অবশেষে মাস্ক ছেড়ে প্রকাশ্যে এলেন 'মাস্কম্যান' শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা (Raj Kundra)। বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রার নাম জড়িয়ে যায় পর্নকাণ্ডে। বছর দুয়েক আগে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ানোর জেরে দীর্ঘ সময় হাজতবাস হয় রাজের। যদিও পরে জামিন পান তিনি। এর পর থেকেই তাঁকে মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায়। অবশেষে মাস্ক খুললেন তিনি ও এক ধামাকাদার খবরও আনলেন প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে, নিজেকেই নিয়ে 'ইউটি ৬৯' নামে এক ছবি তৈরি করেছেন তিনি ও সেই ছবির প্রোমোশনের অনুষ্ঠানে গিয়েই মাস্ক খুলেছেন রাজ কুন্দ্রা। শুধু তাই নয়, তিনি এও জানিয়েছেন যে, তিনি কেন মাস্ক পরা শুরু করেছিলেন। এই কথা বলতে গিয়ে তাঁকে আবেগপ্রবণও হতে দেখা যায়। উল্লেখ্য বুধবারই মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ইউটি ৬৯-এর ট্রেলার।
'ইউটি ৬৯' ছবির প্রোমোশনের অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের হাজতবাসের কথা মনে করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন রাজ কুন্দ্রা। তিনি বলেছেন, সেসময় জেলে তিনি যে সময় কাটিয়েছেন সেটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আদালতে যে ট্রায়াল চলেছে তার থেকেও বেশি তিনি ভয় পেয়েছিলেন মিডিয়া ট্রায়ালকে। যেভাবে মিডিয়াতে তাঁকে নিয়ে খবর ছড়িয়েছিল তা নিয়ে রীতিমতো মানসিক ভাবে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেকারণে জামিন পাওয়ার পরেও মিডিয়া ট্রায়াল থেকে বাঁচতেই মুখোস পরে সকলের সামনে আসেন তিনি। কারণ মিডিয়ায় যেখাবে তাঁকে দেখানো হয়েছে তাতে তিনি এবং তাঁর গোটা পরিবারই প্রভাবিত হয়েছে। আর এসব কথা প্রত্যেকের সঙ্গে শেয়ার করতে গিয়েই চোখে জল এসে যায় তাঁর।
করোনা সংক্রমণ (Covid Infection) রুখতে এবার মাস্কের উপরে জোর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার পুরসভায় (KMC) কোভিড সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাজ্যর গাইডলাইন অনুসরণ করেই কোভিড মোকাবিলায় কাজ করবে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকেই এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর। এই প্রসঙ্গে পুরসভার ডেপুটি স্পিকার অতীন ঘোষ জানান, 'কলকাতা পুরসভার মূল কার্যালয় এবং ১৬টি বরো অফিসে যাঁরা আসবেন, তাঁদের মাস্ক পরতেই হবে। যাঁরা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আসবেন, তাঁদেরও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে শহরবাসীর জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক না করলেও, সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।' তবে এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই খবর।
ডেপুটি মেয়র বলেন, 'যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশই টিকা নিয়েছেন। আমরা তৃতীয় টিকা চেয়েছি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।'
ফের কোভিড (Covid) সংক্রমণ। কোভিড আক্রান্তর সংখ্য়া বাড়তেই চিন্তিত সরকার। সেই কারণে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, সব রাজ্য় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে (Meeting) বসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমে বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার সর্বাধিক কোভিড আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৫,৩৩৫। শুক্রবার তা বেড়ে হয়েছে ৬,০৫০। বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হচ্ছে না।
এই কারণে কোভিড সংক্রমণের থেকে রেহাই পেতে আবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সওয়াল করেন দিল্লির কোভিড বিশেষজ্ঞ সুনীলা গর্গ। দেশে কোভিড সংক্রমণ বাড়তেই তৎপর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ২২শে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে মাস্ক ব্য়বহার-সহ বিভিন্ন করোনাবিধি চালু করা এবং পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা হল ৫,৩০,৯৪৩। দু’জন করে মারা গিয়েছেন কর্নাটক এবং রাজস্থানে। এক জন করে মারা গিয়েছেন দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে।
করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধিতে রাশ টানতে এবারে ফের মাস্ক (Mask) পরার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। বিশেষ করে বিমানে যাতায়াতের সময় মাস্ক পরার জন্য বলা হয়েছে বলে খবর। অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং (General VK Singh) জানিয়েছেন যে, কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত এমন নির্দেশকা জারি করা হয়নি যে, আকাশপথে যাতাযাতের জন্য বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে যে, বিমানে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের মাস্ক পরা উচিত।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় সাংসদ হরভজন সিং জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ও এইচ৩এন২ ভাইরাসের বৃদ্ধির ফলে চিন্তিত। ফলে তিনি প্রশ্ন করেন, দেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্র থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা। তখনই জানানো হয়, মাস্ক বাধ্যতামূলক না করলেও মাস্ক পরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন চালু হয়েছে, তা এখনও রয়েছে।
সেই গাইডলাইনে কিছু বদল ঘটানো হয়েছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মতে, করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে বিশেষ নজর রয়েছে মোদী সরকারের। দেশে যাতে কোভিড, নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ২১ হাজার ১৭৯।
করোনা (Covid) সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লিতে। দিল্লি (Delhi) সহ গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তাই সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিল দিল্লির আপ সরকার। বৃহস্পতিবারই জারি হয় এই নির্দেশিকা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, 'আমরা একটা নির্দেশিকা জারি করেছি। যাঁদের জ্বর-সহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরতে হবে।'
সূত্রের খবর, যে হারে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বুধবার দিল্লিতে সংক্রমণের সংখ্যা ৩০০ জন। দিল্লিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩৬১। তাঁর মধ্যে মৃত্যু হয় ২৬ হাজার ৫২৬ জনের। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসার কথা জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।
দেশে বেশ কয়েক মাস স্তিমিত ছিল করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus)। হাতেগোনা কয়েক জন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19)। তাই মাস্ক পরা এখন থেকে বাধ্যতামূলক। বাড়ির বাইরে বেরোলেই পরতে হবে মাস্ক, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেরল সরকার (Kerala Government)। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে কি করোনা ফের ভয়ংকর রূপে ফিরতে চলেছে?
কেরল সরকার নির্দেশিকায় বলেছে, করোনার নয়া প্রজাতি এক্সবিবি.১.৫ (ক্র্যাকেন)-এর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিল কেরল সরকার। আপাতত সমস্ত সরকারি জায়গা, কর্মক্ষেত্র এবং জমায়েতের স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল সে রাজ্যের সরকার।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীকে দূরত্ববিধি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে প্রশাসন। স্যানিটাইজার ব্যবহার আগের মতো বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে কেরল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ‘ক্র্যাকেন’-এর সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ২৬ জন এতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ জেনোমিকস কনসর্টিয়াম (ইনসাকগ)’।
এর মধ্যে সোমবার দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। যার মধ্যে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২,১১৯ জন। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অনেকটাই বেশি, ৯৮.৮০ শতাংশ।
চিনে ওমিক্রনের (Omicron Variant) উপপ্রজাতির হানায় বিপাকে জিংপিং সরকার (Xingping Government)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কের করোনা আবার ফিরছে! করোনার নতুন উপরূপ ‘BF.7’-র দাপাদাপিতে তৎপর কেন্দ্র (Modi Government)। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী কয়েকটা দিন উৎসবের মরশুম দেশজুড়ে। কিন্তু নতুন প্রজাতি যে ভাবে চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতেও আবার মাস্ক পরার মতো কোভিডবিধি বাধ্যতামূলক হবে কি? চিন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দাপট দেখাচ্ছে সংক্রমণ।
এদিকে, করোনায় পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে বার্তাও মোদী দিয়েছেন। পাশাপাশি উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়েছে কেন্দ্র।
সিংহাসনে বসা ছিল সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে হাই ভোল্টেজ ড্রামা কাটিয়ে টুইটারের (Twitter) মালিক হিসেবে দায়িত্বভার নিলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। চলতি বছর এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে এই মাইক্রো ব্লগিং স্যোশাল মিডিয়া কিনে নেওয়ার কথা প্রথম ঘোষণা করলেও এতদিন অর্থ সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় আটকে ছিল মালিকানা হস্তান্তরের। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) সান ফ্রান্সিসকোয় টুইটারের সদর দফতরে উপস্থিত হন তিনি এবং বৃহস্পতিবারেই টুইটার অধিগ্রহণের কথা বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়েছেন মাস্ক। তবে উপার্জনের জন্য নয়, বরং মানবতার খাতিরেই টুইটার কিনেছেন তিনি বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন এলন। সেই সঙ্গে সকলের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ্রের মাধ্যম হয়ে থাকাই আগামীতেও টুইটারের প্রধান লক্ষ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন মাস্ক।
তবে এসবের মধ্যেই এদিন টুইটার অধিগ্রহণ করে এলন মাস্কের প্রথম বার্তা যথেষ্ট চমকপ্রদ! টুইটারের লোগো নীলপাখিকে উদ্দেশ্য করে এলন লিখেছেন, 'দ্য বার্ড ইজ় ফ্রিড' অর্থাৎ 'পাখিকে মুক্ত করে দেওয়া হল।' আর টেসলা কর্তার এই টুইটই এখন হয়ে উঠেছে আলচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রসঙ্গত, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে টুইটারের যথাযথ পদক্ষেপ না করার অভিযোগেই আগে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট কেনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিলেন মাস্ক। তবে এখন টুইটারে যে কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক হলে উপভোক্তারা স্বাধীনভাবে যেমন নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে অধিগ্রহণের পরেই সংস্থার সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সিএফও নেড সেগালকে ছাঁটাই করেছেন মাস্ক, যা নিয়েও চলছে চর্চা।
বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের (Third Richest Person) এখন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বলা যেতে পারে, ফের নিজের মুকুটে নয়া পালক জুড়লেন আদানি। প্রথম এশীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থান নিজের নামে করে নিলেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। তারপরই রয়েছেন জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স (Bloomberg Index) জানাচ্ছে, ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন আদানি।
দেশে আদানি এবং আম্বানির মধ্যে সর্বদা টক্কর লেগেই থাকে। কখনও উপরে থাকতেন আম্বানি। আবার কখনও আদানি। এ বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আম্বানিকে পার করে যান তিনি। এপ্রিল মাসে সম্পত্তির নিরিখে হন সেন্ট বিলিয়নিওর। সবশেষে অগাস্টে আরও একবার উত্থান হয় আদানির। অগাস্টে তিনি টপকে যান বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের বিল গেটসকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ অম্বানি ১১ নম্বরে আছেন৷ তাঁর সম্পত্তি ৯১.৯ মার্কিন ডলার (৯ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার)৷ আদানি গ্রুপের এনার্জি, বন্দর, লজিস্টিকস, খনি, গ্যাস, প্রতিরক্ষা, এরোস্পেস এবং বিমানবন্দরের ব্যবসা রয়েছে৷ রিল্যায়ান্স ইনডাস্ট্রিজ এবং টাটা গ্রুপের পর ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প সংস্থা আদানি গ্রুপ ৷
সারা দেশেই করোনার (Corona) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। তাই করোনা প্রতিরোধে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল দিল্লির প্রশাসন। সেখানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Fine)। আর এটা যাতে কড়াভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য বিশেষ টিম (Special Team) গঠন করে অভিযানে নামছে সেখানকার প্রশাসন।
প্রসাশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কোভিডগ্রাফ কিছুটা কমতেই মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এমনভাবে পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন করোনা চলে গিয়েছে। এটা প্রশাসন ভালোভাবে নিচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ, বিগত দুই সপ্তাহের করোনা-চিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী, মূলত জনবহুল স্থানগুলির জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলার এই আইন কার্যকর করা হবে। কেউ যদি একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চড়ে কোথাও যান, তাহলে তাঁরা এই জরিমানার আওতায় পড়বেন না।
দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক আইন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য তিনটি বিশেষ টিমও গঠন করেছেন। প্রতিটি টিমে থাকবেন ১৫ জন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং জেলা প্রসাসনের অফিসাররা, যাঁরা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবেন। কারণ হিসাবে প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই উত্সবের মরশুম, তাই বাজারগুলিতেই বেশি সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই নজরদারির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিকেই। দরকার হলে এই ধরনের নজরদারি টিমের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমাকেও প্রতিদিন নজরদারি চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের পাকড়াও করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বুধবার গত তিনমাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে, ৮ জনের। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হন ২১৪৬ জন এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ।