ফের মাছ (Fish) ধরতে গিয়ে ডুবে গেল একটি ট্রলার (Trawler)। বৃহস্পতিবার, বিকেলে ইলিশমাছ ধরতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর থেকে আরও গভীরে উল্টে যায় মা শীতলা নামের একটি ট্রলার। এই বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই মা মনসা নামের একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মা শীতলা নামের ডুবন্ত ট্রলার থেকে আটজন মৎস্যজীবীকে (Fisherman) উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই আটজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মা শীতলা নামের ওই ট্রলারটি ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গভীরে। সেই সময় প্রবল ঢেউয়ের দাপটে উল্টে যায় ওই ট্রলারটি। জলের গভীরে ডুবে যায় ট্রলারটি। কিন্তু ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর ড্রাম ধরে কোনক্রমে বাঁচার চেষ্টা করেন ওই ট্রলারে থাকা আটজন মৎস্যজীবী।
ঘণ্টাখানেক বঙ্গোপসাগরের জলে ভাসতে থাকেন আট মৎস্যজীবী। সেই সময় অন্য একটি মৎস্যজীবী ট্রলারের মাঝিরা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে মা মনসা নামের একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আটজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর প্রত্যেককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের পর তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও ডুবে যাওয়া ট্রলারটির উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আবারও বাঘের হামলায় মৃত্যু হল সুন্দরবনের এক মৎস্যজীবির। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন এলাকার অন্তর্গত চুলকাঠি জঙ্গলের কাছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ওই মৎস্যজীবির মৃত দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। বনদফতর সূত্রে খবর, মৃতর নাম অনেশ্বর ফকির বয়স(৫৬)। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি কাকদ্বীপের গনেশনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জুলাই অনেশ্বর ফকির এবং তাঁর স্ত্রী ভগবতী ফকির কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ সেখানে বাঘ হানা দেয় এবং আচমকাই অনেশ্বরের উপর বাঘ আক্রমণ করে। এরপর তাঁর স্ত্রী ভগবতী ফকির বাড়িতে ফোন করে এই ঘটনা জানান। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার-পরিজনেরা। পরে পরিবারের লোক কাকদ্বীপ থানায় ও চুলকাঠি বন দফতরে বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই চুলকাঠি জঙ্গলের বন কর্মীরা ওই মৎস্যজীবির তল্লাশি শুরু করেন। সোমবার দুপুরে মৎস্যজীবির মৃত দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা।
এই ভয়াবহ ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত অনেশ্বেরর স্ত্রী ভগবতী ফকির। এদিন তিনি জানান, রবিবার কাঁকড়া ধরতে গেলে হঠাৎ করে অনেশ্বরের উপর বাঘ আক্রমণ করে। তিনি আরও বলেন 'আমি বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে, মুহূর্তের মধ্যেই তাঁকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়।' এই ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
সমুদ্রের (Sea) অতলে তলিয়ে গেল একটি মৎস্যজীবী (Fisherman) ট্রলার (Trawler)। বৃহস্পতিবার, বঙ্গোপসাগরে বাঘেরচর থেকে আরও ৪০০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ডুবে যায় ওই ট্রলারটি। স্থানীয় মৎস্যজীবী সূত্রে খবর, ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারের ভিতরে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্য একটি ট্রলার। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য় আরও পাঁচটি ট্রলার এসেছিল।
জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের এফবি অনিক নামের ওই ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়েছিল। যার ফলে ট্রলারটি ভার বহন করতে না পেরে ধীরে ধীরে সমুদ্রের গভীরে ডুবে যেতে থাকে। তবে পাশের অপরাজিতা ট্রলারটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের থেকে ১৭ জন ডুবন্ত মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার, ভোর রাতে উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে। যদিও মৎস্যজীবীরা সকলে সুস্থ আছেন বলে ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ডুবন্ত ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য পাঁচটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবনে (Sundarban) কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের (Tiger) হামলার মুখে পড়লেন এক মৎস্যজীবী (fisherman)। শুক্রবার সুন্দরবনের বিজুয়াড়া জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে। বাঘের হামলায় গুরুতর আহত হয় ওই মৎস্যজীবী। জানা গিয়েছে, আহত মৎস্যজীবীর নাম দিলু মল্লিক (৫১)। পাথরপ্রতিমার জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুরের বাসিন্দা।
আহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে জি প্লটের সত্যদাসপুর থেকে দিলু তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী এবং এক প্রতিবেশীকে নিয়ে নৌকাতে করে কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিল। এরপর বিজয়াড়ার জঙ্গলের কাছে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় আচমকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর। দিলুর মাথায় থাবা বসাতে থাকে। সেই সময় তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে দেখতে পেয়ে নৌকায় থাকা লাঠি নিয়ে বাঘটিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। সেই সময় দিলুকে ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি। আহত দিলুকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর স্ত্রী।
অবশেষে বাঘের মুখ থেকে লড়াই করে বেঁচে ফিরলেন দিলু। তবে শুক্রবার রাতে দিলুর অবস্থার অবনতি হলে পাথরপ্রতিমার ব্লক হাসপাতাল থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যু (Death) হল এক জেলের (Fisherman)। তলিয়ে যাওয়ার ৩০ ঘন্টা পর সামসেরগঞ্জের মালঞ্চা ফিডার ক্যানেল থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম কামাল শেখ( ৪৩)। সূত্রের খবর, মৃতর বাড়ি সামসেরগঞ্জ থানার নতুন মালঞ্চা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার মালঞ্চা ফিডার ক্যানেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক জেলে। মাছ ধরতে গিয়েই নৌকা উল্টে তলিয়ে যায় ওই জেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। খবর দেওয়া হয় ডুবুরি টিমকে। তার পরেই শনিবার ডুবুরি টিম এসে তল্লাসি শুরু করে ফিডার ক্যানেলে। অবশেষে ৩০ ঘন্টা পর এদিন দুপুরে তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মাছ ধরতে এসে নৌকা উল্টে ফিডার ক্যানেলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কামালের পরিবারে।
গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক মৎস্যজীবীর। আনুমানিক শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার (Fraserganj Coastal Police) পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত মৎস্যজীবীর নাম দুলাল প্রামাণিক। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার অন্তর্গত দক্ষিণ শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যান্য মৎস্যজীবীদের থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২১শে মার্চ মঙ্গলবার মৎস্য শিকারের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে রওনা দেন দুলাল। তিনি এফবি রিয়া নামের একটি ট্রলারে করে সহকর্মী মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সমুদ্রে যান। তারপর গভীর সমুদ্রের মধ্যে ট্রলারে থাকাকালীনই বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন দুলাল প্রামাণিক। তখনই তড়িঘড়ি করে দুলাল প্রামাণিককে নিয়ে এফবি রিয়া নামের ট্রলারটি উপকূলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার ট্রালারটি উপকূলে পৌঁছতেই বাকি মৎস্যজীবীরা অসুস্থ দুলাল প্রামাণিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ মৃতর পরিবার সহ অন্যান্য মৎস্যজীবীরা।
কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফের বাঘের হামলায় (Tiger Attack) মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর।বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের (Sundarban) কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি এলাকার ঘটনায় আতঙ্ক। দেবীপুর পঞ্চায়েতের দেউলবাড়ি গ্রাম থেকে চার জন মৎস্যজীবী (Fisherman Death) নৌকায় চেপে রওনা দিয়েছিলেন। ওই নৌকায় ছিলেন বাসুদেব বৈদ্য নামে এক মৎস্যজীবী। নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরেই তাঁদের সংসার চলে।
সোমবার বাসুদেব বৈদ্য যখন কাঁকড়া ধরার জন্য নৌকার মাথার দিকে বসে সুত ফেলার কাজ করছিল। ঠিক সেই সময় ম্যানগ্রোভের ঝোপ থেকে আচমকাই বেড়িয়ে আসে বাঘটি। হঠাৎ বাঘটি এসে হামলা করে বাসুদেব বৈদ্যর উপর। বাঘটি তাঁকে ঘাড়ে কামড় দিয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় নৌকায় থাকা বাকি মৎস্যজীবীরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে বাঘ তাঁকে ছেড়ে পালায়।
পরে মৎস্যজীবীরা তাকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামে শোকের ছায়া। কুলতলি থানার পুলিস দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা অনুমতি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু বন দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও তাঁরা মাছ ধরতে গিয়েছিল। তাই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
দেশের আঞ্চলিক জলসীমার মধ্যে চোরাচালানের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর (Sri Lankan Navy) হাতে গ্রেফতার (arrested) ছয় ভারতীয় জেলে (Indian fishermen)। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তদের ট্রলারও বাজেয়াপ্ত (seized trawlers) করেছে। দ্বীপরাষ্ট্র এক সরকারি বিবৃতিতে বলেছে, একমাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেছে।
নৌবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, মান্নার দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত তালাইমান্নার থেকে শনিবার জেলেদের গ্রেফতার করা হয়। তালাইমান্নারে নৌ হেফাজতে থাকা জেলেদের মান্নারে মৎস্য পরিদর্শকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ শে অগাস্ট শ্রীলঙ্কার জলসীমায় চোরাচালানের অভিযোগে ১০ জন ভারতীয় জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেলেদের এই ইস্যুটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয়। যেখানে লঙ্কান নৌবাহিনীর কর্মীরা ভারতীয় জেলেদের উপর গুলি চালায় এবং শ্রীলঙ্কার আঞ্চলিক জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের একাধিক অভিযোগে তাদের নৌকা আটক করে।
প্রসঙ্গত, পক প্রণালী, যা শ্রীলঙ্কা থেকে তামিলনাড়ুকে আলাদা করে রেখেছে। এটি উভয় দেশের জেলেদের জন্য মাছ ধরার একটি সমৃদ্ধ জায়গা।