বলিউডে মিস্টার পারফেকশনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত অভিনেতা আমির খান (Aamir Khan)। চরিত্রের জন্য নিজেকে কত ভেঙেছেন, কত গড়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আবেগী। অভিনেতা যেমন নিজের হাসি আটকাতে পারেন না, তেমনই নিজের মনের কষ্টও চেপে রাখতে পারেন না। তাই অভিনেতার কপালে আপাতত দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ আর মাত্র কিছুদিন পরেই তাঁর মেয়ের বিয়ে। বিদায়ের সময়ে তিনি নিজেকে কীভাবে আটকাবেন, তা ভেবেই কূল করতে পারছেন না আমির।
অভিনেতা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, 'ওই দিন আমি খুব কাঁদব। আমার পরিবার এখনই আলোচনা করতে শুরু করেছে যে ঐদিন আমিরকে সামলাতে হবে। আমি খুবই আবেগী মানুষ। আমি যেমন আমার চোখের জল আটকাতে পারি না, তেমনই হাসিও আটকাতে পারি না। দিন যত কাছে আসছে, আমার আবেগ তত গভীর হচ্ছে। আমি ওই দিনটির দিকে তাকিয়ে আছি, যেহেতু দিনটি বিশেষ।'
যদিও নিজের জামাইকে নিয়ে একেবারে নিশ্চিন্ত আমির খান। মেয়ে ইরা যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জামাই নূপুর তাঁর পাশে ছিল। ইরা এবং নূপুরের ভালো সম্পর্কের কথাও আমির উল্লেখ করেছেন। মেয়ের বিয়ে সব বাবাদের জন্যই বিশেষ। কিন্তু সেই দিনটি আবেগের দিনও বটে।
অভিনেতা আমির খানের প্রথম বিবাহের সন্তান ইরা খান (Ira Khan)। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় খানের কন্যা হলেও, বিনোদন জগতের প্রতি ইরার কোনও আকর্ষণ তৈরী হয়নি। বড় হয়ে অন্যান্য তারকা সন্তানদের মত তিনি অভিনয় জগতে আসেননি। বরং এত আলো থেকে একেবারে দূরেই রেখেছেন নিজেকে। নিজের জীবন নিজের মত সাজিয়ে নিয়েছেন ইরা। বর্তমানে নিজের একটি মানসিক স্বাস্থ্যের সংস্থা পরিচালনা করেন তিনি। হাজারো মানুষ যারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাঁদেরই পাশে দাঁড়ান ইরা।
আমির কন্যা নিজেও লম্বা সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন। একেবারে কাছ থেকে মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ দেখেছেন। তাঁদের আকর্ষণ হয়ে ওঠার জন্য ইরা অনেকবার নিজেকেও আঘাত করেছেন। তাঁর এই কঠিন পরিস্থিতির কথা লুকিয়ে রাখেননি। জন সমক্ষে আজ নিজের খারাপ সময়ের কথা বলে থাকেন তিনি, যাতে অন্যরা নিজেদের বিপন্ন মনে না করেন।
এবার বন্ধুর মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন সালমান খান। ইরার মানসিক সংস্থার একটি রিলস নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে দিয়ে সালমান খান লিখেছেন, ' চমৎকার, বাচ্চা বড় হয়ে গিয়েছে। শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে এবং অনেক বুঝদারও হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটি খুব ভালো লাগলো। ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন বাচ্চা।'
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান (Mahira Khan), বলিউডে শাহরুখ খানের বিপরীতে 'রইস' ছবিতে ডেবিউ করেন। অভিনেত্রী প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ভারতীয় দর্শকদের কাছে। কিন্তু তারকাদের ভাগ্যে কয়েনের এপিঠ-ওপিঠের মতো জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বদনামও জোটে। মাহিরার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তান-ভারতের দর্শকেরা যখন তাঁকে চেনেন, এমনই সাফল্যের সময় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ছবি।
বিদেশের কোনও এক রাস্তায় সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছিল বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরকে। ছবিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতার পাশে বসে ধূমপান করছেন মাহিরা। এই ছবি অভিনেত্রীকে নিয়ে দর্শকদের ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছিল। সামাজিক মাধ্যমে যখন নেটিজেনরা এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন, তখন কী অবস্থা হয়েছিল মাহিরার মনের? সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী বলেছেন, 'সবার খারাপ সময় আসে, ভালো সময় আসে, সাফল্য ও ব্যর্থতার মতো। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবসাদ সত্যি। গত বছর আমি খারাপ অবস্থায় ছিলাম, শয্যাশায়ী ছিলাম। আমার মনে আছে আমি বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার অবস্থায় ছিলাম না। খুব খারাপ সময় কেটেছে আমার। আমি আল্লাহকে বলেছিলাম, আলো দেখাতে। সত্যিই আল্লাহ আমার দিকে তাকালেন। আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর সত্যিই মনে হয়েছিল আমি অনেক হালকা হয়ে গিয়েছি, হাসতে শুরু করেছি।'
আমির খানের (Amir Khan) প্রথম বিয়ের সন্তান ইরা খান (Ira Khan)। অন্যান্য তারকা সন্তানদের মতো তিনি অভিনয় জগতে পা দেননি। বরং বলিউড অভিনয় জগতের সমস্ত আলো থেকে তিনি দূরেই রেখেছেন নিজেকে। ইরার আগ্রহ একেবারে ভিন্ন দিকে। সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একটি সংস্থা খুলেছেন তিনি। সেই কাজেই ব্যস্ত থাকেন। অনেকেই জানতে চান, কেন হঠাৎ এই বিষয়ে আগ্রহ ইরার? তারকা কন্যাও আসলে একটা সময় মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন। বারেবারে নিজের মানসিক সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন ইরা। এমনকি পরিবারকেও এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন।
সম্প্রতি আবারও এই নিয়েই মুখ খুলেছেন ইরা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'মানসিক অবসাদ একটু জটিল। এটি আংশিক জেনেটিক, আংশিক মানসিক এবং আংশিক সামাজিক। আমার ক্ষেত্রে এটি আংশিক জেনেটিক। আমার পরিবারে বাবার ও মায়ের দিকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইস্যু রয়েছে। আমার থেরাপিস্ট বলেন, আমার এই সমস্যা এসেছে আমার মা বাবার বিবাহ বিচ্ছেদের সময় থেকে।'
ইরা সেই সাক্ষাৎকারে আরও যোগ করেন, ' অনেক সিনেমা দেখে আমি এই ধারণা তৈরী করেছিলাম। আমি যখন ৮ কিংবা ১০ বছরের ছিলাম তখন মিথ্যে মিথ্যে হাসতাম আমার অনুভূতি চেপে রাখার জন্য। আমি যখন বেড়ে উঠলাম তখন খানিকটা ক্ষত বিক্ষত ছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করতাম যে একমাত্র তাহলেই মানুষ আমাকে ভালোবাসবে। একপ্রকার বলা যায়, আমার ডিপ্রেশন আমি নিজেই নিশ্চিত করেছিলাম।'
ইরা খান (Ira Khan) বলিউড অভিনেতা আমির খান (Amir Khan) এবং তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রীনা দত্তর (Reena Dutta) কন্যা। অভিনয় জগতে আসেননি ইরা। তাঁর জীবনের লক্ষ্য অন্য কিছু। ইরা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চান। কারণ অবসাদ তিনি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। একসময় ইরা অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। সেকথা এর আগে অনেকবার প্রকাশ্যে বলেছেন তিনি। কিন্তু এই মানসিক জটিলতার মূল কারণ যে তাঁর পরিবার, সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে সেকথা জানালেন তারকা কন্যা।
ইরা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'অবসাদ কেবল একটি কারণে হয় না। তুমি যে আবহে বড় হয়ে উঠবে তাই-ই তোমার ব্যক্তিত্ব তৈরী করবে। আমি যেরকম পরিবারে বড় হয়েছি সেরকম পরিবেশ মানসিক স্থিতিকে প্রভাবিত করে না, একথা বললে ভুল হবে। আমার জীবনের প্রতিটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাই আমাকে প্রভাবিত করেছে। আমি যে পরিবারের অংশ তা ১০০ শতাংশ আমার মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে।কিছু ক্ষেত্রে এই পরিবেশ আমাকে সাহায্য করেছে, কিছু ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেনি।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'আমি যখন চিকিৎসা করতাম, তখন ভয় পেতাম আমাকে কেউ বুঝবে না। আমার কাছে অর্থের যোগান ছিল, এবং সমর্থন ছিল। তখনই অবসাদ এবং ভয় আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। আমি ওই অনুভূতিকে ভয় পেতাম এবং ভাবতাম এমন অনেকে রয়েছেন যারা এমন অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তো আমি ২০২১ সালে আগস্তু শুরু করি।'
আপামর সিনেমা-প্রেমী তাঁকে চেনে রোম্যান্সের বাদশাহ হিসেবে। আর সেই শাহরুখ খানের (Mahira Khan) সঙ্গেই অনস্ক্রিনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে নাকি ইতস্তত বোধ করছিলেন অভিনেত্রী মাহিরা খান (Mahira Khan)। যাঁকে 'রইস' (Raees) ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পর্দায় যাঁর সঙ্গে রোম্যান্স করতে, যাঁকে নিজের উল্টোদিকে 'হিরো' রূপে পেতে অভিনেত্রীরা উদগ্রীব থাকেন, তাঁর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে কুণ্ঠা কেন ছিল মাহিরার? সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন এই পাকিস্তানী অভিনেত্রী।
'রইস' ছবির 'জালিমা' গানটির যে সময় শ্যুটিং চলছিল, তখনকার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন মাহিরা। তাঁর কথায়, "এই গানের শ্যুটিং চলাকালীন সবাই (শ্যুটিং ইউনিটের) আমার সঙ্গে খুব মজা করত। কারণ আমি ভয়ে-ভয়ে থাকতাম যাতে কোনও দৃশ্যে বাড়াবাড়ি কিছু না করে ফেলি। তাই আমি ওঁকে (শাহরুখ) বলতে থাকতাম যে, তুমি আমায় এখানে চুমু খাবে না, এটা করবে না, ওটা করবে না। আর ওঁ খালি জানতে চাইত-আমার কী হয়েছে। মজাও করত। আমায় বলতো, তুমি জানো এরপর কী সিন আছে!"
বস্তুত, পাকিস্তানে জন্ম ও বেড়ে ওঠার পাশাপাশি সেখানকার সাংস্কৃতির মধ্যেই কাজ করার কারণে বলিউডে এসেও মাহিরা যে নিজের সহজাত রক্ষণশীলতা বজায় রাখতে পছন্দ করেন, তা ঠারে-ঠোরে এই সাক্ষাৎকারে তিনি বুঝিয়ে দেন।
জালিমা গানের বেশ কয়েকটি দৃশ্যে শাহরুখ ও মাহিরাকে পরস্পরের নাকে আলতো করে নাক ছুঁয়ে দিতে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্যটির কথা মনে করে মাহিরা বলেছেন, আর যখন কিছু করা যাবে না তখন নোজ-টু-নোজ কিস করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই নিয়েও শাহরুখ মজা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছিলেন, "তোমার এতে অসুবিধা নেই তো? এর জন্য তোমার কোনও সমস্যা হবে না তো? আর আমি মনে-মনে বলতাম, তুমি কী আর বুঝবে?" বলেন মাহিরা।
'রইস'(Raees) ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান (ShahRukh Khan) এবং পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান (Mahira Khan), তাঁদের জুটি পছন্দ করেছিলেন দর্শক। বক্স অফিসে ভালোই ব্যবসা করেছিল ছবিটি। মাহিরার অভিনয়েরও প্রশংসা করেছিলেন সকলে। কিং খানের প্রতি ভালোবাসার কথা মাহিরা বহুবার প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন। শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করা স্বপ্ন একথাও তিনি বলেছিলেন। এবার কিং খানকে ভালোবেসেই কটূ কথা শুনতে হল অভিনেত্রীকে। তাও তাঁর নিজের মুলুকের অফিসার তাঁকে নিয়ে খারাপ কথা বললেন।
মাহিরা সম্প্রতি আনওয়ার মাকসুদ আয়োজিত এক শিল্প সভায় 'রইস' ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে বলেছিলেন, শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করা তাঁর কাছে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন যে সত্যি হতে পারে তা তিনি কল্পনা করেননি। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০১৭ সালে।সুযোগ পেলে আবারও কাজ করতে চান কিং খানের সঙ্গে একথাও বলেন মাহিরা। তাঁর এই কথাগুলি মানতে পারেননি পাক সেনেটর। মাহিরাকে তিনি কুমন্তব্য করে বসলেন প্রকাশ্যে।
পাক সেনেটর ডক্টর আফনান উল্লাহ খান টুইটারে লেখেন, 'মাহিরা খানের জীবনীর উপর বই লেখা যেতে পারে। তিনি অর্থের জন্য ভারতীয় অভিনেতাদের তোষামোদ করেন।'
সম্প্রতি ফিল্মি কায়দায় বাগদান (engagement) সারলেন সুপারস্টার আমির খানের (Amir Khan) প্রথম পক্ষের মেয়ে ইরা খান (Ira Khan)। একটি সাইকেল চালানোর ইভেন্টে গিয়েই হল বাগদান। সেই ভিডিও এখন রীতিমত ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই নেটিজেনদের কৌতূহল দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। কে এই নূপুর শিখর (Nupur Shikhare)? পেশাগতভাবে কী করেন তিনি? ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও জানতে উদগ্রীব সকলে।
৩৫ বছর বয়সি নূপুর পেশাগতভাবে একজন ‘সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার’। আমির থেকে শুরু করে বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। সুস্মিতাকে বহু বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নূপুর। এমনকি ইরারও ফিটনেস প্রশিক্ষক নূপুর। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের শুরু বলে মনে করেন অনেকে।
মহারাষ্ট্রের পুণেতে জন্ম হয় নূপুরের ১৯৮৫ সালের ১৭ অক্টোবর। মুম্বইয়ের আরএ পোদ্দার কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকস্ কলেজ থেকে স্নাতক হন। নূপুরের মা প্রীতম শিখারে এক জন নৃত্যশিল্পী। নূপুরের নাচের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে।
এছাড়া ২০১৪ সালে ‘আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ অংশ নেন নূপুর। ২০১৭ সালে তিনি আমেরিকার শরীরচর্চা সংক্রান্ত রিয়্যালিটি শো ‘আলটিমেট বিস্টমাস্টার’-এর দ্বিতীয় সিজনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিক ‘আলাদিন’-এর অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দু'বছর ধরে ফিটনেস ট্রেনার নূপুর শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন ইরা। প্রেম নিয়ে কখনো লুকোচুরি করেননি তিনি। নিয়মিতই প্রেমিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে (Instagram)।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ‘সাইকেলিং ইভেন্ট’-এ অংশ নিয়েছিলেন নূপুর। সেখান দর্শকাসনে হাজির ছিলেন ইরাও। হঠাৎ ইরার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। একটুও সময় ব্যয় না করে ‘হ্যাঁ’ বলেন ইরা। এরপরেই তাঁর আঙুলে আংটি পরিয়ে দেন নূপুর। আংটি পরিয়ে দেওয়ার পর চুম্বন করেন এই যুগল। ইনস্টাগ্রামে ইরা নিজেই সেই ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি হ্যাঁ বলেছি।’
একেবারে ফিল্মি কায়দায় বাগদান (engagement) সারলেন সুপারস্টার আমির খানের (Amir Khan) মেয়ে ইরা খান (Ira Khan)। দু'বছর ধরে ফিটনেস ট্রেনার নূপুর শিখরের (Nupur Shikhare) সঙ্গে প্রেম করছেন ইরা। প্রেম নিয়ে কখনো লুকোচুরি করেননি তিনি। নিয়মিতই প্রেমিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে (Instagram)। আর এবার সাইকেল চালানোর ইভেন্টে গিয়েই হল বাগদান। সেই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ‘সাইকেলিং ইভেন্ট’-এ অংশ নিয়েছিলেন নূপুর। সেখান দর্শকাসনে হাজির ছিলেন ইরাও। হঠাৎ ইরার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। একটুও সময় ব্যয় না করে ‘হ্যাঁ’ বলেন ইরা। এরপরেই তাঁর আঙুলে আংটি পরিয়ে দেন নূপুর। আংটি পরিয়ে দেওয়ার পর চুম্বন করেন এই যুগল। ইনস্টাগ্রামে ইরা নিজেই সেই ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি হ্যাঁ বলেছি।’
উল্লেখ্য, আমিরের বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে নূপুরকে। আমিরের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভাল তা বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও থেকেই স্পষ্ট। নূপুর আদতে মিস্টার পারফেকশনিস্টের জিম ট্রেনার ছিলেন। সেই সূত্রেই ইরার সঙ্গে পরিচয়। ইরা আমির ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনার কন্যা। ইরা অভিনয় জগৎ থেকে দূরে থাকলেও বিভিন্ন সময় চর্চায় থাকেন তিনি। বেশিরভাগ সময় খোলামেলা পোশাক পরার জন্য তাঁকে ট্রোলড হতে হয়েছে।
ভিডিও দেখার পর নেটিজেনদের কৌতূহল আরও বেড়ে গিয়েছে। সকলের একটাই প্রশ্ন, সম্পর্ক তো আরও একধাপ এগোল। তাহলে বিয়ে কবে করছেন তাঁরা? শুভেচ্ছা জানিয়ে এখন সেই প্রশ্নই অনুরাগীদের।