ছুটতে ছুটতে হঠাৎ শট। প্রায় তিরিশ গজ দূর থেকে নেওয়া সেই শটেই ইন্টার মায়ামিকে লিগ কাপের ফাইনালে তুলল লিও মেসির বাঁ-পা। সেমিফাইনালে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে চার-এক গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ডেভিড বেকহ্যামের দল। বাকি গোলকে ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা গোল হয়ে থাকল মেসির দূরপাল্লার শটে নেওয়া এই গোল।
চোট পেয়েছিলেন। ম্যাচের আগে খেলবেন কীনা, তা নিয়ে ছিল জল্পনা। কিন্তু মার্কিন মুলুকু মেসি ম্যানিয়া চলছে। নতুন ক্লাবের হয়ে গত ৬টি ম্যাচে ৯টি গোল করে ফেললেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। খুব অল্প সময়ে ইন্টার মায়ামির তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
ফিলাডেলফিয়ার বিরুদ্ধে লিগ কাপের সেমিফাইনালে প্রথম ৪৫ মিনিটেই তিন-শূন্য গোলে এগিয়ে ছিল ইন্টার মায়ামি। গোল করেছিলেন মেসি, মার্টিনেজ এবং জোর্ডি আলবা।
পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী,পশ্চিমবঙ্গ সরকার)ঃ মহম্মদ হাবিব চলে গেলেন স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে। অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। আলজাইমা এবং নানা রোগে মাঠের সিংহ যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। ১৯৬৬-তে আমার প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে যখন এলেন, তখন আমি নেহাতই শিশু। কিন্তু খেলা মানে ইস্ট-মোহনের খেলা থাকলেই বাড়ির বড়রা রেডিওর সামনে বসে যেতেন। আমি অত না বুঝলেও এটা বুঝেছিলাম আমার ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করাটা আমার পারিবারিক কর্তব্য। মাঠে যাওয়া শুরু করি ১৫ বছর থেকে ১৯৭৮ থেকে। কি দল ছিল তখন। খেলা বোঝার সময় থেকে কয়েকজন খেলোয়াড়ের অন্ধ ভক্ত ছিলাম, যার অন্যতম বড় মিঞা মানে হাবিব।
সিএন পোর্টালে হাবিব নিয়ে লিখতে বসলে উপন্যাস হয়ে যাবে তাই বেছে নিলাম ১৯৮০। ভয়ঙ্কর ফুটবল বছর ছিল ওই বছরটা। সেবার ইস্টবেঙ্গল থেকে ৯/১০ জন নিয়মিত খেলোয়াড় দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। থাকার মধ্যে স্টপারে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য আর তেমন কেউ নেই। ক্লাবের সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত নিশীথ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় নাকি সব বেরিয়ে গিয়েছিলো। আমাদের মতো কট্টর সমর্থকদের তো মাথায় হাত। নিশীথবাবু বুদ্ধি করে কোচ করে নিয়ে আসলেন প্রদীপদাকে। পিকে ব্যানার্জি। পরে প্রদীপদার কাছে শোনা কিছু গল্প শোনাই।
প্রদীপদা প্রথমেই দলে নিলেন পড়ন্ত বিকেলের সুধীর কর্মকার ও হাবিবকে। এরপর অবশ্য দলে আসলেন চ্যালেঞ্জের মজিদ বাসকার, জামশেদ নাসিরীকে। মোটামুটি একটা দল দাঁড়ালো। সেবার এপ্রিল, মে-তে কলকাতায় ফেডারেশন কাপের খেলা ছিল ইডেনে। মজিদ জামশেদ এবং হাবিবের ট্রাওতে দল দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠলো। মাঠেতো নিয়মিত গেছিই । বুক দুরুদুরু। কিন্তু প্রথম থেকেই হাবিব খেলা ধরে নিলেন। বয়স হয়েছে কিন্তু নিজের ফরোয়ার্ডের জায়গা ছেড়ে লিঙ্কম্যানে খেলতে শুরু করলেন। প্রবল গরম অন্যদিকে তখন রামজান মাস চলেছে। হাবিব কিন্তু চিরকাল রোজা করে এসেছেন, এবারেও তাই। এক বিন্দু জল না খেয়ে ৯০ মিনিট খেলা ভাবা যায় না। এরমধ্যে একটা আক্রমণ মোহনবাগানের গোলরক্ষক প্রতাপ ঘোষ কোনও রকমে কর্নার করে বাঁচালেন। কর্নার থেকে কলার মতো বাঁকানো শট এলো জামশেদের মাথায়। জামশেদ ফ্লিক করে দিলেন হাবিবের দিকে। স্পট জাম্প করে ওদের স্টপারকে বোকা বানিয়ে বল গোলে। তারপর সম্মিলিত চিৎকার। আর মনে নেই।
কিন্তু সেই বছর আজকের দিনে অর্থাৎ ১৬ অগাস্ট ইডেনে ফের মোলাকাত ইস্ট-মোহনের। প্রথম থেকেই প্রবল গন্ডগোল মাঠে। মজিদকে কাঁচি করে মাঠে বাবলুদা ফেলতেই ইট বৃষ্টি শুরু। তারপর বিদেশ বসুকে (বর্তমানে আমাদের বিধায়ক) আমাদের রাইট ব্যাক দিলীপ পালিত ট্যাকেল করার পর বিদেশদা মাথা গরম করে লাথি মারলেন দিলীপদাকে। ব্যাস স্টেডিয়ামে উত্তাল গন্ডগোল। মৃত্যু হলো ১৬টি তাজা প্রাণের। শোনা যায় প্রশাসনের মারাত্মক ভুলেই নাকি দু দলের সমর্থকদের একসাথেই বসার ব্যবস্থা করেছিল ক্রীড়া বিভাগ।
তবুও সেদিন খেলা পুরো হয়েছিল ওই হাবিবের জন্যই। তিনিই দর্শকদের শান্ত হতে গ্যালারির কাছে দৌড়ে গিয়েছিলেন। আজ সেই মাঠের সিংহ নেই। স্মৃতিতে ছবি হয়ে গিয়েছেন। হাবিব মিঞা অমর রহে। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)
স্বাধীনতা দিবসের দিন শোকের ছায়া নেমে এল ফুটবল মহলে (Football)। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব। কলকাতা ময়দান হারাল 'বড়ে মিঞা'-কে। ষাট ও সত্তরে দশকে কলকাতা ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা ফুটবলার ছিলেন তিনি।মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ হায়দরাবাদের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যালঝাইমারে ভুগছিলেন হাবিব। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬-এর মধ্যে হাবিব ভারতের হয়ে বহু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মাঠে নামেন। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদে জন্ম হলেও তাঁর পুরো ফুটবল জীবনই কেটেছে কলকাতায়।
১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নবাবের শহরে জন্ম বলে কলকাতা ময়দানে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘বড়ে মিঞা’ নামে। তারপরে যোগ দেন মোহনবাগানে। বেশিরভাগ সময় ইস্টবেঙ্গলের হয়েই ফুটবল খেলেন তিনি। মাঠে নেমেছেন মহামেডানের হয়েও। ১৯৮৪ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলার পরেই অবসর নেন হাবিব। ফুটবলার হিসাবে অবসর নেওয়ার পর টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছিলেন হাবিব।
ডেঙ্গি আক্রান্ত ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর স্ত্রী সোনাম ভট্টাচার্য। তাঁকে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই সুনীল জানিয়েছিলেন, তিনি বাবা হচ্ছেন। সম্প্রতি কলকাতায় এসেও সোনাম ভাল আছেন বলেই জানিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে সোনামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাবা হচ্ছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এই খবর এখন সবার জানা। কিন্তু যেটা অজানা ছিল, তা হল কিংস কাপ থেকে এবার নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনি। আর এই ঘটনা যেন তাঁকে বিরাটের সঙ্গে একসূত্রে বেঁধে দিল। বাবা হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে মাঝ পথেই ফিরে এসেছিলেন কোহলি।
সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বসতে চলেছে কিংস কাপের আসর। বাবা হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের ফুটবল অধিনায়ক। ফেডারেশনকে দেওয়া চিঠিতে সুনীল জানিয়েছেন, ওইসময় স্ত্রী সোনম সন্তানের জন্ম দেবেন। ওইসময় তাঁর পাশে থাকা একজন স্বামী হিসেবে কর্তব্য।
দীর্ঘ সময়ে তিনি ভারতীয় ফুটবলের প্রতীক। কিন্তু কোনও টুর্নামেন্টের আগে নিজেকে সরিয়ে নেননি সুনীল। তবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, পারিবারিক কারণে এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাই মঞ্জুর করা হতে পারে ভারত অধিনায়কের আবেদন। ফেডারেশন সূত্রে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বাবা হচ্ছেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এই খবর এখন সবার জানা। কিন্তু যেটা অজানা ছিল, তা হল কিংস কাপ থেকে এবার নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনি। আর এই ঘটনা যেন তাঁকে বিরাটের সঙ্গে একসূত্রে বেঁধে দিল। বাবা হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে মাঝ পথেই ফিরে এসেছিলেন কোহলি।
সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বসতে চলেছে কিংস কাপের আসর। বাবা হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের ফুটবল অধিনায়ক। ফেডারেশনকে দেওয়া চিঠিতে সুনীল জানিয়েছেন, ওইসময় স্ত্রী সোনম সন্তানের জন্ম দেবেন। ওইসময় তাঁর পাশে থাকা একজন স্বামী হিসেবে কর্তব্য।
দীর্ঘ সময়ে তিনি ভারতীয় ফুটবলের প্রতীক। কিন্তু কোনও টুর্নামেন্টের আগে নিজেকে সরিয়ে নেননি সুনীল। তবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, পারিবারিক কারণে এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাই মঞ্জুর করা হতে পারে ভারত অধিনায়কের আবেদন। ফেডারেশন সূত্রে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রথমবার ইন্টার মায়ামির হয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাবেন লিওনেল মেসি। রাউন্ড ১৬-এর ম্যাচে এফসি ডালাসের বিরুদ্ধে নামবে তাঁর দল। ফ্রিসকোর টয়োটা স্টেডিয়ামে নামবেন মেসি। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ১৮ মিনিটের মাথায় ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামের দর্শক সংখ্যা ২০ হাজার ৫০০।
রেকর্ড অর্থে বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। প্যারিস সাঁ জাঁ থেকে এই ক্লাবে এসেই প্রথম ম্যাচে ফ্রি-কিকে গোল করেন মেসি। প্রত্যেক ম্যাচেই গোল পাচ্ছেন। প্রথমবার অ্যাওয়ে জার্সিতে দেখা যাবে লিওকে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার লিওনেল মেসিকে এই ম্যাচে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই ৯০০০ মার্কিন ডলারের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে এক বাঙালি রেফারিকে। ওই বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলানোর দায়িত্ব পেতে পারেন বাংলার প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরপাড়ার এই যুবক এখন এশিয়ার সেরা তিন রেফারিদের মধ্যে অন্যতম। এশিয়ার সেরা রেফারি নির্বাচিত হওয়ায়, ভার লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষায়ও বসার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সৌদি আরবে এই পরীক্ষায় পাশ করলেই আগামী বছরের এশিয়া কাপ ও ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে রেফারিংয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন প্রাঞ্জল।
এশিয়ার সেরা তিন রেফারির মধ্যে নিজের নাম দেখে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ সন্তান। প্রাঞ্জল জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেফারিদের প্যানেলেও থাকতে পারে তাঁর নাম। যেহেতু এশিয়ার সেরা তিনে রয়েছেন, তাই ভার লাইসেন্স না পেলেও তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকতে পারবেন। খুব কম ক্ষেত্রেই এই সুযোগ মেলে বলেও দাবি তাঁরা। তবে ভার লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষা যে একেবারেই সহজ হবে না, তা নিয়ে সতর্ক প্রাঞ্জল।
টানা ২২দিন ধরে চলবে এই পরীক্ষা। সবমিলিয়ে ৩০৮ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা দিতে হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি প্রাঞ্জল। আপাতত কলকাতা লিগে ম্যাচ খেলাচ্ছেন তিনি।
ফুটবল জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত (Dies) হলেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ (Luis Suarez)। তিনি একমাত্র স্প্যানিশ ফুটবলার, যার হাতে ব্যালন ডি-অর কাপ উঠেছিল। মে মাসেই নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। কয়েক দিনের ব্যবধানেই থমকে গেল তাঁর হৃদস্পন্দন। রবিবারেই প্রয়াত হয়েছেন ফুটবল (Football) কিংবদন্তি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বার্সেলোনার তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, 'লুইস সুয়ারেজ মিরামন্তেস এই রবিবার ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি বার্সেলোনার জন্য খেলেছিলেন।' ১৯৬০ এর দশকে ইন্টার মিলানে মিড ফিল্ডার হিসেবে প্রবল প্রশংসা অর্জন কোরেসিলেন এই তারকা খেলোয়াড়।
১৯৩৫ সালে লা করুনাতে জন্মেছিলেন তিনি। এরপর ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিজেকে। দর্শকদের মন জয় করেছেন। একাধিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তারকার প্রয়ানে শোকস্তব্ধ ফুটবল জগৎ। নেটিজেনরা বলছেন লুইস সুয়ারেজের প্রয়াণ একটি যুগের অবসান।
তাঁরা ফুটবলার। আর মেসি (Messi) তাঁদের ভগবান। কারণ লিও অন্য গ্রহের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে বাকি কারোর তুলনা হয় না। মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানালেন কাতার বিশ্বকাপের (Wolrld Cup Football) সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Martinez)। মিলন মেলার মাঠে যোগ দিয়ে মার্টিনেজের দাবি, রোনাল্ডোর শুধু ফুটবল খেলেন। আর মেসি ফুটবলারদের কাছে ভগবান। এটাই পার্থক্য দুই তারকার মধ্যে। এদিন একইমঞ্চে কলকা-তার দুই প্রধানকে মেলালেন মার্টিনেজ।
সোমবার শহরে এসে মঙ্গলবার কলকাতায় প্রথম অনুষ্ঠানে যোগ দেন মার্টিনেজ। সদ্য কাতারে বিশ্ব ফুটবলকে সেরা ফাইনাল উপহার দিয়েছিল ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। ফরাসি ফুটবলের রূপকথা শেষ হয়েছিল তাঁর হাতেই। সেই মার্টিনেজ কিন্তু কলকাতায় জানালেন মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা ভাবা সম্ভব নয়। মারাদোনাকে দূর থেকে দেখেছিলেন। কিন্তু মেসি তাঁদের কাছের মানুষ।
এমনকী, দিন কয়েক আগেও এশিয়া সফরে এসে বেজিং মাতিয়েছিলেন লিও। মার্টিনেজের দাবি, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর গোটা দল যখন ভেঙে পড়েছিল, তখন নেতা মেসি-ই ছিলেন তাঁদের কাছে ভগবানের মতো।
দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার দু মিনিট আগে গোল। ইতালিকে (Itally) ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেন (Spain)। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। রবিবার রাতে মদ্রিচদের বিরুদ্ধে নামবে স্প্যানিশ আর্মাডা।
বৃহস্পতিবার রাতে খেলা শুরুর তিন মিনিটে গোল করেন স্পেনের ইরেমি পিরনো। কিন্তু ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেই গোল শোধ করে দেন ইতালির সিরো ইমমোবিল। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়াবে ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। খেলা শেষের ২ মিনিট আগে স্পেনের হয়ে গোল করেন জোসেলু।
ইতালির হয়ে খেলতে নেমেছিলেন রদ্রিও। তাঁর গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। রবিবার জাটকো দালিচের ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হবে স্পেনকে।
ম্যাচের বয়স তখন ৬৮ মিনিট। প্রায় ৩৬ গজ দূর থেকে একটা গোলা বেরল স্প্যানিশ ফুটবলার রডরিগোর পা থেকে। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। ইন্টার মিলানকে (Inter Millan) এক-শূন্য গোলে হারিয়ে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Champions Leauge) জিতল ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)। হ্যালান্ড, লাউতুরো মার্টিনেজ, রুমেল লুকাকুদের উপর থেকে যাবতীয় আলো কেড়ে তুরস্কের আর্তারতুক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের নায়ক হলেন ২৬ বছরের রড্রি। সেইসঙ্গে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে জীবনের একটা বৃত্ত পূর্ণ করলেন কোচ পেপ গুয়ার্দিওয়ালা। বার্সিলোনার পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসাবে ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দিলেন তিনি।
এই প্রথম ইউরোপের মাঠে নেই মেসি-রোনাল্ডো। ফাইনালে নেই বার্সা, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো কুলীন ইউরোপীয় ক্লাবগুলি। তবুও ভয়ানক ভূমিকম্পের স্মৃতি কাটিয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল উপহার দিল তুরস্ক। ইস্তানবুলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু মেসি-রোনাল্ডো পরবর্তী ইউরোপে তারকা কোথায় ? মাঠের বাইরে বসে রইলেন কাতার বিশ্বকাপের বিস্ময় জুলিয়ান আলভারেজ।
লাউতুরো মার্টিনেজ বনাম হ্যালান্ড। এটাই ছিল ভারতীয় সময় রবিবার মধ্য রাতের এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল রসদ। নব্বই মিনিট পর দুই তারকাই ফ্লপ। বরং কেভিন ডি ব্রুয়েনের জায়গায় নেমে গোটা দলকে নেতৃত্ব দিলেন ফিল ফোডেন। রড্রির গোলের পরেও ম্যান সিটি লিড বাড়াতে পারত। শুরু থেকে শেষ এক পেসে ম্যাচ খেলে ইতালির ক্লাবকে ক্রমশ কোণঠাসা করে দেন স্টোন, গ্রিলিসরা।
উল্টোদিকে লুকাকু ছিলেন লুকাকুতেই। ফাইনালের আগে অনেক ম্যাচে গোল করে ইন্টারকে জিতিয়েছেন। কিন্তু এদিন তাঁর হেড বারবার আটকে গেল ম্যান সিটির ব্রাজিলীয় গোলকিপার এডারসনের গায়ে এবং পায়ে। গোল খাওয়ার পর একাধিক হাফ চান্স নষ্ঠ করে ফাইনাল ইংলিশ ক্লাবের হাতে তুলে দিলেন সিমনো ইনস্যাগির ছেলেরা।
মেসি রইলেন মেসিতেই। ময়দানে যেমন মেসির পদক্ষেপ বোঝা দায়, জীবন সিদ্ধান্তেও মেসি ঠিক ততটাই 'আনপ্রেডিক্টেবল'। পিএসজির পর মেসি (Lionel Messi) কোন ক্লাবে যাবেন তা নিয়েও টানটান উত্তেজনা বজায় রেখে চলেছেন এখনও। যদিও সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে মেসি বলেছেন, 'আমি ইন্টার মায়ামিতে (Inter Miami) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু বিষয়ের হিসেবে মিলছে না। তবুও আমি ঠিক করেছি আমার ফুটবল যাত্রা মায়ামিতেই জারি রাখব।'
প্যারিস সেন্ট জায়ান্ট দলের সঙ্গে যে মেসির বনিবনা হচ্ছে না, সেই খবর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। পিএসজিতে থাকাকালীন মেসি চুক্তি ভেঙে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল, সৌদিতে আল হিলালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন মেসি। যদিও তেমনটা হয়নি। পিএসজি দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবারও প্রত্যাবর্তন করেছিলেন মেসি। অনেকে মনে করেছিলেন, সমস্যা মিটিয়ে হয়তো পিএসজির সঙ্গে আবারও নয়া চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারেন মেসি। কিন্তু তিনি তো মেসি। আনপ্রেডিক্টেবল।
মেসি আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আর কোনও ইউরোপীয় দলে খেলতে চাইছেন না। যদি চাইতেন তবে বার্সেলোনাতেই ফিরতেন। ফুটবল কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে মেসি আমেরিকান দলে খেলতে চেয়েছিলেন। এদিকে ক্লাবগুলি মুখিয়েছিলেন মেসিকে দলে টানার জন্য। শেষ পর্যন্ত ইন্টার মিয়ামির সহকর্তা ডেভিড বেকহ্যাম নাকি তুরুপের তাস তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামির চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি যে মেসি মায়ামিতেই যাচ্ছেন। তাই এখনও মেসি ভক্তদের কিছুটা সবুর করতে হবে। কারণ তিনি তো মেসি। পরবর্তী পদক্ষেপ বোঝা দায়।
দেশের জার্সি তুলে রেখেছিলেন আগেই। এবার ক্লাবের জার্সিও খুলে ফেললেন। সবরকম ফুটবল থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন সুইডিস ফুটবলার (Football) জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ (Zalatan Ibrahimovic)। রবিবার ইতালির (Itally) এসি মিলান থেকেই ফুটবল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন ৪১ বছরের এই তারকা। গত কয়েকদিন ধরেই চোটের কারণে নিয়মিত হতে পারছিলেন না। তিনি জানিয়েছেন, শরীর তাঁকে ফুটবল থেকে দূরে ঠেলে দিতে বাধ্য করল। ১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। সুইডেনের হয়ে ১২১ ম্যাচে ৬২ গোল ছিল ইব্রাহিমোভিচের।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইতালির এই ক্লাবে খেলছিলেন ইব্রা। লিগও জিতিয়েছে এসি মিলানকে। কিন্তু গত বছর থেকে ক্রমাগত চোট তাঁকে মাঠের বাইরে ঠেলে দিচ্ছিল। তাই রবিবার রাতে অবসর ঘোষণার সময় বারবার বলেন, তাঁর শরীর তাঁকে ফুটবল থেকে দূরে ঠেলে দিল।
বিদায় মেসি (Lionel Messi)। আধুনিক ফুটবলের রাজকুমারকে সরকারি ভাবে গুডবাই করে দিল তাঁর ক্লাব প্যারি সাঁজা (PSG)। শনিবার শেষ ম্যাচ খেলেই মাঠ ছেড়েছিলেন লিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এক ভিডিও পোস্টে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, সাতবারের ব্যালন জয়ীকে ধন্যবাদ। এই কয়েক বছরে মেসি তাদের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিল। মেসির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লিগ ওয়ান খেতাব জয় বলেই জানিয়েছে ফরাসি এই ক্লাব।
সবাই ভেবেছিলেন নিজের সেরাটা দিয়েই প্যারিসকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু ফরাসি ক্লাবের শেষ দিনে তিনি আটকে গেলেন। তিনি লিওনেল মেসি। লিগ জেতা হয়ে গিয়েছিল। তবু শেষ ম্যাচে হেরে শেষ হল তাঁর প্যারিসের শেষ রাত। লিগের শেষ ম্যাচে ক্লেরমের কাছে তিন-দুই গোলে হেরেই লিগ জয়ের উৎসব মঞ্চে উঠতে হল এমবাপে, নেইমারদের। আর একরাশ বিষন্নতা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি।
এই ম্যাচ ছিল মেসির পাশাপাশি সার্জিও রামোসেরও শেষ ম্যাচ। তাই উৎসবের আবহে শুরু হয়েছিল। পরিবার নিয়ে প্যারিসকে শেষ বিদায় জানাতে মাঠে নেমেছিলেন লিও। তবে এই ম্যাচে আরও একজনও জায়গা করে নেনে তিনি সার্জিও রিকো। যিনি ফরাসি এই ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি। কিন্তু দুর্ঘটনায় জখম রিকো এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাই তাঁর জন্য এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সাঁজার ফুটবলাররা।
পিছিয়ে থেকে শুরু। তারপর আবার ম্যাচে ফিরে আসা। সবকিছুই হল। কিন্তু মেসি যেন আনমনা। দ্য লাস্ট ইভনিং আ প্যারিস। বর্ষা আসার আগেই মেসি চলে যাচ্ছেন। আরও যেন মন ভার কবিতার এই শহরের। কারণ সবুজ গালিচায় কে চালাবেন ওই সূক্ষ্ম কলম। যার থেকে তৈরি হবে ফুটবলের নানা ছড়া এবং ছন্দ।
এই মরশুমেই শেষ। ফরাসি ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ ছাড়ছেন লিওনেল মেসি। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিলেন ক্লাবের কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ে। প্যারিস ছাড়লেও মেসি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার পিএসজির কোচ গালতিয়ে জানিয়েছেন, "ফুটবল ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা পেয়েছি। শনিবার ঘরের মাঠে ক্লেমন্টের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবেন।" মে মাসের শুরুতেই পিএসজি ছাড়ার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পিএসজি-কে এই সিদ্ধান্ত জানান মেসির বাবা। সৌদি আরবের আল হিলাল ও মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে নিতে আগ্রহী। তালিকায় রয়েছে মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনাও।
২০২০ সালে বার্সা ছাড়়েন লিওনেল মেসি। ২ বছরের চুক্তি ছিল তাঁর। প্রথম মরশুম ভাল কাটলেও দ্বিতীয় মরশুম থেকে সমস্যা হচ্ছিল। পিএসজি সমর্থকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। বিশ্বকাপ জয়ের পর সেই বিদ্রুপ আরও বাড়ে। এরই মধ্যে ক্লাবকে না জানিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে মেসিকে নির্বাসিত করে পিএসজি।