কলকাতা থেকে ছাড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশগামী এই ট্রেন লক্ষ করে পরপর দুবার ছোড়া হল বোমা। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ পাবনা জেলা ছাড়ার পরেই ঈশ্বরডি জাংশনের কাছে একটি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় ট্রেনটিকে লক্ষ করে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ট্রেনের পাশেই বিকট শব্দে হয় বিস্ফোরণ। তবু ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান যাত্রীরা। তবে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনের গায়ে আক্রমণের চিহ্ন, এবং বিস্ফোরণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
যদিও, এই ঘটনায় ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকামুখী মৈত্রী এক্সপ্রেস যথাসময়েই গন্তব্যে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, দু’টি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছিল ট্রেন লক্ষ করে। এতে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর বেশি কোনও ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা সুরক্ষিত আছেন। ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈত সম্পর্কে কোনওরকম প্রভাব ফেলার জন্যই এই আক্রমণ কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বছর তিনেক পর চার দিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সফরে পড়শি দু’দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জলবণ্টন, রেল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি খাতে একাধিক চুক্তি সই করা হতে পারে। রবিবার জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, 'আশা করব, শেখ হাসিনার সফর সফল হবে। আমাদের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে।' জ্বালানি নিয়েও দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হতে পারে বলে জানান তিনি। দু’দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষর প্রসঙ্গে মোমেন জানান, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তির সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।
এই সফরে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এদিকে, গোরু পাচার নিয়ে বাংলার রাজনীতি উত্তাল, শ্রীঘরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই পরিবেশে ভারত সফরের আগে গোরু পাচার নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা ভারতের গোরুর উপর নির্ভর করি না। সীমান্তে গোরু পাচার বন্ধ করতে হবে। আমরা উদ্যোগী হয়েছি। ভারতকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।' তিনি জানান, আমরা নিজেরাই দেশে গোরু উৎপাদন করছি। এতে নিজেদের স্বনির্ভরতা বাড়বে এবং আর্থিক স্বাবলম্বী বৃদ্ধি পাবে।