
লক-আপে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম। ঘটনার জেরে নবগ্রাম থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম গোবিন্দ ঘোষ। পরিবারের অভিযোগ, থানায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে গোবিন্দকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে শুক্রবার ২৩ ভরি গয়না চুরি হয়। তারপরেই থানায় অভিযোগ জানায় ওই পরিবারের সদস্যরা। তার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোবিন্দকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় গোবিন্দর পরিবারে।
এই ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকেই নবগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ইটবৃষ্টিও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রচুর পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভকতের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, চক্রান্ত করেই পুরো কাজটি করেছে ওসি। এই ঘটনার পরেই শনিবারই ওসিকে সাসপেন্ড করেছেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র সিং।
ফের থানার পুলিস (police) লকআপে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করল চুরির দায়ে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। সম্প্রতি, গঙ্গাজলঘাটি থানায় পুলিস (police) হেফাজতে থাকা এক আসামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই সোমবার ফের বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া থানায় পুলিস লকআপে ঘটে গেল এমনই এক ঘটনা। প্যান্টের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে এক আসামী। যদিও সিসিটিভি (CCTV) নজরদারিতে তা নজরে আসায় ওই আসামীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে সিসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার চুরির ঘটনায় মেজিয়া পুলিস গ্রেফতার করে জেমুয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রাজারাম প্রামাণিককে। এরপর পুলিস লকআপে থাকাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় নিজের প্যান্টের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজারাম। সেই ঘটনা সিসিটিভিতে নজরে আসে কর্তব্যরত পুলিসের। নজরে আসতেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা চলছে রাজারামের। অবস্থা সংকটজনক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
পুলিস লকআপে নজরদারির মধ্যেও কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার।
হরিয়ানার (Haryana) কারনালের অসন্ধ থানায় (Assandh police station) লকআপে থাকা এক অভিযুক্ত আত্মহত্যা (Suicide)করেছে বলে অভিযোগ। সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ঝুলন্ত অবস্থায় (Hanging) তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার।
নিহত ওই অভিযুক্তের নাম রমেশ ফান্দা। ৩০ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত আসান্দের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে পুলিস হেফাজতে নেয়। এরপরই রবিবার রাতে তাঁকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পাওয়া যায় লক-আপে। পুলিস জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু নিহত ওই অভিযুক্তের পরিবারের লোকের দাবি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মৃতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যরা অসন্ধ থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার দাবিতে থানার সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এদিন।
হাওড়ার শালিমার জিআরপি (GRP) থানার লক-আপ (Lock Up) ভেঙে পালাল দুই আসামি (Accused)। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজু হরি ও সমীরুল মোল্লা নামে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল শালিমার জিআরপি। এদের বিরুদ্ধে খুনের (Murder) অভিযোগ রয়েছে। চলন্ত ট্রেন থেকে এরা পরিচিত একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল আবাদা স্টেশনের কাছে। এবার দেখুন, কীভাবে তারা লক-আপ ভেঙেছে।
কিন্তু তারা কোথায় লুকিয়ে, সেটাই এখন পুলিসের তদন্তের বিষয়। অন্যদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিসের পদস্থ কর্তারা পরিদর্শনে আসেন। দেখা যায়, গারদেরই একটা অংশে বড় জায়গা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু দুজন আসামি সেই জায়গা ভেঙে কীভাবে বেরিয়ে গেল এবং কেন তা কারও নজরে এল না, সেটাই আশ্চর্যের বলে পুলিসেরই একটা অংশ মনে করছে।