হাসপাতালের বেডে শুয়ে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা দিলেন এক পরীক্ষার্থী। প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইংরেজি পরীক্ষা দিল নাজমা মণ্ডল। তিনি বনগাঁর ঘাটবাওর রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছিল বনগাঁ শক্তিগড় হাই স্কুলে। গত শুক্রবার উচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা স্কুলে গিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এরপর হাসপাতালে শুয়েই তাঁকে ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে নাজমার বিয়ে হয়েছিল ঘাটবাওর এলাকায়। তারপর সন্তানসম্ভবা হন তিনি। উচ্চ মাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ পেটে ব্যথা নিয়ে শনিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রস্তুতি বিভাগে ভর্তি হন নাজমা।
এরপর রবিবার সিজারের মাধ্যমে তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়। সোমবার নাজমা পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতালে তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
টেট পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা। কেন্দ্রে প্রবেশ করায় গ্রেফতার দুই। জানা গিয়েছে, ধৃত একজন পরীক্ষার্থী, অপরজন তার বন্ধু। বন্ধুকে সহযোগিতা করতে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সোমবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করেছিল ওই দুজন অভিযুক্ত। তারপর তাদের আটক করে পরীক্ষকরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল দুটি উদ্ধার হয়। এরপর দুজনকে আটক করে মোবাইল সহ তাদের পুলিসের হাতে তুলে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল সন্দীপ কুটি ও দেবাশীষ মৃধা। দুই জনের বাড়ি ধানতলা থানা বহিরগাছি এলাকায়। তাদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল কৃষ্ণনগর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। দুই বন্ধুই পরীক্ষা দিতে ঢুকেছিল। কিন্তু এক বন্ধুকে সাহায্য করবে বলেই আর এক বন্ধু ঢুকেছিল। তারপর দুজনকেই ধরে ফেলে স্কুল শিক্ষকরা। মোবাইলসহ পুলিসের হাতে তুলে দেয় তাদের দুজনকে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য় একবছর পর রাজ্যে আয়োজিত হয় টেট পরীক্ষা। রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে বেলা ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। টেট পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়েই নিয়োগের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের। প্ল্যাকার্ডে লেখা, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মানছি না, অবিলম্বে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চাই। পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই নিয়োগের দাবি তুলেছে পরীক্ষার্থীরা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানাচ্ছে এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। মোট ৭৭৩ টি সেন্টারে পরীক্ষা হবে। ২০২৩ নতুন টেটের আগে ২০২২-এর প্রাথমিক টেট পাশেদের অবিলম্বে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চাই বলে দাবি পরিক্ষার্থীদের। নিয়োগ ছাড়া নিয়ম করে প্রতিবছর চলছে টেট। নিয়োগের আশা ছেড়েই দিয়েছে অনেকে। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে একাধিক সমস্য়া সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলাতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভের ছবি।
দেরি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসায় পরীক্ষা দিতে পারলো না এক বাঁকুড়ার পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি তালডাংরা ফুলমতী হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের। পরীক্ষার্থীর নাম তারা সুন্দর হেঁস। বাড়ি বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া এলাকায়।
শিলিগুড়িতে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু হলেও বহু পরীক্ষার্থী এবার ঢুকতে পারলেন না কেন্দ্রে। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পৌঁছলেও সামান্য ভুলের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে ১১টা পার হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা হল না তাঁদের৷ পরীক্ষার্থীদের দাবি পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘন্টা আগেই কেন্দ্রের সামনে পৌঁছলেও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বাগবাজার মাল্টিপারপাস স্কুলে উত্তেজনা টেট প্রার্থী এবং অভিভাবকদের। কারণ ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে অনেক প্রার্থীদের স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিস। অভিযোগ, টেট প্রার্থীদের কাছে কোনও নোটিফিকেশন বা কোনও নির্দিষ্ট সময়ে বেধে দেওয়া হয়নি। ১১ টা বেজে গেলে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অনেক টেট পরীক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁরা দরজা ঠক ঠক করছেন। যাতে স্কুলের কর্তৃপক্ষ ভিতরে পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করতে দেন।
পরীক্ষার্থীদের দাবি, অ্যাডমিট কার্ডে ঢোকার শেষ সময়সীমা উল্লেখ করা নেই। শুধুমাত্র দশটা থেকে প্রবেশ করা যাবে তাই লেখা ছিল। ফলে এগারোটায় গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। সিএনএ খবর সম্প্রচার হওয়ার পর ১১ টার পরে আসা পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। অনেক পরীক্ষার্থীর দাবি রাস্তা জ্যাম ছিল, আবার অনেকে বলেছেন সদ্য মা হয়েছেন ৪০ দিন হয়েছে। তাই আসতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ডে প্রবেশের শেষ সময়সীমা উল্লেখ না করায় তারা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে।