ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।
এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।
যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
বিমানে (Flight) একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। বিমান সেবিকাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা, সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা, মদ্যপ অবস্থায় বিমানে চড়া-এমন অনেক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবারে এক যুবকের কাণ্ডে ফের হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায় বিমানের মধ্যে। সূত্রের খবর, উড়ান নিতে যাবে তার আগেই বিমানের আপৎাকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে এক যুবক। পরে যুবককে বিমানকর্মীরা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন ও দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরনের পরই তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগোর ৬ই ৬৩৪১ বিমানটি দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিল। রানওয়ে ছাড়ার আগে আচমকা এক যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় দিল্লি বিমানবন্দরে। তড়িঘড়ি ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইন্ডিগোর তরফে বিবৃতি জারি করা জানানো হয়েছে, দিল্লিগামী ৬ই ৬৩৪১ বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে যুবক। এর পরই বিমানের অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছে ইন্ডিগো। কেন ওই যাত্রী বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
মুম্বইগামী বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। বিমানের জানলার কাঁচে চিড় দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, স্পাইসজেটের বিমান এস জি ৫১৫ বুধবার সকাল ৬:১৭ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে ১৭৬ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কলকাতার আকাশে থাকাকালীনই বিমানের জানলার কাঁচে ফাটল দেখতে পায় কেবিন ক্রু। তৎক্ষণাৎ পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাইলট দ্রুততার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবতরণের অনুমতি চান। সেইমতো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অনুমতিতে ৭ঃ৪৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। সমস্ত যাত্রীরাই সুরক্ষিত। বিমানের মেরামতির কাজ চলছে।
চলতি বছরে বলিউডে বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা 'এমারজেন্সি' (Emergency)। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে সেই সিনেমায় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। শ্যুটিং শুরু হওয়ার সময়ই প্রকাশ্যে এসেছিল সিনেমার প্রথম ঝলক। কয়েক সেকেন্ডের সেই ঝলকে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে তাক লাগিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল দর্শকদের। এবার এমারজেন্সি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে একটি টিজার (Teaser)।
এর আগেও বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রস্থেটিক মেকআপের হাতযশে কঙ্গনাকে ইন্দিরা গান্ধীর মতো দেখতে লেগেছে। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠও আয়ত্ত করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তবে অভিনয় কেমন করেছেন তা বোঝা যাবে সিনেমা মুক্তি পেলেই। অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২৪ নভেম্বর সারা ভারতে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি।
A protector or a Dictator? Witness the darkest phase of our history when the leader of our nation declared a war on it’s people.
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) June 24, 2023
🔗 https://t.co/oAs2nFWaRd#Emergency releasing worldwide on 24th November pic.twitter.com/ByDIfsQDM7
সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার টিজার আপলোড করে কঙ্গবনা লিখেছেন, 'রক্ষাকর্ত্রী নাকি একনায়ক? আমাদের নেত্রী দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়ের সাক্ষী থাকুন।' যদিও অনেকেই কঙ্গনার এই পোস্টে রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজে পেয়ে অভিনেত্রীকে তুলোধনা করছেন। তবে অপেক্ষা আরও বেড়েছে সিনেমা প্রেমীদের।
বারাণসীগামী বিমানের (Airplane) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) হায়দরাবাদে। মঙ্গলবার সকালে যাত্রী-সহ বিমানটিকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) বিমানবন্দরে নামানো হয়। কিছু যান্ত্রিক অসুবিধার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি পাইলটের। তবে যাত্রীদের বারাণসী পৌঁছনোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে বারাণসীর উদ্দ্যেশে রওনা দেয় ইন্ডিগোর ওই বিমানটি। বিমানটিতে যাত্রা করছিলেন ১৩৭ জন যাত্রী। বিমানটি কিছুক্ষণ আকাশে ওড়ার পরেই যান্ত্রিক গোলযোগ বিষয়টি বুঝতে পারেন পাইলট। নিকটবর্তী হায়দরাবাদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করে বিমানটি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অসামরিক বিমান পরিবহণের ডিরেক্টরেট জেনারেল জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বারাণসীগামী বিমানটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই অন্য বিমানবন্দরে নামাতে হয়েছে। তবে বিমানের যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত। তাঁরা নিরাপদেই রয়েছেন। বিমানটিতে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু (Death) এক যাত্রীর। জানা গিয়েছে, বিমানের মধ্যেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই প্রৌঢ় যাত্রী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমানটিকে মায়ানমারে জরুরি অবতরণ করানো হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর (Indigo Flight) একটি বিমানে।
সূত্রের খবর, ৬ই-৫৭ বিমানটি বিকেল ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিমান তখন মাঝ আকাশে, ৫৭ বছর বয়সী ওই যাত্রী আচমকা অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। বিমানটি ছাড়ার ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন প্রৌঢ়। এরপর বিমানটি মায়ানমারে নামানো হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর মায়ানমারের ইয়াঙ্গন বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর বিমান আবার মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই ঘটে একই ঘটনা। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণও করানো হয়। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ফের বিমানেই (Airplan) মৃত্যু হল এক যাত্রীর (dead)। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই যাত্রী। বিমানটিকে তড়িঘড়ি নাগপুরে (Nagpur) বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করেও শেষরক্ষা হল না। রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর (Indigo) একটি বিমানেই ঘটে এই ঘটনা। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান যখন আকাশে উড়ছে ঠিক সেই সময়ই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এই পরিস্থিতির কথা জানাতেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবতরণও করা হয় বিমানটিকে। বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে আগে থেকেই তৈরি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও প্রয়োজনের কথা ভেবে বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স রেখে দেওয়া হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই অ্যাম্বুল্যান্সের রক্ষণাবেক্ষণকারী আয়াজ শামি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর দিল্লি-দোহাগামী বিমানেও এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃত্যু হয়।
মাঝ আকাশে পাখির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের (Indigo Flight) এক বিমানের। জানা গিয়েছে, রবিবার দিল্লির উদ্দেশে সুরাট বিমানবন্দর (Surat International Airport) থেকে রওনা হয় এই ইন্ডিগো বিমান। উড়ানের কিছুক্ষণ পর বিমানটির সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। বিমানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে সেটিকে আমেদাবাদের বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
রবিবার ইন্ডিগো এ-৩২০ বিমান দুর্ঘটনার সময় ক্রু সদস্য-সহ ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানের যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে পাখির আঘাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানের দুই নম্বর ইঞ্জিন। ইঞ্জিনের ফ্যান ব্লেডগুলির কিছু জায়গায় ভেঙেও গিয়েছে। বিমান সংস্থার তরফে ফ্যান ব্লেডগুলি মেরামতের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারও এক দিল্লিগামী বিমান কোচিন বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরুর কয়েক মুহূর্ত পরেই তা আবার ঘুরিয়ে ভোপাল বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, বিমানে এক যাত্রীর হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জরুরি চিকিৎসার জন্য দিল্লি না গিয়ে মাঝপথে ভোপাল বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমানটি নামানো হয়। ভোপালে অবতরণ করানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত পাইলট। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা অরুণা চলের তাওয়াং জেলার। হেলিকপ্টারে থাকা অন্য এক আরোহী গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তে রুটিন উড়ানের সময় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পাইলটকে উদ্ধার করে মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে কী কারণে কপ্টার ভেঙে পড়ল, তা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এমারজেন্সি, বিপর্যয় মোকাবিলা বা যুদ্ধ পরিস্থিতি, যেকোনও অবস্থার সঙ্গে লড়তে বহু বছর ধরে ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি-প্রযুক্তিও বদলেছে। কিন্তু এই দুই পুরাতন কপ্টারকে সেভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আপগ্রেড করা হয়নি। বায়ুসেনার কাছে মোট ১২০টি চেতক ও চিতা রয়েছে।
পুজোর মধ্যেই জরুরি ঘোষণা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (Department of Health)। পুজোতে সপ্তমী থেকে অষ্টমী দু'দিন বন্ধ থাকছে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর পরিষেবা (OPD)। তবে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়ার কথা মাথায় রেখে হাসপাতালের সমস্ত ইনডোর এবং জরুরী বিভাগের (Open Indoor & Emergency Service) চিকিৎসা ব্যবস্থা সচল থাকবে। চতুর্থীর রাতে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকায় আরও বলা, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় কোনও ভাবেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মরত আধিকারিক, ডিরেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিকরা ছুটি নিতে পারবেন না। এছাড়াও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপাররা যথাযোগ্য কারণ ছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কোনও ছুটি নিতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেকটাই বেড়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবারের পুজোয় চিকিৎসক, নার্সদের ছুটি আগেই বাতিল করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। কেবল উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি। গত এক সপ্তাহের হিসাবে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০১৮ জন। কলকাতায় ১ সপ্তাহে আক্রান্ত ৬২১ জন। হাওড়ায় আক্রান্ত ৫৫৯ জন। হুগলিতে আক্রান্ত ৬৮৭ জন।
উত্তরবঙ্গের জেলা গুলির মধ্যে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং-এ সংক্রমণের হার বেশি। জলপাইগুড়িতে এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৩১৪ জনের মত। দার্জিলিং-এ আক্রান্ত ৩১২ জন। গত সপ্তাহে জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত-এর সংখ্যা ২০০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) বড়সড় অগ্নিকাণ্ড এড়াতে দমকলের (Fire Brigade) উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মন্ত্রী সুজিত বসু (Minister Sujit Basu)। পুজোপ্যান্ডেলের বৈদ্যুতিক সংযোগ, ওয়ারিং ঠিকই রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা দেখতে দমকল কর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এই বৈঠকে রাজ্যের একাধিক ফায়ার স্টেশনের (Fire Station) ওসিরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন এসইএস মনোজ আগরওয়াল, ডিজি (ফায়ার) রণবীর কুমার-সহ অন্য কর্তারা।
বৈঠক প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস বলেন, 'রাজ্যে দমকলের সব ডিভিশনাল কর্তা এবং ফায়ার স্টেশনের ওসিদের নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে। সমস্ত ওসিদের বলেছি বড় দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্ক করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনার জন্য আমাদের অফিসারদের নজরদারি চালাতে হবে। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্বিঘ্নে মানুষ যাতে প্যান্ডেলে আসতে পারে, সেদিকটা নিশ্চিত করতে হবে।'
তিনি জানান, এর বাইরে আমাদের ডে টু ডে সার্ভিস রয়েছে। ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট যারা চান, তাঁরা যেন হ্যারাস না হয়। ফাইল দ্রুততার সঙ্গে ছেড়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী চান প্রশাসন ভাল করে চলুক। কঠিন কাজ যেন ভাল করে করি। দমকল পুজোর সময় চার্জ নেবে না। ফায়ার সার্ভিস থেকে সচেতনতা হবে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা এতবড় উৎসব আয়োজনে প্রস্তুত। আগেও স্পেশাল জব করেছে। আমফানের সময় লোকও মারা গিয়েছিল। ফায়ার অডিটগুলো দ্রুততার সঙ্গে কাজ করবে। এবারের পুজো আলাদা, ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। প্যান্ডেলের সবকিছুই কিছুই দাহ্য পদার্থ। ইলেকট্রিক ওয়ারিং যাতে ঠিক হয়, তার জন্য লোকাল ওসিকে বলেছি। পরিদর্শন করবেন তারা, ফায়ার মাস্ট। সেটা স্থানীয় পুজোর কর্তাদের শিখে নেওয়া প্রয়োজন। টেম্পোরারি ফায়ার স্টেশন থাকবে পুজোর সময় ১৯টি।'