ভুয়ো পুলিস অফিসারের (Fake Police) পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অর্জুনতলা হাড়োয়া ও রাজারহাট রোডে। হাড়োয়া ও রাজারহাট থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার (Arrest) করে। সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করে রবিবার ধৃত তিন যুবককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এই তিনজন যুবকের সঙ্গে বড়সড় কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই ওই তিনজন ভুয়ো পুলিস আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করছিল। আর সেই অভিযোগ বারেবারে আসছিল হাড়োয়া থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই হাড়োয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্র একটি দল গঠন করেছিলেন দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য। আর এই অভিযোগের পর থেকেই তিন ভুয়ো পুলিসের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছিল পুলিস। এমনকি এই খবর চারিদিকে ছড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল হাড়োয়া থানার তরফ থেকে। এমনকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায় রাজারহাটের একটি গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছে তারা। তারপরেই শনিবার রাতে রাজারহাটের একটি গোপন আশ্রয় থেকে এই তিন যুবককে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই তিন যুবকের নাম বাবু দত্ত (৪৫), সুমন মিস্ত্রি (৩৫), এবং অমল কুমার (৩৫)। এর মধ্যে অমল কুমারের তাঁতি জগদ্দলে বাড়ি। এরা তিন জন বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিস পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করেছিল। এদের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
এবারে বলিউডি স্টাইলে চুরি হল এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের বাড়িতে। আপনাদের নিশ্চয়ই অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি 'স্পেশাল ২৬'-এর কথা মনে আছে। এবারে তেমনটাই ঘটল বাস্তব জীবনেও। সূত্রের খবর, ভুয়ো 'সিবিআই অফিসার' সেজে হানা দেয় এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের বাড়িতে। আর সেখান থেকে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। ঘটনাটি ২১ জুলাইয়ের। তবে শনিবার তা প্রকাশ্যে এসেছে। এটি নভি মুম্বইয়ের এরোলি এলাকার ঘটনা।
সূত্রের খবর, গত ২১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার কান্তিলাল যাদব ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করে ৬ জন। তাঁরা বলেন, কান্তিলালের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়েছে। তার ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম শুনে চমকে যান ওই ব্যক্তি। পরিচয় পত্র দেখতে চান তিনি। তবে ওই ৬ জন পরিচয়পত্র দেখাতে অস্বীকার করে। তারা বলে, তল্লাশি হয়ে গেলে তবেই তারা কার্ড দেখাবে। এমনকি কান্তিলাল এবং তাঁর স্ত্রীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের তল্লাশি অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না।
এরপর বাড়ির আলমারি খুলে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, বহুমূল্যের সোনার চেন, আংটি এবং ব্রেসলেট বার করে আনেন তারা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিরের গয়না এবং মূল্যবান ঘড়িও তারা বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এরপর এগুলো হাতিয়ে নেওয়ার পর সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা। এরপর পুলিসে খবর দিলে তাঁরা জানতে পারেন, যারা এসেছিল তারা ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিসের ভুয়ো (Fake Police) পরিচয় পত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (CM House) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjees) বাড়ির সামনে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরেই কালীঘাটের (Kalighat) পুলিস খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিসের (Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা কালীঘাট থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ভুয়ো পরিচয় পত্র দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন (৩৮)। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার মার্টিন পাড়ায় একটি ইন্টিরিয়রের দোকানও রয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিসের দাবি, এই ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ছোটো ছুরি এবং বন্দুকের মতো দেখতে একটি লাইটার। আবার ওই ব্যক্তির গাড়ি থেকে একটি মানসিক রোগের প্রেসক্রিপশন সহ একাধিক সংস্থার ভুয়ো পরিচয় পত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
কালীঘাটের পুলিস আরও দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রথমে ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন পুলিসকর্মী বলে পরিচয় দেন। তবে কালীঘাটের পুলিস এই বিষয়ে সন্দেহ হয়। যার ফলে তাঁরা ওই ব্যক্তিকে পুলিসের পরিচয় পত্র দেখাতে বলে। তবে কোনোভাবেই ওই ব্যক্তি কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে পারে না। যার ফলে কালীঘাট থানার পুলিস তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ভুয়ো পুলিস পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণার জাল বুনে শেষমেশ পুলিসের হাতেই ধরা পড়লো দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুরসভার কাঁটাগঞ্জ এলাকায়। বুধবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়েশপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাগঞ্জ এলাকায় মুনমুন চক্রবর্তী নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তরুণকুমার দাস। তাঁর আসল বাড়ি বেহালার সরশুনায়। পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। তিনি লেকটাউনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে অধ্যাপক ছিলেন। যে প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার যশ। তরুণকুমার দাস বলেছেন, তাঁকে পুলিস সেজে এসে তুলে নিয়ে যায় চার দুষ্কৃতী। একবার নয়, দু-দুবার তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেনো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার যশকে প্রচুর অর্থ দিয়ে সেখানে ভর্তি হন অপহরণকারীরা। তবে সেখানে কোনও কাজের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের তরফে করে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ অপহরণকারীদের। এমনকি তারা লেকটাউনে গেলে পুলিস দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার। সে কারণেই এই অপহরণ।
যেহেতু তরুণকুমার দাস ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ছিলেন, সেহেতু তাঁদের ধারণা হয় তিনিও ওই টাকার ভাগ পেয়েছেন। তরুণকুমার দাস জানান, তিনি অধ্যাপক হিসেবে বেতন পেতেন। এর বেশি কিছু সুবিধা ভোগ করেননি। অপহরণকারীরা তা বিশ্বাস না করে তরুণকুমার দাসকে প্রথমবার বেদিভবন এলাকায় তাঁর চেম্বার থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তমলুকে। তরুণবাবুর ধারণা, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি গৌণ। আসল বিষয় হলো তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা বলে তাঁর অভিযোগ। কেননা, প্রথমবার অপহরণের পর দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে শিয়ালদহ এলাকায় ছেড়ে দেয়। এদের সমস্ত রকম সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল তাঁর চেম্বারে কাজ করা সুমন নন্দী ওরফে বুড়ো। তার কাছ থেকেই পৈত্রিক সম্পত্তির হদিশ পায় অপহরণকারীরা। এমনই অনুমান তাঁর। কিন্তু কেন তাঁকে অপহরণ করেও ছেড়ে দেওয়া হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অপহরণকারীরা ভেবেছিলো তাঁর পরিবারের লোকজন এবিষয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই ভয়েই তাঁকে ছেড়ে যায় শিয়ালদহে।
নকল আইপিএল, নকল সিবিআইয়ের পর, এবার ময়নায় নকল পুলিস (Fake Police) গ্রেফতার। নকল পুলিসকে গ্রেফতার (Arrest) করে ময়না (Moyna) থানার পুলিস (Police)। পুর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার শ্রীকণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তমপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তর নাম বাসুদেব অধিকারী। অভিযুক্ত উত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পুলিস পরিচয়ে বিদুৎ দফতরকে হুমকি দিয়ে বাড়িতে বিদুৎ ব্যাবহার করে আসছিল অভিযুক্ত। তবে মঙ্গলবার বিদুৎ দফতর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই নকল পুলিস অফিসার বাদুদেবের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁর বাড়ির অবৈধ ইলেকট্রিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তখনও অভিযুক্ত বিদুৎ দফতরের অধিকারীকদের পুলিস পরিচয় দিয়ে রীতিমতো হুমকি দেখাতে থাকে। এমনকি বিদুৎ দফতরের আধিকারীকদের বিষয়টি আপোষে মিটিয়ে নিতেও বলে। আর এই ঘটনার পরেই বিদুৎ দফতরের অধিকারীকরা ফোন মারফৎ এই বিষয়টি ময়না থানার পুলিসকে জানায়। তারপরেই ময়না থানার পুলিস গিয়ে নকল পুলিস বাসুদেবকে গ্রেফতার করে।
পুলিস পরিচয় (Fake Police) দিয়ে বিধাননগর (Bidhannagar) এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার দুই। বিধাননগর নর্থ থানার হাতে ধৃতরা হলেন বিক্রম সিং এবং সুরজ প্রসাদ ঝা। বুধবার অভিযুক্ত দু'জনকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
পুলিস সূত্র মারফত খবর, ১৪ই ফেব্রুয়ারি অসীম কুমার বল্লভ দত্তাবাদের বাসিন্দা বিধাননগর উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, অফিস থেকে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় বিধাননগর কলেজের সামনে দু'জন যুবক তার গাড়ি আটকায়। নিজেদেরকে পুলিসকর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ভয় দেখানো হয়। মোবাইল ফোন এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। ভয় দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এদিকে, অভিযোগকারীর বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ওই পথ দিয়ে আসতে দেখে দুষ্কৃতীরা বাইকে চম্পট দেয়। তাদের ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পরে যে পথ দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় সেই পথ ধরে বাইক নিয়ে তাদের ধাওয়া করা হয়।
একটি স্কুলের কাছে তাদের বাইক থামাতে সক্ষম হয়। ওই দুই ভুয়ো পুলিসকে ধরে ফেলে বিধাননগর উত্তর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের থেকে ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, শুধু বিধাননগর নয়, গোটা কলকাতারজুড়েই তারা নিজেদের পুলিস পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করতো।