Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

firecrackes

Fire Crackers: কালীপুজোয় বাজারমুখী ক্রেতারা, তারাবাতি, রংমশালে ব্যবসায় 'বাজি'মাৎ

হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই আলোর উৎসবে সেজে উঠবে গোটা দেশ। সারা ভারতের দিওয়ালি পালনের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলায় উদযাপিত হয় কালীপুজো। মহাশক্তির আরাধনায় মত্ত হবে আম বাঙালি, সেই সঙ্গে আতসবাজির মজায় ভাসবে বাঙালি। গত দুই বছর ছিল করোনা কাল। আর সেই কারণে ভালোমতো উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি কেউই। তবে এবার সব বাধা প্রায় কাটিয়ে ফের উজ্জ্বল আলোর রোশনাই। শ্যামা মায়ের বন্দনা তো রাতভর রয়েছেই। কিন্তু বরাবরই দীপান্বিতা উৎসবে যা সকলের সবথেকে বড় আকর্ষণের বিষয় তা হল বাজি। কিন্তু টানা দুই বছর পুজোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের কড়া নির্দেশিকা ছিল, বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ছিল নিষেধাজ্ঞাও। তাই ব্যবসায়ীদের পকেট ছিল প্রায় শূন্য। তবে এবার আবার সময় হয়েছেন ভাগ্যলক্ষ্মী, তাই ফের বাজারমুখী ক্রেতার দল।

তারাবাতি, রংমশাল, চরকি, রকেটের মত চিরাচরিত সাবেক বাজির সঙ্গে এখন নাম জুড়েছে হরেক রকম হালফিলের বাজিরও। তার মধ্যে মূলত প্রধান বাহারি আসমান গোলা। সেই সঙ্গে ফানুসের চাহিদাও থাকে খুবই বেশি। তার উপর টানা দু'বছর এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত আপামর মানুষ। তাই ফের এই বছর নিউ নর্মালে ফিরতেই বাজি কেনার উৎসাহ রয়েছে দ্বিগুন। 

বাংলার বাজি বাজার বা বাজি তৈরির কারখানার কথা উঠলেই সকলের আগে নাম আসে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর চম্পাহাটি হারালের বাজি বাজারের। এবারও তার কোনও রকম ব্যতিক্রম নেই। করোনার জেরে দু'বছর ঠিক মতো ব্যবসা হয়নি। কিন্তু এবছর খুদে থেকে বড় সকলেই কেনাকাটা করতে হাজির। বাজি বাজারে কেমন ভিড় হচ্ছে, কতটা লাভ করছেন বাজি ব্যবসায়ীরা? তা জানালেন তাঁরাই। 

'এবারে বাজির চাহিদা প্রচুর! দোকানে কোনও বাজি পড়ে থাকবে না' বলেই আশাবাদী বিক্রেতা গৌরাঙ্গ মণ্ডল।

তবে প্রশাসনের ক্ষেত্রে জারি হয়েছে কড়া নির্দেশিকা, যেখানে বলা হয়েছে কোনও রকমের শব্দবাজি ফাটানো চলবে না। এমনকি বেআইনি ভাবে শব্দ বাজি বানানো, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিকে। তাই পুলিশের তীক্ষ্ণ নজর থাকছে বারুইপুর চম্পাহাটি হারালের বাজি বাজারে। তবে সবরকম নির্দেশিকাকে মাথায় রেখেই পসার সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেদার চলছে বিকিকিনিও। এই বছর দূষণের কথা মাথায় রেখে বাজারে আনা হয়েছে পরিবেশবান্ধব গ্রিন ক্র্যাকার। বড় থেকে ছোট, সব দোকানেই কমবেশি এই বাজি মিলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সব শেষে সুরক্ষিত ভাবে কালীপুজো পালন করুন সকলেই, এমনটাই অনুরোধ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

2 years ago