আবাসন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সেভেন সেন্সেস ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। সেই কোম্পানি থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে ২০১৪-১৫ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বিনিময় ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে না তাঁরা পেয়েছেন ফ্ল্যাট। না ফেরত দেওয়া হয়েছে তাঁদের টাকা। তাই প্রতারিতরা আদালতে এই আবাসন প্রতারণা নিয়ে মামলা দায়ের করেন। এখান থেকেই এই মামলায় জড়িয়ে পড়েন নুসরত। তবে মামলায় আদালতে যাতে তাঁকে হাজিরা না দিতে হয় তাঁর আবেদন জানিয়েছিলেন সাংসদ। সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে নুসরতের হাজিরা নিয়ে চলল দুই পক্ষের সওয়াল।
দুপক্ষের সওয়ালে প্রতারিতদের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, মামলায় অন্তত একবার নসরত জাহানকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হোক। নুসরত যেন অন্ততপক্ষে বন্ড জমা দেন, তারপরেই আদালতের নির্দেশে তাঁর হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি আইনানুগ হবে। আদালতের প্রয়োজনে যেন তাঁকে পাওয়া যায়- এই আবেদন জানান প্রতারিতদের আইনজীবী।
পাল্টা সরকারি আইনজীবী জানান, নিম্ন আদালতের রায় ছিল, নুসরতকে প্রতিদিন আদালতে আসতে হবে না। শুধুমাত্র ৩১৩ সিআরপিসি, চার্জ ফ্রেম গঠনের দিন উপস্থিত থাকলেই হবে।
সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে আবাসন প্রতারণা মামলা নিয়ে এভাবেই দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারক। নুসরত জাহানকে মামলায় হাজিরা দিতে হবে কিনা, এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর। সেদিনই বোঝা যাবে আবাসন প্রতারণা মামলায় আরও বিপাকে পড়লেন কিনা নুসরত জাহান।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের শারীরিক অসুস্থতাও বাড়তে থাকে। এর মধ্যে একটি হল শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। তবে বর্তমানে শ্রবণশক্তি কমে (Hearing Loss) যাওয়ার প্রবণতা বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে ছোট থেকেই শরীরে এই রোগ না দেখা যায়, তার জন্যও বিশেষজ্ঞরা খাদ্যতালিকায় (Diet)পরিবর্তন আনার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যার ফলে জানা যাবে, কেমন ধরনের খাবার খাদ্য়তালিকায় রাখলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, মধ্যবয়স্কদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ বেশি থাকলে শ্রবণশক্তির কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮-২০ শতাংশ হ্রাস পায়। অর্থাৎ যাঁদের শরীরে ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকে, তাঁদের শোনার ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর আগে গবেষণায় জানা গিয়েছিল, শরীরে ডিএইচএ-র পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবারে জানা গেল, এর Docosahexaenoic Acid অর্থাৎ ডিএইচএ-র মাত্রা কম থাকলে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্যতালিকায় সি-ফুড (Seafood) অন্তর্ভুক্ত করলে রক্তে ডিএইচএ-র মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এর থেকে শ্রবণশক্তি ঠিক থাকার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিও হবে।
পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি। জানুয়ারিতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। বুধবার যে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোয় পিছিয়ে যায় শুনানি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত (Justice Dipankar Dutta), পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে কাজ করছেন জাস্টিস হৃষীকেশ রায়। এই দুই বিচারপতির বেঞ্চেই এদিন ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ছিল। কিন্তু তাঁরা সরে দাঁড়ানোয় নতুন করে বেঞ্চ পুনর্গঠনের স্বার্থে পিছিয়ে গিএয়ছে শুনানি।
এদিন বেঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোর যুক্তি হিসেবে বিচারপতি দত্ত বলেন, 'আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই এই মামলা আমি শুনবো না।' এই যুক্তিতে সহমত প্রকাশ করেন বিচারপতি রায়। ফলে আরও একবার ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার ভাগ্য। জানা গিয়েছে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে গিয়েছে। যদিও হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। তাদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল বোঝা চাপবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মী সংগঠনের একাংশের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিইয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পথে নেমে প্রতিবাদেও সরব হয়েছে তাঁরা।
পাশাপাশি আইনি পথে এই জটের সুরাহা খুঁজতে শীর্ষ আদালতের দিকে তাকিয়ে বাংলার সরকারি কর্মীরা।
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।