভোটের আগে এই বৈঠকের তেমন কোনও তাপ উত্তাপ ছিল না কিন্তু হঠাৎই উদ্যোগ নিয়েছেন খার্গে। শোনা গিয়েছে, তিনি নিজে ফোন করে জোট সঙ্গীদের নতুন করে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি বা অভিষেক যাচ্ছেন না এই বৈঠকে কারণ তাঁকে নাকি জানানোই হয় নি। অবিশ্যি তিনি কলকাতাতেও থাকছেন না, যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে কোনও এক অনুষ্ঠানে রয়েছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে তবে কি তৃণমূল থেকে কোনও প্রতিনিধিই থাকবে না।খবর যতদূর, থাকতে পারেন হয়তো ডেরেক ও'ব্রায়ান বা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা দুজনেই এখন শীতকালীন অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

তিন গোবলয়ে পরাস্ত হওয়ার পর জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস এখন বেশ চাপে। কাজেই বুধবারের বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা। অন্যদিকে, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কথা। নীতীশ জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যের বিশেষ কাজ আছে। হয়তো প্রতিনিধি কেউ যেতে পারে একই সাথে অখিলেশের অবিশ্যি অন্য ক্ষোভ। মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে কমলনাথের কোনও এক কথায় অখিলেশ অসম্মানিত। যদিও তিনি প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সম্ভবত রামগোপাল যাদবকে। এছাড়া বাকি দলগুলি কি করবে তা বুধবারেই জানা যাবে। লক্ষ করার বিষয় আপ পার্টির প্রতিনিধি হিসাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কি করেন।

রাজনৈতিক উত্থান পতন থাকবেই, কিন্তু শরিকদের বক্তব্য এই হারিয়ে যাওয়া তিন রাজ্যের দায় কংগ্রেসের। ভোটের আগে কংগ্রেস এই পাঁচ রাজ্য নিয়ে কোনও সমঝোতার কথাই নাকি বলে নি শরিকদের সঙ্গে। বাস্তবিক ঘটনা এখনও পাঁচ মাস বাকি লোকসভা নির্বাচনের এবং এটাও বাস্তব উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বড় অংশে বিজেপি প্রবল শক্তিধর কিন্তু এখন থেকেই যদি সদ্য তৈরী হওয়া জোটে কলহ লাগে, তবে তো ভোট কি দাঁড়াবে তা এখনই বলে দেওয়া যায়।

5 months ago
Mahua: সোমবারই ভাগ্য নির্ধারণ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদের! সংসদে আলোচনা চেয়ে সরব তৃণমূল

হাতে আর মাত্র এক দিন। সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর এই অধিবেশনে যে মহুয়া মৈত্রের ইস্যু মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, তা কিছুটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে। সোমবারের এই অধিবেশনের আগেই  নিয়মমাফিক সর্বদল বৈঠকে করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এই সর্বদল বৈঠক থেকেই মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল।

টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ফলে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাসপেনশন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়া মৈত্রর সাসপেনশন সম্পর্কিত এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কীভাবে প্রকাশ্য মিডিয়ায় চলে এল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন এই বক্তব্য পেশ করেন।

জানা গিয়েছে, ৪ তারিখ অর্থাৎ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিনই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করতে পারেন স্পিকার ওম বিরলা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৪ ডিসেম্বরই লোকসভায় নির্ধারিত হতে পারে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদের ভাগ্য।

5 months ago


Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট

২৪ এর মহা-যুদ্ধ। এর আগেই কলকাতায় মেগা সভা বিজেপির। সেই সভায় যদি দিতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর তুলে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। অন্যদিকে অমিত শাহ কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই বিজেপির ভোট ব্যাংকে টার্গেট করে পোস্টার ছেয়ে গেল গত কলকাতায়। বুধবার ধর্মতলার সভার অনুমতি ছিল না কলকাতা পুলিশের তরফে। সেখানে হাইকোর্টের অনুমতিতে ধর্মতলায় সভা করছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির কাছে এই মেগা সভা প্রেস্টিজ ফাইট।

5 months ago
BJP: ধর্মতলায় বিজেপির জনসভা

প্রসূন গুপ্ত: হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি ঠিক করেছিল যে তারা একটি জনসভা করবে এবং সেটি ধর্মতলার ঠিক ওই স্থানে যেখানে প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করে থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতেই পারে ঠিক কাদের মগজ প্রসূত ভাবনা এই জনসভার? এখন এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে রাজ্য বিজেপি চলেছে তাদের নিশ্চই। অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরাই মূল উদ্যোগী। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু দীর্ঘদিন তাদের দলটি করেছেন কাজেই আজ বিজেপিতে গেলেও ধর্মতলা জনসভার মহিমা ভোলেন নি। হয়তো তাই  একেবারে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জনসভা করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এখানেও প্রশ্ন থাকতে পারে, এই পরিকল্পনা করে মমতার জনপ্রিয়তা ভাঙতে চাইছেন শুভেন্দু ? কিন্তু বাস্তব ঘটনা এই যে ঠিক এই স্থানেই ইতিমধ্যে বিজেপি জনসভা করেছে ২০১৪ র ৩০ নভেম্বর , এবারে যা ২৯ শে।

সেবারেও প্রধান বক্তা ছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবারেও তিনিই। ঠিক প্যারাডাইস সিনেমার পাশেই হয়েছিল মঞ্চ। সে সময়ের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা দাবি করেছিলেন তাদের লক্ষাধিক মানুষ হাজির হয়েছিল এবারে কিন্তু গল্পটি ভিন্ন। এবারে রাজ্য সরকার প্রথমে ধর্মতলায় সভা করার অনুমতিই দেয় নি পরে কোর্ট কাছারি করে শর্ত সাপেক্ষে সভা হবে। মাননীয় বিচারপতিকে জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে যে উপস্থিত থাকবে দশ হাজার সমর্থক এবং কিছু গাড়ি। বিচারপতি অনুমতি দেন ওই শর্তে। এবারে দশ হাজার একশো হলে ফের হাইকোর্টে যাওয়া হবে কি না তা সভার পরেই বোঝা যাবে।

যদিও শুভেন্দু বেশ ভালোই জানেন প্রতি বছর ২১ জুলাই এখানে কয়েক লক্ষ তৃণমূল হাজির থাকে। একদিকে পার্ক স্ট্রিট অন্যদিকে গনেশ এভিনিউ অবধি ভিড় চলে যায় কিন্তু এই ভিড়ের কাছাকাছি ভিড় জমাতে না পারলে তো কুণাল ঘোষ বসে থাকবেন ব্যঙ্গ করতে কিন্তু তবুও তাঁরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন তার একটাই কারণ ইদানিং তাদের সংগঠনের অবস্থা আর আগের মতো নেই সুতরাং এই ধরণের একটি সভা করলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটতে পারে। কাজেই কঠিন চেষ্টাই করছেন বর্তমান নেতারা। 

5 months ago


Meeting: বিজেপির শাহী সভা নিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানি আগামীকালই, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিজেপির অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ না দেখিয়েই  ২৯ নভেম্বর বিজেপির ধর্মতলার সভাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ কোনও কারণ না দেখিয়ে বিজেপির সভার অনুমতি না দিলে বিজেপির পক্ষ থেকেই হাইকোর্টে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। এর পরিপেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই সভার অনুমতি দেন। যদিও এই রায়ের পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এবার ওই মামলার শুনানি দ্রুত করার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে একযোগে আবেদন জানায় রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত ও বিজেপির আইনজীবী বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য। এই আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।

সূত্রের  খবর,আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, 'পূর্বে একক বেঞ্চে এই  সভার অনুমতি দেওয়া হয়। আজ বেলা দুটোয় এই মামলার শুনানি আছে একক বেঞ্চে। আমরা একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের এর দ্বারস্থ হয়েছি। ডিভিশন বেঞ্চে আজ বেলা দুটোয় আমাদের আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হোক।

এর পাশাপাশি বিজেপির তরফে আইজনীবি বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য বলেন,  'এটা বিজেপির মিটিং। প্রতিবছরই এই মিটিং হয়ে থাকে। পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না তাই আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনেই মিটিং হয়ে থাকে। শাসক দল প্রতিবছর একুশে জুলাই এইখানে মিটিং করে।  মিটিং স্থল  রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মিটিংকে সংগঠিত করতে গেলে দ্রুত শুনানির প্রয়োজন। আজ বেলা দুটোয় এই শুনানি গ্রহণ করা হোক। এরপর রাজ্য ও বিজেপি পক্ষের আইনজীবীর যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, 'আগামীকাল প্রথমেই আমি এই মামলার শুনানি গ্রহণ করব।' পাশাপাশি রাজ্য ও বিজেপির আইনজীবীদের নির্দেশ দেন, তারা যেন আজ একক বেঞ্চকে জানায় যে, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য আগামীকাল ধার্য করেছেন।'

5 months ago
BJP: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভার অনুমতি! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ফের বিজেপির  সভার অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিস। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পরবর্তী শুনানিতে শর্ত কি হবে তা ঠিক করা হবে বলে জানান বিচারপতি।  আগামী বুধবার ২২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, উৎসবপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের রাজনৈতিক ময়দানে সামিল হতে হবে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি বাজবে। বিজেপি এই সভা দিয়েই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চাইছিল। আর এই সভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকতে চলেছেন। কিন্তু সেই সভারই অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না কলকাতা পুলিসের তরফে। যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ শুরু হয়ে গিয়েছিল। দলের অন্দরেও যথেষ্ট উত্তেজনা বেড়েছিল।

কিন্তু কোথায় বিজেপির এই সভা কোথায় হতে চলেছে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ধর্মতলায় সভা করতে পারবে বিজেপি। আগামী ২৯ নভেম্বর এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে, আগামী ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত এক নভেম্বর এই সভার অনুমতি বাতিল করেছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। এরপর ১৭ নভেম্বর এই সভার  আবেদন জানিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। আবেদনের ত্রুটির কথা জানিয়ে তৃতীয়বারও আবেদন নাকচ করে জেলা পুলিস। আজ, সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আগামী ২৫শে নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিসকে নির্দেশ বিচারপতি মান্থার।

5 months ago
Delhi: দূষণের জেরে দিল্লিতে ফিরছে জোড়-বিজোড় গাড়ির বিধি! জানুন কবে থেকে...

দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। বিপজ্জনক এই পরিস্থিতিতে মাত্রাছাড়া দূষণ রুখতে সোমবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক ডাকেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আবারও ফেরানো হবে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধিনিষেধ। তবে তা লাগু হবে দীপাবলির পর থেকে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহ থেকেই সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। যদিও রবিবারই টুইট করে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকের পর গোপাল রাই জানান, দূষণ পরিস্থিতির কারণে নভেম্বরের ১০ তারিখ সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে। বোর্ড পরীক্ষার কারণে কেবল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হবে স্কুলগুলিতে। অন্যদিকে ফেরানো হচ্ছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। দিল্লি সরকারের দাবি, রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। দিওয়ালির পর ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।

পাশাপাশি দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়াক ফ্রম হোমেরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্মাণ কার্য ও ধ্বংসকার্য বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানিক ধরে চলা ধোঁয়াশার জেরে রাজধানীতে ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়াও BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই থাকছে।

6 months ago


Abhishek: ২০ মিনিটের বৈঠক বোস-অভিষেক বৈঠক, বকেয়া সুরাহা মিলবে কি!

৫ দিন নাছোড়বান্দা হয়ে ধরনা করে, অবশেষে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসে তৃণমূল ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি থেকে ফেরার পর আজ অর্থাৎ সোমবারই বিকেল ৪ টের সময় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে বোসের সঙ্গে প্রায় মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় অভিষেকের ও প্রতিনিধি দলের।

এদিকে রাজভবন থেকেও আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল আজ বিকেলে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল তাঁদের কথা খুব ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল বোস এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনবেন বলেও জানানো হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেই সব করতে চান রাজ্যপাল বোস।

7 months ago
Governor: রবিবারই কলকাতা ফিরেছেন রাজ্যপাল, আজই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক!

রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতে আজ, সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে বাংলার শাসক দলের সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তবে কখন রাজ্যপাল অভিষেককে সময় দেবেন, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। এদিনই দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরেছেন সিভি আনন্দ বোস।

কলকাতায় ফিরে প্রাথমিক ভাবে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা। ভোর ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি আছেন। যে কেউ চাইলে এসে দেখা করতে পারেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ আগাম সময় চাননি। রাজভবনের উত্তর গেটে ধরনা দিচ্ছেন অভিষেক। সেই পথ এড়িয়ে দক্ষিণ গেট দিয়েই রাজভবনের অন্দরে চলে যান রাজ্যপাল।

রবিবার দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনে থেকে অভিষেকের ধরনা সরানোর জন্য নবান্নের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। কী ভাবে ১৪৪ ধারা এড়িয়ে রাজভবনের গেটের সামনে তৃণমূল নেতা ধরনা দিচ্ছেন, তা নিয়েও নবান্নকে প্রশ্ন করে রাজভবন। কারণ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাজভবন চত্বরকে ১৪৪ ধারায় আওতায় আনা হয়েছে।

তা নিয়ে রবিবারই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ধরনার চতুর্থদিনে অভিষেকের অভিযোগ, যখন বিজেপি নেতারা রাজভবনে নালিশ করতে যান, রাজভবনের লন, করিডরে ঘোরাঘুরি করেন, গেটের বাইরে জমায়েত করে সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন তো তাঁর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু মনে হয় না। তাঁদের ধরনার বেলায় কেন এই প্রশ্ন? তাঁরা মানুষের স্বার্থে রাস্তায় রয়েছেন। এর আগে দার্জিলিঙে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বাংলার স্বার্থে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনীতি থাকে, তাহলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।

এদিনও কলকাতা ফিরে আনন্দ বোস জানান, মানুষের স্বার্থে তিনিও কাজ করছেন। তাই উত্তরবঙ্গে ছুটি কাটাতে নয়, গিয়েছিলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।

7 months ago