উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য় শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীদের ছুটি বাতিল করল সংসদ। তাই উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শনিবার রাতে একটি নির্দেশিকা দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে সিসিএল-এর মত কোনও ছুটিই মঞ্জুর করা হবে না শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের।
চলতি মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে আরম্ভ হবে পরীক্ষা এবং শেষ হবে দুপুর ১ টায়। উচ্চমাধ্য়মিকের মাঝে একই সঙ্গে হবে একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষাও। উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষায় বিনা অসুবিধায় এবং গার্ড সংক্রান্ত যাতে কোনও সমস্য়া না হয় তার জন্য় নয়া নির্দেশিকা দিল সংসদ।
যদি কোনও মেডিকেল ইমারজেন্সি বা মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডি আই মারফত সংসদকে আগে জানাতে হবে সেই ছুটির কথা।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাংলার নতুন প্রজন্ম যাতে ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠতে পারে সে কথা মাথায় রেখে তাঁর এই চিঠি। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ওইদিন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর দাবি, “চলতি বছরের জন্য আপনার বিশেষ অধিকারে একটি বাড়তি ছুটি উপহার দিন রাজ্যবাসীকে। এ বিষয়ে আমি আপনার সদুত্তর প্রার্থনা করি।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি লিখিত অনুরোধ করেছি যেন উনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে আগামী ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এর পবিত্র দিনে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করেন। এর ফলে বাংলার নতুন প্রজন্ম ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠতে পারবে এবং তাদের মন ভারতীয় গরিমায় প্লাবিত হবে।”
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। রাজ্যে বাড়ল আরও তিনটি ছুটি। রাজ্যে এনআই অ্যাক্টের আওতায় বাড়ল আরও ৩টি ছুটি। ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যই এই ছুটি কার্যকর করা হয়েছে। ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।
মঙ্গলবার রাজ্যে আরও ৩টি ছুটির ঘোষণা করা হল। এবার থেকে ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রে বাড়ানো হলো এই ৩টি ছুটি। এ বিষয়ে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকেই এই ছুটি কার্যকর হবে। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইন অর্থাৎ এনআই অ্যাক্টের আওতায় এই ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন।
রাজ্য সরকার কয়েকটি বিশেষ দিন এবং উৎসবে আলাদা করে ছুটির কথা ঘোষণা করলেও সেগুলি এনআই অ্যাক্টের আওতায় ছিল না। ফলে ওই ছুটির সুবিধা পেতেন না ব্যাংক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীরা। কিন্তু এবার ৩ টি ছুটি এনআই অ্যাক্টের আওতায় আসার ফলে ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীরা ওই ছুটি পাবেন। তিনটি ছুটির মধ্যে রয়েছে ১ জানুয়ারি, জন্মাষ্টমী এবং ছটপুজো। প্রসঙ্গত, এর আগে এনআই অ্যাক্টের আওতায় ২১ দিন ছুটি পাওয়া যেত। এবার সেই ছুটির সংখ্যা বেড়ে হল ২৪। এই মর্মেই মঙ্গলবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ছটপুজোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতা বন্দর এলাকার তক্তাঘাট ও দহিঘাটের ছটপুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেখানে গিয়েই ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী।
হিন্দিতে বক্তৃতা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ছটপুজো উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, দিল্লি তো কোনও ছুটি দেয় না ছটপুজোর। তিনি বলেন, ' সোমবারও ছুটি থাকবে। ছটপুজো উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দিয়েছি। আপনারা জানেন, ছটপুজোর জন্য দিল্লিও কোনও ছুটি দেয় না। আমাদের সরকার সব পুজোর জন্য ছুটি দেয়। ঈদের জন্য দু’দিন ছুটি দিই। ছটের জন্য, আরও অনেক পুজোর জন্যও ছুটি দিই। কালীপুজোতেও ছুটি দিই। তাই আপনারাই আমার ভরসা।'
একইসঙ্গে তিনি জানান, এবারও ছটপুজোয় উপোস রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুস্থভাবে পুজো কাটানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক আধিকারিক। নবান্ন সূত্রে খবর ডেঙ্গি মোকাবিলায় কয়েকটি নতুন রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ জেলাগুলিতে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি হয়েছে সেই সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলাশাসকরা। কোথাও জল জমলে তা বের করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি ডেঙ্গি দমনেও পঞ্চায়েতগুলিকেও সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোটের উপর ডেঙ্গি নিয়ে যে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গির গ্রাফ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪০ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া সূত্রের খবর, প্রতিদিন বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্তের বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৪৬ জনৰৰ মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গির রাশ টানতে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব। আর এই বৈঠকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে রূপরেখা।
বছরের শুরুতে রাজ্য সরকারের ছুটি তালিকা দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। কারণ, এই প্রথম ওই তালিকায় রাখা ছিল করম পুজোকে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৫ সেপ্টেম্বর এই দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হবে কিনা, তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু মঙ্গলবার নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর করম পুজোয় সরকারি ছুটি।
ফলে তার আগের সপ্তাহে শুক্রবার পর্যন্ত অফিস করতে পারলেই বেশ একটা লম্বা ছুটি। শনি ও রবি এমনিই ছুটি। তার সঙ্গে সোমবার করম পুজো এবং সব-এ-বরাত উপলক্ষ্যে সোমবারও বন্ধ থাকবে রাজ্যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে থাকছে স্কুল ও কলেজ। অর্থাৎ পুজোর আগে চট করে ইতি-উতি বেড়িয়ে আসার সুযোগও তৈরি হয়ে গেল।
বাংলার মানভূম অঞ্চল অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশীতে করম পুজো পালিত হয়। উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু জায়গাতেও এই পুজো হয়ে থাকে। করম গাছের ডাল মাটিতে পুঁতে শুরু হয় উৎসব।
সৌমেন সুর: ছুটির মধ্যে কোন কাজের তাড়া থাকেনা। সেখানে থাকে না কোনো আজ্ঞাপালনের নির্দেশ। থাকে না একঘেয়েমি, থাকে না ক্লান্তি। ছুটি মানুষের কাছে মহৎ প্রাপ্তি। ছুটির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একরাশ আনন্দ। ছুটি মানুষের চোখে পরিয়ে দেয় অনিন্দ্য সুন্দর মায়া কাজল। ছুটি তার অভ্যস্ত জীবন থেকে নিয়ে যায় সুন্দরের জগতে। ছুটির মধ্যেই রয়েছে জীবনের বিচিত্র লীলারঙ্গ। নতুন নতুন সৃষ্টি সুখের উল্লাস। কথা হলো, অবকাশ যাপনের রসিকরা জানে, অবকাশের মাহাত্ম্য কেমন, গতি কেমন। একটানা কাজের মধ্যে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে, অবসাদ তাকে ঘিরে ধরে, নিরানন্দে তার মন বিষাদে ভরে ওঠে, তখন ছুটিই তাকে দিতে পারে একমাত্র স্বস্তি।
ছুটি শব্দের মধ্যে রয়েছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। একটানা কাজের মধ্যে হঠাৎ আলোর এক উদ্দাম ঝলকানি। এই ঝলকানির আলোয় যখন আলোকিত হয় মন, তখন অনুভব করা যায় ছুটির আনন্দে, ডুবে যায় সানন্দে। ছুটি শুধু জীবনের ছুটি নয়, জীবনের মধ্যে ছুটি। ছুটিই মানুষকে নতুন করে কাজের উৎসাহ দেয়। তার মধ্যে ফুটে ওঠে কাজ করবার এক যোজন উদ্দীপনা। কাজের পাহাড়ে যখন মানুষের উঠে আসে নাভিশ্বাস, তখন ছুটির হাতছানি তাকে আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মানুষ বিচিত্র। বিচিত্র তার মন, তার রুচি। এই রুচি বৈচিত্র্যই ছুটিতে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। কারন সে মুক্ত। এক মুক্ত বিহঙ্গ।
কর্মের ফাঁকে ফাঁকে ছুটি পাওয়ার মধ্যে আছে গভীর আনন্দ। বর্তমানে রাজনৈতিক ডামাডোলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে আসছে- এই চরম হিংসা পরিস্থিতি থেকে নিজেকে আনন্দে দূরে সরিয়ে রাখতে, একমাত্র ছুটিই মানুষকে দিতে পারে এক অনাবিল আনন্দ। আসলে ছুটির মজাই আলাদা।
সৌমেন সুরঃ ছুটির দিনে একটু অন্যভাবে দিন কাটাবো, এটা ভাবতেই শরীরের তন্দ্রীগুলো আনন্দে ঝনকে উঠলো। ছুটি মানে একটু থামা। ছুটি মানে চলমান জীবনে ক্ষনিকের বিশ্রাম। বর্তমানে চলমান জীবনে যা ঘটছে- গা যেমন শিউরে উঠছে তেমনি আতঙ্কও বাড়ছে। দেশের বর্তমান অবস্থা বড় ভয়াবহ। কখন যে কী হয়, আমরা কেউ জানি না। যাইহোক এমনি ডামাডোল অবস্থায় হাতে আসছে একটি ছুটির দিন। ভাবতেই মনটা পুলকে ভরে উঠছে। ছুটি মানে জীবনের মধ্যে ছুটি, ছুটি মানে জীবনের ছুটি নয়।
অবশেষে হাতে এলো ছুটির দিন। মহররমের ছুটি। মানে অফিস ছুটি। এদিকে শ্রাবণ মাস। বৃষ্টি ঝরার মাস। অনর্গল কোথায় বৃষ্টি পড়বে তা নয়, মাঝে মাঝে একটু বৃষ্টি, একটু রোদ, আবার মন ভার করে থাকা উড়ো মেঘের আনাগোনা। গ্লোবালাইজেশনের জন্য সব ভালো মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে থেকে। কী আর করা। সকাল হতেই জলখাবার খেয়ে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো বলে, সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমি অজ গ্রামে থাকি। আমার সব বন্ধুরা শহরে থাকে। আমার বাড়ি থেকে শহর প্রায় চার মাইল। যাইহোক এক বুক আনন্দ নিয়ে সাইকেল চালিয়ে চলেছি। আলের দুপাশে ধূ ধূ মাঠ। শুধু ধান আর পাট গাছ সারি সারি। যেদিকে চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। বৃষ্টির জল পড়ে প্রত্যেক গাছের পাতা যেন যৌবনবতী হয়ে গেছে। মাতাল হাওয়ায় ধানের শীষগুলো মাতালের মতো দোল খাচ্ছে। মনটা ভারী ভালো লাগছে। কারণ একটাই- আড্ডায় ছুটিটা উপভোগ করবো।
কথায় আছে- 'Man proposes, God disposes।' হালকা মেঘলা আকাশে হঠাৎ ভিড় করে আসে, পাহাড় প্রমাণ কালো মেঘ। আমি প্রাণপণে সাইকেল চালাতে শুরু করলাম। আমাকে শহরে পৌঁছতেই হবে। কিন্তু হায় যখন দেখলাম পুকুরের হাঁস গুলো সাঁতার কেটে তাড়াতাড়ি ঘরের দিকে এগোতে থাকছে, তখন বুঝলাম- আমার Journey এখানেই শেষ। দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি সাইকেলটা নিয়ে একটা বটগাছের তলায় দাঁড়ালাম। ভিজছি অঝোরে। আর ভাবছি ছুটির দিনটা বৃথা গেল। ভাবনাটা এই মুহূর্তে আপনাদের হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার নয়। কারণ দূরে একঝাঁক বাচ্চা ছেলে পুকুরে সাঁতার কেটে খেলছে। আনন্দ করছে। ওদের দেখে তাৎক্ষণিক আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও তো একসময় ওদের মতই উদ্দাম ছিলাম। মুহূর্তে মনটা আমার আনন্দে ভরে গেল। ছুটির দিনটা আমার বৃথা গেল না। নাই বা দিতে পারলাম আড্ডা। কিন্তু প্রকৃতি তো এখন আমার সঙ্গে ছিল। একেবারে লাজুক বধূর মতো। এই উপলব্ধি যে আমার মনের একটা দরজা খুলে দিল, যা আগের মুহূর্ত পর্যন্ত টের পাইনি।
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। চলতি বছরের মে মাসে বিয়ে করেছেন রূপালী বড়ুয়াকে (Rupali Barua)। হিসেবে করলে এই তাঁর জীবনের দ্বিতীয় বিয়ে। ৫৭ বছর বয়সে জীবনের ছক ভেঙেছেন, তাই অবধারিত সমালোচনা বিদ্ধ করেছিল তাঁকে। কিন্তু সেসবকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে চুটিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন আশীষ। এবার তাঁদের অবসর যাপনের এক টুকরো ঝলক দিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
অভিনেতা স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। সেই যাত্রার একটি ছবি আপলোড করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। আশীষের সঙ্গে নিজস্বীতে ধরা দিয়েছেন রূপালী। ছবিতে স্পষ্ট বালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দুজনেই এই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'যৌথযাপনের সৌন্দর্যে আলোকিত।' এই ছবির নিচে ভক্তরা নিজের ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন।
স্ত্রী রূপালীকে বিয়ে করার পর, প্রথম স্ত্রী রাজষি অর্থাৎ পিলু বিদ্যার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। পরে অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রীয়ের পার্থক্যের কথা। কীভাবে রূপালীর সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রপাত, সেকথাও জানিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। জীবনের নতুন শুরুয়াতে যে অভিনেতা ভালোই আছে, এই ছবি তারই প্রমাণ দিচ্ছে।
ছুটির (Holiday) মেজাজে বলিউড তথা দক্ষিণী তারকা তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu)। কিং খান অভিনীত ছবি 'ডাঙ্কি'-তে প্রথমবারের জন্য শাহরুখের (Shah Rukh Khan) বিপরীতে দেখা যাবে তাপসীকে। ছবির শ্যুটিং-এর মাঝেই সামান্য ব্রেক নিয়ে চলে গিয়েছেন ঘুরতে। তিনি এখন নিউ ইয়র্কে (New York)। নিজের প্রেমিক ব্যাটমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ম্যাথিয়াস বো ও বোন শগুন পান্নুর সঙ্গে চুটিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। তবে নিউ ইয়র্কে গিয়ে তাঁর পোশাক ছিল দেখার মতো। বিদেশে গিয়ে দেশি গার্ল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিদেশে গিয়েও তাঁকে জিন্স, স্কার্টের বদলে শাড়িতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর এই লুক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেটিজেনদের।
তাপসী পান্নুকে সবসময়ই স্টাইলিশ দেখায়। তাঁর পোশাকের জন্য তিনি প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। এবারে তাঁকে দেখা যায় ডার্ক পার্পল রংয়ের শাড়ি ও সাদা রংয়ের করসেট টপে। আবার পায়ে ছিল স্নিকার্স। শাড়ির সঙ্গে সাধারণত হিল পরতেই দেখা যায়। তবে তিনি হিল ও স্নিকার্রসের মধ্যে স্নিকার্সকেই বেছে নিয়েছেন। এককথায় শাড়ি ও স্নিকার্সে তাঁকে মোহময়ী দেখাচ্ছিল।
নিউ ইয়র্কের অলি-গলিতে তাঁকে এই লুকেই ঘুরতে দেখা গিয়েছে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তাঁর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণের ছবি শেয়ার করেছেন। কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক ক্যাফের বাইরে বসে হাতে তাঁর কফি, আবার কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছে, সূর্যের দিকে একমনে তাকিয় রয়েছেন। ছবি শেয়ার করতেই সেগুলো মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল।
রাজ্যবাসীর (West Bengal) জন্য ফের সুখবর! আগামী সপ্তাহ থেকেই পরের মাস পর্যন্ত ছুটির (Holiday) বন্যা বয়ে যেতে চলেছে। আপনারা যদি চান, ছোটখাটো ট্যুরের পরিকল্পনা করা যেতেই পারে। তবে আর দেরি কীসের, আজই ঠিক করে ফেলুন কোথায় যাবেন ঘুরতে। তবে বিশেষ করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্যই এই ছুটি।
ক্যালেন্ডারে দেখলেই দেখা যাবে, চলতি সপ্তাহ থেকে ছুটি শুরু হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল বিআর আম্বেদকরের জন্মদিন। ফলে সেদিন থাকবে ছুটি। এরপর ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ ও পরের দিন ১৬ এপ্রিল রবিবার, তাই সেদিনও ছুটি। পরপর তিনদিন ছুটি। ফলে জমিয়ে পয়লা বৈশাখের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এরপর পরের সপ্তাহের শুক্রবার ২১ ও ২২ এপ্রিল ঈদ উল ফিতরের জন্য ছুটি। আর এরপরের দিন তো রবিবার। আবার ২৯ ও ৩০ এপ্রিল যথাক্রমে শনি ও রবিবার। আর পরের দিন সোমবার, তবে সেদিন মে দিবসের ছুটি।
ফের ৫ মে-তেও ছুটি কারণ শুক্রবার বুদ্ধপূর্ণিমা। এরপর ৬ ও ৭ মে শনি-রবি, মানে আবার ছুটি। এখানেই শেষ না। শনি-রবির ছুটির পরেই ফের ৯ মে মঙ্গলবারেও ছুটি। কারণ সেদিন রবীন্দ্র জয়ন্তী। ফলে মাঝখানের দিন বা সোমবার অফিসে কোনওরকমে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে পারলেই কেল্লাফতে, অর্থাৎ পরপর ৫ দিনের ছুটি।
‘প্রেম’ করার জন্য কলেজ ছুটি। বিষয়টি অবাক লাগলেও ‘প্রেম’করার জন্য পড়ুয়াদের এক সপ্তাহ ছুটি দিল চিনের কলেজগুলি। এমনকি শুধু সঙ্গীর সঙ্গেই প্রেম নয়, প্রকৃতির সঙ্গে প্রেম, জীবনের সঙ্গে প্রেম করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে ওই কলেজের ডেপুটি ডিন বলেন, 'আশা করছি, পড়ুয়ারা এই সময়ের মধ্যেই প্রকৃতি এবং বসন্তকালকে ভাল করে উপভোগ করবেন। আর এর ফলেই পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনার বিকাশই ঘটবে ও তাঁদের শিক্ষণীয় ক্ষমতা সমৃদ্ধ হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই ছুটিতে কোনও পড়ুয়াকে হোমওয়ার্কও করতে হবে না।'
এক সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তর কথা ঘোষণা করা হয় ২১ মার্চ। তাই ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি এই ছুটির নাম‘স্প্রিং ব্রেক’ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, চিনে জন্মহার কমছে যা নিয়ে চিন্তিত সরকার। ফলে জন্মহার বাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে চিনের কলেজগুলিও। তাই কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের এক সপ্তাহ প্রেম করার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
সৌমেন সুর: মা গো আমায় ছুটি দিতে বল...। ছোটবেলার এই কবিতা এখন একধাক্কায় আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। কারণ ছুটি শব্দের মধ্যে রয়েছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। ছুটির অর্থ জীবনের ছন্দ, চলার গতি। ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।ছুটি মানুষের মধ্যে নতুন করে কাজের উৎসাহ দেয়। প্রতিদিন কাজের একঘেয়েমি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। মনে উদ্দীপনা, নতুন করে শুরুর উৎসাহ। একটানা কাজে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে, ক্লান্ত হয়, গভীর অবসাদ তাঁকে ঘিরে ধরে।
ছুটি এসে মানুষের সেই গতানুগতিকতার অবসান ঘটায়। ছুটি মানে পুজোয় কলকাতায় মায়ের কোলে ফেরা, বন্ধুদের সঙ্গে ঠেকবাজি। চলতি বছর শারদ উৎসবে আজ মহাষষ্ঠী। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস কমবেশি রবিবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত ছুটির মুডে থাকবে। ব্যতিক্রম কিছু আছে। কিন্তু সেই কর্মক্ষেত্রে কাজের সেই চাপ বাকি ৩৬১ দিনের মতো নয়। এই ক'দিন ছুটি মানেই পরিবারের সঙ্গে প্ল্যান, প্যান্ডেল হপিং, পাড়ার পুজোয় আড্ডা, লং ট্যুর কিংবা শুধু শুয়ে বসে কাটানো। এই জাতীয় অনেক কর্মকাণ্ড এই পুজোর ছুটি ঘিরে।
কারণ ছুটি শেষে গতে বাঁধা জীবনে ফেরা। নতুন উদ্দীপনায় কাজের জগতে প্রবেশ। কাজের ঠাসবুনোটে মানুষের জীবন যখন রুদ্ধশ্বাস, তখন সামান্য ছুটির হাতছানি তাঁকে আনন্দের জোয়ারে, প্রেমের দোহারে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
এ এক দুর্লভ মুহূর্ত। ছুটি মানুষের কাজের প্রেরণা, তাঁর একঘেয়ে জীবনে সান্ত্বনা, শান্তি। ছুটি জীবনকে সুন্দর করে প্রাণবন্ত করে তোলে। নতুন নতুন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, মন ছুটি চায় বলেই তো, কাজের পৃথিবী তাঁকে বেঁধে রাখতে পারে না।
অক্টোবরের (October) ব্যাঙ্কের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। এই তালিকা অনুসারে, ৩১ দিনের এই মাসে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। এর মধ্যে চারটি রবিবার এবং দুটি শনিবার (দ্বিতীয় ও চতুর্থ) অন্তর্ভুক্ত। দেশে অক্টোবর মানেই উৎসবের মাস। প্রথমে শারদ উৎসব (festival Month), তারপর কালীপুজো এবং দীপাবলিজুড়ে আনন্দে মাতোয়ারা থাকার মাস। যদিও এই ২১ দিনের হিসেব আঞ্চলিক উৎসবভিত্তিক। যেদিন যেদিন যে রাজ্যে উৎসব, সেদিন সেদিন সেভাবে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। শুধুমাত্র জাতীয় ছুটির দিনগুলোতে গোটা দেশে বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক।
এই মাসেই রয়েছে কয়েকটি আঞ্চলিক উৎসব। ফলে সেই দিনগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। এবার দেখুন কবে কবে ব্যাঙ্ক বন্ধ-- ২,৯,১৬,২৩,৩০ অক্টোবর রবিবার। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী জাতীয় ছুটি। কিন্তু রবিবার পড়ায় এবার পৃথকভাবে ধরা হচ্ছে না সেই ছুটি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবারের হিসেব ধরলে ৮ অক্টোবর এবং ২২ অক্টোবর ব্যাঙ্ক বন্ধ।
পাশাপাশি যেহেতু এই মাসেই শারদোৎসব এবং কালীপুজো সঙ্গে রয়েছে দীপাবলি। এই হিসেব ধরেও আঞ্চলিক এবং জাতীয়স্তরে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে সেই দিনগুলোতে।
ছুটি না নিয়ে একটানা কাজ করার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ান (Army) কখনও গুলি করে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে। আবার কখনও সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছে ব্যারাকে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে। তাদের নিয়ম মেনে ছুটি (holiday) দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সতর্ক হল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)।
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। সাপ্তাহিক কোন ছুটি না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা হাসপাতালে কাজ করার ফলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে্ন পোস্ট গ্রাজুয়েটের মেডিক্যাল ছাত্ররা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য। এর ফলে কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ নানান ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। যা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে রোগী চিকিৎসা ব্যাবস্থায়।
সে কারণে গত ২৮ শে জুন এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। এই বৈঠকের পর সমস্ত দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্নানকোত্তরের চিকিৎসক পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি দিতে হবে। আর যাঁরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁদের কাউন্সেলিং করা থেকে শুরু করে, যোগাভ্যাস এবং ছুটি দিতে হবে প্রয়োজন মত।
পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত সমস্যা দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্নানকোত্তরের মেডিক্যালের পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যা ইমেইল মারফত কিংবা কমপ্লেইন বক্সে লিখিতভাবেও জানাতে পারবেন বলে জানায়।