লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য প্রশাসনে ফের বড়সড় রদবদল করা হল। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। আর রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন বিপি গোপালিকা। আজ অর্থাৎ রবিবারই বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ায় গোপালিকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল। বিদায়ী মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ ভবনের সচিব থাকার সময় একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে অবশেষে তাঁকেই স্বরাষ্ট্রসচিব করা হল।
এর আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের পদে ছিলেন বিপি গোপালিকা। ফলে তিনিই যে পরবর্তীতে মুখ্যসচিব হতে চলেছেন, তা জানাই গিয়েছিল। আজ অর্থাৎ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্নে দায়িত্বভার নিলেন বিপি গোপালিকা।
কিন্তু রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্বভার নন্দিনী চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ চমক ছিল। তিনি পর্যটন দফতরের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকেই এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে ঘোষণা করল সরকার। পর্যটন দফতরের দায়িত্বও তাঁর হাতেই থাকছে। নন্দিনী চক্রবর্তীই রাজ্যের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন।
রাজ্যের পুলিস ও প্রশাসনিক পদে হতে চলেছে বড়সড় রদবদল, আর তা বুধবারই ঘোষণা করেছে। চলতি মাসে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপরই সেই পদে আসতে পারেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে থাকা বি পি গোপালিকা। তিনি মুখ্যসচিব হলে স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন কে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। বৃহস্পতিবার সেই নাম নিয়ে শুরু হল গুঞ্জন। আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র হতে পারেন নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব। বর্তমানে তিনি একাধিক দফতরের সচিব পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁকেই স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে আনা হতে পারে। নবান্ন সূত্রে খবর এমনই। তবে এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্বরাষ্ট্র সচিব পদে এগিয়ে রয়েছেন আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র। ১৯৮৯ ব্য়াচের আইএএস প্রভাত কুমার মিশ্র। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারে বিভিন্ন দফতরের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। এই মুহূর্তে তিনি সেচ ও জলপথ, পরিবহন দফতরের সচিব। তার আগে পরিবেশ দফতরের সচিব পদও সামলেছেন। এবার তাঁকেই স্বরাষ্ট্র সচিব পদে বসাতে চলেছে নবান্ন।
শিলিগুড়ির হোমে এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার ভোরে হোমের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হোমের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে হোমের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনস্থলে পুলিস গিয়ে নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আগস্ট মাসে নকশালবাড়ির বাসিন্দা ওই নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার হয় বলে অভিযোগ। তারপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলে ওই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে আনা হয়। আর নির্যাতিতার নিরাপত্তার জন্য় তাকে রাখা হয় শিলিগুড়ির ওই হোমে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, নাবালিকার ব্যবহারে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। নিয়মিত বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। দিন কয়েকের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই ঘটে গেল চাঞ্চল্য়কর ঘটনা।
পরিবারের অভিযোগ হোমের গাফিলতিতে এই মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। আত্মহত্য়া নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য় কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি থানার পুলিস।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। রাজস্থানের নাগৌরে দীড়ওয়ানা-কুচামান এলাকায় তিনি 'রথ যাত্রায়' বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই তার রথ আটকে গিয়েছিল কেবল টিভির বৈদ্যুতিক তারের জটলার জেরে।
জানা যায়, অমিত শাহের রথের ওপরের অংশে তারের আঘাতও লাগে। এই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের কনভয় বিদিয়াড় গ্রাম থেকে পর্বতসারের দিকে যাচ্ছিল। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল শাহের 'রথ'। রাস্তার দু'পাশে দোকানপাট ও বাড়ি ছিল। রথের উপরের অংশ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। সেই সময় স্পার্কিং হয়। রথটি সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর তারটি ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এর ফলে রথের পিছনের অন্যান্য যানবাহন সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়। এ ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে এসে পৌঁছান। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার কারণে কনভয়ে থাকা লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও, বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নার্সিংহোমের দাবি অনুযায়ী বাড়তি টাকা দিতে না পারায় মাঝপথে অপারেশন থামিয়ে দেওয়া হয়। এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ঘটনার অভিযোগে বাঁকুড়া সদর থানায় দ্বারস্থ হয় রোগীর পরিজনেরা।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ আলমগির বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানতে পারেন তাঁর গলব্লাডারে স্টোন রয়েছে। চিকিৎসকরা গলব্লাডারের স্টোন অস্ত্রোপচার করে বের করার পরামর্শ দেন রোগীর পরিজনদের। এরপর সোমবার বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর এলাকার ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের দ্বারাই রোগী ভর্তি হয়েছিল ওই নার্সিংহোমে। এমনকি ওই রোগীর স্বাস্থ্য়সাথী কার্ডে অস্ত্রোপচারের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু অপারেশন টেবিলে যাওয়ার পর নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষ জানায় রোগীর পরিজনদের ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আর সেই টাকা জমা না করা পর্যন্ত অপারেশন করা সম্ভব হবে না বলে জানায়। সেই জন্য় রোগীকে অজ্ঞান করার পরেও মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় অপারেশান।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, রোগীকে অপারেশন টেবিলে তুলে অজ্ঞান করে ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার শুরু করার পর পরিবারের লোকজনের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। রোগীর পরিজনদের দাবি, যদি টাকা নেওয়ার হত তাহলে অপারেশান টেবিলে নিয়ে যাওয়ার আগে কেন জানানো হল না..? টাকা দিতে না পারায় অস্ত্রোপচার চলাকালীন মাঝপথে থামিয়ে রোগীকে অপারেশন টেবিল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিজনদের তরফে তোলা বাড়তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক দেখেন ওই অস্ত্রোপচারে জটিলতা রয়েছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে রোগীর জীবনে বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে। সেকারণেই মাঝপথে অস্ত্রোপচার বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গে টাকা লেনদেনের কোনও সম্পর্ক না কি নেই।
তীব্র দাবদাহের পর বর্ষার আগমনে দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। আর যেই রোগ সারা দেশজুড়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি চোখের রোগ, যা বিশেষত ভাইরাসের সংক্রমণেই হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই কম বেশি এখন এই সংক্রমণ হচ্ছে। ফলে এবারে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরোয়া কিছু উপায়েও (Home Remedy) কমানো যেতে পারে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা।
লবণ জল: এক লিটার জলে এক চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে এরপর সেই জল ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই জলে এক কাপড় ডুবিয়ে তারপর সেই কাপড় দিয়ে চোখের পাশে মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখের পাতায় লেগে থাকা নোংরা পরিস্কার হবে।
গ্রিন টি ব্যাগ: চোখের জ্বালা ও চোখ ফোলা কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। টি ব্যাগকে ঠান্ডা করে এটি চোখের উপর রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
মধু: চোখের বিভিন্ন ইনফেকশন রুখতে মধু খুবই উপকারী। এক কাপ জলে দু'ফোটা মধু মিশিয়ে তা ভালো করে গরম করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ ঠান্ডা করে চোখে এক-দু ফোটা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সব ঘরোয়া উপায় মেনে চলার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে মৃত্যু ৬ জনের। আহত কমপক্ষে ২০ জন। পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলে আরও বেশ কিছু গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বাস অমরনাথ যাত্রা সেরে হিঙ্গোলি ফিরছিল। বহু যাত্রী ছিল ওই বাসটিতে। অন্য বাসটি নাসিকের দিকে যাচ্ছিল। সেসময় হঠাৎ ওভারটেক করতে গিয়ে বাস দুটি একে অপরের মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগে। পুলিস সূত্রেও খবর, একটি বাস অন্যটিকে ওভারটেক করতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি বাসের প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
অগ্নিগর্ভ মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনা। এবার বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ এই ঘটনায় আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার ঘটনার তদন্ত শুরু করবে সিবিআই।
মণিপুরের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে। বাদল অধিবেশনে মণিপুরকে হাতিয়ার করে প্রচার শুরু করেছে বিরোধী শিবিরও। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মণিপুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক ব্যক্তি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, দুই মহিলার উপর অত্যাচারের ভিডিও করেছিলেন যিনি, তাঁকেই এবার গ্রেফতার করা হল। ধৃতের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় আগে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৮।
মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সংসদে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। সেইসঙ্গে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের প্রতিনিধি দল মণিপুর যাচ্ছে। জানা গিয়েছে ২৯ ও ৩০ জুলাই মণিুপুরে যাবেন ২৬ দলের সাংসদরা।
বিরোধী জোট সূত্রে খবর, ২৯ জুলাই সাংসদরা দিল্লি থেকে মণিপুর পৌঁছবেন। দুদিন ধরে সেই রাজ্যে থাকবেও তাঁরা। বিরোধী সাংসদদের দলে কে কে থাকবেন, সেই নাম জানা যায়নি। অন্যদিকে, মণিপুর ইস্যুতে অশান্তির আবহে বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে।
বাংলায় ভোট নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) খরচের হিসেব কেন্দ্রকে পাঠাল রাজ্য। জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Ministry of Home Affairs)। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এদিকে, এখনও কিছু বাহিনী রাজ্যে রয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে হিসেব আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এত তাড়া কেন শাসকদলের? আরও কয়েকদিন পরে টাকার হিসেব পাঠাতে পারত তৃণমূল (TMC)।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০০ কোম্পানি বাহিনী এসেছে রাজ্যে। প্রায় ৭০ হাজার জওয়ান। তাঁদের গাড়ির তেল খরচ, খাওয়া, থাকার খরচ দিতে হয়েছে রাজ্যকে। সেই খরচ বাবদ ৩৫০ কোটি টাকার হিসেব দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও খরচ রাজ্যের থেকে চাইতে পারবে না কেন্দ্র। সেই মতোই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে টাকার হিসেব পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক হিংসায় মৃতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। নবান্নে বুধবার এ কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণে পাশাপাশি হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে।
মমতা দাবি করেন, ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে৷ গোলমাল হয়েছে তার মধ্যে অল্প কয়েকটি বুথে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মারা গিয়েছেন ১৯ জন। তার মধ্যে ১০-১১ জনই তৃণমূলের। নির্বাচনের দিন ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন তৃণমূলের। মমতা জানিয়েছেন, আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না৷ রাজনৈতিক রং দেখা হবে না।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি দাবি করেন, মৃতের সংখ্যা কমিয়ে বলছেন মমতা। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। ২ লক্ষের পরিবর্তে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) কোচিংয়ে রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের (State Home Teachers Association) অভিযান। আর এই অভিযানের পরেই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের বচসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) মিশন পাড়া এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আদালত থেকে রায় দিয়েছিল যে, সরকারি স্কুলে পড়ানো শিক্ষকরা কখনও বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন না। এমনকি চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের পড়াতেও পারবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও খড়দহ অঞ্চলের সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। আর এই অভিযোগ পেয়েই রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শিক্ষকদের কোচিংয়ে অভিযান চালান। অভিযান চালিয়েই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গৃহশিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি, সরকারি স্কুলের বেতন পেয়েও এরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করিয়ে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ব্যবসা করে চলেছেন। এরফলে গৃহ শিক্ষকদের যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছেই পড়তে যাচ্ছে। যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে পড়ছেন গৃহশিক্ষকরা।
কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএসএফের গুলিতে আগে অনেকেই মারা গিয়েছেন। আমি বিএসএফ কে মনে করিনা সবাই খারাপ । শুধু বলব ইনডিপেন্ডেটলি কাজ করার জন্য, নিরপেক্ষ কাজ করার জন্য।'
এদিকে, কোচবিহারে তৃণমূল কর্মী খুনে বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী এলাকার দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বাংলাদেশের বর্ডার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীকে।
উল্লেখ্য, কোচবিহারের সভা থেকেই বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, 'বিএসএফের ভয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। বাইরে বেরিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। বিএসএফের জুলুমবাজি রুখতে হবে। কারণ, ভোটের সময় সীমান্তের কাছে থাকা পরিবারগুলিকে ভয় দেখানো হতে পারে।'
বঙ্গে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু তীব্র গরমের দাগ এখনও রয়ে গিয়েছে শরীরে। রোদের চুমু নয়, কোপ বলা ভালো। অনেকেরই হাত থেকে আসল রং উধাও হয়ে গিয়েছে। একে ইংরেজি ভাষায় বলে ট্যান (Sun tan)। পার্লারে এই ট্যান কমানোর অনেক ট্রিটমেন্ট রয়েছে। কিন্তু তাতে খরচও তেমন। অনেকেই বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে (Home remedy) এই ট্যান কমানোর উপায় খোঁজেন তাঁদের জন্য রইল কিছু টিপস।
ভেন্ডি: অনেকেই জানেন না ভেন্ডি ট্যান কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য ভেন্ডি ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে, তাতে দানা দানা থাকা চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে পুরো হাতে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন আগের থেকে ট্যানের মাত্রা অনেকটাই কমেছে।
কফি প্যাক: কফিও হাতের যান কমাতে সাহায্য করে। একটি বাটিতে কিছুটা কফি, এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ দই নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণ ট্যান পড়ে যাওয়া হাতে ভালো করে মাখিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই প্যাক মাখতে পারলে ট্যানের মাত্রা কমবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। একদিকে যখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাহিনী চেয়ে চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। অন্যদিকে তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে পাল্টা চাপে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ২২ কোম্পানি ও ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীকে কোথায় কিভাবে কাজে লাগানো হবে সেটা জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। সূত্রের খবর, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে নির্বাচন কমিশনের উপর। কিন্তু বাহিনী মোতায়েন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য আপাতত ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার মধ্যে ২০০ কোম্পানি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে এবং বাকি বাহিনীর মধ্যে থাকছে বিভিন্ন রাজ্যের আর্মড ফোর্স। ফলে এই বাহিনী কোন কোন জেলায় যাবে তা ভাগ করে দিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। কিন্তু এখনও সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব জেলায় সম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর বিএসএফের আইজি এস পি বুদাকোটি শুক্র, শনি ও রবিবার কমিশনে যান। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। সেই বৈঠকেও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে নির্বাচন শুরুর আগেই বেশ কিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গেছে। তারা রুট মার্চও শুরু করেছে।