ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নালিশ বিজেপির। মূলত পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ পূর্ব মেদিনীপুর, মহকুমা পুলিস অফিসার কন্টাই এবং ভূপতিনগরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিস। কিন্ত পুলিসের এই পক্ষপাতিত্ব কাম্য নয়। তাই পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর শাসকদলের দুষ্কৃতিদের ধেয়ে আসার ঘটনা। কিন্তু বঙ্গে সত্য উদঘাটন করতে গেলে কেন বার বার আক্রান্ত হতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই? স্থানীয় পুলিস প্রশাসন কেন নিরুত্তাপ এই ঘটনায়। তবে কি সত্যিই প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই চলে পুলিস? কমিশনের হস্তক্ষেপেই মিলবে সব প্রশ্নের জবাব তা বলাই বাহুল্য।
সন্দেশখালি ইস্যুতে যেন শাসকের চক্ষুশূল বিরোধীরা। দীপাঞ্চলের মানুষের মুখোমুখি হতে গিয়ে এবার বাধা পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ককে। পুলিসের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ বিধায়ক।
সন্দেশখালির পাশাপাশি বাসন্তী যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ঠিক কোথায় যেতে বাধা? পুলিসকে প্রশ্ন নওশাদের। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে দাবি করা হয় পুলিসের তরফে। এরপরেই পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান আইএসএফ বিধায়ক। ১৪৪ ধারা দেখিয়ে আটকানো হয় নওশাদকে। প্রশ্ন, সায়েন্স সিটি থেকে সন্দেশখালির দূরত্ব ৬২ কিলোমিটার। সেখানে কীভাবে ১৪৪ ধারা জারি হল?
দীর্ঘ বাকবিতণ্ডার পর গ্রেফতার করা হয় নওশাদ সিদ্দিকিকে। গ্রেফতার করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস। যদিও গ্রেফতারির কারণ জানতে চাইলে, কোনও উত্তর দেয়নি পুলিস। তবে কি সন্দেশখালিতে শুধুমাত্র শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদেরই অবাধ বিচরণ?
প্রতিবাদী হলেই শাসক নেতার মুখে হারাবে মান? সন্দেশখালিতে নারীসম্ভ্রম লুঠের অভিযোগ উঠছে বারবার। পার্থ ভৌমিকের বড়বাজার থেকে মহিলা আনানোর মন্তব্যের পর এবার শওকত মোল্লা। কলকাতা থেকে ৫ হাজার, ১০ হাজারে মহিলা ভাড়া করা হচ্ছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যে অভিযুক্ত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিধায়কের মন্তব্যকে সমর্থন জানালেন মঞ্চে উপস্থিত আরেক নেতা।
ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলে একটি প্রস্তুতি সভা থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শওকত মোল্লা। সেই সভা থেকে তিনি আরও বলেন, 'আজ যে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, তার ৯০% মিথ্যা কথা, এটা আমি শপথ করে বলতে পারি। কেউ কেউ ঘোমটা দিয়ে কথা বলছে, কেউ কেউ সরাসরি কথা বলছে। পরবর্তীকালে দেখা যাচ্ছে এরা সিগারেট খাচ্ছে। এতদিন ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে, কেউ ফোনে একটাও ছবি তোলেনি। পিছন থেকে বিজেপি সিপিআইএম উস্কানি দিচ্ছে।'
এরপরই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার ও কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়।
শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই। স্পষ্ট জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। যা রীতিমত চাপ বাড়ছে শাসকদলের উপর। এই অবস্থায় নতুন করে সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল রাজ্য পুলিস। গৌর দাস নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে এই এফআইআর বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো-ঘর-বাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নয়া এফআইআরে ৮০ হাজার টাকা লুটের মতো অভিযোগ রয়েছে 'বাদশা'র বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিস।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য-প্রশাসনকে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তি। যদিও দীর্ঘ শুনানি শেষে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার উপর আদালতের কোন স্থগিতাদেশ নেই বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সন্দেশখালির অশান্তির ঘটনায় হাই কোর্টের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এমনটাই জানালেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন বলে নির্দেশ আদালতের। এর পাশাপাশি রাজ্য পুলিস, সিবিআই, ইডি-কেও মামলায় পার্টি করা হল। শেখ শাহজাহান কেও মামলায় পার্টি করা হল। হাইকোর্টের তরফ থেকে দুটি সংবাদপত্রে নোটিশ দিয়ে জানানো হবে যে তাকে মামলায় পার্টি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ মার্চ এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে শাহজাহানের গ্রেফতারি চেয়ে পথে নেমেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। প্রায় প্রতি দিনই চলছে বিক্ষোভ। নতুন এফআইআর এবং আদালতের নির্দেশের পর এবার সন্দেশখালির বাঘ খাঁচাবন্দি হয় কিনা, তা সময়ের অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা, বাঘের ঘরে এই মুহূর্তে ক্ষোভের বাসা। ঝুপখালিতে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই তার আঁচ এসে পড়ল বেড়মজুরে। সন্দেশখালির একাধিক প্রত্যন্ত এলাকা এখন ফুটছে। সকাল থেকে ছিল চাপা উত্তেজনা, বেলা গড়াতেই বিক্ষোভ আকার নিল জনরোষের।
রাজনৈতিক মহল বলছে, শাসক দলের অন্দরে সন্দেশখালির 'বাঘ' হিসেবে পরিচিত শাহজাহান। আর বেড়মজুরের কাছাড়িবাড়িতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, তৈয়ব মোল্লার মাছের ভেড়ির আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। হাতে লাঠি, গাছের ডাল নিয়েও রাস্তায় নেমে পড়েন মহিলারাও। শাহজাহান, শিবু-উত্তমের পর বৃহস্পতিবার শাহজাহানের মেজোভাই সিরাজের বিরুদ্ধে ঝুপখালিতে সরব হয়েছিল গ্রামবাসীরা। এবার সামনে নয়া অভিযুক্ত বেড়মজুর অঞ্চলের তৃণমূলের সম্পাদক অজিত মাইতি।
জনবিস্ফোরণের মুখে পড়ে লেজে গোবরে অবস্থা হয় অজিত মাইতির। কিল, চড়, ঘুষি শুধু নয় ক্ষোভে বিস্ফোরণে চলে জুতো পেটা! ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতেও। গ্রামবাসীদের রোষে ভাঙল বাড়ির সীমানা, চুরমার হল বাইক। এতদিন ধরে অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছিলেন তারাই এখন সামনে সারিতে নেমে আন্দোলনে সরব হয়েছেন। জমি কেড়েছে, আমাদের টাকায় সম্পত্তি বানিয়েছে গ্রামবাসীদের মুখে মুখে এমনটাই অভিযোগ।
ঘটনার পরই মুখ খোলেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ অজিত মাইতির। ৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করছেন ওই তৃণমূল নেতা।
দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বেড়মজুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। তখন পুলিসের সামনেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন গ্রামবাসীরা। এতদিন অত্যাচার চালিয়েছে, সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটনা নিয়ে মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এখন জমি ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে সন্দেশখালির আনাচে-কানাচে। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠছে গ্রামবাসীরা। শাহজাহান এখনও ধরা পড়েনি।গারদে শিবু-উত্তম। এবার রোষে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শাসকদলের আরও এক নেতা।
সন্দেশখালির অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের গা ঘেঁষেই যেন কাঠগড়ায় উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস প্রশাসন। দিনের পর দিন চলা নির্যাতনের অভিযোগ। কীভাবে চোখ বন্ধ করে ছিল পুলিস? প্রশ্নের জবাব পেতে সন্দেশখালি পৌঁছয় জাতীয় মহিলা কমিশন। দু-জন নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে রেখা শর্মা ও প্রতিনিধি দল পৌঁছয় সন্দেশখালি থানায়। কথা বলেন সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে। এরপরই তিনি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি করেন।
পুলিসেও ভয়। আতঙ্কে কথা বলতে চাইছেন না মহিলারা। সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন রেখা শর্মা। বিনা কারণে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হয় বলেও অভিযোগ। সন্দেশখালিতে পুলিসের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন রেখা শর্মা।
মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সাম্রাজ্যে দিল্লি থেকে ছুটে আসছে মহিলা কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার সময় হল না? সন্দেশখালির মা-বোনেরা কি এতটাই তুচ্ছ? দিল্লির হস্তক্ষেপই যেন সমাধানের আশা। কিন্তু মা-মাটি-মানুষের সরকার বলে দাবি করা প্রশাসনের ঘড়িতে সন্দেশখালির জন্য সময় বরাদ্দ হবে? জবাব না হয় ভবিষ্যতের মুঠোই দিক।
শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার, তৃণমূলের হত্তাকত্তা শেখ শাহজাহানের ২ অনুগামীর বিরুদ্ধে সরগরম সন্দেশখালি। দফায় দফায় উত্তেজনা, দফায় দফায় আগুন। যেন একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পণ। কিন্তু শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের উপর কেন এত ক্ষোভ সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের? গত ৩ দিন ধরে খবর কভারেজের মধ্যেই খোঁজ নিল সিএন।
শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জেলিয়াখালিতে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দিল স্থানীয় জনতা। অগ্নিগর্ভ জেলিয়াখালিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় জনতা। ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ, কাটারি হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা।
অভিযোগ, শুধু সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। সরকারি জমিতে রীতিমতো পাকা দোকান বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়েও নাম শিবু হাজরার। আরও অভিযোগ, সন্দেশখালি ফেরিঘাট সংলগ্ন সরকারি জমিতে দোকান বানিয়ে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। নাম জড়িয়েছে লাল্টু বোস নামে এক ব্যক্তির। ৯ টি দোকানের মধ্যে একটি দোকান উত্তম হাজরার। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিবু হাজরার থেকে দোকান নিয়েছে উত্তম সর্দার।
প্রধান শিক্ষক ও পঞ্চয়েত সদস্য কেন এখনও গ্রেফতার হয়নি? তা রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। মাধ্যমিক শেষ হলে উপযুক্ত টিচার ইনচার্জ কে হবেন তা আদালতকে জানাতে নির্দেশ এসডিও তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে। নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে সোমবার এমনই মন্তব্য হাইকোর্টের।
নরেন্দ্রপুর বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। তবে আদালত জানতে চায় এতদিনে কেন মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
এফআইআর-এ নাম থাকা বাকি ব্যক্তিরা এখনও কেন গ্রেফতার নয়? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আদালতের। পাশাপাশি ওই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বিচারপতি।মাধ্যমিকের পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? বোর্ডের কাছে জানতে চায় আদালত।
এদিন আদালতে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ৮ জন। মনসুর রহমান, আলোক রফিউর নতুন করে গ্রেফতার হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগাম জামিনের আবেদন করলেও তিনি এখনও পলাতক। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আকবর আলি কোথায়? ১৫ জনের নাম আছে এফআইআর-এ। তার মধ্যে আর কতজন গ্রেফতার? মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে ওই স্কুলে? SDO কি স্কুলের দায়িত্বে কাউকে রেখেছেন? পঞ্চায়েত এর সদস্যদের কি খবর? তাদের কি গ্রেফতার করা গেল? প্রধান শিক্ষক কি সাসপেন্ড? মাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কি হবে?
বোর্ডের আইনজীবী কুহেলী ভট্টাচার্য জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে।তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। স্কুলের দায়িত্ব বোর্ডের। রাজ্যের আইনজীবী সুমন চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে বলতে পারব কার হাতে স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া যায়।
কিন্তু এখনও কেন প্রধান শিক্ষক অধরা, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য বা পুলিস। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের (Visakhapatnam) একটি বন্দরে বিধ্বংসী আগুন। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই অন্তত ৪০টি নৌকা। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের খবর নেই। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, নৌকার মধ্যে থাকা সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে নৌকাগুলোতে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনমের এক বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকা বিস্ফোরণের শব্দ হয়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পর পর নৌকাগুলিকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। সোমবার সকালেও বিশাখাপত্তনমের মৎস্য বন্দরের শ্রীহীন ছবি। চারপাশে পড়ে রয়েছে পোড়া সামগ্রী। চোখের সামনে এভাবে নৌকাগুলি ভস্মীভূত হতে দেখে মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।
পুলিস সুপার আনন্দ রেড্ডি জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনম বন্দরে আগুন লাগে। নৌকায় থাকা জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হতে পারে। সেই থেকেই হয়তো এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এখনও এই অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ জানা যায়নি। তবে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কেউ ইচ্ছা করেই নৌকায় আগুন লাগিয়ে ক্ষতি করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মুর্শিদাবাদের নওদায় জমি বিবাদের জেরে চলল গুলি। ঘটনায় গুরুতর আহত এক কৃষক। রবিবার নওদা থানার অন্তর্গত সাবাতলা এলাকাতে জেলের রহমান নামে ওই কৃষককে গুলি করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন ভোরবেলায় জমিতে সবজি আনার সময় ওই কৃষককে লক্ষ্য় করে পর পর চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। সেই সময় গুলির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্য়াক্তি। যদিও এ ঘটনায় প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আহতের পরিবার।
জানা গিয়েছে , বেশ কয়েক বছর ধরে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি জায়গা নিয়ে বিবাদ চলছিল জেলের রহমানের। জোর করে জেলের রহমানের জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর সেই বিবাদের কারণেই এদিন রাত দুটো নাগাদ জমিতে বেগুন তুলতে গেলে ওই জেলার রহমানকে পরপর চার রাউন্ড গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কৃষককে।
বর্তমানে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই কৃষক চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কি কারণে এই গুলি করা হল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনেই অর্থাৎ আজ, সোমবার রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দিল্লির এইমস (Delhi AIIMs) হাসপাতালে ঘটে গেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। সূত্রের খবর, দিল্লি এইমসের এন্ডোস্কপি বিভাগে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। চারিদিক ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে পৌঁছে গিয়েছে ৮ টি দমকল। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা আহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
#WATCH | Delhi: A fire broke out in the endoscopy room of AIIMS. All people evacuated.
— ANI (@ANI) August 7, 2023
More than 6 fire tenders sent, say Delhi Fire Service
Further details are awaited. pic.twitter.com/u8iomkvEpX
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১১ টা ৫৪ মিনিট নাগাদ এইমস হাসপাতালের এন্ডোস্কপি বিভাগে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর ধীরে ধীরে তা হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা এমন আগুন দেখে ভয়ে-আতঙ্কে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দিল্লি এইমস-এর মত দেশের বড় হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু উঠতে শুরু হয়েছে। এইমস সূত্রে খবর, প্রথমে ছটি দমকল পাঠানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর পরে দুটি আরও পাঠানো হয়। অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের ডিরেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।
কোথায় গেল বেটি বাঁচাও। দেশের মা-বোনেরাই বিজেপিকে দেশ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মণিপুরের ঘটনায় শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে নীরবতাও পালন করা হল। এদিন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন,"কোথায় গেল বিজেপির বেটি বাঁচাও" প্রকল্প। পরিষ্কার বলছি, দেশ থেকে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে বিদায় নিক। কারণ, বিজেপিকে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। বিজেপি সব সীমা পার করে দিয়েছে।"
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নারীশক্তিই হারাবে বিজেপিকে। মনিপুর জ্বলছে, দেশ চলছে। শায়রা বানু ঘটনায় বিলকিসকেও ছেড়ে দিলেন। মহিলা মানে, আমাদের মা, বোন। মায়েদের মা-বোনেরা আমাদের দুর্গা, কালী, সাবিত্রী।'
সাত সকালে মর্মান্তিক ঘটনা (Tragic Incident)। রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (Dead body)। ঘটনাটি ঘটছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ,নবগ্রাম থানার, মাঝিগ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, মৃতের নাম গৌর ঘোষ, তিনি পেশায় একজন গোপালক ছিলেন। বুধবার দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাশের গ্রাম জারুলিয়া গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
এদিন সকালে গোপালকরা যখন মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন রাস্তার পাশে পরে আছে গৌর ঘোষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে নবগ্রাম থানার পুলিস। স্থানীয়দের দাবি, গৌড় ঘোষকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রথমে পুলিসকে মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে অবশ্য পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মৃতের দাদা দয়ালচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন "কোনো শত্রু ছিলনা গৌড় ঘোষের।গ্রামের কোনও লোক বা কোনও আত্মীয়দের সঙ্গেও বিবাদ ছিলনা তাঁর ভাইয়ের।কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনো নেতার সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিলোনা। তাঁর দাবি, ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী তাদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করুক পুলিস।"
স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ জানিয়েছেন , " বুধবার রাত ৮ টার সময় দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাশের গ্রাম জারুলিয়া গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর বন্ধুরা নাকি তাঁকে ফোন করে ডাকেন ঢালাই বিষয়ক কোনো কথা বলার জন্য। তারপর তাঁর বন্ধুরা ১১ টার সময় চলে যায়। তারপর সকালে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় গৌড় দাসের দেহ। অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন গৌড় দাস। দ্রুততার সাথে যেন এই ঘটনার নিষ্পত্তি হোক দাবি সুবোধ বাবুর।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবগ্রাম থানার পুলিস।
আদিবাসী শ্রমিকের (Tribal) গায়ে প্রস্রাব (Urination Incident) করা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো দেশজুড়ে। এবারে এই বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার সেই আদিবাসীর পা ধুইয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh chouhan)। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে ক্ষমাও চাইলেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের এক যুবকের অত্যন্ত ঘৃণ্য কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, তার নাম প্রভেস শুক্লা। এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সিধি জেলার বেহরী থানা এলাকার। অভিযোগ উঠেছে, গত ৯-১০ দিন আগে ওই এলাকার একটি মোবাইল দোকানের সামনে বসে থাকা এক আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব করে অভিযুক্ত প্রভেস শুক্লা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর মঙ্গলবার বেহরী থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সিধি জেলার পুলিশ সুপার ডঃ রভিন্দ্র বর্মা জানান, প্রভেশ শুক্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪,৫০৪ ধারায়, এনএসএ এবং এসসি/এসটি অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করার পরই বুধবার জানা যায়, তার সম্পত্তির কিছু অবৈধ অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের তরফেই নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপরই আজ দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সেই আদিবাসী শ্রমিক দাশমাত রাওয়াতকে তাঁর বাসভবনে নিয়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা ধুইয়ে দেন। এরপর তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ও তাঁকে একটি সাদা রংয়ের উত্তরীয় পরিয়ে দেন ও দিয়েছেন কিছু উপহার। আবার দাশমাতের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানকে।
উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) ঝাঁসির (Jhansi) এক ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন (Fire)। আর এই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৪ ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলের দিকে। আগুন লাগার পর সেই চারতলার বিল্ডিং-এ আটকে ছিলেন বহু লোক। তবে কিছুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হলেও অবশেষে চারজনের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন, তাঁদেরকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কীভাবে সেই চারতলার শোরুমে আগুন লেগেছে, এখনও জানা যায়নি। তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলের দিকে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির সিপরি বাজার এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর তা ধীরে ধীরে উপরের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাশে থাকা খেলার সরঞ্জামের দোকানেও আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে দোকানে থাকা সমস্ত জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও সেই বিল্ডিং-এর উপরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও সেই বিল্ডিং-এ থাকা মহিলাও অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি ইউনাইটেড ইনস্যুয়ারেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন।
এরপর এই খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছয়। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঝাঁসির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, কীভাবে সেই বিল্ডিং-এ আগুন লেগেছে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।