জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)। সম্প্রতি নিজেকে ভিন্ন ধরনের অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন একইসঙ্গে প্রযোজক হিসেবেও হাতেখড়ি করেছেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও তার সুখের সময়। অভিনেত্রী দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর পরিবারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি।
এই সময়টুকু কিভাবে মজা করছেন শুভশ্রী? তাঁর সামাজিক মাধ্যম খুললেই সেই প্রমাণ পাওয়া যায়। মাতৃত্বকালীন সময় একেবারেই বাড়িতে বসে নেই তিনি। বরং মন দিয়েছেন শরীরচর্চায়। অভিনেত্রী দিনের বেশ খানিকটা সময় জিমেই কাটাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি স্টোরিতে নিজের জিম চর্চার চর্চার ঝলক দিয়েছিলেন। আবারও তাঁর সেই রুটিন তুলে ধরলেন ভক্তদের জন্য।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর জিমের অন্দরের কার্যকলাপের একটি ভিডিও দিয়েছেন। বেশ কিছু এক্সারসাইজ করতে দেখা গিয়েছে শুভশ্রী-কে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'কোনও বাহানা নয়'। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও যে নিজের শরীরের খেয়াল রাখছেন তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভক্তদের। তবে অভিনেত্রীর এই ক্রিয়াকলাপ দেখে ছুটে এসেছেন নীতি পুলিশেরা। অনেকেই লিখেছেন, 'এই সময়টা তো বিশ্রাম নিলেই পারতেন' জিম করার কি প্রয়োজন!'। তবে অভিনেত্রী প্রশংসাই করেছেন সিংহভাগ ভক্তরা।
ফের হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ২৬ বছর বয়সী যুবকের। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি গাজিয়াবাদের (Gaziabad)। জিমে (Gym) শরীরচর্চা করতে গিয়েই এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হল যুবকের। গত কিছুদিন আগেই জিমে শরীরচর্চা করতে গিয়ে এক যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই ফের এমন মৃত্যুর খবর শোনা গেল।
সূত্রের খবর, ২৬ বছর বয়সী যুবক কপিল খুরদার সরস্বতী বিহারের বাসিন্দা। তিনি গাজিয়াবাদের বৃন্দাবন বিহারের জিমে গিয়েছিলেন শরীরচর্চা করতে। নিত্যদিনের মতই তিনি সেদিন জিমে গিয়েছিলেন শরীরচর্চা করতে। কিন্তু হঠাৎই শরীরচর্চা করতে গিয়ে ঘামতে থাকেন তিনি। এরপর অস্বস্তি বোধ করার পর সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা করা যায়নি তাঁকে।
শরীরচর্চা করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই মৃত্যু ঘটে চলেছে দেশে। এত কম বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর জন্য চিন্তায় পড়েছে চিকিৎসকমহল। কারণ সাধারণত এত কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্তের মত খবর শোনা যায় না। কিন্তু বর্তমানে কম বয়সীদের মধ্য়েই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে।
টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তীকে (Srabonti Chatterjee) নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হচ্ছে না। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলি বারংবার চর্চায় উঠে এসেছে। এবার তিনি প্রতারণা (Financial Scam) মামলায় চর্চায়। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল অভিযোগ। জানা গিয়েছে, একটি জিম খুলেছিলেন শ্রাবন্তী। সেই জিমের ট্রেনিরাই এই প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। অভিনেত্রীকে দেখে আকর্ষিত হয়ে জিম জয়েন করেন অনেকে। সেই টাকা নিয়েই বেপাত্তা শ্রাবন্তী।
মধ্যমগ্রামের স্টার মলে একটি জিম খুলেছিলেন শ্রাবন্তী। তবে এক নয়, আরও তিন সঙ্গী আনোয়ার, অভিষেক ও সৌম্য অংশীদার ছিলেন। জাঁকজমক করে জিমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী খোদ। 'দা ফিটনেস এম্পায়ার' নামক ওই জিমের ফেসবুক পেইজে শ্রাবন্তীর ভিডিও আপলোড করা হয়। শ্রাবন্তীকে সেই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আজ খুবই বিশেষ দিন। আজ আমার সন্তানসম জিমের উদ্বোধন হচ্ছে।'
ওই জিম থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সারা বছরে ১৮ হাজার টাকার প্যাকেজে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তবে এই প্যাকেজের বাইরে আরও ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয় জিম ট্রেনার বাবদ। অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর জিম, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, তবে চলতি বছরে দোলের পর থেকেই আর খুলছে না জিম। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। তবে 'সব টাকা ফেরত পাবেন' বলে আশ্বাস দিয়েছেন শ্রাবন্তী।
ডোপ পরীক্ষায় (Dope test) ব্যর্থ বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে ২১ মাসের নির্বাসন। ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও দীপার (Dipa Karmakar) শাস্তি কার্যকর করা হয়েছিল আরও আগে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে কোনও খেলায় অংশ নিতে পারছেন না এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। নির্বাসনের শাস্তি ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। শাস্তিপর্বে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না রিও অলিম্পিক্সের এই প্রতিযোগী।
আইটিএ জানিয়েছে, ২০২১ সালে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমন্যাস্টিক (এফআইজি) নামের একটি সংস্থা দীপার শরীরে হাইজিনামিন নামক এক নিষিদ্ধ পদার্থ পেয়েছিল। এরপরেই নির্বাসনের ঘোষণা। পরে নমুনা পরীক্ষার সময়েও দীপার শরীরে হাইজিনামিন পেয়েছেন তাঁরা। এই পদার্থ ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে দীপার নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাওয়ায় আশার আলো দেখছেন বাঙালি জিমন্যাস্ট মহল।
শরীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ছবি দিয়ে "মজা শুরুর" ইঙ্গিত শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের(Srabanti Chatterjee)। সেই ছবিকে ঘিরেই চর্চা শুরু নেটপাড়ায়। মেঝেতে পাতা যোগাসনের ম্যাট, যোগাসনের বিভিন্ন ভঙ্গিতে বসে দেখা গেল তাঁকে।এই মুহূর্তে সিনেমার প্রচারে ও জিমের(Gym) অন্দরেই বেশির ভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন শ্রাবন্তী। এর আগেও বহুবার সোশ্যাল মিডিয়াতে বডি শেমিংয়ের মুখোমুখি হতে হয় শ্রাবন্তীকে। ওজন বেড়ে যাওয়ায় হাসির পাত্রীও হয়েছেন তিনি। তবে এসবে তিনি কান দেন না। গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা তিনি, রোগা তো তাঁকে হতেই হবে। তাই আপাতত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করেছেন শ্রাবন্তী। বিভিন্ন পোজের ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন,"মজা শুরু করা যাক"।
কিণ্তু ছবি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন,'পরিপাটি চুল, ঠোঁট গোলাপি! এত সেজে কি জিমে আসা যায়?' বসার ভঙ্গির কারণেও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। অনেকেই ছবির নিচে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, এ কেমন মজার কথা বলেছেন তিনি। তবে প্রতিবারের মতো এবারও ট্রোলিং-এর(Trolling) মুখে মৌনতাকেই হাতিয়ার করলেন শ্রাবন্তী। নিত্যদিন শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন বাড়ুক বা কমুক তিনি কিন্তু দিব্যি ফিট। ভোলবদলের অপেক্ষায় তাঁর অনুগামীরা।
১৯ বছরের একটি জলজ্যান্ত মেয়ে জিম (gym) করতে গিয়েই মারা (death) যাবে, ভাবতেও পারছে না পরিবার (family)। মঙ্গলবারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও শোকাহত পরিবার। অভিযোগের তির জিম কর্তৃপক্ষের দিকে। প্রত্যেক দিনের মত মঙ্গলবারও বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) সোনালী পার্কের একটি জিম সেন্টারে জিম করতে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা দাস। হঠাৎই জিম করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান এবং সেখান থেকে হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে এবার জিম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার জিমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋত্বিকাকে। তখন চিকিত্সরা জানান, অনেকক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন ঋত্বিকা। আর এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অজ্ঞান হওয়া অবস্থায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি জিম সেন্টারেই পড়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। কিন্তু কেন এরকম গাফিলতি কর্তৃপক্ষের? কেন জিম কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল না ঋত্বিকাকে। কেন জিম সেন্টারে অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা করেনি? এইরকম যদি আবার হয়, তার দায় কে নেবে?
তবে এই প্রশ্নের পর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জিম কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
জিমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু এক তরুণীর। জানা গিয়েছে, নিরঞ্জনপল্লির বাসিন্দা মৃত তরুণীর নাম ঋত্বিকা দাস। মৃত্যুর আগে তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণীর এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার এক বান্ধবী বলেন, 'সাড়ে ৪টা নাগাদ আমার সঙ্গেই ছিল। তাহলে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। চিকিৎসকরা বলেছে ময়না তদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।' যদিও তাঁর সঙ্গে সেই সময় জিমে থাকা এক ব্যক্তি বলেছেন, 'জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করে ঋত্বিকা। তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যান।'
স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, কী ঘটনা ঘটেছে পুলিস দেখবে। সেই জিমের লাইসেন্স রয়েছে কিনা সেটাও দেখা হবে। জানা গিয়েছে, ছ'মাস আগে ঋত্বিকা ওই জিমে ভর্তি হয়েছিল। সেই জিমে ট্রেনার থাকলেও, ছিল না সঠিক চিকিৎসা। যদি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ওই তরুণীকে চিকিৎসা করানো হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। এমনটাই মনে করছেন মৃত তরুণীর পরিবার। এমনকি তাঁর ক্রনিক কোনও সমস্যা ছিল না। এমনটাও পুলিসকে জানিয়েছে পরিবার।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে আনার একঘণ্টা আগে অবধি জীবিত ছিল ঋত্বিকা।