একের পর এক নৃশংসতার ছবি উঠে আসছে বাংলায়। এ রাজ্যে যেন নারী পুরুষ কেউউ নিরাপদ নয়। কখনও নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, তো কখনও মূক ও বধির যুবতীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার যৌন লালসার শিকার ১১ বছরের এক নাবালক। হ্যাঁ নাবালক। শিরোনামে মালদহের মানিকচকের নুরপুর অঞ্চলের পাঠানপাড়া এলাকা।
অভিযোগ, ১১ বছরের এক নাবালক নিজের বাড়ির পিছনে খেলা করার সময় এলাকারই এক বাসিন্দা তাকে ডেকে শারীরিক নির্যাতন করে। নাবালকের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাবালক মালদহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অভিযুক্ত পৌঢ়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মানিকচক থানায়। ঘটনার তদন্তে মানিকচক থানার পুলিস। এ রাজ্যে কি নারী-পুরুষ, বাচ্চা, বৃদ্ধ কেউউ নিরাপদ নয়? এই প্রশ্নটা যেন থেকেই যাচ্ছে।
নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাড়াপোতা এলাকার নির্যাতিতার পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত আটটা নাগাদ নির্যাতিতার কাকাকে বাড়ি থেকে বের অভিযুক্তরা মারধর চালায় বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নদিয়ার হাঁসখালিতে গণ যৌন নিগ্রহের পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করা হয়। অভিযোগ, নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতিরা গণধর্ষনকাণ্ডের মৃতা নির্যাতিতার একমাত্র সাক্ষী তাঁর এক আত্মীয়কে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর ও খুনের হুমকি দেয়। এমনকি রানাঘাট কোর্টে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠরা।
রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তা দেওয়ার পরেও কী করে এই ধরনের ঘটনা সম্ভব ? তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। যদিও নিরাপত্তার তাগিদে কেন্দ্রীয় পুলিস দেওয়া দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অন্য়দিকে সি এন এর খবর হওয়ার পরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। হাঁসখালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন।
১৩ বছরের ভাইজিকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত পিসেমশাই। অভিযোগ, ভাইজির ছবি তুলে বারংবার হুমকি দিত পিসেমশাই। এরপর সব জানতে পেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে অশোকনগর থানায় নির্যাতিত ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরেই অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে (৪৮) ঈশ্বরী গাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানা।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের ওই নাবালিকা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুল যাওয়ার পথে অভিযুক্ত পিসেমশাই প্রায়ই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকত। সেই সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে। এবং ছবি তুলে রেখে হুমকি দিত রীতিমত অভিযুক্ত হুমকি দিত বলে অভিযোগ। যারফলে দীর্ঘদিন ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহ চালত। হমকির ভয়ে ওই নাবালিকা কাউকে কোনদিন কিছু জানায়নি।
পরবর্তীতে ওই নির্যাতিত নাবালিকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপর ঘটনাটি শোনা মাত্রই ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিসের পক্ষ থেকে পকসো আইনের মামলা রুজু করা হয়। বুধবার পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।
বাড়ি থেকে জোরপূর্বকভাবে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভোর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। অভিযোগ, নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ির থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক খড়গ্রাম থানার বাসিন্দা।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে রাখে অভিযুক্ত ওই যুবক। তারপর সেখানেই রাতভোর যৌন নির্যাতন করা হয় এবং শনিবার ভোরবেলায় নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে নির্যাতিতা নাবালিক তার নিজের বাড়িতে যান এবং সম্মানহানির কারণে গায়ে আগুন দেয় বলে অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। এরপর স্থানীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকাকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
নৃশংস এই ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ওই যুবক সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিস। ঘটনার জেরে মৃতার পরিবার সহ প্রতিবেশীরাও ক্ষোভে ফুঁসছে।
নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার অন্তর্গত পশ্চিম বালির উত্তর জয়পুর এলাকার একটি স্কুলে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবনারায়ণ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিল না ওই নাবালিকা। তবু জোর করে পাঠানো হচ্ছিল তাকে। স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে ওই ছাত্রী কোনও উত্তর না দিয়ে প্রতি বার এড়িয়ে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাবে না বলে জেদ ধরে বসলে পরিস্থতি চরমে ওঠে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। এর পরেই সমস্ত বিষয় মাকে খুলে বলে নির্যাতিতা। অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে একদিন একা পেয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেন তার। যৌন হেনস্থার শিকার হন ওই নাবালিকা। বারণ করলেও শোনেননি প্রধান শিক্ষক।
এদিকে, শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবার বৃহস্পতিবার নিশ্চিন্দা থানায় গোটা ঘটনাটা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে পেশ করা হবে হাওড়া আদালতে।
দশেরার দিন গরবা নাচের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক পরিণতি হরিয়ানার ঝামেলার ঝেরে ফরিদাবাদে। মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। প্রতিবেশী দুই যুবক তাঁর মেয়েকে ‘উত্যক্ত’ করায় বাধা দেন প্রৌঢ়। তখনই বচসার মাঝে এক যুবক তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিতে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ফরিদাবাদের ওই আবাসন এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রেম মেহতা (৫২)। তিনি ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-র প্রিন্সেস পার্ক সোশ্যাইটির বাসিন্দা। নিজের এলাকায় গরবা নাচের অনুষ্ঠানে পরিবার সদস্যদের নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় ওই আবাসনেরই দুই যুবক প্রৌঢ়ের ২৫ বছর বয়সী মেয়েকে উত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা তরুণীর ফোন নম্বর চায়। একসঙ্গে নাচার জন্য জোর করে।
তখনই এগিয়ে যান প্রেম মেহতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বচসা থেকে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তখনই এক যুবকের জোর ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। তোলার চেষ্টা করলে দেখা যায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। দ্রুত তাঁকে একটি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানান, ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। পুলিস আধিকারিক জামিল খান জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিস।
মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (sexual harassment) করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত জালাস নিজামতারা অঞ্চলের নরদেবজোত গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (Police) ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrest) করে। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ভবানন্দ সিংহ। অভিযুক্ত তার ঘরে একাই থাকত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ওই ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মহিলারা জানান, বুধবার রাতে ওই ব্যক্তির ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। সেই আওয়াজ শুনে স্থানীয় মহিলারা অভিযুক্তের ঘরে ঢুকে দেখেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা অপ্রস্তুত অবস্থায় খাটের উপর শুয়ে রয়েছে। এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন সন্তানের মহিলা তথা পরিচারিকার (Woman) সঙ্গে সহবাস (Harassment)। এমনকি পরে ওই মহিলাকে জোরপূর্বকভাবে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিতোল গ্রামে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্য়ক্তির নাম তৈমুর রহমান (৮১)। নির্যাতিতা মহিলা ওই ব্য়ক্তির বাড়িতে কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতা মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। অভাবের সংসার। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তৈমুর রহমানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে দিন যাপন করতেন ওই মহিলা। আর সেই দারিদ্রতার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৈমুর।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈমুর রহমান তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এর ফলে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কথা জানতে পেরে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করছে তৈমুর। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা জানতে পেরে তৈমুরের ছেলে ও পুত্রবধূ জোরপূর্বক ভাবে ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তবে চিকিৎসকেরা গর্ভপাত করা যাবেনা বললে, ওই নির্যাতিতাকে তিন দিন ধরে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্তর ছেলে ও পুত্রবধূ, এমনই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।
হাওড়া, মালদহের পরে এবার শিলিগুড়িতেও একই ঘটনা। সালিশি সভায় আদিবাসী এক গৃহবধূকে (Women) বিবস্ত্র করে মারধরের (Beaten) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন লোয়ার বাগডোগরার ভুজিয়াপানি গ্রামে। এই ঘটনায় দু'পক্ষই বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুই পক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই চারজনের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী ও ললিতা বাল্মিকী। এমনকি ওই ধৃত চারজনকেই মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত ১৯ জুলাই অর্থাৎ বুধবার। ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে রোশনি খেরওয়ার নামের এক মহিলার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যা জানেত পেরে যায় প্রদীপ সরকারের স্ত্রী গৌরি সরকার। এই ঘটনা জানার পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি, যা সামাল দিতে বুধবারই ভুজিয়াপানির পান্থাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সালিশি সভা বসে। তবে সেই সালিশি সভায় প্রদীপ সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে ওই মহিলার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুজনকে এভাবে হাতাহাতি করতে দেখে গৌরি সরকারের বান্ধবী তাদের আটকাতে যায়। তখন রোশনি খেরওয়ার তাঁর উপরেও হামলা করে। তাই ওই দিন সালিশি সভা বন্ধ রেখে পরের দিন আবার সালিশি সভা বসানো হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, পরের দিন সেই সালিশি সভায় তিনি উপস্থিত হতেই তাঁর উপর চড়াও হয় রোশনি খেরওয়ার ও তার লোকজন। সভার সমস্ত মানুষের সামনেই তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধরও করা হয়, বলে অভিযোগ। তিনি আরও দাবি করেন, এই ঘটনার পর তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিজের চিকিৎসা করান তিনি। তারপরেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, এমনটাই দাবি করেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন তরাই ডুয়ার্স আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন।
মেয়ের বান্ধবীকে শ্লীলতাহানির (Harassment) অভিযোগে গ্রেফতার প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া (Baduria) থানার বাজিতপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, বছর কুড়ির এক যুবতী রাতে মুদিখানার দোকানে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে অন্ধকার নির্জন জায়গায় যেতেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামেরই বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের বিশ্বজিৎ গোলদার।
সেই সময় ওই যুবতীর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে প্রৌঢ় পালিয়ে যায়। তারপর ওই যুবতী বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর ওই যুবতীর দাদা দীপক চক্রবর্তী ওই পৌঢ়ের বিরুদ্ধে বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার, সকালে অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিন ধৃত প্রৌঢ়কে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় বিশ্বজিৎ এর মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা, কথাবার্তা চলতো ওই যুবতীর। সেই সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় ছিল। এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে বাদুড়িয়া থানার পুলিস।
এবার বলিউডেও (Bollywood) যৌন হেনস্থার কথা বলছেন সেলেবরা। তাঁরা যে জীবনে একবার না একবার হেনস্থার (Sexual Harassment) শিকার হয়েছেন, সেই বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন একাধিক অভিনেতা। সম্প্রতি, প্রীতি জিন্টাও তাঁর জীবনের কিছু না বলা কথা শেয়ার করেছেন। এবারে যৌন হেনস্থার শিকার নিয়ে মুখ খুললেন শেফালি শাহ (Shefali Shah)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনিও ছোটবেলায় একবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
'প্রায় প্রত্যেক মেয়েকেই জীবনে হেনস্থার শিকার করতে হয়।' এমনটাই বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী শেফালি শাহ। তিনি বলেন, 'আমার মনে আছে, আমি একটি বাজারের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখনই একজন আমাকে অশ্লীলভাবে ছুঁয়ে যায়। সেই মুহূর্তে আমি কাউকে কিচ্ছু জানাইনি। কারণ খুব লজ্জার লেগেছিল। তবে কোনও পাপবোধ কাজ করেনি, কিন্তু কেমন যেন একটা অনুভূতি হয়েছিল।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'অনেকেই হয়তো এই সময় ভেবে থাকেন যে, নিজেদের ভুলেই এমনটা হয়েছে। তবে তাঁর মধ্যে এমন চিন্তাভাবনাকে তিনি দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন।' এই বিষয় নিয়ে কথা বলা খুবই দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পরিচালক মীরা নায়ারের ‘মনসুন ওয়েডিং’ ছবিতে রিয়া বর্মার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শেফালি। শৈশবেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় সেই চরিত্র। রিয়া হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই নিজের জীবনের এই অন্ধকার অধ্যায় প্রকাশ্যে আনেন শেফালি।
ফের রাজ্যে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার (sexual harassment) ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল মালদহের (Maldah) মানিকচক। অভিযোগের তীর গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্থার ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) নাবালিকা বর্তমানে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ১৫ বছর। স্থানীয় নুরপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে নাবালিকা বের হয়। এরপর গ্রামেরই এক যুবক মহম্মদ সোহেল ওই নাবালিকার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আম বাগানে আম পাতা মজুত রাখার একটি কুঁড়ে ঘরে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সেই কুঁড়ে ঘরেই অচৈতন্য হয়ে অবস্থায় পড়ে থাকে নির্যাতিতা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্থানীয় এক মহিলা নির্যাতিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি নাবালিকাকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে নাবালিকা গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। নাবালিকার মায়ের দাবি, মেয়েকে খোঁজাখুঁজির সময় তাঁরা জানতে পারেন, গ্রামের এক মহিলা অভিযুক্ত যুবক সোহেলের সঙ্গে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে রাতে দেখতে পেয়েছিলেন। শুক্রবার নাবালিকার জ্ঞান ফিরতেই সমস্ত ঘটনা তার মা-বাবাকে জানায়। সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে মানিকচক থানার পুলিসের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিস।
দেশের কোনও প্রান্তেই সুরক্ষিত নন মেয়েরা, মহিলারা। বিভিন্ন সময় লোভ-লালসার শিকার হতে হয় তাঁদের। সম্প্রতি স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে হেনস্থা (Harassment) করার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় স্বামীকে হেনস্থাকারীর হাতে নিগ্রহের শিকার হতে হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আগরায়। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস।
অভিযোগ করা হয় কালিন্দী বিহারের বাসিন্দা পাপ্পু চৌহানের বিরুদ্ধে। ওই মহিলাকে দেখে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করতেন। একপ্রকার হেন্সথার শিকার হতেন ওই গৃহবধূ। এরপর ওই মহিলা এই ঘটনার কথা তাঁর স্বামীকে জানান। স্বামী সব শুনে অভিযুক্ত পাপ্পুর সঙ্গে কথা বলতে যান। তখনই উল্টে পাপ্পু তাঁকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। আর তা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। মহিলা থানার দারস্থ হন। এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পাপ্পুকে গ্রেফতার করে পুলিস।
দীর্ঘদিন ধরে এক যুবতীকে উত্যক্ত ও কটুক্তি (Harassment and abuse) করার অভিযোগে এক যুবককে বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখলো যুবতীর বাড়ির লোক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের (Raiganj) পূর্ব কলেজপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম গৌরাঙ্গ রায় (Gauranga Roy)।
যুবতীর মায়ের অভিযোগ, প্রায় দু বছর ধরে তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে উত্যক্ত ও কটুক্তি করার পাশাপশি বেশ কয়েকবার ধরালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে যুবতীর বিয়ে হয়ে গেলেও ওই যুবক নানা ভাবে তাঁকে বিরক্ত করতে থাকে। বুধবার রাতে যুবতী তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইরে বের হলে দুজনকেই মারধর করে অভিযুক্ত যুবক বলে অভিযোগ।
এরপরই যুবতীর বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবককে বাড়ির সামনেই দীর্ঘক্ষণ খুঁটিতে বেঁধে রাখেন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিস।
একজন সমাজকর্মী এবং লেখক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে যৌন হয়রানির (Sexual harassment) অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারিণী মামলাও করেন তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার কেরলের আদালত (Kerala court) চন্দ্রনকে (Chandran) জামিন দেয়। এবং বিচারক জামিনের রায়দানের সময় বলেন, অভিযোগকারিণী একটি যৌন উত্তেজক পোশাক (sexually provocative dress) পরেছিলেন। তাই একে যৌন হয়রানি বলা যায় না।
অভিযোগকারিণী ২০২০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি নন্দী বিচের একটি ক্যাম্পে থাকাকালীন ওই লেখক তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলেন, ৭৪ বছর বয়সী লেখক তাঁকে ক্যাম্পে ডাকেন। এরপর জোর করে তাঁর কোলে বসান। এবং গোপন অংশ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন।
লেখক তাঁর জামিনের আবেদন করার সময় আদালতে অভিযোগকারিণীর ছবিও দিয়েছিলেন। তারপরই বিচারক বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারার অধীনে অপরাধটি কার্যকর নয়। কারণ মেয়েটি "যৌন উত্তেজক পোশাক" পরেছিলেন।
কেরল হাইকোর্ট আরও বলে, ওই লেখক শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম। অন্য ব্যক্তির উপর জোর করতে পারেন না। সেখানে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ খানিকটা ভিত্তিহীন।
কোয়েলন্দি পুলিস ২৯ জুলাই আইপিসির ধারা ৩৫৪এ (২), ৩৪১ এবং ৩৫৪ এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল।