বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে কেটে নেওয়া হল মহিলার চুল। একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লা বাগান গ্রামে।
জানা গিয়েছে, চুল কেটে নেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হল, সিয়ান মুলুক গ্রামের এক মহিলা পাশের গ্রামের এক ভিন্ন ধর্মের যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভিন্ন ধর্মী ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস পরে ফের তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। যদিও তাঁর স্বামী পুরো বিষয়টিকে মেনে নিলেও গ্রামের বাসিন্দারা তা মানতে নারাজ।
এরপর গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর উপর চড়াও হন। গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলার চুল কেটে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্বামীকে মারধর করে গ্রাম ছাড়া করে দেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি গ্রামবাসীদের ভয়ে। তাঁদের দাবি, যদি তাঁরা থানায় কোনওরকম অভিযোগ করেন তাহলে তাঁদেরও গ্রাম ছাড়া করে দেওয়া হবে।
স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এমন সন্দেহে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৮ মাইল এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, গৃহবধূর নাম রাধা মণ্ডল (২৪)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম স্বপন মণ্ডল। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। বর্তমানে আহত ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্থানীয় পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করছিল স্বামী। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই পরিবারের মধ্যে বেশ ঝামেলা-অশান্তি হচ্ছিল। এরমধ্যে এক অজানা নম্বর থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসায় আরও সন্দেহ বাড়ে স্বামীর মনে। আর তারপরেই স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত থাকার সন্দেহে বেধড়ক মারধর করতে আরম্ভ করে তাঁর স্বামী। স্ত্রীকে মেরে তাঁর কপাল ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। অভিযুক্তকে খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিয়ের (Marriage) পর বিবাহ জীবন সকলের সুখের হয় না। এরফলে অনেকেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবার অনেকে অন্য কোনও কারণে। তবে বিয়ের পরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে থাকবে না চাকরি। এমনটা আগে শোনা যায়নি। সম্প্রতি চিনের (China) একটি বেসরকারি সংস্থা কর্মচারীদের জন্য এমনই নির্দেশ জারি করেছে।
ওই সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। তাহলে কর্মক্ষেত্রেও সুশ্রী পরিবেশ বজায় থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে এই সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে আবার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। চলতি মাসের ৯ জুন চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি বেসরকারি সংস্থা একটি নির্দেশিকা জানায়, সেখানে কর্মরত এবং বিবাহিত কোনও কর্মী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে পারবে না।
সংস্থার তরফে কর্মীদের জন্য় চারটি বিষয়ে না জড়ানোর ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো যাবে না, উপপত্নী না রাখা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে না জড়ানো এবং স্ত্রীকে ডিভোর্স না দেওয়া। সংস্থার এক কর্মী চিনের একটি সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছে, পরিবারে শান্তি এবং স্থিতি থাকলে তার প্রতিক্রিয়া পড়বে কর্মক্ষেত্রেও। তাই সংস্থা চায়, তাদের সব কর্মী পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকুক।
১৪ ফেব্রুয়ারি (Valentines Day) ভালোবাসার দিনে, ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেয়ে নৃশংস হত্যা (Dumdum Murder) প্রেমিকের। অবশেষে রবিবার রাতে দমদম থানার পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে দমদম ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা বছর ৪২-র অঞ্জু দাসের অবৈধ সম্পর্ক (Extra Marital Affairs) গড়ে ওঠে। বছর দেড়েকের এই সম্পর্কে সবসময় টানাপোড়েন চলতো।
বছরখানেক আগে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগও হয়। এরপরেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ। কিন্তু মিহিরে নিত্য শারীরিক নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচতে বেড়িয়ে আসতে চাইছিলেন বছর ৪২-এর অঞ্জু দাস। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বছর ৩৭-এর মিহির।
অভিযোগ, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে রাস্তা থেকেই অঞ্জু দাসকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে আনেন অভিযুক্ত। এরপরে সেখানে দু'জনের মধ্যে বিবাদ-বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরেই অঞ্জু দাসকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিহির মণ্ডল। এমনকি তাঁকে কোপানো হয়েছে বলেও পুলিসে অভিযোগ করেন অঞ্জুর মেয়ে প্রিয়া দাস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মিহির মণ্ডল, নিজেই নাম ভাঁড়িয়ে অঞ্জু দাসকে স্ত্রী পরিচয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এমতাবস্থায় মিহিরের স্ত্রী, অঞ্জুর মেয়েকে মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। প্রিয়া এরপরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আরজিকরে ভর্তি রয়েছেন মা। এরপর সেখানে গিয়েই সে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। গত ১৮ তারিখ রাতে চারদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের। এরপরেই অভিযান চালিয়ে দমদম থানার পুলিস রবিবার দুর্গানগর থেকেই অভিযুক্ত মিহিরকে গ্রেফতার করে।
ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। ধৃতকে সোমবার পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। মৃতার মেয়ে জানান, 'মায়ের সঙ্গে একজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দশ মাস আগে মা সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসেন। মায়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক ছিল, তিনি খুব মারধর করতেন বলে আমরা থানায় জিডিও করি। এরপরেও উনি আমাদের জ্বালাতন শুরু করেন। বাড়িতে এসে অশান্তি করত, ১৪ তারিখ মা পথকুকুরদের খাওয়াতে বেরোলে কোনওভাবে ওই ব্যক্তি মাকে তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়েছে। হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন। গত ৪ দিন আরজি করে ভর্তি থাকার পর ১৮ তারিখ রাতে মা মারা গিয়েছেন।'
বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extramarital affairs) জেরে স্ত্রীকেই খুনের (murder) অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ঘোড়ামারা মাঠপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ডোমকল থানার পুলিস (police)। পথের কাটা সরাতেই কি স্ত্রীকে খুন? ঘটনার তদন্তে পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূ বছর ২৮-এ রেখা বিবি ডোমকলের মোহনপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর ১০ বছর আগে ডোমকলেরই ঘোড়ামারা মাঠপাড়ার বানাত মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ হয়। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পরে সংসারে ভাঙন ধরে। দম্পতির এক কন্যাসন্তানও আছে। বিয়ের বছরখানেক পর থেকেই বৌদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বানাত মণ্ডলের। কিন্তু এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ান তাঁর স্ত্রী রেখা বিবি। বহুদিন ঝামেলা-অশান্তির পর রবিবার হঠাৎ গভীর রাতে নিজের ঘরেই রেখা বিবিকে গলাই ফাঁস এবং মারধর করে খুন করে স্বামী এমনটাই অভিযোগ।
সোমবার সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন তাঁদের বাড়িতে। সেখানে মৃতদেহ দেখেই পরিবারের সদস্যরা খবর দেয় পুলিসে। তবে পুলিস আসবার আগেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত বানাত মণ্ডল। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডোমকল থানার পুলিস। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। দোষীর সঠিক শাস্তির দাবি জানিয়ে পরিবার।
এ কেমন কাণ্ড! একদিকে বাড়িতে পড়ে স্বামীর (husband) মৃতদেহ। অন্যদিকে, পলাতক স্ত্রী ও তাঁর প্রতিবেশী যুবক। ত্রিকোণ প্রেমের (love triangle) জেরেই এই কাণ্ড, প্রাথমিক সন্দেহ এলাকাবাসীদের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে খড়িবাড়ি (Kharibari) থানার ফুলবাড়ি চা বাগান এলাকায়। রবিবার ফুলবাড়ি চা বাগানের খাল লাইনে একটি বাড়ির ভিতর থেকে অস্বাভাবিকভাবে উদ্ধার হয় শঙ্কর বইগা(২৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ (deadbody)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি ঘরের ভেতর মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় খড়িবাড়ি থানায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে, মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক মৃতের বউ ও এক প্রতিবেশী বন্ধু। গ্রামবাসীদের অনুমান স্বামীকে খুন করে স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। মৃতের স্ত্রী ও বন্ধুর মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা বলে সন্দেহ করছে স্থানীয়রা। তবে খুন না আত্মহত্যা তার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিস।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস। সাত সকালে এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
দমদমে (Dumdum) এক মহিলার পচাগলা অর্ধেক কঙ্কালসার দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল দমদম থানার পুলিস (police)। তদন্তে উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন (murder) হতে হয় ওই মহিলাকে, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। তদন্তে নেমে রাজু দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস। ধৃতকে রবিবারই ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দমদমের নলতায় খাল পাড় থেকে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাত পরিচয়ের মহিলার পচাগলা, কঙ্কালসার দেহ। ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিস। জানা যায়, মৃত ওই মহিলার নাম কাকলি দত্ত। তাঁর বাড়ি গোবরডাঙায়। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ধৃতকে নলতার বাদরা তিন পুকুর অঞ্চল থেকে আটক করা হয়। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সে খুনের কথা স্বীকার করে। পরে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে, ওই মহিলার সঙ্গে রাজুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়নের জেরেই মহিলাকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে সে। এরপরই মৃত্যু হয় তাঁর। একই সঙ্গে ধৃত আরও জানায়, মহিলার মৃত্যু হলে তাঁর পরিচয় গোপন রাখতেই খালের ধারে বালির বস্তা দিয়ে চাপা দিয়ে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল সে।
ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির শহর মালদহে (Malda)। দুশ্চরিত্রের অপবাদ দিয়ে নৃশংস অত্যাচার (brutal torture) করা হল এক মহিলার উপরে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extramarital affairs) রয়েছে এমন সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক মহিলার মাথার চুল কেটে ও কপালে ৪২০ লিখে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর তাঁকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়। এমন ঘটনাও হতে পারে, ভাবলেই শিউরে উঠছেন সকলে। তবে নির্মম এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর শ্বশুর। নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের ক্ষেমপুর জিপির কান্ডরন বেদে পাড়ার ঘটনা।
সূত্রের খবর, মহিলার ওপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছিলেন, তাঁরা হলেন ওই মহিলার শাশুড়ি ও দেওর। তাঁর স্বামী গত দেড় দুই বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কান্ডরনে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু কয়েক মাস থেকে তাঁর কতগুলি অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে এমনটাই অভিযোগ করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তিনি মাঝে মধ্যেই রাতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর শাশুড়ি এই সব বিষয় গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামে সালিশি সভা বসে। পরে আবার তিনি বাড়ি থেকে বাইরে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলে। এবং তাঁর মাথার চুল কেটে কপালে খোদায় পড়ে ৪২০। আর এই সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি সিএন পোর্টাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।