গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গরিব মানুষের ছাদের ওপর। ওই গার্ডেনরিচেই একাধিক অবৈধ বহুতল ধরা পড়েছে সিএন-র ক্যামেরায়। শুধু গার্ডেনরিচ কেন, পিকনিক গার্ডেন, চেতলা, বিরাটিতেও ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে কোথাও বহুতল কোথাও বহুতলের একাংশ। অকালে, অন্যের ভুলের খেসারতে প্রাণ গিয়েছে সাধারণের। এই এতগুলি প্রাণ যাওয়ায়, এবার খানিক সচেতন হয়েছে লালবাজার। বেআইনি নির্মাণ রুখতে প্রোমোটার ও ডেভলপারদের সচেতন করা হল লালবাজারের তরফে। পাশাপাশি অবৈধ নির্মাণ রুখতে খুলে দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর। নম্বরটি হল ৯৪৩২৬১১০০০।
শহরে প্রোমোটার ও ডেভলপারদের নিয়ে মঙ্গলবার লালবাজারে বৈঠক করেন অতিরিক্ত নগরপাল মুরলীধর শর্মা। সেই বৈঠকে চালু করা হয় এই নম্বর। কোথাও কোনও নির্মাণকাজ করতে গেলে এলাকার সিন্ডিকেট যদি চাপ দেয় কিংবা কেউ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে তাহলে প্রোমোটার ও ডেভপলাররা ৯৪৩২৬১১০০০ এই নম্বরে ফোন করে পুলিসকে জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে পুলিস তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
প্রসঙ্গত, এর আগে যখন প্রশ্ন তোলা হয়েছে এইসমস্ত বেআইনি নির্মাণের জন্য কে বা কারা দায়ী? তখন মেয়র কাউন্সিলরের দোষ ঢেকে দিয়েছেন প্রোমোটারকে। স্থানীয় বাসিন্দারা সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রোমোটার সহ কাউন্সিলরের ওপরেও। এদিকে, সংশ্লিষ্ট পুরসভার ভূমিকা তো রয়েছেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এসব দেখে মানুষ আরও বেশি আতঙ্কে।
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে মৃত্যু হওয়ার পরেও হুঁশ ফেরনি প্রশাসনের। ফের শহর কলকাতার বুকে গড়ে উঠেছে বেআইনি নির্মাণ। সেই চিত্র ধরা পড়ল শ্যামপুকুর থানার অন্তর্গত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৮৯/৪ রবীন্দ্র সরণী এলাকায়। সেখানে দেখা গিয়েছে অবৈধভাবে তৈরি হয়ে যাচ্ছে পাঁচ তলা বিল্ডিং। আর তাতে কোন হেলদোল নেই প্রশাসন এবং কাউন্সিলারের। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যেই বসবাস করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই এই পাঁচতলা বহুতল বিল্ডিং ভাঙতে এসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় টাকা দিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর আবার শুরু হয় বিল্ডিং তৈরি কাজ। চারিদিকে যেভাবে বহুতল নির্মাণ ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসছে, যার জেরে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মানুষের।
অভিযোগ, পুলিস প্রশাসন এবং কাউন্সিলর তাঁরা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনওরকম পদক্ষেপে নিচ্ছেন না। টাকার বিনিময়ে পাঁচ-ছয় তলা বিল্ডিং শুরু হয়ে যাচ্ছে গলির মধ্যে। কলকাতা শহর জুড়ে যেভাবে অবৈধ নির্মাণ দিনের পর দিন তৈরী হচ্ছে। তাতে বারংবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন এটাই কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে তৈরী হচ্ছে পাঁচতলা বিল্ডিং। এই নিয়ে কবে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের?
অবৈধভাবে মহানন্দা নদীর চর কেটে চলছিল মাটি মাফিয়াদের বালি বিক্রির কাজ। বালি বিক্রির কাজ বন্ধ করতে সরব গ্রামবাসীরা। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার মাঝ বরাবর দিয়ে বয়ে চলেছে মহানন্দা নদী।
সেই মহানন্দা নদীর চর কেটে বিক্রি করছে মিনি ডাকপাড়া গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। যারা বিক্রি করছে তাঁদের দাবি, তাঁরা পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে বিক্রি হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর আগে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে আমাদের জমির উপর দিয়ে নদী বইতে শুরু করে। সেই সময় নদীগর্ভে চলে যায় কয়েকশ একর জমি। তবে এখন নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে সেই জমি ফিরে পেয়েছি। সেখান থেকেই নিজের বাড়ির কাজের জন্য ও গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজের জন্য ট্রাক্টর করে বালি নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নদীর চর জেসিবির মাধ্যমে কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে অন্য এক জায়গায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে ডাম্পার করে বালিগুলি পাচার করা হচ্ছে। তবে রাতের অন্ধকারে বালি পাচারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ফাঁসিদেওয়ার বিএলআর অফিসে।
ফাঁসিদেওয়ার বিএলআরও শুভ্রজিৎ মজুমদার জানান, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ওই এলাকায় আনুমানিক একশো থেকে দেড়শ বিঘা জমির চর বেরিয়ে এসেছে। তবে সেই চড় থেকে যারা বালি বিক্রি করছেন সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বালি চুরি বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনোমতেই বালি চুরি দুষ্কৃতীদের ছাড়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন ডিআই এবং খামারচক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া। বুধবার সিআইডি তমলুকের খামারচক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন ডিআই (মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দারকে গ্রেফতার করে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বর্তমান ডিআই শুভাশিস মিত্র তমলুক থানায় এফআইআর করেছিলেন। সেই এফআইআর-এ তৎকালীন ডিআই স্কুলের প্রশাসক এবং প্রধান শিক্ষকের নাম ছিল। প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাটুয়া তাঁর ভাইপো শুভেন্দু হাটুয়াকে নিজের স্কুলের নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০১৭ সালে নিয়োগ করে। সেই ঘটনায় সিআইডি এই দিন প্রধান শিক্ষক ও তৎকালীন ডিআইকে গ্রেফতার করে। দুজনকে বৃহস্পতিবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। সিআইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে জেলা আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অশোক কুমার হাটুয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার ডিআই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর অবসর গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি/মাধ্যমিক) ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে বদলি হওয়ার আগে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি নিজের 'হোম ডিস্ট্রিক্ট' পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই ছিলেন বলে সূত্রের খবর। আর, ওই জেলাতেই বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব দেখিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান মামলাকারী। কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে কাশীপুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ সাউ।অভিযোগ, মামলা করার পর থেকেই পরিবারটির উপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু হয়েছিল। তারপরেই আশ্চর্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান দিলীপ সাউ।
দিলীপ কোথায়? জানেন না তাঁর পরিবারও। তাঁর খোঁজে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ দিলীপ সাউ-এর স্ত্রীর। আরও অভিযোগ, স্বামী মামলা করার প্রতিবাদে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে কাশিপুর থানা। এর জন্য ২৭ দিন জেল খাটতে হয় দিলীপ সাউয়ের স্ত্রীকে। অত্যাচার এখানেই শেষ হয়নি, স্থানীয় দুষ্কৃতীরা, তাঁর বাড়িতে এসে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ।
দিলীপ সাউয়ের এক ছেলেকে হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। জামিন পাওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিলীপ সাউয়ের স্ত্রী। হাইকোর্ট পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাড়ির সামনে পুলিস পোস্টিং-এর নির্দেশ দেয়। গত ২২ তারিখ আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী দিলীপ সাউয়ের স্ত্রী ও তাঁর মেয়েকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে যায় পুলিস। আদালতে নির্দেশমতো দু'দিন পুলিস পোস্টিং ছিল। দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করায় আতঙ্ক কাটছে না বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয় কাউন্সিলর কার্তিক মান্না বলছেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে আমি নিজেও লড়াই করছি। আমি খোঁজ নেব। ওই পরিবারটা যদি আমার কাছে আসেন, বিষয়টি আমি দেখবো।
ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর যুক্ত বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। একই সঙ্গে পরিবারের উপর যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, তাতে কলকাতার আইনশৃঙ্খলা কোন জায়গায় পৌঁছেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন বিজেপি কাউন্সিলর।
পাচারের আগে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা উদ্ধার হল দুবরাজপুরে। দুবরাজপুর থানার পুলিস শনিবার দু'জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪টে গরুর গাড়ি ও ১৪ টা মোটরবাইক আটক করে। আর সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮ টন ২৮ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা।
জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর এলাকা থেকে অবৈধ কয়লা বোঝাই ৪ টে গরুর গাড়ি ও ৫ টে মোটরবাইক আটক করে পুলিস। ৪টে গরু গাড়িতে মোট ৮ টন অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। অন্যদিকে ৫ টা মোটরবাইকে ১০ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। পাশাপাশি, দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তোর মোড় থেকে ৯ টা মোটরবাইক আটক করে। এই মোটর বাইক গুলিতে প্রায় ১৮ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। পুলিসকে দেখেই গরুর গাড়ি ও মোটরবাইক ফেলে পালিয়ে যায় অবৈধ কয়লা পাচারকারীরা। খয়রাসোলের দিক থেকে এই অবৈধ কয়লা নিয়ে পাচার করছিল বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
নিজস্ব ফর্মেই রয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতি দেখলেই বিচারপতির কড়া নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এর আগে তাঁর একের পর এক নির্দেশে বিপাকে পড়তে হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। এবার অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর ১৮১, শান্তিনগরের বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধা কুন্তিবালা কল্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে আবেদন করেন, তাঁর বাড়ি ও বাড়ি লাগোয়া কিছুটা অংশে ফ্ল্যাট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্থানীয় প্রোমোটার। ২০১৯ সালে ৫০ শতাংশ অনুপাতে চুক্তি হয়। তারপর নির্মাণ যখন তৈরি হয়, তখন আবেদনকারী বোঝেন, এটা অবৈধ নির্মাণ। বারবার প্রোমোটার ও পরে বিধাননগর পুরনিগমে অভিযোগ করলেও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বন্ধ করে দিতে হবে ওই বিল্ডিং-এর এর জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ। সোমবারই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। ওই বাড়ির বাসিন্দারা চাইলে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে পুনর্বাসন চাইতে পারেন। সোমবারই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ কাউন্সিলর চামেলী নস্করকে। বিধাননগর পুরনিগমকে বৈঠক ডেকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ। আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরনিগম বাড়ি ভাঙা নিয়ে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
বেআইনি ভাবে সমুদ্র থেকে ছোট হাঙর (Shark) ধরে গোপনে চলছে শুটকি বানানোর কাজ। ঘটনায় বন দফতরের আধিকারিকেরা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের (Fraserganj) বালিয়াড়া এলাকায়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম আকাশ দাস ও রঞ্জিত বাগ। এদের মধ্যে আকাশ কাকদ্বীপের হরিপুরের বাসিন্দা এবং রঞ্জিত সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের পরেই প্রায় ৭০ ক্যারেট ছোট হাঙর মাছের শুটকি উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকেরা। বন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা।
বেআইনি সর্ষের তেলের গোডাউনে (illegal mustard oil godown) হানা (Raid) দিল এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের (EB) আধিকারিক ও পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে শাসন (Shasan) থানার অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকায়। ওই বেআইনি গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঠিক কি কারণে এত তেল ওই বেআইনি গোডাউনে মজুত করা হয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে ইবি এবং শাসন থানার পুলিস আধিকারিকেরা।
ইবি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় শাসন থানার গোলাবাড়ি এলাকার একটি গোডাউনে বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে সর্ষের তেল। এই খবর পাওয়ার পরেই জেলা ইবি আধিকারিকেরা হানা দেয় ওই অবৈধ গোডাউনে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করে ১০০টি সর্ষের তেলের টিন, যা থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার লিটার সর্ষের তেল। ইবি আধিকারিকদের দাবি, এই ঘটনায় ওই গোডাউনের মালিক তেল মজুত করে রাখার কোনও কাগজ পত্র দেখাতে পারে না, এমনটাই দাবি ইবি আধিকারিকদের।
অবৈধভাবে (Illegally) নেপাল (Nepal) থেকে ভারতে প্রবেশের সময় চিনের এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল এসএসবি (SSB)। বুধবার, ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি বর্ডারে নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করার সময় এক যুবককে দেখে সন্দেহবশত আটক করে এসএসবির জওয়ানেরা। এরপর তল্লাশি করার পর ওই য়ুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চিনা নাগরিকতার নথিপত্র।
বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং ওই যুবকের অন্যান্য ব্যাগের ভিতরে বেশ কিছু ডকুমেন্ট পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিতে দেখা গিয়েছে এই চিনের যুবকের কাছে নেপালেরও বেশ কিছু নথি রয়েছে। তবে কিভাবে চিন থেকে নেপালে ঢুকলো এই যুবক এবং কি কারণে নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করছিল সেই বিষয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বুধবার, রাতেই খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। অপরদিকে বৃস্পতিবার, তাকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে। ঠিক কি কারণে এই চিন নাগরিক নেপাল থেকে ভারতে প্রবেশ করছিল তা জানতে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিস।
সৌমেন সুর: মানুষের জীবনে শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে তার শৈশব। তবে সমাজের যাঁতাকলে পড়ে অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে এমন সব কর্ম করতে থাকেন, যা দেখে আমাদের চোখের পাতা ভিজে যায়। একটা ৫/৬ বছরের শিশু চায়ের দোকানের ফুটপাতে বসে কয়লা ভাঙছে হাতুড়ি দিয়ে। একটা ভাতের হোটেলের যাবতীয় এঁটো বাসন মাজছে একটা ৭/৮ বছরের বালক। এই সময় যার খেলার কথা, আনন্দ পাবার কথা লুকোচুরি খেলে, তা না করে অভাবের সংসারে পেটের তাগিদে অমানুষিক শ্রম দিচ্ছে কত না শিশু।
ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা তীব্র হওয়ার দরুন পরিবারের শিশুদের শ্রমিক সাজাতে হয়। তবে দরিদ্র্য শিশু শ্রমিক উদ্ভবের একমাত্র কারণ নয়। সমাজের একশ্রেণির মানুষের উত্সাহ আছে এর পেছনে। কারখানার মালিক, দোকানদার, রেষ্টুরেন্ট-এর মালিকরা শিশু শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহী। কারন শিশু শ্রমিকের পারিশ্রমিক পরিনত শ্রমিকের তুলনায় কম। দৈহিক নির্যাতন করলেও শিশু শ্রমিক প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোনো সংগঠন গড়ে আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। শিশু শ্রমিকদের অবস্থা অতীতের দাসত্বের সঙ্গে তুলনীয়। অনেক সময় শিশুকে মাথায় ইট বহন করার মতো কঠিন কাজে নিয়োগ করা হয়। এরা সময়মতো বিশ্রাম ও আহার পর্যন্ত পরিমানে পায় না। যার ফলে অপুষ্টিতে ভোগে। অভাবগ্রস্ত পরিবার থেকে আসা যেসকল শিশু, তারা অনেক সময় বিনা চিকিত্সায় মারা যায়।
শিশু শ্রমিক নিয়োগ বেআইনি ঘোষিত হলেও অবস্থার বিষেশ পরিবর্তন হয়নি। কারণ বেআইনি ঘোষণা করাই যথেষ্ট নয়, শিশুদের রক্ষার জন্য কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এ ব্যাপারে আমাদের দেশ একেবারে উদাসীন। শিশুদের প্রতিকারের দায়িত্ব সরকার ও সাধারণ নাগরিক সকলেরই। শিশু শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে কড়া আইন প্রনয়ন করা উচিত।
বেআইনি টোটো (Illegal Toto) দৌরাত্ম্য কমাতে বেআইনি টোটো বিক্রেতদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলো পুরুলিয়া (Purulia) আরটিও (RTO) দফতর। শহরে যেখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা অনুমতিহীন টোটো দোকান গুলিতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে টোটো কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা (Prohibition) জারি করেছেন আরটিও দফতরের আধিকারিকরা।
শুক্রবার, শহরের বিটি সরকার রোড, দেশবন্ধু রোড সহ শহরের একাধিক টোটোর দোকানে গিয়ে তাঁদের টোটো বিক্রির অনুমতির কাগজপত্রের খোঁজ নেন আরটিও আধিকারিকরা। যদিও অধিকাংশ দোকান গুলির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দোকান মালিকরা। ফলে তাঁদের কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়। অনেক দোকানের মালিকরা আরটিও দফতরের আধিকারিক পৌঁছানোর আগেই দোকান ছেড়ে পালিয়ে যান।
এদিন আরটিও দফতরের আধিকারিক বলেন, শহরে অনুমতিহীন টোটো বিক্রি হলেও সেই সব টোটোর কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই শহরে অবাধে চলছিল এই বেআইনি টোটোগুলি। সম্প্রতি বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই, প্রথম ধাপে বেআইনি টোটো বিক্রি রুখতে এদিনের এই অভিযান। আগামী দিনে রাস্তায় যেসব নম্বরবিহীন বেআইনি টোটো চলছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শহর জুড়ে টোটোর দৌরাত্ম্যের ঘটনা নতুন নয়। দিন যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে ততো বাড়ছে টোটোর সংখ্যা। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত বিনা লাইসেন্স এবং বিনা নম্বরে টোটো নিয়ে রাস্তায় রাজত্ব করছে এই বেআইনি টোটো গুলি। এর ফলে শহর জমছে ব্যাপক যানজট। যখন তখন সড়কপথে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর তাই শুক্রবার আরটিও দফতরের আধিকারিকরা বেআইনি টোটো দৌরাত্ম্য রুখতে শহরের বিভিন্ন অনুমতিহীন দোকানগুলিতে অভিয়ান চালায়।
আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ফের বিপুল পরিমাণ অবৈধ (Illegal) শাল ও টিক কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হল। কাঠগুলি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা। বাজেয়াপ্ত করা কাঠের পরিমাণ প্রায় ২০০ সিএফটি।
রেঞ্জ অফিসার ধনঞ্জয় রায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীদের ও জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিসদের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় কাঠগুলি। ফালাকাটা ব্লকের মালসাগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে প্রচুর অবৈধ কাঠ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসে বন দফতরের কর্মীরা। বাজেয়াপ্ত করা কাঠের পরিমাণ প্রায় ২০০ সিএফটি। উদ্ধার হওয়া কাঠের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনেও এই অভিযান চলবে। কাঠ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার বেআইনি অটো সরাতে বড়সড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় বেআইনি অটোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়ে আগামি ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন বিচারপতি।
ব্যারাকপুরের সিপি আলোক রাজোরিয়াকে কোর্টের নির্দেশ, একটা বৈঠক ডেকে প্রশাসনকে বেআইনি অটো খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাম-ঠিকানা আছে, তাই খুঁজতে অসুবিধা হবে না। যে ২৫ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। পুলিসকে আরও সচেতন হয়ে বেআইনি অটোগুলিকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশ। আবেদনকারীকে দিতে হবে হলফনামা।
RTO প্রদীপ মজুমদার সশরীরে উপস্থিত থেকে জানান, ৩২ জনকে তাঁরা আপাতত চিহ্নিত করতে পেরেছেন। যার মধ্যে দু'জনের কাছে পারমিশন ছিল। বাকিদের মধ্যে ৫ জন পারমিশন তৈরি করতে দিয়েছে। বাকি ২৫ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি, পুলিসকেও রিপোর্ট দিতে হবে।
একেবারে ফিল্মি কায়দা! ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে ওসির প্রবেশ এক বাড়িতে। পিছু পিছু হাজির হন অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মীরাও। বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়াতেই সুযোগ বুঝে দৌড়, বাড়ি ছেড়ে চম্পট মালিক। বুধবার দুপুরে ধূপগুড়ির (Dhupguri) সাঁকোয়াঝোরা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর গোসাইরহাট এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর ভুটান মদের (Bhutan liquor) কার্টুন।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামে ধূপগুড়ি থানার পুলিস। এরপরই কার্টুনে ভুটান মদ আটক করে আবগারি দফতরের কর্মীরা। ঘটনায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। এদিক ওদিক করতেই বাড়িতে মাটির নিচে রাখা মদের কার্টুন দেখে চক্ষুচড়ক গাছ আবগারি দফতরের কর্মীদের। মাটি কেটে নিচে বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল প্রচুর ভুটান মদের কার্টুন। এরপর মাটি খুঁড়ে তারপর মদ উদ্ধার করতে হয় তাঁদের।
এছাড়াও বাড়ি থেকে প্রচুর মদ এবং একটি মোটরবাইক আটক হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রে খবর। কিন্তু বাড়ির সবাই পলাতক থাকায় মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, ভুটান গেট সচল হওয়ায় ফের চোরাই পথ ধরে ভুটান মদ প্রবেশ করছে ডুয়ার্স। আর গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযানে নামা হয় সাঁকোয়াঝোরা ২ এর উত্তর গোসাঁইরহাট এলাকায়। পলাতক রয়েছে বাড়ির মালিক রমেন রায়। তবে আগামীদিনে এইরকম অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানান আবগারি দফতরের ওসি অশোক অধিকারী।