পণের দাবিতে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে গলা টিপে খুন (Killing) করার চেষ্টার অভিযোগ। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর (House Wife) গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে পিংকি দাসের সঙ্গে অমল দাসের বিয়ে হয়। অমল দাস পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের তিনটি নাবালক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত পিংকি দাসের উপর। এমনকি পণের দাবিতে বুধবার শ্বাসরোধ করে খুন করারও চেষ্টা করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
তাঁদের আরও অভিযোগ, পিংকির বিয়ের সময় নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও আসবাবপত্র সহ যাবতীয় জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও আরও পণের দাবিতে অত্যাচার করত অভিযুক্তরা। তাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় একাধিকবার তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ঘর থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পিংকিকে তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকেরা গলা টিপে শ্বাস রোধ করে খুন করার চেষ্টা করে, এমনটাই অভিয়োগ করছেন তাঁরা।
পিংকি দাসের বাবা কিশান দাস বলেন, 'পণের টাকা দেওয়ার পরেও মেয়ের উপর অত্আয়াচার করা হত। বুধবার তো মেযেকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের জন্য় রক্ষা পেয়েছে। তাই পুলিসের কাছে আবেদন করেছি, অভিযুক্তরা যেন কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি পায়।'
স্ত্রীকে খুন (Killing) করে থানায় আত্মসমর্পণ (Surrender) স্বামীর। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে, স্বীকার করলো অভিযুক্ত। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়ায়। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস (Police)। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম ফোনি বালা রায়। অভিযুক্তের নাম ভোপাল রায়। দুজনেই ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া অঞ্চলের অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সোমবার ভোরেও তাঁদের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই অশান্তি চলে। তারপরেই সকালে এলাকার একটি ধান ক্ষেতে ওই গৃহবধূর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে ভোপালই খুন করেছে ওই গৃহবধূকে।
মৃতার বড়বৌমা জানিয়েছেন, 'বাবা সকালে আমাদের বাড়িতে আসেন। তারপরেই মাকে খুন করার বিষয়টি তিনি আমাদের জানান। তিনি বাড়িতে এসে বলেন, "তোর মা আর নেই, আমি মেরে ফেলছি।" এরপরেই তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করতে ছুটে যায়।
মাকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে হত্যা (killing) করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ (Surrender) করলো ছেলে। নারায়নপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের ঘটনা। পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা। এবং তাঁর মৃত মায়ের নাম লক্ষ্মী সাঁতরা (৪৯)। সূত্রের খবর, মা ও ছেলে নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো।
পুলিস সূত্রে খবর, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ছেলে, নিজেই থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে নারায়ণপুর থানায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই ভাবে কোন কাজকর্ম করত না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটন চলছিল পরিবারে। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী তার সাথে বাড়িতে থাকতো না।
সোমবার রাতে মায়ের সাথে বিবাদ হয় সোমনাথ সাঁতরার। পুলিসকে সোমনাথ জানিয়েছে, মায়ের সাথে বিবাদের পর মাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে সে। তারপর নিজেই নারায়নপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করে। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পেছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়।
পরিবারের হাতে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যুবতী। আর এই আশঙ্কা প্রকাশের দু-দিনের মাথায় সেই যুবতীর ঝলসানো দেহাংশ উদ্ধার। নারকীয় এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ের। মৃতার পরিবারের বিরুদ্ধে খুন ও দেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ। পুলিস সূত্রে খবর, হাফিজপুর থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যুবতীর। তাঁর পরিবার সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন।
সেই সম্পর্ক পরিবার মেনে না নেওয়ায় যুবতী প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতে থাকেন। এই আশঙ্কা নিয়ে ওই যুবতী থানায় গিয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ওই যুবতীর।
গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে পরিবারের সদস্যদের আটক করে তদন্ত শুরু করে। এতেই আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসে। তদন্তের পুলিস জানতে পারে ওই যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর দাদা। দেহ লোপাটের জন্য সকলের চোখ এড়িয়ে গ্রামের এক প্রান্তে নিয়ে গিয়ে সেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হাপুড় পুলিসের এক কর্তা জানান, মীনাক্ষী নামে ওই যুবতীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁর দাদা। এই ঘটনায় পরিবারের ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরিবারের তরফ থেকে ঠিক করা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে কঠোর শাস্তি দিল পরিবার। শ্বাসরুদ্ধ করে খুন (Honour killing) করা হয়েছে ওই তরুণীকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। নারকীয় এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Incident) নান্দেদ জেলার পিম্প্রি মহীপাল গ্রামে। মুম্বই থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে থাকতেন ওই মৃতা। তরুণী হোমিওপ্যাথি মেডিসিনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পরিবারের ঠিক করা বিয়ে ভেঙে (Marriage Issue) দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায় পরিবার। তাঁর হবু বরকে তরুণী জানান, 'তাঁর অন্য প্রেমিক রয়েছে।' গত ২২ শে জানুয়রি বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আক্রোশেই তাঁকে খুন করে বাবা, দাদা-সহ অন্য আত্মীয়রা।
পুলিস সূত্রে খবর, গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। পরিবারের তরফ থেকে সেই সম্পর্কে কোনওরকম সায় ছিল না। জোর করে তরুণীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল তাঁর পরিবার। এই খুনের মূল অভিযুক্ত তরুণীর বাবা, দাদা, কাকা এবং তুতো ভাইরা। ২২ তারিখ রাতে তরুণীকে মাঠে নিয়ে যায় পরিবার। এরপর তাঁকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করা হয় তাঁকে।
প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহটিকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দেহের ছাই নদীর জলে ফেলে দেন তারা। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের ৫ জন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঠিক কি কারণে এই খুন, কেনই বা মেনে নেননি তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক, কেন জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তরুণীকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
জেদ ধরে বসেছিলেন মেয়ে। বিয়ে করলে ভালোবাসার (Love Affairs) মানুষকেই করবেন। কিন্তু বাধ সেধেছে যুবকের জাত। অন্য জাতের (Inter-Caste Relation) হওয়ায় প্রেমিকার মা রাজি ছিলেন না সম্পর্কে। ফলে রাগের বশে গলা টিপে খুন (Murder) করে বসেন বছর ১৯-এর মেয়েকে। এরপর নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) শিবলপেরির গ্রামে।
তরুণী বাড়িতে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানায়। আর তাতে বেঁকে বসেন তরুণীর মা। ছকেন অন্য পরিকল্পনা। ভিন্ জাতের যুবকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ভাঙতে নিজেদের জাতের এক পাত্র দেখেনা তিনি। মেয়েকে প্রথমে সে কথা জানাননি। হঠাৎ বাড়িতে ডেকে পাঠান। বাড়িতে আসার পর মহিলা তাঁর মেয়েকে জানান, নিজের জাতের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে স্থির করেছেন। আর এ কথা শোনার তরুণী স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি এ বিয়ে করবেন না।
এমনকি মাকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মা যে পাত্র তাঁর জন্য ঠিক করেছেন, সেই ছেলের বাড়ির লোক এলে তাঁদের সমস্ত কথা জানিয়ে দেবেন। আর তাতেই চটে যান তরুণীর মা। অভিযোগ, তার পরই রাগের বশে মেয়েকে গলা টিপে খুন করেন। তার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আটকে দেন মহিলাকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর নাম অরুণা (১৯) শহরে থেকে নার্সিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেখানেই আলাপ হয় তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে। যুবক নাদার সম্প্রদায়ের। আর অরুণা ছিলেন থেবর সম্প্রদায়ের। অরুণা তাঁর মা অরুমুগা কানিকে ওই সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মহিলার নামে একটি মামলাও দায়ের করেছে পুলিস। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ম্যাচ শেষে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল মাঠে দুই ক্লাবের সমর্থকদের সংঘর্ষ, পুলিসের কাঁদানে গ্যাসে প্রাণ কাড়ল ১৭৪ জনের। এই ঘটনার যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। জানা গিয়েছে, দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে প্রাথমিক হাতাহাতির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ফলে হুড়োহুড়ি, পদপৃষ্ঠের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু কিংবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু। ইস্ট জাভা পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা এই কথা জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, 'ঠিক যখন সমর্থকরা আবার মাঠে গিয়ে খেলা দেখা শুরু করেছেন, ঠিক তখনই এই ঘটনা। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের দেশের ফুটবল আহত হল।'
ভবিষ্যতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, 'ম্যাচ আয়োজনের যাবতীয় ব্যাপার আমরা খুঁটিয়ে দেখব। এমনকী এরপর মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। হয়তো ভবিষ্যতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।'
জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে শনিবার আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা ছিল। পূর্ব জাভার মালাং রিজেন্সির এই ম্যাচে আরেমা ২-৩ ব্যবধানে পরাজিত। এরপরেই দু’দলের সমর্থকরা কার্যত দাঙ্গায় জড়ান।
আরেমা হেরে যাওয়ায় তাদের সমর্থকরা হুড়মুড়িয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। দু'দলের ফুটবলাররা বিপদ বুঝে সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কয়েকজন মাঠে থেকে যাওয়ায় তাঁদের উপরও হামলা হয়। সমস্যা বাড়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে, স্টেডিয়ামের ভিড়ে ঠাসা গ্যালারিতে আতঙ্ক ছড়ায়। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
মোমো (Momo) ভর্তি প্লেট পড়ে যাওয়ায় খুন (Murder) হতে হল এক ব্যক্তিকে। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। আর খুনের অভিযোগ উঠল ১৮ বছর বয়সি এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) রানহোলা এলাকায়। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তির নাম জিতেন্দ্র মেহতা (৪০)। তিনি মোহন গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে তিরঙ্গা চকের কাছে একটি রেস্তরাঁয় খেতে যান জিতেন্দ্র। প্লেট হাতে নিয়ে মোমো খাচ্চিলেন তিনি। সেসময় দুর্ঘটনাবশত তাঁর সঙ্গে ধাক্কা লাগে এক কিশোরের। এর ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায় মোমোর প্লেটটি। এরপর সেখান থেকেই সূত্রপাত ঘটে অশান্তির। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চরমে পৌঁছয় বচসা।
বচসা চলাকালীন ওই কিশোর উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বসেন জিতেন্দ্রকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ছুরিটি।
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।