আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণা দামানি। আরিফ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে কৃষ্ণা দামানির বিরুদ্ধে। কৃষ্ণা দামানিকে সঙ্গে করে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। তল্লাশিতে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, স্কুলে নির্মীয়মাণ দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির টাকা নয় ছয় করেছে কৃষ্ণা দামানি। এছাড়াও আর্থিক দুর্নীতিতে কৃষ্ণা দামানির সঙ্গে যুক্ত আছেন স্কুলের প্রভাবশালী এক অংশের। এমনি অভিযোগ উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে।
হাওড়ার শিবপুরে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত ভিরাজ পাতিলের জামিনের আবেদন করেও মিলল না রেহাই। আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতেই রইলেন অভিযুক্ত।মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জানুয়ারি।
হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলায় অনলাইনে রহস্যজনকভাবে টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক দুর্নীতি মামালায় ধৃত ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডের মামলার তদন্ত করতে গিয়েই নাম উঠে এসেছিল ভিরাজ পাতিলের। ২৪ ডিসেম্বর মুম্বই বিমানন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় ভিরাজকে। মঙ্গলবার ধৃত ভিরাজের জামিনের আবেদন জানিয়েও মিলল না রেহাই। ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই ঠাঁই হল ভিরাজের।
অপরদিকে, ভিরাজ পাতিলের আইনজীবীর তরফে ধৃতের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল এদিন। আদালতে তিনি জানান, ধৃতের প্রোডাকশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়নি। তাই এই গ্রেফতার বেআইনি। কিন্তু অভিযুক্তের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায়ের সেই যুক্তিকে মান্যতা দিতে নারাজ ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। এই প্রোডাকশন আইনসঙ্গত। ধৃত ভিরাজ সুভাষ পাতিল তদন্তে স্বীকার করেছেন, ৭-৮ কোটি টাকা তিনি নিয়েছিলেন। তাই কেন এই অর্থ ধৃত নিয়েছিলেন সেই বিষয়টি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে সাফ জবাব আইনজীবীর। এদিন মামলার শুনানি শেষে স্থগিত থাকে রায়দান।
প্রসঙ্গত, শিবপুরের মন্দিরতলায় টাকার পাহাড়ের সন্ধান মিলেছিল কলকাতা পুলিসের তল্লাশিতে। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে। সূত্রের খবর অনলাইনে প্রায় ৭৭ কোটির রহস্যময় লেনদেন করেন শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাই অরবিন্দ পাণ্ডে।
ইডির তরফে অভিযোগ ছিল, হাওড়ার আর্থিক দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ভিরাজ সুভাষ পাতিলের নাম উঠে আসে। মূলত অনলাইন প্রতারণা, আর্থিক বেনিয়ম অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। বহু মানুষকে শৈলেশ পাণ্ডের কোম্পানিতে অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য পরামর্শ দিতেন ভিরাজ। দাবি করে ইডি। মূলত নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতানোর কারবার চালাত ভিরাজ। ইডির ধরপাকড়ে এবার মূল অভিযুক্তের অন্যতম সাগরেদ ভিরাজের গ্রেফতারিতে হাওড়া আর্থিক তছরুপের রহস্য কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।
সিভিভিও (CVV) দেননি, ওটিপিও (OTP) দেননি। তবুও হাতছাড়া ব্যাঙ্কে জমানো টাকা? বাজারে নয়া আর্থিক প্রতারণা (Financial fraud) থেকে সাবধান। বেশি কিছু নয়। শুধুমাত্র আধার কার্ডের (Aadhaar Card) বায়োমেট্রিক চুরি (Biometric theft) করেই গুম হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ঠিক এমনই কায়দায় প্রতারিত হয়েছেন দুর্গাপুরের (Durgapur) ইলেকট্রিকের সরকারি ঠিকাদারী সংস্থার কর্ণধার বিবেকানন্দ মুখার্জি। ঘটনায় তাজ্জব সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
কিন্তু কীভাবে হচ্ছে এই অপরাধ? জানা গিয়েছে, ঠিকাদারী সংস্থার নানা কাজের বরাত পেতে বিবেকানন্দ বাবু নিজের আধার কার্ড জমা করছেন বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে লুকিয়ে রয়েছে এই অপরাধের মূল সূত্র। বিবেকানন্দ বাবুর আধার কার্ডের লিঙ্ক ধরেই তাঁর বায়মেট্রিক হ্যাক হয়ে যায়। গত শুক্রবার রাত্রি ৮.৩৫ মিনিট নাগাদ প্রথম বিবেকানন্দ বাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। আর সন্ধে ৮.৩৬ মিনিট নাগাদ রাষ্ট্রয়ত্ত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ১০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এই ব্যাবসায়ীর আশঙ্কা আরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও হয়তো হ্যাকাররা টাকা তুলে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে দুর্গাপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাইবার পুলিস খতিয়ে দেখছে পুরো ঘটনাটি। কিন্তু আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক হ্যাক করে টাকা চুরির ঘটনায় তোলপাড় দুর্গাপুর। সরকার আর ব্যাঙ্ককে আরও সতর্ক হতে হবে, প্রয়োজনে সচেতনার ক্যাম্প করতে হবে, অভিমত আই. টি সেক্টরের কর্মী সিদ্ধার্থ মুখার্জীর।
কিন্তু, এর থেকে বাঁচবেনই বা কীভাবে? একমাত্র উপায়, ওয়েবসাইট বা এম আধার অ্যাপের মাধ্যমে লক করে রাখতে হবে যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য। প্রয়োজনে কিছুক্ষণের জন্য চালু রেখে ফের লক করে রাখতে হবে সেই তথ্য। একশো দিনের কাজ থেকে আরও সরকারি নানা সুযোগ সুবিধে পেতে আধার কার্ড লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। প্রশ্ন, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এই সম্পর্কে কতটা জানবেন?
বলিউডে (Bollywood) দশকের পর দশক সিনেমা করে আজ বহু অভিনেতারা (Actors) প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের এখন নাম-ডাক, যশ-প্রতিপত্তি সবই হয়েছে। মাঝে মধ্যেই নানা প্রতিবেদনে তাঁদের আর্থিক উপার্জন, সম্পত্তির হিসেব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অভিনেতারা হয়তো তাঁদের সম্পত্তির হিসেবে খতিয়ে দেখেন না। আজ যারা এই ক্ষমতার শীর্ষে, একসময় তাঁদের দিন কেটেছে দারিদ্রতায়। বলিউডে আসার পর অবশ্য ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছিল।
অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ ২০০৩ সালে প্রবল অর্থ কষ্টে ভুগেছিলেন। তাঁর অভিনীত সিনেমা 'বুম' মুক্তি পাওয়ার পরই এমন সমস্যায় পড়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, গুলশন গ্রোভার, জিনাত আমান, ক্যাটরিনা কাইফ সহ প্রমুখ অভিনেতারা। অর্থ সঙ্কট এতটাই বেড়েছিল যে জ্যাকিকে নিজের বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল।
অভিনেতা অনুপম খেরও আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তাঁর প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল 'ম্যায়নে গান্ধীকো নেহি মারা' সিনেমাটি। এই সিনেমার জন্য নাকি ২০০৪ সালে নিজের ব্যাঙ্ক প্রায় খালি করে দিয়েছিলেন অনুপম।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, '২০০০ সালে সকলে নতুন দশক উদযাপন করছিলেন আর আমি আমার খারাপ সময়। আমার কাছে কোনও সিনেমা ছিল না, অর্থ ছিল না।' বাবার আর্থিক অনটন দেখে নাকি অভিষেক বিদেশে লেখাপড়া মাঝপথে ফেলে বাবাকে সাহায্য করতে দেশে ফিরে এসেছিলেন।'
অভিনেতা আমির খানও বহু সাক্ষাৎকারে নিজের খারাপ সময়ের কথা স্বীকার করেছিলেন। অভিনেতার বাবা তাহির হুসেন একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি সিনেমা তৈরির জন্য বহু অর্থ ধার করেছিলেন। সেই অর্থ চোকাতে প্রায় ৯ বছর অর্থ কষ্টে ভুগতে হয়েছিল আমিরকে।
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার গোটা দেশ। বেড়ে গিয়েছে আটা-ময়দার দাম। একমুঠো আটার জন্য রীতিমতো লড়াই চলছে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যেই আরও বড় ধাক্কা পাকিস্তানের জন্য। এখন প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়ার জন্যও কসরত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ (Medicine) এবং দেশে ওষুধ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে। ওষুধ ও চিকিৎসাগত সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করতে প্রস্তুত নয়। পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দু’মাসেরই অ্যানস্থেশিয়া করার সামগ্রী রয়েছে। এর ফলে হাসপালের কর্মীরা চাকরিহীন হয়েও পড়তে পারেন।
বর্তমানে ঋণের দায়ে ডুবেছে পাকিস্তান। এই বিপদ থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধারের পথও দেখা যাচ্ছে না। একেবারে বিপর্যস্ত দেশ। জনসাধারণও নেই দেশের পাশে।আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা পায়নি পাকিস্তান। ধীরে ধীরে আরও অন্ধকারে ডুবছে সে দেশ। এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও।
উল্লেখ্য, এদিকে ইতিমধ্যেই তা দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বা জিডিপি পার করে গিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই পাকিস্তানকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটানোর কথা। গোটা অর্থবর্ষে মোট ২২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটাতে হবে। যেখানে পাকিস্তানের ফরেক্স লেভেল বা বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার ৩ বিলিয়নের নীচে নেমে গিয়েছে, সেখানে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানো কার্যত অসম্ভব।
গত সপ্তাহে চিন (China) সফরে গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তখনই চিনের তরফ থেকে পাকিস্তানকে (Pakistan) আর্থিক সহায়তার ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে কত টাকা আর্থিক সাহায্য করছে (financial crisis) চিন সরকার? সূত্র মারফত খবর, পাকিস্তানকে ৯০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা) সাহায্য প্রদান করতে চলেছে চিন।
গত বৃহস্পতিবার শাহবাজ়ের চিন সফরের সময় চিনা প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, জবাবে পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ‘‘চিন্তার কারণ নেই। আমরা হতাশ করব না।’’ এর পর তিনি শনিবার বলেছিলেন, ‘‘দুর্বল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টায় চিনের থেকে ৯০০ কোটি এবং সৌদি আরবের থেকে ৪০০ কোটি ডলার সাহায্য পাবে পাকিস্তান।’’
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সোমবার বেইজিংয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, "পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য যতটা সম্ভব সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে চিন। আমরা তা করে আসছি, এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব।" পাক রাজনীতিতে সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করে ঝাও বলেন, ‘‘আমরা ওঁর (ইমরান) দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’
শরিফের বেইজিং সফরের সময়, শি জিনপিং প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সার্বভৌম ঋণ, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ঋণের ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুনঃঅর্থায়ন এবং প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুদ্রার অদলবদল বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০০ কোটি আর্থিক তছরূপ মামলায় জ্যাকলিনের (Jacqueline Fernandez) পাশে দাঁড়ালেন মূল অভিযুক্ত প্রতারক সুকেশ। অবশেষে সুকেশের কথা প্রকাশ্যে এল। তিনি বললেন, জ্যাকলিনের কোনও দোষ নেই। তিনি কোনও ভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। সুকেশ (sukesh Chandrasekhar) বর্তমানে জেলবন্দি। সেকারণে তাঁর আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি (Letter) পাঠিয়ে সকলের সামনে এ কথা প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন। এবং সেই চিঠিতে আরও অনেক তথ্য ফাঁস করলেন সুকেশ। রবিবারই সকলের সামনে এল দীর্র্ঘ চিঠিটি।
সুকেশের দাবি, জ্যাকলিন ও সে সম্পর্কে ছিলেন। দু'জন দুজনকে ভালোবাসতেন। আর ভালোবাসার সম্পর্কে উপহার দেবেন এটা স্বাভাবিক বিষয়। বহুমূল্য গাড়ি হোক কিংবা যাই দামী উপহার হোক না কেন, সবটাই ভালোবেসে জ্যাকলিনকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। সুকেশ এও বলেন, জ্যাকলিনকে ও তার পরিবারকে যা উপহার দিয়েছেন তা সবটাই তাঁর বৈধ যায় থেকে।
তিনি এও বলেন, জ্যাকলিনের এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। নায়িকা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না. জ্যাকলিন কেবল তাঁর কাছ থেকে ভালোবাসা চেয়েছিলেন। আর সর্বদা পাশে থাকার কথা বলতেন। কোনও উপহার নিতে চাইতেন না বলে জানান সুকেশ। ভালোবাসার মানুষকে ও তাঁর পরিবারকে উপহার সকলেই দিতে চান। তিনিও এর ব্যতিক্রম নন। আর সুকেশ উপহারগুলো বৈধ উপার্জন থেকে দিয়েছেন, সেই তথ্য আদালতে আগেও পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন চিঠিতে।
महाठग सुकेश चंद्रशेखर ने लिखी चिट्ठी।एक्ट्रेस जैकलिन फर्नांडीज को बताया बेकसूर।सुकेश ने लिखा@dir_ed उसे और जैकलीन को गलत फसा रहे है।जैकलीन को उसने दोस्ती में अपनी गाढ़ी कमाई से गिफ्ट दिए,तो इसमें जैकलीन की क्या गलती।@indiatvnews pic.twitter.com/o4NzuEOpi6
— Atul Bhatia (@Atul_Bhatia80) October 22, 2022
চিঠিতে কনম্যান আরও জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ায় তাঁর একটি কয়লা খনির ব্যবসা রয়েছে। একাধিক হোটেলের স্বত্ব এবং খবরের চ্যানেলও ছিল। সেগুলি বর্তমানে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। সুকেশের দাবি, তাঁকে অস্ত্র এবং সুরক্ষার চুক্তিতে ফাঁসানো হয়েছিল।আরও দাবি, প্রাক্তন র্যানব্যাক্সি মালিককে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য তাঁকে ২০০ কোটি টাকা নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট (Delhi Court) সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা তছরুপ-কাণ্ডে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের অন্তর্বর্তী সুরক্ষা বাড়ল। এই সময়ের মধ্যে নতুন চার্জশিট এবং আনুষঙ্গিক নথি সবপক্ষের আইনজীবীদের কাছে পেশ করবে ইডি (ED)। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে (Interim Bail) ছাড়া পান জ্যাকলিন।
মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রুস। তাঁর আর্থিক নীতি সমালোচনার মুখে পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। দেড় মাস আগেই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই ছ’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়ে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে লিজকে তাঁর দল কনজার্ভেটিভ অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কিন্তু দলীয় নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সদস্য হয়েছিলেন লিজ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রুস বলেন, পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। আজ সকালেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে। ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে। পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহেই একটি নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করবে ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা পরবর্তী নেতৃত্ব।'
সীমান্তে(border) মোতায়েন বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রের মজুত বাড়াতে তৎপর হল ভারতীয় সেনা(Indian army)। একদিকে লাদাখ সীমান্তে(Ladakh border) চিনের সঙ্গে অশান্তি, অন্যদিকে ভারত-পাক সীমান্তে(Indo-Pak border) উত্তেজনা বাড়ছে। এর মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে চিন(China) এবং পাকিস্তান সীমান্তে(Pakistan border) উত্তেজনার আবহে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে দেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম জরুরি ভিত্তিতে কেনার জন্য বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিল কেন্দ্র।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)-র বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আগামী ছ’মাস পর্যন্ত স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাকে জরুরি ভিত্তিতে দেশে তৈরি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশীয় সংস্থাগুলিকে দেওয়া প্রতিটি বরাতের সর্বোচ্চ মূল্য ৩০০ কোটি টাকা হতে পারে।
২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গিহানার পরে এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বালাকোট-পর্বের সময়ও একই ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তাতে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ভারতের ভাঁড়ারে না থাকলে সমস্যা হবে। তাই সামরিক শক্তি আগে থেকেই বাড়িয়ে রাখতে তত্পর কেন্দ্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। পাহাড়ি এলাকায় ও দুর্গম এলাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সব ধরনের সামরিক অস্ত্র ভারতীয় বাহিনীর হাতে মজুত থাকে সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গত বছর লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত-পর্বের সময়ই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে জরুরি ভিত্তিকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে ২০২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও পরে তা দু’দফায় বাড়ানো হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন এবং সেখান থেকে সড়কপথে বাগডোগরা ব্যাঙ্কডুবি সেনা ছাউনির উদ্দেশে রওনা হন। গত জুলাই মাসে মণিপুরে বৃষ্টির কারণে ধস নামে এবং সেই ধসের কারণে বেশ কিছু জওয়ান শহিদ হন। তাঁদের মধ্যে দার্জিলিং জেলার ১৮ জন জওয়ান রয়েছেন। এদিন সেই সমস্ত শহিদদের ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পাশাপাশি বাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন এবং তাঁদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে ৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। শহিদ পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয় প্রত্যেক শহিদ জওয়ানের পরিবারের পিছনে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। দেশের স্বার্থে বলিদান দিয়েছেন এই জওয়ানরা, সেনার পক্ষ থেকে সব সময় বীর শহিদের পরিবারের পাশে থাকা আশ্বাস দেন তিনি।
স্কুলে আর্থিক দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে পড়ল পোস্টার (Poster)। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির প্রাক্তন সভাপতির নামে ওই পোস্টার পড়েছে। সেখানে স্কুলের প্রাপ্য সরকারি টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হযেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর থানার অন্তর্গত বড়গাছিয়া ইউনিয়ন প্রিয়নাথ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের প্রধান গেটে দেখা যায় বিভিন্ন পোস্টার। যেখানে স্কুলে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকা, স্কুল ডেভেলপমেন্টের টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক (School Dress) বাবদ টাকা সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিয়োগ তোলা হযেছে প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি কুমারজ্যোতি ব্যানার্জি (পল্টু) বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আজ সকাল থেকেই তাঁরা এই পোস্টার দেখতে পাচ্ছেন স্কুলের গেটের বাইরে ও গোটা এলাকায়। তবে কে বা কারা এই পোস্টার মেরেছে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। সব মিলিয়ে স্কুলের গেটে দুর্নীতির পোস্টের পড়াকে কেন্দ্র করে যথেষ্টই চাঞ্চল্য ছড়ায় বড়গাছিয়া এলাকায়। মুখ খুলেছেন অভিভাবকরা।
তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অর্থসঙ্কটে (Financial Crisis) ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে লাহোর (Lahore) চিড়িয়াখানার সাফারি পার্কের সিংহদের (Lion) খাবার জোগাড় করাও অসাধ্য হয়ে উঠেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। তাই পাকিস্তান সরকারের অনুমোদন নিয়ে ১২টি সিংহকে নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পশুপ্রেমীরা। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার পাকিস্তানে আর্থিক সঙ্কট ক্রমশ বাড়তে থাকায় ব্যয়সঙ্কোচের নীতি নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। পশুদের জন্য সরকারের তরফে যে অর্থ বরাদ্দ করা ছিল তাতেও দেখা দিয়েছে টানাপোড়েন। এই পরিস্থিতিতে লাহৌর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানকার সাফারি পার্কের বাসিন্দা ২৯টি আফ্রিকান সিংহের মধ্যে ১২টিতে নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, লাহোর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রতি সিংহের জন্য বেসিক মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৭০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় দেড় লক্ষ টাকা । আশা করা যাচ্ছে ১২ টি সিংহ বিক্রি করে পাওয়া যাবে প্রায় ২ মিলিয়ন টাকা । নিলামে অংশ নিতে পারবেন যে কেউ। তবে ক্রেতাকে প্রমাণ দিতে হবে তিনি নিলামে কেনার পর বন্যপ্রাণের উপযুক্ত যত্নআত্তি করতে পারবেন।