রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বারবার আঙ্গুল উঠছে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে। সোমবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিয়ে হরিদেবপুরের বড়দা সরণিতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় নর্দমার পাশে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম ফাল্গুনী দত্ত। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন ফাল্গুনী বাবু। তবে মঙ্গলবার সকালেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয় হরিদেবপুরের বড়দা সরণির রাস্তার ধরে নর্দমার পাশ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ সকালে উঠেই সেখানে ফাল্গুনী বাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
তবে বছর ৫৬-এর ফাল্গুনী বাবুর এমন আচমকা মৃত্যুর তদন্তভার নিয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যও। তবে, এই মৃত্যু ঘিরে একটা জল্পনা যেমন থেকে যাচ্ছে, তেমনই ওই এলাকার নিরাপত্তা বলয় নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সপ্তাহের শুরুতেই পোড়া গন্ধে ঘুম ভাঙে হুগলি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য। মেঝেতে পড়েছিল আগুনে পোড়া ২টি দগ্ধ দেহ, গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিল আরেকটি দেহ। অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন যুবক। সাত সকালে এই দৃশ্যে কেঁপে উঠেছে বিশ্বাসপাড়া।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন বছর ২৭-র শুভম মাইতি। থাকতেন মা বিজলি মাইতি ও সুজাতা মাইতির সঙ্গে। মেধাবী ছাত্র, ভালো ছেলে, কম্পিউটার বিদ্যায় তুখড়, এইভাবেই শুভমকে চেনেন এলাকাবাসী। সেই শুভম মাইতিই নাকি মাঝে মধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতেন না। কোন অন্ধকারে ডুবেছিল যুবকের মন? মানসিক কোনও অশান্তি থেকেই কি মা, দিদিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক?
ঘরের দরজা ভেঙে ৩ টি দেহই উদ্ধার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস। কোন ধাক্কায় একসঙ্গে ৩ টি মর্মান্তিক মৃত্যু? তদন্তের দাবি উঠছে।